পর্ব-১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-৪ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-৫
বহুদিন আগে এক...পর্ব-১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-৪ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব-৫
বহুদিন আগে একবার অনেকে মিলে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখন ছেলেমেয়েরা ছোট, তারা সমুদ্রে নামার অনুমতি পায়নি। তারা বালুতে বসে ঘরবাড়ী বানাতে ব্যস্ত ছিল। সুলতানা সাগর দেখে অবাক হয়েগিয়েছিলেন। শুধু পানি যে এত সুন্দর হয়, তা তিনি এখানে না এলে কোনদিনই জানতে পারতেন না ।
আলী আসগর সাহেব যথারীতি কাজ সাথে নিয়েই গিয়েছিলেন, একটি গাছের ছায়ায় বসে তিনি চোখ বুলাচ্ছিলেন মামলার নথিপত্রে। সুলতানা কাছে গিয়ে বলেছিলেন,"এই শুনছো, চলোনা একটু পানিতে নামি।"
সেকথায় স্বামী কাগজপত্র থেকে চোখ তুলেছিলেন বটে, কিন্তু তার দৃষ্টিতে কি যেন একটা ছিল। সুলতানা আর কথা বাড়ান নি। এক একাই ফিরে গিয়েছিলেন পানির কাছে। শাড়ী হাঁটু পর্যন্ত তুলে তিনি আস্তে আস্তে নামছিলেন সমুদ্রের গভীরে। চোখের জলে তার দৃষ্টি ঝাপসা। কেন তিনি কাঁদছিলেন তা আজও তার অজানা। হয়তো স্বামীর অবহেলায়, হয়তো সমুদ্রের দিগন্ত-বিস্তৃত সৌন্দর্যে। সেদিন হয়ত আনমনে হাটতে হাটতে তিনি বহুদূর চলে যেতেন, কিন্তু পিছন থেকে দেওর আসলাম ডাক দিয়েছিল।
"ভাবী, একা একা অতদুরে যেওনা। ফিরে এস, এখন ভাঁটার টান, বেকায়দা জায়গায় পড়লে টান দিয়ে নিয়ে যাবে তোমাকে।"
সে ডাকে তার চেতনা এসেছিল। ভূতগ্রস্থের মতো তাকিয়ে দেখেছিলেন, যে তার আশেপাশে কেউ নেই। কোন সময়ে তিনি যেন কোমর সমান পানিতে চলে এসেছেন। আসলাম ডাক না দিলে কি হোত বলা যায়না। তখন তার মনে পড়েছিল যে তিনি সাঁতারও জানেন না ভাল করে। বাচ্চারা আপন মনে খেলে বেড়াচ্ছিল বালুময় সৈকতে। তারা টের পেলোনা, কত বড় অনিশ্চয়তা চুরি করে আজ তাদের চুল ছুঁয়ে গেল।
আসলাম পানিতে নেমে গিয়েছিল ইতিমধ্যে। তার হাত ধরে সুলতানা উঠে এসেছিলেন। নোনা পানির ঝাপটায় মুখ ভিজে গিয়েছিল বলে চোখের গোপন অশ্রু প্রকাশিত হয়নি সেদিন।
"কক্সবাজারের বীচটা কিন্তু খুবই রিস্কি। মাঝে মাঝে লুকানো বড় বড় গর্ত আছে। কেয়ারফুল না থাকলে ভুস করে হঠাত্ চলে যাবে বিশ ফিট পানির নীচে। প্রতি বছরই নাকি আট-দশ জন এভাবেই প্রাণ হারায় এখানে।"
রাতে রাতে খেতে খেতে সংবাদটি আলী আসগর সাহেবের কানে গিয়েছিল। টেবিলের অন্যপাশে বসা সুলতানার দিকে তিনি তাকিয়েছিলেন একবার। তিনি কি বুঝে ফেলেছিলেন আসল কারণটি? অনেক রহস্যের মতো এ জিনিষটিও সুলতানা জানেন না। এই ঘটনাটি আর কোনদিন আলোচনা হয়নি।
আজ এই হাসপাতালের ছোট্ট কেবিনে বসে সুলতানার মনে হচ্ছিল, মানুষের জীবনটাও বোধকরি কক্সবাজারের বীচের মতো। পুস্পময় পথের মাঝে এখানে সেখানে লুকিয়ে আছে অন্ধকার গভীর গর্ত। সেখানে পড়ার আগ মুহুর্তেও তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়না। চব্বিশ ঘন্টা আগেও জীবন ছিল উষ্ণ- সমুদ্র সৈকতের মতো মসৃন।
গত রাতে খাবার খেতে আলী আসগর সাহেব হঠাতই তার ডালভর্তার প্রশংসা করেছিলেন। "আজকাল আর রিচ খাবার খেতে ভাল লাগেনা, এখন থেকে এইসবই আমাকে দিও। বেশ ভাল লাগছে খেতে।"
আর এখন মানুষটা সারা গায়ে নানা রকম নল লাগিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। গর্তটাকে তারা কেউই দেখতে পারেন নি। কত গভীর এই গর্তটা তাও জানা নেই, শেষপর্যন্ত তারা কি উঠে আসতে পারবে সুহূদ জলরাশিতে?
