তুমি ছাড়া কিভাবে পাড়ি দেব সোলতানা এই নদ
দূরে দূরে বৈঠা হাতে তুমি
সোলতানা তুমি কি তুলে নেবে না আমায় নায়ে
আপেলের পিছু যাব আর কতদূর
এত শুধু ভেসে যাওয়া মরীচিকার মত
চারিদিকে হাহাকার মরা লাশের গন্ধ
পুড়ে যাওয়া ধ্বংশস্তুপ। ধর্ষিত নারীদের চিতকার
আর্ত মানুষের কান্না।
এ কেমন জীবন দিলে আমায় সোলতানা?
ঝাপসা বৃষ্টির আড়ালে মুখ লুকিয়ে যারা কাঁদছো
মনে রেখ আমিও তোমাদের লোক
অনেক কেঁেদছি, ভেসেছি অনেক জলে
আজো মনে হয় সেই জাহাজ ডুবির পর
দূরে জ্বলন্ত বাতি গুলো আমাকে ডাকছে
আর খুঁজিনা আশ্রয়, গভীর জলের সাথে
মিশে গেছি আমি।
উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে চলি, হারিয়েছি বাঁচার সাধ
হে জল ধরণী সমুদ্দুর আমাকে গ্রহণ করো
মিঠুক আত্মহ...
নিজের আধাঁরে আলো ফেলি
ওখানে সব পুড়ে যাওয়া কালো কালো ধ্বংশস্তুপ
পুড়ে যাওয়া শহর গুলোর জন্য
আমার কোনো ক্রন্দন নেই
সেই নিহত শহরের বেশ্যাদের জন্য
কিছু কান্না আজো রয়ে গেছে মনে
ভারে নুয়ে পড়া একজন বৃদ্ধকে দেখি
নিয়ত হেটে যায় মৃত সাগরের পাশ দিয়ে প্রতিদিন
নিজের মৃত্যুপ্রতীক্ষায়।
একটা উপন্যাসে কি কি থাকলে তাকে আমরা মহৎ উপন্যাস বলতে পারি এ রকম কোনো নিয়ম আছে কিনা আমি জানিনা। তবে ক্রিয়েটিভ রাইটিং প্রোগ্রাম গুলোতে শুনেছি এ রকম কিছু লেসন আছে। আমার মনে হয় সেটাও যে সব উপন্যাস ইতিমধ্যে মহত্বের পযর্ায়ে পড়ে। তা থেকেই ধারনা টা নেয়া হয়েছে। শিল্পী আর তাতি্বকদের পথ আলাদা। কার্লমার্ক্স পুঁজি...
আকাশ ভারী হয়ে আছে। যদিও এটা জৈষ্ট্যমাস তবুও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। যারাই মহেশখালী জেটি দিয়ে চলাচল করছে সবারই পদচারনা দ্রুত। বৃষ্টির জন্য জেটির মধ্যে ঢুকে পড়ার রিক্সাগুলো ভীড়ে চলাচল করা দায় হয়ে দাড়িয়েছে। ভারী মহিলাটি একটা বাচ্চাসহ মুরগীর মত ভিজছে। মেরুন রঙ্গের একটা বোরকা লেপ্টে যাচ্ছে তার দেহে । তার ...
নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় পাড়াতলী বলে একটা ইউনিয়ন আছে যেখানে আজো বিদ্যুত নাই। রাস্তাঘাট নাই। পাড়াতলী এমনিতে আমার কাজ ছিল তার ওপর যখন শুনলাম এটা কবি শামসুর রাহমানের গ্রাম তখন আমাকে বাধ্য হয়ে শিডিউল বদলাতে হয়। সাহেববাড়ীর ঘাট থেকে নৌকায় চাপলাম। বড় একটা কেবিনের ভেতর অনেকেই বসলাম গাদাগাদি করে। বেশ ভালভাবেই সবার বসার জায়গা হয়ে গেছে বলা যায়। মেঘনার শাখা প্রশাখা বেয়ে আমাদের ক...
বৃষ্টিতে ভিজেছে কবরের ঘাষগুলো
কবরের সাথে লেপ্টে আছে তোমার দেয়া ফুল
আর বুকের ওপর উজ্জল হয়ে আছে তোমার পদচিহ্ন
ট্রিগারে তোমার আঙ্গুল, মনে পড়ে গুলির শব্দ!
কাকদের পাখসাট আর মেঘেদের গর্জন-
এইতো আমি বুঝতে পারছি ভিজে উঠছে কফিন
আমাকে হত্যার পর প্রতিদিন তোমার গোপন অশ্রুতে
আসমানে সটাং করে দাঁড়ানোর পর সূর্য যখন ধীরে ধীরে পশ্চিমে হেলতে থাকে তখন তার আলোটাও নরোম গাঢ় সোনালী হতে থাকে। শীতকালে এই নরম রোদ্দুর কেমন এক রূপালি মায়ার জাল বিস্তার করে। এইসব রূপালি বিকেলে গ্রাম বাংলার উঠোনে উঠোনে শিশুরা যেন নিজেদের অজান্তে উম্মত্ত হয়ে উঠে। তারা মাটিতে আঁক কষে ঘর বানায় কুত্কুত্ খেলে, এ ...
কেন তুমি ভালবেসেছিলে সমুদ্রকে
যখন সে বয়ে চলে নিরন্তর
কেন তুমি বলেছিলে বালুকা রাশির কথা
যখন বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে চলে দিগন্তে
কেন তুমি গেয়েছিলে নারীদের গান
যখন তাদের শরীর উৎপাদন করে কস্তুরীর ঘ্রাণ
ছুটে আসে সেই ঘ্রাণে বিমোহিত নাবিকের দল
কেন তুমি হতে চেয়েছিলে সেই নাবিক
যার রয়েছে প্রত্যেক জাতের নারী ...
আমার কাছে জানতে চেয়োনা
চুরি করেছিলাম কিনা কোনো নক্ষত্র
সেই নক্ষত্র বিক্রি করেছিলাম কিনা কোন সৌরজগতে
যেখানে সোনালী চুলের সুন্দরীরা আসে
ছড়ি হাতে কালো চশমার অন্ধ জুয়াড়ীরা আসে
জানতে চেয়োনা সেই নক্ষত্র পাহারায় রাত জাগি কিনা
কাঁদি কিনা সেই নক্ষত্রের আলোয়
জানতে চেয়োনা আমি প্রদক্ষিন করি কিনা তার কক্ষ...