হাইকোর্টের নির্দেশনায় ইভটিজিং বিষয়ে পুলিশের একটি আলাদা সেল গঠন করার কথা বলা হয়েছিলো; জানতে চাই, পুলিশের বিশেষ সেল কি গঠিত হয়েছে? যদি সেল গঠিত হয়ে থাকে, তবে সেল-এর যোগাযোগের নম্বর/ঠিকানা কারো কাছে থাকলে জানাবেন। যদি না হয়ে থাকে তবে এই বিষয়ে অভিযোগ/বিচারের জন্য কী করা যেতে পারে? সবাই যেমন বলছেন, সামাজিক সচেতনতা জরুরি, সেই সাথে, আমার মতে, আইনী প্রক্রিয়াও জরুরি। ইভ টিজিং-এর স্বীকার মেয়েরা ঝামেলা না করে আইনী সহায়তা এবং মানসিক শক্তি (সাপোর্ট) কিভাবে/কোথায় পেতে পারে?
মন্তব্য
- হুম। গেরস্থের গরু, খাতায় আছে, গোয়ালে নেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা থাকুক। এটা তো আমাদের জন্য সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু আমি জানতে চাই, এর জন্য আমাদের করণীয় কী? দেখি তো অনেক সভা-সেমিনার হচ্ছে, ইভ টিজিং রুখতে হবে- বলে বলে রীতিমতো হয়রান হয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু চিজিং-এর স্বীকার মেয়েটি কী করবে অথবা কার কাছে যাবে অথবা কোথায় সাপোর্ট পাবে- এটা কোথাও জানা যাচ্ছে না। কারো জানা থাকলে বলবেন, বিষয়টি সত্যিই জরুরি।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
সভা-সমিতি, 'আলোচনা'/'পর্যালোচনা' করে খুব বেশি হলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি হবে, সেটা আমার মতে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কিন্তু মইয়ের সর্বনিম্ন ধাপ বই আর কিছু নয়। আইন প্রনয়ণ, আর তারও উপরে বড় বড় মাপের শাস্তির ব্যবস্থা, আর তারও উপরের ধাপ আইনের প্রয়োগ। এই আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলির এখন পর্যন্ত তথ্য নেই আমার কাছে।
আমি একটা খুব সহজ কথা বলব - কেউ কোনদিন অন্যের সাহায্যে এগিয়ে এসে এমন কিছু বড় পরিবর্তন করতে পারবে না যা চিরস্থায়ী একটা সমাধান হয়ে যাবে। সমাধান করতে হবে মেয়েটিকে নিজেকে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, ভয় পেলে চলে না, মুখ বন্ধ করে রাখলে চলে না, প্রয়োজনে হাত-পা চালাতেও শিখতে হয়, জানতে হয়। যখন মেয়েরা নিজেরা ভয় পাওয়া বন্ধ করবে, নিজে রুখে দাঁড়াতে শিখবে, অন্যের জন্যে রুখে দাঁড়াবে, এই কাজে লিপ্তদের নিজেরা জনসম্মুখে শাস্তি দিতে পারবে, শুধু তখনই এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হবে।
হ্যাঁ, ব্যাপারটা আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের রূপ নিতে পারে। এর জন্যেই দরকার স্কুল-কলেজ-অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং ও ট্রেইনিং কীভাবে-কী করতে হবে তার উপর, মেয়েদের সাহস এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবার পদ্ধতি নিয়ে, এবং নিজের আত্ম্ররক্ষা কী করে করতে হয় তার উপর। কিন্তু তার জন্যে আগে দরকার ট্রেইনার/কাউন্সেলরদের নিজেদের ট্রেইনিং! সে অনেক দূরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন, যখন আমাদের শিক্ষা-নীতি শিক্ষার্থীদের গিনিপিগায়নই শেষ করতে পারছে না...
যাই হোক, আমার নিজের ধারণা আমার দেশের মেয়েদের বুদ্ধি, সাহস কোনটাই কম নয়, আমরা নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করেই কোন ক্ষেত্রে কতটুকু কী করতে হয় সেটা নির্ধারণ করতে পারার ক্ষমতা রাখি, নাইলে অন্যদের সাথে আলাপ করে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মেয়েটি কী করবে? কার কাছে যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে হল, মেয়েটি নিজের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, আর অন্যের আশায় না থেকে, নিজেই নিজের সমস্যার সমাধান করবে। আমার মনে হয়েছে, আমাদের বড় সমস্যা আমরা ভয় পাই, এবং আমাদের অধিকাংশের পরিবার সেই ভয় আরো বাড়িয়েই দেয়, অথচ ভয় না পেয়ে সবাই মিলে রুখে দাঁড়ালেই অর্ধেকের বেশি সমস্যার সমাধান সম্ভব। কারণ অপরাধীরা নিজেরাই আসলে ভীত হয়। অপরাধীর সাহস তখনই বাড়ে, যখন আমরাই তা বাড়তে দেই!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মুঠো ফোনে টিজিং - কল block টাইপ বা SMS block সহজ হওয়া দরকার
কল ব্লক সমস্যার সমাধান হতে পারে না।কারণ বখাটেদের হাজারটা sim থাকে।
GPS call tracking এর সাহায্যে মুঠোফোন বখাটেদের ধরা যেতে পারে।কিন্তু এ কাজ সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না!!!!!
দেখতে পারেন এই link টি...
http://www.prothom-alo.net/V1/archive/news_details_fcat.php?dt=2008-07-30&issue_id=999&cat_id=&nid=Mjc5OTc=&fid=MTE=
--------------------------------------------------------------------------------
রাজকন্যা
নতুন মন্তব্য করুন