অন্তর্জালিক এক বন্ধু আছেন আমার, যার বাড়ি কলম্বিয়া। ভদ্রলোক ক্যাথলিক খ্রীস্টান, ধর্মে তার অগাধ আস্থা; পৌরোহিত্যের লাইসেন্সও নাকি আছে। স্বভাবতই আমাকে ক্যাথলিক আলোয় আলোকিত করার ধান্দা তার মধ্যে পুরো মাত্রায় বিদ্যমান। আমি তাকে বললাম- ধর্মের ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নাই; তোমার যদি আখেরে লাভ হয়, প্যারাডাইসে একটা প্যালেসের বন্দোবস্ত হয়, আমি না হয় ক্যাথলিক হলাম-ই। কিন্তু আমার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, একাডেমিক কাগজপত্র- আরো হেনতেন জায়গায় ধর্ম বদলানোর যে ঝক্কি, সেটা কি তুমি সামলাবা?
প্রথমে সে একটু অবাক হয়ে গেল। তারপর ধাতস্ত হয়ে যা বললো, বাংলা করলে তার মানে দাঁড়ায়- তুমি আমার সাথে মশকরা করতেছো? পাসপোর্ট, ন্যাশনাল আইডি, এইসব জায়গায় ধর্ম উল্লেখ করতে হয় নাকি, ধর্ম গ্রহণ না করলে সরাসরি না করে দাও, এইসব ধানাই-পানাই করার কাম কী ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি তাকে আমার একটা একাডেমিক ফর্ম স্ক্যান করে পাঠালাম- দ্যাখ্ ব্যাটা এখানে ধর্মের ঘর আছে কিনা? আমি দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি, সে এই কাগজ দেখার পর মৃদু্ হৃদাঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমতা আমতা করে সে জানতে চাইলো- ইউনিভার্সিটিতে ধর্মের কাম কী?
পুনশ্চ. শাপলু (সবুজ বাঘ)-এর জোরাজুরিতে লেখালেখি করতেছি। আমার লেখা এমনেই কিছু হয় না, অহেতুক ব্লগের জায়গা নষ্ট করা। ওর যুক্তি হলো- কি যেন একটা ঝামেলা নিয়ে ও ব্লগে লিখতেছে না, এখন আমিও না লিখলে মানুষ ভাববে, আমরা দলাদলি করে লেখা বন্ধ করে দিছি, তাই ওর এই জোরাজুরি। অহেতুক।
মন্তব্য
ভালু ও অভালু
মাঝে মাঝে অহেতুক লেখা ভালু। আর আপনার বন্ধুকে বলবেন অহেতুক লেখা বন্ধ করা ভালু না। আমি তাঁর লেখার বড়ো ভক্ত নই, কিন্তু তাঁর লেখার প্রয়োজনটা বুঝি।
এই পৃথিবীর অনেক ভালু জিনিসই অহেতুক, অভিমানও তার মধ্যে পড়ে। তবে দীর্ঘমেয়াদী হলে ভালু না।
আপনি যে বাঘাদার বন্ধু তা জানতাম না। আপনি আপনার মতো করে লিখুন। উনাকে উনার মতো করে লিখতে বলুন। আর উনাকে বলবেন দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম। ঝামেলা ছাড়া কোন জায়গা নাই। কাজেই ঝামেলার কারণে লেখালেখি থেকে দূরে থাকা এট্টা ভ্রান্ত ধারমা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভাইরে ওরে আইতে কন, কন ওর লেখা পড়ার লাইগা আমার প্যাট পুড়ায়।
ওরে কন সচলায়তন ১টা ভ্রান্ত ধারমা !... অতএব বিভ্রান্ত হওয়ার কুন সুযোগ নাই !
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়াটাই আপত্তিকর। সেটা ইউনিভার্সিটিতে হোক বা অন্য কোথাও।
লেখাটা আরেকটু দীর্ঘ হলে ভালো হতো।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা অহেতুক না।
পুনশ্চটা একদমই অহেতুক...
