কিছু গীবত করার জন্য এই পোস্ট, লাইন ভালো না বলে সংক্ষেপেই লিখছি। আপ করতে পারবো কিনা অথবা আপ করলেও এক পোস্ট ৭ বার আপ হবে কিনা, এই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। মডারেটররা অনুগ্রহপূর্বক একটু সক্রিয় হবেন, বেশিবার আপ হলে বুঝবেন, তা ইচ্ছাকৃত নয়, সুতরাং দয়া করে তা যতো দ্রুত সম্ভব ডিলিট করে দিবেন।
কমরেড বরুণ রায়ের মৃত্যু বিষয়ে আজকের প্রথম আলোতে ১৯ পৃষ্ঠার জন্ম-মৃত্যু-কুলখানি-চেহলাম কলামে, মানে শেষ কলামে ১৩৫ শব্দের* একটা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। শিরোনামটি ছিল- “পরলোকে বিপ্লবী বরুণ রায়”। পরলোকে কমরেডের বিশ্বাস ছিল না, মারা গেছেন, অক্কা পেয়েছেন, পটল তুলেছেন দিলেও বোধ করি কমরেডের বিশ্বাসকে এতোটা ব্যঙ্গ করা হতো না, যতোটা পরোলোক শব্দটি করে। আমি মারা গেলে যদি তা কোনো খবর হয়, তবে তা যেন “পরলোকে সোহেইল জাফর” না লিখে অন্তত এই শব্দগুলোতে হয়! ১৩৫ শব্দের প্রতিবেদনটির ৫৪ টি শব্দ কমরেডের জন্য, বাকি ৮১ টি শব্দ, শোকপ্রকাশকদের নামের বিবরণী। ০.২৫ ইঞ্চিx০.৫০ ইঞ্চি মাপের একটি ছবিসহ কমরেডের মৃত্যু সংবাদে তার যে পরিচিতি ছাপা হয়েছে, তা অদ্ভুত। আমাদের মামুন ভাই ব্রাক ব্যাংকে জয়েন করেছেন, এই খবরটি যতো গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে (আজকেই ব্যবসা পাতায়), কমরেড বরুণ রায়কে ততোটুকু গুরুত্বও দেওয়া হয়নি। মামুন ভাইয়ের পরিচিতি দিতে ৫৯ টি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, অন্যদিকে কমরেড বরুণ রায়ের পরিচিতি সীমাবদ্ধ মাত্র ১০ টি শব্দে। আজকের কাগজের কমপক্ষে ১১২ টি সংবাদ কোনোদিনও ছাপা না হলে কোনোই ক্ষতিবৃদ্ধি হতো না, স্রেফ পাতা ভরার জন্য দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো বরুণ রায়ের প্রতি যে আচরণ করেছে, তার সমালোচনা করার জন্য আমাকে পুরনো ঢাকা থেকে উত্তম গালিবিশারদ ভাড়া করতে হয়, সেই দিকে আর গেলাম না। শুধু আর একটি তথ্য দেই, তা হলো- সংবাদেও ভুল আছে। তবে এটিকে আমি স্থানীয় সংবাদদাতার সীমাবদ্ধতা বলে ক্ষমা করে দিচ্ছি। তা হলো- রাত ৯ টার দিকে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আসলে সেটি আজ সকালে হওয়ার কথা ছিল। ঢাকা থেকে পুরনো কমরেডরা অনেকেই আসবেন বলছিলেন। কিন্তু তারা অনেকেই মন্ত্রী-এমপি-ধনী ব্যক্তি হয়ে যাওয়ায় “আসতে পারি, দেখি, ঠিক নেই” ইত্যাদি বলা শুরু করলে কালকেই দাহ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সেটি করা হয় প্রথম আলোর বর্ণনার আরো প্রায় ২ ঘণ্টা পরে এবং তা পুরো সম্পন্ন হয় রাত প্রায় ২ টার দিকে।
* ১৩৫ টি শব্দ গোণার সময় সব শব্দকেই শব্দ হিসেবে গণনা করা হয়েছে। “১৩৫ টি শব্দ” ধরনের শব্দবন্ধকে ৩ টি শব্দ ধরা হয়েছে।
মন্তব্য
তা এই বরুন রায়ডা আবার কিডা?
