ধারাবাহিক বারোয়ারী উপন্যাস - একটি বিনীত প্রস্তাবনা।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বুধ, ১২/০৩/২০০৮ - ১:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকদিন ধরে মজা করার জন্যেই মন্তব্যের ঘরে কবিতা লেখার প্রচেষ্টা চলছে। আমার কাছে সেটা ভালই লাগছে। এটা করতে করতে একটা জিনিস মনে এল।

আচ্ছা-একটা ধারাবাহিক বারোয়ারী উপন্যাস লিখলে কেমন হয়? যেখানে একের পর এক লেখক এসে একটা অধ্যায় লিখবেন। আমরা প্রথমে উত্সাহী লেখকদের একটা তালিকা বানাতে পারি, তারপর কে কার পর লিখবেন সেটা ঠিক করে ফেলতে পারি। ব্যাস- তারপর শুরু হোক লেখা। দেখা যাক, কাহিনী কোন দিকে গড়ায়।
আমরা কিছু ব্রড নির্দেশনা ঠিক করতে পারি, যেমন মূল চরিত্রগুলোকে মেরে ফেলা চলবে না, বা সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে লেখককে তার লেখাটি পোস্ট করতে হবে, ইত্যাদি।

যদি রাজী থাকেন, তাহলে শুরু হোক কাজটি। প্রথমে উপন্যাসটির একটি জুতসই নাম দরকার। আর দরকার উত্সাহী একদল লেখক (যা এখানে অনেক রয়েছে)।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

চাইনিজ ফিসফাস নামে এটাকে বহু আগে অন্যকোনখানে শুরু করেছিলো সচল ব্লগার মুখফোড়। তবে দেখা গেছে জিনিসটা তেমন একটা পদের হয় না। প্রথম দুয়েকদিন উৎসাহ থাকে মানুষের, তারপর মিইয়ে যায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিঝুম এর ছবি

আমার কাছে আইডিয়াটা চরম লাগলো...আছি
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আইডিয়া মন্দ না। আমার লেখায় পোষায় তো আছি আমি।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হুম...



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হিমু এর ছবি

আরেকটা মজার খেলা আছে। অল্প কয়েকটা চরিত্র, কিছু অনুভূতি, কয়েকটা জিনিস ... বলে দেয়া হয়, তারপর সেগুলোকে নিয়ে গল্প লিখতে হয়। যেমন, জনাব কদম রসুল, রিটায়ার্ড যুগ্ম সচিব, তাঁর অষ্টাদশী কন্যা সুমাত্রা যে কি না কত্থক নাচে, পোষা স্প্যানিয়েল কুকুর ভুট্টো। রাগ, কৌতূহল, উত্তেজনা। একটা রবারের ডান্ডা, একটা রিডার্স ডাইজেস্ট, আধখাওয়া আপেল আর একটা ছেলেদের আন্ডারওয়্যার। এখন এগুলিকে নিয়ে একটা গল্প বা গল্পাংশ দাঁড় করানো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হুম, হিমুর সাথে একমত। এটা কোনো কাজের হবে না। সেরকম অভিজ্ঞতা আমরা আগেই অর্জন করেছি ব্লগে।

তবে যদি চরিত্র ও গল্পের কাঠামো ঠিক করে নিয়ে তারপর একেক অংশের জন্য একেক লেখক কামলা খেটে দেন তাহলে হয়তো কিছু একটা হতে পারে। যে কায়দায় টেলিভিশনের ধারাবাহিকগুলো লেখা হয়।

জাহিদ হোসেন বরং লেখা শুরু করে দেন। পরে অন্যান্য ব্লগারের মতামত নিয়ে সংশোধন করলেন।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অয়ন এর ছবি

এই পোস্টটাতে একবার চেষ্টা হয়েছিল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আগের ছোটগল্পের চেষ্টাগুলো ঝুলে গিয়েছিল। তাই উপন্যাস খুব এগুবে; এমন আশা করছি না।

তবে হিমু ভাইয়ের 'অল্প কয়েকটা চরিত্র, কিছু অনুভূতি, কয়েকটা জিনিস ... বলে দেয়া' আইডিয়াটা ভালো লেগেছে। এমন কিছু হতে পারে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটা দাঁড়াতে পারে যদি দুই থেকে তিন জন এটাকে চালিয়ে নিয়ে যান
বেশি লোক যুক্ত হলে গল্পের আগা মাথা ঠিক থাকবে না
একেকজন একেকদিকে নিয়ে চলে যাবে

এটা দুভাবে হতে পারে
চ্যাপ্টার ওয়াইজ। একেকজন একেকটা চ্যাপ্টার লিখবেন
আরেকটা হতে পারে ক্যারেকটারওয়াইজ
একেকজন একেকটা বড়ো কারেকটারকে টেনে নিয়ে যাবেন

তবে অবশ্যই দুই থেকে তিনজন মাত্র
বেশি না

দেখতে পারেন চেষ্টা করে
হলে তো ভালোই
না হলে তো আর কেউ মারবে না

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনাদের সবার মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হোল যে আমার এই আইডিয়াটি আগেও কারো কারো মাথায় এসেছিল, এবং তাতে তেমন কিছু সৃষ্টি হয়নি শেষ পর্যন্ত।
অতএব আমি ক্ষ্যামা দিলাম। যারা উত্সাহ দেখিয়েছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