গতবার আসলাম তাকে সতর্ক করেছিল, কিন্তু এবারে সে ছিলনা কাছে। অবশ্য প্রথমে তাকেই ফোন করেছিলেন সুলতানা। সে ছুটে এসেছিল এক ডাকেই। সারা রাত দৌড়াদৌড়ি এ্যাম্বুলেনস ডেকেছে, হাসপাতালের কেবিনের ব্যবস্থা করেছে, ঢাকাতে ছেলেমেয়েদের ফোনে সংবাদ দিয়েছে, বারবার ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছে। "ভাইজানের জন্য তুমি দুশ্চিন্তা করোনা ভাবী। আমি থাকতে কোন কিছুর কমতি হবেনা। ইশতি আজ প্লেনের টিকিট পায়নি। কাল সকালের ফ্লাইটে সে আসবে। তাকে দেখেই ভাইজান তাজা হয়ে যাবে।"
" তোমার ভাইজান তো এখনো পর্যন্ত একবারও চোখ খোলেনি। আর তুমি বলছো দেখার কথা।" সুলতানার চোখে পানি এসে যায় স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে।
"ভাইজানের স্ট্যামিনা অনেক বেশী। ছেলেবেলায় ফুটবল খেলতো না । কতবার ভাঙ্গা হাঁটু নিয়ে পুরো খেলা খেলে গেছে, আমরা কেউ বুঝতেই পারিনি। আমার ভাইকে আমি খুব ভাল করে চিনি।"
"আমি কতবার বলেছি ডাক্তারের কাছে যেতে, একবার চেক আপ করাতে। আমার কোন কথাই তো সে সারা জীবনে কানে তোলেনি।"
"এইবার তুলবে। একবার সুস্থ হয়ে উঠুক, তারপর তোমার কথায় উঠ-বস করবে। ভাইজানের সমস্যা হচ্ছে একটাই, সে কোনদিন কারো কথা শোনেনি। নিজে যা ভাল মনে করেছে, তাইই করেছে। তাকে শাসন করার মতো ছিলনা কেউ। একমাত্র মাহমুদকেই যা একটু সমীহ করতো। ভাল কথা, তুলিকে বলেছি মাহমুদকে খবরটা দেওয়ার জন্য। আল্লাহ জানেন সে আসতে পারবে কিনা। সে এলে ভাল হোত। বাপমায়ের দুর্দিনে ছেলেমেয়েরা না দেখলে কি চলে?"
"ক্যানাডা অনেক দুরের দেশ, আসলাম। আসলেও কবে এসে পৌছাবে কে জানে। তত দিনে অবস্থা কি হয় তার কি কোন ঠিক আছে?"
আসলাম রুমালে মুখ মোছে। এয়ারকন্ডিশন্ড ঘরেও সে ঘামছে। আসলামও হাই ব্লাড প্রেসারের রুগী, এতো টানাটানিতে সেও আবার অসুস্থ হয়ে না পড়ে।
"তুমি আবার খারাপ কথাটাই ভাবছো, ভাবী। এত অস্থির হয়োনা। আমি যাচ্ছি এখন। বাসায় গিয়েই আসমাকে পাঠিয়ে দেব। সে ভাইজানের পাশে বসুক, তুমি বাসায় গিয়ে একটু বিশ্রাম নাওগে। তা না হলে তুমিও বিছানায় পড়ে যাবে।"
আসলাম চলে যাওয়ার পর ঘরটা অস্বাভাবিক রকমের নিস্তব্ধ হয়ে যায়। সুলতানার গা ছমছম করে ওঠে। অক্সিজেন দেওয়ার যন্ত্রটি চলার জন্য শুধু একটু মৃদু শোঁ শোঁ শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। আলী আসগর সাহেব একই রকম নিস্পন্দ ভাবে শুয়ে আছেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বুকের ওঠানামা ছাড়া আর কোন নাড়াচড়া নেই।
আসলাম তাকে বার কয়েক জিজ্ঞাসা করেছে,"ভাবী তোমার কেমন লাগছে?" তিনি তার প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। কেমন লাগছে তোমার, সুলতানা?
