Autobiography- Eight (ইংরেজিতে এখনো অনূদিত হয়নি, দ্রুতই অনূদিত হয়ে বিশ্বকাব্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করবে)

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১১/২০০৯ - ১:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গৌরচন্দ্রিকা:
হোজ্জার কাছে এক ভদ্রমহিলা আসলেন একটা চিঠি লিখে দেওয়ার অনুরোধ করতে, কারণ তার মেয়ে দূরের গ্রামে থাকে। হোজ্জা বললেন, আমার এখন পায়ে ব্যথা, আমি চিঠি লিখতে পারবো না। মহিলা অবাক হয়ে বললেন, আপনি কি পা দিয়ে লেখেন? হোজ্জা বললেন- চিঠির পাঠোদ্ধার করার জন্য তোমার মেয়ের গ্রামে আমাকে তো পায়ে হেটেই যেতে হবে তাই না?

কবিতার পাঠোদ্ধার আসলে হায়ারোগ্লিফিক্স-এর পাঠোদ্ধারের চেয়ে জটিল। কাব্য-সমালোচকরা যদি কবিতার পাঠোদ্ধারের বদলে সিন্ধুলিপি অথবা উয়ারিলিপির পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করতেন তবে ইতিহাস-সংস্কৃতি কিঞ্চিৎ উপকৃত হতো বলে আমার বিশ্বাস। সুতরাং নিচের কবিতাটি পাঠোদ্ধারের চেষ্টা না করেই পড়ুন।

মূল কবিতা:
কার্ল মাক্স বলেছিলেন, এক সময় উৎপাদন ব্যবস্থা এতো উন্নতি করবে যে মানুষকে আর কোনো কাজ করতে হবে না। যন্ত্রই করবে সব, মানুষের অন্তহীন অবসর।

আমি সেই দিনটির অপেক্ষা করছি।

যখন পাখিরা ঘরে ফিরলো কি ফিরলো না
নদীর জীবনে বাকি রইলো কোন্ লেনদেন

এইসব জটিল সরল-অংক করতে হবে না আমাকে।

আদার ব্যাপারির মতো এড়িয়ে যাবো দিশেহারা জাহাজীর সবুজ ঘাসের দ্বীপ দেখার উচ্ছ্বাস।

অন্ধকার নামুক অথবা অন্ধত্ব-
মুখোমুখি তোমার- গন্ধ নেওয়ার
থেকে বেশি কিছু করবো না আর।

সারমর্ম:
কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। (এই অসুস্থতার অজুহাত যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো, তুমি বলোতো?)

সংবিধিবদ্ধ সর্তকর্তা:
কার্ল মার্ক্সের অন্তহীন অবসরের ভ্রান্ত ধারণাটি নিয়ে কাব্য রচনা করলেও ভুলেও ভাববেন না, তার অন্য সব ভ্রান্ত ধারণাও আমি গ্রহণ করেছি।


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি
যুধিষ্ঠির এর ছবি

মূল কবিতাটা তো ভালোই লাগলো। আগেপিছে এত কিছু, বিশেষ করে পুনশ্চ: অংশটা না দিলেই ভালো হতো হয়তো।

যূথচারী এর ছবি

কবিতা তো নেহায়েত ছুতো, আগেপিছের কথাগুলোই আসল। আমি তো আরো এই দুটো অংশ সংযোজন করতে চেয়েছিলাম-

সংযোজন ১: সুচৌ-র কবিতার পাঠোদ্ধারের জন্য সুচৌ-এর কাছে আপনারা বঙ্গীয় শব্দকোষ ক্রয়ের নিমিত্তে টঙ্ক কামনা করতে পারেন।

সংযোজন ২: এই সিরিজের পূর্ব ৭টি কাব্য ইংরেজি ভাষায় রচিত হয়েছে, এই কাব্যটিও অচিরেই স্বর্গীয় বর্ণমালায় পরিণতিলাভ করবে। বঙ্গীয় ভাষার মতো একটি পক্ষীভাষা কাব্যসুষমা ধারণের পক্ষে কস্মিন উপযোগী নহে।

তবে আপনাকে গুরুজনমান্যকরি বিধায় সংযোজনটুকু তো সংযোজন করলাম-ই না, উপরন্তু পুনশ্চ অংশটিও ডিলিট করে দিলাম।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

তবে আপনাকে গুরুজনমান্যকরি বিধায়...

দেঁতো হাসি আহা! এইরকম আদব কায়দা দেখাই যায়না আজকালকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে!

এই সিরিজের আগেরগুলি কখনো পড়া হয়নি, তাই হয়তো সংযোজনগুলোর মাজেজা বুঝিনি। সচলায়তনেই আছে ওগুলো? থাকলে এইবার বাকি সবগুলো পড়ে দেখবো।

সাফি এর ছবি

পুনশ্চ ডিলিটেড লেখায় পুনশ্চমূলক মন্তব্য পড়িয়া, পুনশ্চ পড়িতে মঞ্চায়

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার তো মনে হইতেছে না যে, পুনশ্চ কিছু লিখিয়াছিলেন আপনি !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।