দ্রোহী এর ছবি

আইডিয়াটা ভালো, কিন্তু কেন জানি কখনোই কাজ করে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বিরক্তিকর ক্লাসগুলোতে "জনপ্রতি এক প্যারাগ্রাফ" হিসাবে গল্প লেখার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রতিটি গল্পই কেন জানি অশ্লীল দিকে মোড় নিতো।

এই ধরনের প্রচেষ্টা হলে আমাকে দুরে রাখবেন। কারন যে কোন গল্পের বারোটা বাজাতে আমার জুড়ি মেলা ভার। বিশ্বাস না হলে এটা দেখুন। অয়ন ভাইয়ের দেযা লিংকটাতেও আমার বারোটা বাজানোর প্রচেষ্টা দেখতে পাবেন।

হিমু যে আইডিয়া দিয়েছে সেটা অনেকবেশী কার্যকরী হতে পারে। হিমুর দেয়া আইডিয়াটুকু দিয়ে যে যার মতো গল্প লিখবে। ১/২ সপ্তাহ পর সবাই সবার গল্প পোষ্ট করবে। একটা সুনিদ্দিষ্ট আইডিয়ার ওপর ভিত্তি করে যে যার মতো করে গল্পর বিস্তৃতি ঘটাবে। যদিও এই আইডিয়াটা কোন এক সময়ে "অন্যকোনখানে" কোন এক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে এবার সেটা করা যেতে পারে একটা চমৎকার উদ্দেশ্য নিয়ে। এ ব্যাপারে মডুরাম হিমুর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


কি মাঝি? ডরাইলা?

অমিত আহমেদ এর ছবি

এটা করা যায় কিন্তু।
নীতিমালা তৈরি করে কাজ শুরু করে দেন... যেমন
১) মোট কয় চ্যাপ্টারে সমাপ্য
২) প্রধান চরিত্র গুলোর নাম ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট
৩) লেখকদের তালিকা
৪) কে কোন চ্যাপ্টার লিখবেন এবং কতদিনের মধ্যে
৫) লেখার ফরম্যাট (একজন খুবারিরিয়াস ভাবে প্রথম চ্যাপ্টার লিখলেন, পরেরজন শুরু করলেন রম্য, এটা হবে না)
ইত্যাদি...

যাঁরা অংশগ্রহনে আগ্রহী তাঁদের একটা একটা করে চ্যাপ্টার দিয়ে দেন। মোট ছয় চ্যাপ্টার হলেই মনে হয় ভালো। ইতিমধ্যে দুই জনকে পাওয়া গেছে

১) নিঝুম
২) ইশতিয়াক রউফ
আর চারজন হলেই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

আগের বার সফল হয়নি বলে এবারো হবেনা তার তো কোনো মানে নেই।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

হুমম। আমিতো ইস্তফা দিয়েই ফেলেছিলাম, কিন্তু অমিত আহমেদের মন্তব্যে পালে আবার নতুন হাওয়া লাগলো। অমিতের সাজেশন গুলো ভালই মনে হচ্ছে। আবার হিমুর দেওয়া টুকরো তথ্যের ভিত্তিতে কিছু একটা লেখা দাঁড় করানোর আইডিয়াটাও খারাপ না। তাহলে এক কাজ করা যাক। হিমুর তথ্যগুলো দিয়েই উপন্যাসটির প্রথম পর্বটি লেখা যায়।

দেখা যাক-এই প্রকল্পে আরো কতজন লেখক সাড়া দেয়। অ্যাকাউন্ট খোলা রইলো আপাততঃ।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

জাহিদ ভাই আর হিমু ভাই দুইজনের প্রস্তাবেই আমি আছি।
অবশ্য যদি জায়গা পাওয়া যায়
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

চারজন হলো
১) নিঝুম
২) ইশতিয়াক রউফ
৩) পরিবর্তনশীল
৪) জাহিদ হোসেন

আপাদত এই চারজঙ্কে নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। লেখককে তাগাদা দিতে হয়। এছাড়া কাজ এগুবে না। এর মধ্যেই আরো দুই জনকে পেয়ে যাবেন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

তাহলে কি বলেন, ভাইসব? শুরু কি করে দেব?

অমিতের উপদেশ অনুযায়ী কয়েকটা বড় দাগের জিনিস ঠিক করা দরকার।
১। কি জাতীয় উপন্যাস? আমার মনে হ্য় একটু সাধারণ গোছের লেখা হলেই ভাল হয়। রম্য, রহস্য, আদিরসাত্মক, ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, ভৌতিক, আধিভৌতিক, দার্শনিক ইত্যাদি ধারা গুলোকে বাদ দেওয়াই ভাল (আমার মতে)।

২। এক এক জনে একেক চ্যাপটার লিখবেন। তার ক্রমটি ঠিক করা দরকার। এনি ভলান্টিয়ার ফর দ্য ফার্স্ট চ্যাপটার? কেউ না এগোলে আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি।

৩। এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন চ্যাপটার পোস্ট করলে ভাল হয়। লোকজনের ধৈর্য্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ঠিক নয়। না পারলে দশ দিনের মধ্যে অবশ্যই।

৪। হত্যাকান্ড, বা মৃত্যু কে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

আপাততঃ এটুকুই। আপনারাও কিছু কিছু সাজেশন দিন।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।