জনৈক বিরহী স্বামীর পত্র
তুমি ছিলে দিনের সাথী, তুমি রাতের কাম
লজ্জাবতী বৌগো আমার, পেয়েও হারালাম
সাগর ফেরা হাওয়া কেবল কষ্ট বাড়ায় মনে
শূন্য ঘরে লুকিয়ে কাঁদি, কেউ না যেন শোনে
আমার হূদয় তোমায় দিয়ে বয়ে বেড়ায় দেহ
বৌগো তুমি আমার থেকো, করোনা সন্দেহ
বইয়ের পাতায় মন বসেনা, তোমার কথাই ভাবি
হূতপিন্ডের বন্ধ কপাট, আঁচলকোণে চাবি
বেঁধে তুমি বহুদূরে, একলা বিছানায়
ভালবাসার প্রেমিক তোমার বিরহে তড়পায়
স্বপ্নে দেখি তোমারই মুখ, চোখের কোণায় জল
দুঃখে শুধু ফুটতে পারে এমনি নীলোত্পল
কেঁদোনা গো সোনা মানিক, কাঁদলে মানায় না
কাঁদলে শুধু কষ্ট বাড়ে, দূঃখ তো যায়না
হাত বাড়ালে তোমায় পেতাম, এখন বহুদূর
তোমার স্বপ্ন-পুরুষ যে তাই বিরহে ভংগুর
বুকের ভিতর বিষপিঁপড়ে, চোখের নীচে কালি
হূদয় নামের ফাঁকা ঘরে ঘুঘুর গেরস্থালি
নাকের ডগায় চুমুর স্মৃতি, চিবুকে দংশন
কানের পাতায় বৌগো তোমার গোপন উচ্চারণ
এসব কথা কষ্ট বাড়ায়, ভালই না বলা
ভালই তুমি বহুদূরে শুক্লা-শকুন্তলা
দূরে আছো বলেই বুঝি মুল্যটা জানলাম
লজ্জাবতী বৌগো আমার, পেয়েও হারালাম।
মন্তব্য
অ্যা!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
অসাধারণ কবিতা। তবে এটা মনে হয় কেবল প্রথম বছর, কিংবা প্রবাসে প্রথম শীতের জন্য বেশি প্রযোজ্য।
রয়েসয়ে। আগাথা ক্রিস্টির ৭০টা রহস্যোপন্যাস ডাউনলোড করেছি। প্রয়োজন হলে বলবেন। কিন্তু শান্ত হোন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বেশ ক্ষুধার্ত মানুষের ভাব প্রকাশ করে ফেলেছেন মনে হয়।
হিমু ভাইর মতোন আমিও বলি "রয়েসয়ে, রয়েসয়ে"।
আহারে কি বিরহ!
হিমু ভাই, কিছু এইদিকে ছুইড়া মারেন না টোকাইয়া লেখাগুলান গিলি....
কল্পনা আক্তার
...............................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
বৌ এর জন্য বিরহে কাতর!
এতদিন তো উল্টোটা শুনেছি।
দারুন হয়েছে ।
গরম গরম
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
আহারে...
ইশ!
oPS!!!!!!
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...
সব দেখিয়া সব শুনিয়া একলা মনে ভাবি
কবে আমার বৌয়ের গোঁছায় ঝুলায়া দিমু চাবি।
হায়রে আমার লক্ষী সোনা আছিস কোথায় তুই
তোরে ছাড়া একলা ঘরে ক্যামনে আমি শুই?
