থালেস কে একাডেমিক দর্শনে পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। অথবা থালেস থেকেই প্রাক সক্রাতেস যুগ হিসাবে গণনা করা হয়। থালেস, এনাক্সিগোরাস আর এনাক্সিমান্দ্রাসকে যৌথ ভাবে মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিসাবে ধরা হয়। এরা তিন জনই জন্মেছিলেন এশিয়া মাইনরের গ্রীক অধ্যূষিত এই দ্বীপে। 'সব কিছুর মুলে রয়েছে জল' এটাই ছিল থালেসের মুল বক্তব্য। তিনি মনে করতেন সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছে জল থেকে। এটাকে আমি বস্তুবাদের প্রথম ধাপ হিসাবে দেখতে চাই। তার দর্শন নয় তার সম্পর্কিত একটা গল্প যা আমার খুব ভাল লাগে তাই আমি বয়ান করতে চাই। দার্শনিকরা দুনিয়াদারি সম্পর্কে উদাস, অগোছালো, কোন কামের না। এসব হর হামেশাই বলে বেড়াত গ্রিসের লোকজন, এখন যেমন কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের সম্পর্কে আমাদের দেশে আমজনতা মনে করে। তো থালেসের জেদ চাপল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি দেখিয়ে ছাড়বেন ইচ্ছে করলে দার্শনিকরাও ধনী হতে পারে। তিনি আবহাওয়া সম্পর্কে প্রভূত জ্ঞান রাখতেন। একবার আবহাওয়া পর্যালোচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত করেন যে এ বছর ভাল জলপাই চাষ হবে। ফলে খুব সস্তায় তিনি শহরের সব জলপাইর ঘানি গুলো ভাড়া করে ফেলেন। আর ফলনও হল প্রচুর। তিনি খুব চড়া দামে ঘানি গুলো উপভাড়া দিয়ে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছিলেন। তিনি দেখালেন ইচ্ছে করলেই দার্শনিকরা টাকার মালিক হতে পারে তবে তাদের উদ্দেশ্য তা নয়।
মন্তব্য
ঘটনাটি আমি পড়েছিলাম। দার্শনিকদের এ রকম গল্প আরো আসতে পারে। সিরিজ চলতে থাকুক।
থালেস সর্ম্পকে আমিও কিছু পড়েছি, তবে এই গল্প আমার কাছে নতুন।
রায়হান
হাহ হাহ। ইন্টারেস্টিং!
নতুন মন্তব্য করুন