বাবা এখলাস উদ্দিন তাকে আদর করে ডাকতেন, রাজিয়া সুলতানা। বলতেন,"সুলতানার মা, দেখো তোমার মেয়ে একদিন সম্রাজ্ঞী হবে। নামের একটা মাহাত্য আছে না। আমার সংসারে মেয়েটা খুব কষ্ট করে গেল, তবে নিজের সংসারে মা রানীর মতো থাকবে।"
তার সে কথা সত্যি হয়েছিল। সংসারে এসে তিনি স্বামীর মনোযোগ না পেলেও প্রতিপত্তি পেয়েছেন, অর্থের প্রাচুর্য পেয়েছেন, সন্তানদের ভালোবাসা পেয়েছেন।
মাস ছয়েক আগে আলী আসগর সাহেব একদিন কথায় কথায় বলেছিলেন,"ছেলেমেয়েরা সব তোমার গ্রুপে। আমি তোমাদের বিরুদ্ধ দলে থাকলাম চিরটা কাল।"
সুলতানা শশব্যস্তে বলেছিলেন,"কি উলটো-পালটা কথা বলো সবসময়? ওরা তোমাকে ভীষন সম্মান করে।"
আলী আসগর সাহেব ম্লান হেসে বলেছিলেন,"আমি কি বলেছি তা তুমি ভালই জানো, সুলতানা। আমি সম্মান করার কথা বলিনি, আমি ভালবাসার কথা বলেছি। এটার জন্য আমি ওদেরকে দোষ দিচ্ছিনা, আমারই কারণে হয়ছে এই সব। আমিওতো কোনদিন ওদেকে কাছে ডাকিনি। তুমি ওদেরকে ডেকেছো, তাই ওরাও তোমার কাছে গিয়েছে। পারলে তুমি ওদেরকে কোন একদিন বলো যে আমি আসলে অতোটা খারাপ লোক না।"
"তুমি এমন করে বলছো যেন আমি ওদেরকে সব সময় তোমার নামে কুত্সা গাচ্ছি।" সুলতানার রাগ হয়েছিল স্বামীর কথায়।
"সবকিছু কি মুখে বলতে হয় সুলতানা? আমি কি জানিনা যে এই সংসারের আসল কর্তৃত্ব কার হাতে?"
সুলতানা সেইদিন প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন স্বামীর বুকের নিঃস্ব হাহাকারকে। নিজের গা বাঁচিয়ে চলতে চলতে আলী আসগর সাহেব নিজের অজান্তেই কখন সংসারের চৌকাঠ পেরিয়ে বাইরে চলে গিয়েছেন, তা তিনি টের পাননি। আর যখন সেটা বুঝতে পেরেছেন, ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। সবাই তাদের নিজেদের আপন ভুবন তৈরী করে নিয়েছে, আর সে ভুবনে আলী আসগর সাহেব নিতান্তই অবানছিত একজন মানুষ। দেবতাকে মানুষ চিরকালই দূর থেকে প্রণাম করে, কিন্তু ভালবেসে কাছে ডেকে বসায় না।
শেষ পর্যন্ত সুলতানারই জয় হোল তাহলে?
বোকাসোকা দেখতে মাঝারীবুদ্ধির একটা মেয়েমানুষের কাছে আলী আসগর সাহেবের মতো একজন জাঁদরেল লোক হেরে গেলেন। এতে কি খুশী হওয়া উচিত ছিল সুলতানার? হয়তোবা তাই, কিন্তু মনের গভীরে তিনিও তীব্র ব্যথা অনুভব করেছিলেন স্বামীর দুঃখে।
মনে মনে বলেছিলেন, "আমিতো এর কোন কিছুই চাইনি, আমি শুধু তোমার পাশটিতে বসে থাকে চেয়েছিলাম। তোমার আনন্দ, তোমার দুঃখ, আমি আমার বুকে ধারণ করতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম তোমার কাছে বসে তোমার কথা শুনতে।"
হায়রে মানুষ, রঙ্গিন মানুষ, দম ফুরাইলে ফুস। এত রাগ, এত অবহেলা, এত ভালবাসা, এত ঝগড়া। ফিনফিনে সূতার আগায় ঝুলছে মানব জীবন, তার পরেও কত বাহাদুরী। চোখ বন্ধ করলেই দুনিয়া অন্ধকার, তখন কোথায় যাবে তোমার অহংকার?