এভাবে আর ভাল্লাগেনা আর কতকাল একা
থাকতে হবে বৌটা ছাড়া কবে হইবো দেখা।
বাপ মায়েরে বুঝায় ক্যাডা আমার মনের জ্বালা
দেখেও তারা দেখেনা যে মনের ঘরের তালা।
মনে যে লয় সব ছাইড়া চইলা যাইগা ফরেন
ভাইবোনেরা আমার লাইগা কিছু একটা করেন।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
বিয়ে করার আগেই দেখি বৌয়ের জন্য শোক
মরার আগেই জানাজা পড়া, তুমি কেমনতরো লোক
ফরেন গিয়ে কি লাভ বলো, করাত বরং কেনো
খাটটি কেটে দুভাগ করো, কথা আমার শোনো
ইশারাটি বুঝে যাবেন তোমার বাবা-মা
বৌ আসবে, তুমি হাসবে, সাংগ বিরহনামা।
পুনঃ- আমি গদ্যের লোক। আপনাদের দুর্দান্ত কবিতার জবাবে ছন্দ মেলাতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আজকাল আর করাত দিয়েও হয়না বরাত চেঞ্জ
বাপ মায়েরা বোঝার পরেও মুখে বলেন -স্ট্রেঞ্জ!!
আসি আসি করেও যে তাই বউ আসেনা ঘরে
একলা একা মন শুধু আজ উথাল পাতাল করে
যেখানটাতে থাকার কথা রাঙা বউয়ের স্মৃতি
সেই জায়গার দখল নিছে রানী কিংবা প্রীতি
ঘোল দিয়ে আর দুধের স্বোয়াদ মিটবে কতদিন?
আশায় আছি শিগগি্রি তাই আসবে শুভদিন।
( আমি গদ্য পদ্য কোন দলেরই লোক না।নিরীহ গোছের ভীরু মনের বালক।আপনাদের মত কারো সাথে কথার পিঠে কথার মত কিছু লিখতে পারছি সেটা ভেবেই আমার ভাল লাগে।)
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
বিয়েটা মোটেও দুধ নয় যে, বোঝার হোল ভুল
বিয়েটাই যে আসল ঘোল, কামিয়ে মাথার চুল
ঢালা হবে তোমার মাথায় কলমা পড়ার ছলে
বুঝতে যখন পারবে তুমি-সময় গ্যাছে চলে
বৌকে নিয়ে কত রকম চলবে আহাজারী
থাকলে খারাপ, গেলে কষ্ট, কি যে এক ঝকমারী
বৌ হোল গো সোনার শিকল, কেবল বোঝে স্বামী
আসুক ত্বরা কয়েদীজীবন, দোয়া করছি আমি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
বউটা জিনিসটা তাইলে মনে হয় ভালোই
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ক্যামনে কি !
-------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আহারে বিরহ !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দূরে আছো বলেই বুঝি মুল্যটা জানলাম
লজ্জাবতী বৌগো আমার, পেয়েও হারালাম।
দারুণ!!দারুন!!
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
হূদয় নামের ফাঁকা ঘরে ঘুঘুর গেরস্থালি
cool brother cool
রাকিব হাসনাত সুমন
লজ্জাবতী বৌটি আমার এখন দূরে নেই
কাটাই সময় মহানন্দে আমরা দুজনেই
কাব্য করার ফালতু সময় নেইতো পকেটে
হাসি-কান্না, মান ভাঙানোয় যাচ্ছে সময় কেটে
কবিতাটি লিখেছিলাম দুঃখ ভরা বুকে
এখন সেথায় বৌয়ের মাথা, কষ্ট গ্যাছে চুকে
বৌটি এখন পাশের ঘরে, এই সুযোগে বলি
সে যে আমার চোখের মণি, তার আলোতেই চলি
তার হাসিতে ফোটে আমার ভালবাসার ফুল
তাকে বিনা আমি যে তাই আধমরা, নির্মূল।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
কল্যাণ হোক।
সত্যি সুন্দর কবিতা, অনেককাল পরে একটা ভাল কবিতা পড়লাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জটিল, কবিতার জবাবে কবিতা দারুণ লাগল, কবিতাগুলান গরম হইলেও এক্কেবারে কাঁচাপাকা আম ভর্তার মত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অসাধারন বিরহী বৌভাবনা... -- শফকত
নতুন মন্তব্য করুন