ঘটনা হৈলো আল্টিমেটলি সার্টিফিকেট বা অন্য সনদগুলো ধর্ম পরিচয় লেখা থাকে না । তবে আরবী নাম বলে আমি এইখানে অটোমেটিক মুসলিম হিসেবে কাউন্টেড হৈ । এইটা থিকা বাচনের উপায় নাই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা আমি করতে পারি যদি আপনি কইতে পারেন ইউনিভার্সে ধর্মের কামটা কী ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মুহ্-তোড় জবাব!
সহমত
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ভাই রে, ধর্মের কাম আছে। ধর্ম না থাকলে শাসক প্রজাকে শাসন করবে কীসের ভয় দেখিয়ে? আর স্বামী বেচারারই বা উপায় কী, স্ত্রীকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে জগতের সব আকামকুকামগুলো যে অবলীলায় করা যায়, সে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে না? পাকিস্তানীরা এই যে হুদুদ আইনের সুবাদে দু'চারটে ধর্ষণ করতে পারছে (এ আইনে ভিক্টিমের দাবী বা ডাক্তারী পরীক্ষার কোন মূল্য নেই, চারজন মুমিন মুসলমান পুরুষ বা আটজন মুমিন মুসলমান নারী সাক্ষী জোগাড় করতে হবে, নইলে কেস ডিসমিস। মাশাল্লা, আমাদের পাকিস্তানী ভাইেয়রা দলবেঁধে সাতজন নারীকে একসঙ্গে ধর্ষণ করলেও কারও বাপের সাধ্য নেই প্রমাণ করে), ধর্ম না থাকলে কি তা পারত? ধর্ম আছে বলেই না ৫৩ বছর বয়সে বন্ধুর ৯ বছরের কন্যাকে বিয়ের নামে বিছানায় নেওয়া যাচ্ছে। জয়তু হে ধর্ম, তুমি যদ্দিন আছ, লম্পটেরা ধর্মসম্মতভাবে পবিত্রপুরুষই থেকে যাবে।
১.
বাঘাদারে বলবেন তারে বড় মিস করি।
২.
আমার ফার্স্ট নেম: মুহাম্মদ (এমডি না একেবারে বানান করে মুহাম্মদ) আর লাস্টনেম হোসেন। মিডলনেমটা আরবী নামে অনভ্যস্ত কানে প্রায়শই "সাদ্দাম" শোনায়! কিন্তু সেটা বলার সুযোগ আসে না।
আমার নাম বলার পর আমি ধার্মিক নাকি অর্ধামিক তা বলার সুযোগ আসে না কখনো।
বলেন কী? ধর্ম না থাকলে ইসলামি ছাত্রশিবির বানাইব ক্যাম্নে?
০২
বহুদিন বাঘের ডিম খাই না। বাঘুদারে কইয়েন দুয়েকহালি ডিম দিয়া যাইতে
অনেকদিন বাঘাদার লেখা দেখি না
মাঝে মাঝে কিছু অহেতুক কাজ করা দরকার
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বাঘাদারে মিসাই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
দারুণ কথা লিখেছেন।
কয়েকদিন আগে আমার এক বয়স্ক ভদ্রলোকের সাথে প্রায় কাইজা লেগে যাচ্ছিলো। কারণ আমি বলেছিলাম একাডেমিক ফর্মে বাবার নাম, ধর্ম দেয়া কি দরকার? আইডেন্টিফিকেশনের আরো হাজার উপায় আছে।
উনি কোনো যুক্তি মানতে নারাজ। তর্ক ভাল্লাগে না বলে আমি অফ গেলাম সাথে সাথে।
তবে যা বুঝলাম উনার কাছে 'দরকারটা' বড় ব্যাপার না। বাবার নাম, ধর্ম থাকতে হবে সবখানে এইটাই বড় ব্যাপার।
মেয়ে
আপনার বন্দুরে কন আমার লাস্ট কপিতায় কমেন্ট করতে!
বাঘার ঝামেলা অচিরাৎ দূর হৌক।
নতুন মন্তব্য করুন