কথা বলতে খুব ভালোবাসতেন বিপ্লবী বরুণ রায়। এমনকি ডাক্তারের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বলে গেছেন অনর্গল। বয়েস কালের অযথা আলাপ নয়, প্রতিটি কথাই ছিল সুচিন্তিত এবং প্রজ্ঞার প্রকাশ। অথচ হাজার হাজার মানুষ এখন তার চারদিকে, শত শত ফুলের ডালায় সজ্জিত তিনি। নিরব।
কাল শেষকৃত্য, এখন সুনামগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে রাখা হয়েছে মরদেহ।
ব্যস্ততা এবং নেটওয়ার্কের কারণে ঠিকমতো তথ্য দিতে পারছি না। যারা চেনেন জানেন তাকে, দিয়ে দিন।
মন্তব্য
দাদা, পোস্ট চারবার হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি তিনটা ঘ্যাঁচাং করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সার্ভারের সমস্যা ভেবে আমিও তিনচার বার রিফ্রেশ দিলাম
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে ওনার সম্পর্কে আরেকটু লিখলে ভাল্লাগতো...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কমরেড বরুণ রায় শান্তিতে থাকুন
মাত্র চারদিন আগে তোলা, আহ্ কে জানতো?
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মুস্তাফিজ ভাই, সম্ভব হলে একটা ব্যানার করে দেন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বরুণ রায় ১৯২২ সালের ১০ নভেম্বর সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করুণা সিন্ধু রায়। পিতার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন। ১৯৪২ সালে ২০ বছর বয়স থেকেই রাজনৈতিক কারনে জেল খাটা শুরু। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় গ্রেফতার করে পাকিস্তান সরকার। ৫ বছর জেল খাটেন। এরপর থেকে আর থামাথামি নেই। শুধু পাকিস্তান আমলেই ১৪ বছর কাটিয়েছেন জেলে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তিনি। বাংলাদেশের বাম রাজনীতির প্রবাদপুরুষ। ৮৬ সালে সংসদ নির্বাচিত হয়ে ৮৭ সালেই এরশাদবিরোধী আন্দোলনের জন্য আবার গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।
মৃত্যুতে গভীর শ্রদ্ধা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। বরুণ রায় সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হলো। বিপ্লবীকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
কমরেড বরুণ রায়কে লাল সালাম।
প্রিয় যুথচারী, পোস্টটা এডিট করে উনার সংক্ষিপ্ত জীবনি যোগ করুন, উনার বিপ্লবী জীবন সম্পর্কেও কিছু লিখুন। এই প্রজন্ম উনার সম্পর্কে প্রায় অজ্ঞ। আমি অল্প-স্বল্প লিখলাম
কমরেড বরুণ রায়ের আসল নাম প্রসূন কান্তি রায়। জন্মেছেন ১৯২২ সালের দশই নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের বেহেলী গ্রামে। ১৯৪২ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করেন। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নির্বাচিত হয়েছেন ১৯৫৪ সালে আর ১৯৮৬ সালে। সক্রিয় অংশ নিয়েছেন তেভাগা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী জনতার মুক্তির সংগ্রামের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে। জেল-জুলুম ভোগ করেছেন বছরের পর বছর। ১৯৯০ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিলেও রাজনীতি থেকে দূরে থাকেননি কখনো। স্ত্রী শীলা রায় শিক্ষা আন্দোলনের নেত্রী। একমাত্র পুত্র সাগর রায় বর্তমানে প্রবাসী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব দা, ভাষান-পানি আন্দোলনের কথা বাদ পড়েছে, এই আন্দোলন এখনো চলছে।
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
জাফর ভাই, সম্ভবত মৃত্যুকালে উনার বয়স ৯৪ না, ৮৮ হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লাল সালাম। বিপ্লবীকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