"আপনি কিন্তু এখন বাসায় চলে যেতে পারেন। উনার অবস্থা এখন মোটামুটি স্টেবল। আর আমরা তো আছিই। এবার আপনারও তো একটু বিশ্রাম দরকার।"
পিছন থেকে কে যেন কথা বললো। গলার স্বরটি ভারী মিষ্টি। কেমন যে রিনরিন করে বাজতে থাকে শব্দগুলো।
সুলতানা মাথা ঘুরিয়ে তাকালেন।
নার্সের পোশাক পরা একটি মেয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। একে আগে দেখেননি সুলতানা। হয়তো নতুন শিফটের নার্স। মেয়েটির বয়েস বেশী হবেনা। পঁচিশ-ছাব্বিশ হয়তো। সাধারণতঃ সুন্দর কণ্ঠের মেয়েরা দেখতে ভাল হয়না। কিন্তু এই মেয়েটি ব্যতিক্রম। সে দেখতে বেশ সুন্দরী। গায়ের রং টকটকে ফর্সা, নাকটি তীক্ষ্ন অথচ ছোট্ট, দুটি চোখে থই থই করছে জীবন।
সুলতানা অল্প হাসেন। "আমার তো ক্লান্ত লাগছেনা।"
নার্সটিও হাসে। "মাঝেমাঝে আমরা আমাদের শরীরকে বুঝতে চাইনা। শরীরের কথা অগ্রাহ্য করি। আমি শুনলাম যে আপনি গত রাত থেকেই একটানা এখানে বসে রয়েছেন। এভাবে চললে আপনি নিজেও কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়বেন।"
সাধারণতঃ ক্লিনিকের ডাক্তার বা নার্সরা যখন ভাল কথাও বলে, তখনো তা কেন যেন ধমকের মতো শোনায়। কিন্তু এই মেয়েটির কথা শুনতে সুলতানার খারাপ লাগছেনা। মেয়েটির গলায় আন্তরিকতার সুর।
"তোমার নাম কি মা?"
"আমার ভাল নাম শবনম। কিন্তু ক্লিনিকের সবাই আমাকে রাত্রি নামে ডাকে।"
"রাত্রি কি তোমার ডাকনাম?"
"না-এটা এদের দেওয়া নাম। আমি সবসময়ে রাতের বেলা ডিউটি করি, এই জন্যে।" মেয়েটি কথা বলতে বলতে আবার হাসে।
সুলতানা বলেন,"কিন্তু আজকে তাহলে এই দিনের বেলা কি করছো এখানে?"
"আজকে হঠাত্ করে তিনজন নার্সের শরীর খারাপ বলে আমাকে একটু আগে আগে চলে আসতে হয়েছে। এখন তো দেখছি ভালই হয়েছে।"
"কেন? ভাল হয়েছে কেন?"
"এই যে আপনার সাথে দেখা হয়ে গেল।"
"তুমি কি আমাকে চেনো নাকি? তোমার সাথে কি আমার আগে কোথাও দেখা হয়েছিল?"
রাত্রি একটু লাজুক ভংগীতে মাথা নাড়ে। "আপনি আমার মাকে চেনেন।"
সুলতানা কৌতুহলী স্বরে জিজ্ঞেস করেন,"আচ্ছা- তাই নাকি? তোমার মায়ের নাম কি?"
আলী আসগর সাহেব একটি অস্ফুট আওয়াজ করেন। রাত্রি তাড়াতাড়ি তাঁর দিকে এগিয়ে যায়। সুলতানাও চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান। রাত্রি দ্রুত হাতে স্যালাইনের টিউবটি পরীক্ষা করে, পাশে রাখা ইসিজি যন্ত্রটির পর্দায় চোখ রাখে। এ্যাপ্রনের পকেট থেকে স্থেথিসকোপটি বের করে আসগর সাহেবের বুকে লাগায়। গভীর মনোযোগের সংগে সে হার্টবিট শোনে।
সুলতানা পিছনে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এক দৃষ্টিতে তিনি রাত্রির নিমগ্নতাকে খেয়াল করেন। কি সুন্দর লাগছে মেয়েটিকে দেখতে!
হঠাত্ করে তার মনে হোল, আচ্ছা এই মেয়েটির সাথে মাহমুদের বিয়ে দিলে কেমন হয়? দুজনাকে খুব মানাবে।
কথাটি মনে আসার পরমুহুর্তেই তার খারাপ লাগে। স্বামীর এত বড় অসুস্থতার মধ্যে তিনি কিনা ছেলের বিয়ের কথা চিন্তা করছেন।
রাত্রি পিছনে মুখ ফিরিয়ে বলে,"আমার মায়ের নাম ছিল আসমানী।"
সেকথায় সুলতানা যেন বিদ্যুতের একটা শক খেলেন। তার সারা শরীর কেঁপে ওঠে। আসমানীর মেয়ে এত বড় হয়েছে!
(চলবে)
মন্তব্য
এবারও একদম গরম গরম পড়ে ফেললাম। বেশ আগাচ্ছে।
এভাবেই যেন চলতে থাকে...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পরের পর্ব কবে আসছে? নেক দিন হয়ে গেলতো।
অণুগল্পের ঘূর্ণাবর্তে পড়ে আর পরের পর্ব দেওয়া হচ্ছেনা। এখন পাঁচশো শব্দের বেশী কিছু লিখতে গেলেই হাত ব্যথা করে, গায়ে জ্বর আসে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
নতুন মন্তব্য করুন