আপনি প্রথম আলোর বিষাদাগার করে যতগুলো শব্দ ব্যবহার করেছেন তার অর্ধেক ব্যবহার করেও যদি বরুন রায়ের পরিচিতি তুলে ধরতেন তাহলে আমার মত 'নালায়েক' লোকজন যারা তার সম্পর্কে কিছুই জানে তাদের অশেষ উপকার হতো।
ধন্যবাদ।
সচলায়তনের নীড়পাতার (হোমপেজ) সবার নীচের পোস্ট-টা দেখুন, ওটার মন্তব্যের জায়গায় কিছু তথ্য আছে। অথবা এই পোস্টের ডানে-বামে তাকান, লিংকটা পেয়ে পাবেন। চোখকান সীরাতুল মোস্তাকিমের মতো সোজা করে তাকালে আমার লেখা পড়ার দরকার নেই। বরুণ রায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ-টা যেভাবে প্রকাশ করেছেন, তাতে আপনাকে "নালায়েক" বলতেও ইচ্ছা করছে না।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
যতটুকু বুঝতে পারলাম এই পোস্টটির মূল বক্তব্য কমরেড বরুন রায়কে নিয়ে নয়। বরং প্রথম আলোর চরিত্র (সমালোচনা করতে) বুঝাতে উনাকে আনা হয়েছে। আর এই পোস্টের কোন শব্দে বরুন রায়কে অসম্মান করা হয়নি। কিন্ত আপনি পোস্টকর্তার সমালোচনা করতে গিয়ে কমরেডের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন।
অরণ্য,
ধরলাম অচেনা হলেও কোন মানুষ যে শ্রদ্ধেয় কেউ হলেও হতে পারেন সে কান্ডজ্ঞান আপনার হয়নি। এবং বিপ্লবী বরুণ রায়কে আপনি চেনেননা। তারপরও, লেখাটিতে তাঁর যে ছবিটি আছে সেটি দেখেও কি আপনার মনে হল না যে,
আপনার মন্তব্য পড়ে শুধু একটি শব্দই মনে হল, "হায়রে!"
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি প্রথম আলোর উত্তম পুরুষদের সংঘের লোক বোঝা যাচ্ছে। একটু রুচিশীল ভাবে জানার আগ্রহ প্রকাশ করতে অসুবিধা কী। এখান থেকেই সব জেনে নিতে হবে কেন?
তা এই অ-রন্য ডা কেডা ?
---নীল ভূত।
কি যে বলেন যূথচারী ভাই, প্রথমালোর মতো সর্বশক্তিমান, মহান, দেশ জাতি ও সময়ের ঈশ্বর কোন পত্রিকা(!) কি আর বিপ্লবী বরুণ রায়ের মতো ছোটখাট মানুষকে নিয়ে সময় নষ্ট করতে পারে !!!
মোল্লারা ধমক দিলেই কেবল ওনার সতর ঢাইকা দৌড়াদৌড়ি শুরু যায়...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ক্ষমা করো হে প্রিয় কমরেড। তোমাকে সম্পর্কিত একটি লেখায় সর্ব প্রথম মন্তব্যটি এলো এভাবে-
আমার কিন্তু ভাই যুথচারীর লেখা খুবই অপছন্দ লাগলো। প্রথম আলোর ওপর পুরান রাগ মেটাতে গিয়ে বরুন রায়কে শিখন্ডী করে মনের ঝাল ঝাড়লেন। মাথা গরম হয়ে গেলেই এসব বাজে লেখা বের হয়।
সচলায়তনের মান এসব লেখকদের জন্যই খারাপ হচ্ছে।
লেখাটার বাজে দিকগুলি নিয়ে এক এক করে আলোচনা করুন না ভাই। আপনার মতো আলোচক এসে সচলায়তনের মান ভালো করে দেবেন, সেই আশাতেই অধীর প্রহর গুণি।
যূথচারী, বরুণ আর শিখণ্ডী বানান তিনটি নেক্সট টাইম খুপ খিয়াল কইরা।
হে প্রথমালু দিয়া রান্ধা তরকারি
লেখার এবং সচলায়তনের মান নির্ণয়কারী,
..................................