যূথচারী, নজরুল ভাই, মুস্তাফিজ ভাই এবং পাণ্ডবদা'- প্রত্যেককেই অনেক সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সমস্যা হৈলো এই লোকগুলোর কোন রিপ্লেসমেন্ট হইতেছে না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার প্রথম জীবনের রাজনৈতিক গুরু। এমন নির্লোভ ব্যক্তিস্বার্থহীন নির্মোহ রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব আক্ষরিক অর্থেই আমরা আর পাবো না।
৯১ -এর নির্বাচনে তিনি নিজে না দাঁড়িয়ে তাঁর শিষ্য (!) কমরেড নজির হোসেনকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে। বরুণ দা'র প্রার্থী হিসেবে পাশও করেছিলেন। তবে ক্ষমতায় গিয়েছিলো বিএনপি জোট। অতঃপর বেগম খালেদা জিয়ার সুনামগঞ্জ সফরে কমরেড নজির ভাই এমন গড়াগড়িই দিলেন যে, স্টেডিয়ামের ঘাসের ঘষায় তাঁর কমরেডত্ব ঘুঁচে গেলো। তিনি হয়ে গেলেন বিএনপির একনিষ্ট কর্মী ও সুনামগঞ্জের প্রভাবশালী জাতীয়তাবাদী নেতা ! তারপর সুরমায় অনেক পানি গড়ালো। কমরেড বরুণ রায়ের জীবনের একমাত্র রাজনৈতিক পরাজয় এটাই বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা।
সেই ছোটবেলা যখন সাজি হাতে মাছ বাজারে যেতাম, পরনে সাদা পাজামা, গায়ে হাফহাতা খুব সাধারণ শার্ট আর পায়ে একজোড়া স্পঞ্জ স্যান্ডেলের বরুণ দা বাজারে কমদামী গুঁড়া মাছ দাম করতেন। সংসদ সদস্য হয়েও তাঁর এই সাধারণ চলন-বলনে একটুও তারতম্য ঘটেনি। এরকম একজন সর্বত্যাগী নেতা আমি দ্বিতীয় আরেকজন পাইনি আমার ক্ষুদ্র জীবনে। শীলা দি'র স্কুলের বেতনই ছিলো পরিবারের আয়ের উৎস। এরকম একজন ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে সুনামগঞ্জ যে কতোটা নিঃস্ব হলো তা সুনামগঞ্জবাসী ছাড়া কেউ বুঝবে না। দল মত নির্বিশেষে সবার প্রিয় হয়ে উঠা খুব কম মানুষের জীবনেই ঘটে। নিজের কর্ম ও ত্যাগ দিয়ে বরুণ দা সেটাই অর্জন করে গেছেন।
কিভাবে শ্রদ্ধা জানালে তাঁর প্রতি যোগ্য শ্রদ্ধা নিবেদন হবে আমি জানিনা। আমি সেভাবেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই।
সুনামগঞ্জের সাংবাদিক কাম ব্লগার শামস শামীম অন্য ব্লগে তাঁর সম্পর্কে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ওখানে কিছু তথ্য আছে। দেখতে পারেন এখানে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বরুণ রায় সম্পর্কে তথ্যের জন্য আমি শামীমের এই লেখাটা রেফার করবো।
http://www.somewhereinblog.net/blog/shamsshamimblog/29041364
আমার মনে হয়, এটাই যথেষ্ট সাধারণ তথ্যগুলোর জন্য। আর আমার মতো করে আমি কিছু কথা লিখবো পরে সময় পেলে।
ভালো কথা, আমি সুনামগঞ্জেই আছি কয়েকদিন ধরে, থাকবো আরো কয়েকদিন।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
প্রিয় কমরেড , প্রিয় নেতা , বরুণ দা
হে নমস্য মানুষ
আপনাকে অবনত সালাম ।
লাল সালাম কমরেড।
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক !
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বিনম্র শ্রদ্ধা............
স্বপ্নদ্রোহ
শ্রদ্ধা। উনার নামটাই স্মৃতির আড়ালে চলে গিয়েছিল, এখন মনে পড়েছে। মামা বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে...তাঁদের অনেককেই দেখেছি, তাদের গল্প (হ্যাঁ গল্পের চেয়েও গল্পময় জীবন) শুনেছি।
অনেক বিপ্লবীর নামই আজ তরুণসমাজ জানে না। জানেনা তাদের আত্মত্যাগের কথা...সংগ্রামের কথা। একে একে এরাঁ হারিয়ে যান! যারা জানেন তারা বিস্মৃতির অতল থেকে তাদের জাগিয়ে তুলুন, প্লিজ!
বিনম্র শ্রদ্ধা...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
লাল সালাম, কমরেড...
শ্রদ্ধা আর সালাম। ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
মহান বিপ্লবীকে লালগোলাপ শুভেচ্ছা।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
সালাম কমরেড
০২
পিতার হাত ধরে রাজনীতিতে এলেও বরুণ রায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ শুরু হয় কিশোর বয়স থেকেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে
কিশোর বয়সেই তিনি ছিলেন সুরমা ভ্যালি কালচারাল স্কোয়াডের সদস্য
উইকিতে যোগ করে দিলাম। মুস্তাফিজ ভাই, উইকিতে কি আপনার ছবিটা যোগ করে দেয়া যায়?
নতুন মন্তব্য করুন