................................. (লেখার অযোগ্য)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হা হা ঃ)
সমালোচনা করা দেখি অপরাধ!!
(অর্থাৎ সমালোচনা জায়গা মত লেগেছে।)
আপনার সমালোচনার মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।
সমালোচনা করা সমালোচকের অপরাধ না। লেখকের বিপদ। তাকে হয় সমালোচনার জবাব দিতে নয়, নাহলে ভুল স্বীকার করতে হয়। সমালোচনা হলে পাঠকরাও কান খাড়া করে শোনে। জানতে চায় ঘটনাটা কী! সমালোচক আর লেখকের কথাবার্তা শুনে বুঝতে পারে কার কথা কতটুকু সত্য! সমালোচনা হলে তাই পাঠকের সবচাইতে বড় সুবিধা। (অনেকক্ষেত্রে লেখকেরও সুবিধা যদি তিনি শিখতে চান)।
সমস্যা হচ্ছে পর্দা ঝাপসা করা অপরাধ। আতকা আইয়া গাইল পাইড়া, "আমি হনুমান, মানুষের পূর্বপুরুষ। আমার মানসন্মান মানুষের চাইতে বেশি। আমি গায়েবী ক্ষমতা বলে তোর মান নির্ণয় করলাম..." এই জাতিয় কথা বললে সাধারণে চেইতা যায়। আর গালিগালাজ করে কবিতা লেখে...
মনু বুঁজছো ?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
@ অরু
প্রথম আলোর প্রতি আমার পুরনো রাগ বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন? আমি কি প্রথম আলোর কাছে টাকা পাই নাকি প্রথম আলোতে কখনো চাকরি করতাম? প্রথম আলো, ইত্তেফাক, সমকাল এমনকি করতোয়ার বিভিন্ন সংবাদের সমালোচনা আমি বিভিন্ন জায়গায় লিখেছি। সমস্যা হলো, করতোয়া আঞ্চলিক পত্রিকা হলেও নিজেদের সমালোচনা তারা নিজেরা ছাপানোর সাহস রাখে, যেটা প্রথম আলো রাখে না। তাই প্রথম আলোর লেখার সমালোচনা করার জন্য অন্য মিডিয়া-র আশ্রয় নিতে হয়।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2009-12-09/news/24098
মাথা এতই গরম যে, মামুন ভাই আর মাহমুদুর ভাই এর পার্থক্য লেখকমশায় গুলিয়ে ফেলেছেন।
মামদুদুর। মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
"লেখার/সচলায়তনের মান খারাপ এবং লেখকের মাথা গরম" প্রমাণ করতে আর কোন যুক্তি পাওয়া গেলনা না ?!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ-কে মামুন ভাই বলায় সমস্যাটা কি? আমি তো তাকে মামুন ভাই বলেই ডেকে আসছি বহু বছর ধরে। আমি তো সংবাদ শিরোনামটি উদ্ধৃত করিনি। "আমাদের মামুন ভাই ব্রাক ব্যাংকে জয়েন করেছেন, এই খবরটি যতো গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে (আজকেই ব্যবসা পাতায়), কমরেড বরুণ রায়কে ততোটুকু গুরুত্বও দেওয়া হয়নি"-এর মধ্যে মাথা গরমের কি দেখলেন? প্রথম আলোর সমালোচনা দেখে আপনি এতো গরম হয়ে গেলেন কেন?
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
পোষ্ট পড়ে নিচে নামার সময় প্রথম মন্তব্য দেখে টাশকি লেগে গেলাম। ভাই অরন্য খুব খিয়াল কৈরা। আর যূথচারী ভাই, আপনার কল্যানে প্রথম আলোর এই কাহিনী জানতে পারলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে পত্রিকার এসব কাজ দেখতে দেখতে চোখ অভ্যস্ত হয়ে গেছে, খালেদা হাসিনার কাজের বুয়াও বেশি প্রায়োরিটি পায় এখন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি বরুন রায় এর সম্বন্ধে জানতে চাই।
প্রথম আলো চুলোয় যাক।
যুথচারী ভাই, আমাদের মুখ চেয়ে না হয় বাংলাদেশের প্রতি এই মহান নেতার করা কিছু মহত কাজ, ত্যাগ, বা বানীর কথা বলুন, যা আপনাকে অনুপ্রানিত করেছে, যা থেকে আমারা দেশকে ভালবাসতে শিখতে পারি, ইত্যাদির কথা আমাদের সবিস্তারে বলুন। আমরা তাঁকে চিনি, তাঁকে শ্রদ্ধা করতে শিখি।
একমত।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দুর্দান্ত এবং তানবীরা,
আগের লেখাটাতে যা লিখেছিলাম, সেটাই হুবুহু কপি করে দিচ্ছি।
"বরুণ রায় সম্পর্কে তথ্যের জন্য আমি শামীমের এই লেখাটা রেফার করবো।
http://www.somewhereinblog.net/blog/shamsshamimblog/29041364
আমার মনে হয়, এটাই যথেষ্ট সাধারণ তথ্যগুলোর জন্য। আর আমার মতো করে আমি কিছু কথা লিখবো পরে সময় পেলে।
ভালো কথা, আমি সুনামগঞ্জেই আছি কয়েকদিন ধরে, থাকবো আরো কয়েকদিন।" সুতরাং কোনো বিশেষ তথ্য সংগ্রহ করা দরকার মনে করলে পরামর্শ দিন।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
দূর্দান্তের সাথে সহমত।
বুনো বারাহ নন্দনরা ডিগবাজী খেতে খেতে ফার্মের গোলাপী পিগ হয়ে কর্পোরেট বানিজ্যের ট্রেতে চড়ে মৌলভীর সামনে এসে বলে: আব্বাহুজুর আমাকে কেমন দেখায়?
তাদের মুখে কমরেড বরুণ রায়ের নাম উচ্চারণ না হওয়াই উত্তম।
প্রিয় কমরেড, তোমাকে প্রণতি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মন্তব্যে তীব্র বিপ্লব
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সাবেক কমেরডদের “আসতে পারি, দেখি, ঠিক নেই” জাতীয় ধানাই-পানাই আসলে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে "সাবেক কমরেড" হবার একটা দূর্ভাগ্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!
বরুন রায় এর মতন মানুষরা কমরেড হিসেবে রাজনীতি করেন, আর কমরেড হিসেবেই মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু কখোনও "সাবেক" হননা।
কিন্তু সত্তরের দশকের অনেক "বিপ্লবী"-কেই দেখবেন এখন "সাবেক কমরেড" হয়ে গিয়েছেন। এরা আশির দশকের অশিল্পবিপ্লবে (শিল্প-কারখানার মালিক হবার জন্য দূর্ণীতিগ্রস্থ ধান্দাবাজী) যোগ দিয়ে হয় নিজেরা শিল্পপতি বনে গিয়েছেন, অথবা শিল্পপতিদের রক্ষিতা হয়ে জীবনযাপন করছেন।
নিজেদের হীনমন্যতা ঢাকতে এরা বরুন রায় এর মতন মানুষদের এড়িয়ে চলবেন, এটাই স্বাভাবিক।
------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
যূথচারীদা'কে ধন্যবাদ।
যদিও এইসব এবং আরো অনেক ওইসব কারণে পত্রিকা পড়াই ছেড়ে দিয়েছি আসোলে ওইভাবে, তবু এইরকমভাবে আপনাদের কথাবার্তায় এই জ্বালানিগুলো এখনও মাঝেমধ্যে উঠে আসে গায়ে।
সচলায়তনের পাঠক-লেখকদের সামনে বিপ্লবী বরুণ রায়কে প্রথমে উপস্থাপনের জন্যও আপনাকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ আবারও।
আলুদের নিয়ে কিছু বললাম না। কিন্তু, এরকম বিশেষ কিছু অতিথি লেখকের এরকম এরকম চরম অশ্লীল মন্তব্যে মন-প্রাণ আরো তেঁতো হয়ে যায়। এগুলো দেখার জন্য এখানে আসি না। জানি না, আসোলে অতিথি লেখকদের পোস্ট যখন মডারেশন প্যানেল হয়ে আসে, সম্মানিত মডারেটর-রা ঠিক কী থাকলে সেই মন্তব্যকে আপত্তিকর মনে করেন আর কোনটাকে করেন না। স্যরি। এটাকে যদি ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা বলি, তবে নিজামী'র মতামতকেও আমার শ্রদ্ধা করা লাগবে। স্যরি, আমি পারবো না অমন আবাল ভদ্রলোক হ'তে। কারণ, এইগুলা মতামত না, এইগুলা হৈলো বালের মত।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কমরেডকে লাল সালাম। পথমালুর মতো একটা পাপিষ্ঠ পত্রিকা এমন একটা লোককে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেয়নি - এতে মন খারাপ করার মতো কিছু পেলাম না। কারণ এইসব আবালদের বরুণ রায়ের মতো আকাশ সম বিশাল লোকদের অসম্মান করার যোগ্যতাই নাই। কিন্তু তারা মনে হয় আবাল হয়াও কতোগুলা মূর্খ কিটের জন্ম দিছে - যেইগুলা পথমালুর কোন আকামের কথা শুনলেও হুদাই ফাল পারে।
==============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
শ্রদ্ধা জাগানিয়া একটা ছবির নীচে স্পষ্ট করে 'বিপ্লবী বরুণ রায়' কথাটা লিখা থাকার পরও যখন জনৈক 'অরন্য' অভব্যের মতো 'তা এই বরুন রায়ডা আবার কিডা?' বলে বিদ্রুপ করার পশুবৃত্তি দেখান, তখন কষ্ট পাই প্রয়াত কমরেডের জন্যে। তিনি কাদের জন্য তাঁর সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন ! যে কিনা নিজের নিক নাম 'অরণ্য' শব্দটাও মাতৃভাষায় শুদ্ধ করে লিখতে পারে না, তাদের জন্য ? এই অনাহুত অতিথি কেনই বা তার সঠিক গন্তব্য জঙ্গলে না গিয়ে এই সচলে শিং বাগাতে এলেন বুঝতে পারছি না !
সচলায়তন মডারেটররা কি পশুর নাচ দেখতে আমোদ বোধ করেন ? তাই হবে হয়তো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি "অরন্য" বা "অরু" নামক গবেটদের দোষ দেব না। ওরাতো এমনই। গরু গাধারা কি করলো তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ কি? একটি গরু বা গাধা যদি রাস্তায় দাড়িয়ে মল ত্যাগ করে তবে কি আমি গরু বা গাধাটিকে বুঝাতে যাবো, যে রাস্তায় মল ত্যাগ করলে অন্যের অসুবিধা বা সমস্যা হতে পারে? ওরা পারে সবকিছুই।
কিন্তু আমাদের সচলের মডু দাদারা কি করলেন? কি করে এই ধরনের মন্তব্যগুলো মডারেশনের রাস্তা পেরুল? একজন পাঠক হিসেবে জানতে চাই।
আমার মনে হয়, এই পোস্টের যাথার্থ্য প্রমাণিত হয়েছে প্রথম মন্তব্যেই।
আলুপেপার বলে কথা!
নতুন মন্তব্য করুন