"একাশি, বিরাশি, তেরাশি।"
এই নিয়ে ছয় বার গোণা হোল। প্রতিবারেই তিরাশি। তার মানে গোণার ভুল হয়নি।
টাকাটা পকেটে ভাল করে গুঁজে রাখেন নীলরতন সেনশর্মা। লোকে ডাকে নীলু মাস্টার। সাত বছর আগে রিটায়ার করলেও নামটি এখনো তার পিছু ছাড়েনি।
সন্ধ্যেবেলা বাজারে মনোজ সাঁপুইয়ের দোকানে ঢুকেছিলেন। কয়েকটা স্পোক কেনার জন্যে। সাইকেলটা ক'দিন ধরে টাল খাচ্ছে একদিকে। এখন মেরামত না করলে কখন আবার কি হয় কে জানে। স্পোকগুলোর দাম আট ন' টাকার বেশী হবে না। বাকী টাকা ছোট নোটে ফেরত দিয়েছিল মনোজ।
"বড় নোট নেই মাস্টারমশাই। টাকাগুলো ভাল করে গুনে নিন।"
"কি যে তুমি বলোনা মনোজ। তুমিতো গুনেছোই একবার। ওতেই হবে।"
এখন মনে হচ্ছে তখন গুণে নেওয়াই উচিত ছিল। নীলু মাস্টার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বৌ সত্যবতী বলতো,"তুমি এতো বিশ্বাস করো কেন সবাইকে? সবাই তোমাকে ঠকাবে একদিন।"
"কি বলছো তুমি, সত্য? বিশ্বাস না করলে চলে? শরত্ চন্দ্র একবার লিখেছিলেন, অবিশ্বাস করিয়া জিতিবার চাইতে বিশ্বাস করিয়া হারাও ভাল।"
"তোমার কপালে তাহলে হারাই আছে।"
কথাটা কিন্তু সত্যবতী ঠিকই বলেছিল। আলাভোলা, বোকাসোকা মানুষ নীলু মাস্টারকে ঠকায়নি এমন লোক এ তল্লাটে নেই। বাপ-দাদার জমি ভাগের সময় দু বিঘে জমি কম পেলেন। কথা থাকলেও প্রমোশনটা শেষ পর্যন্ত আর মেলেনি তার। প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার সময় কিভাবে যেন একগাদা টাকা ওরা কেটে নিল। ছেলে সুবল বিয়ে করে আলাদা থাকছে, সবকিছু করছে ঠিকমতো, শুধু বাবাকে মাঝে টাকাটাই পাঠানো হয়না তার।
আজ সত্যবতী থাকলে হেসে হেসে নিশ্চয়ই বলতো," এবার আমার কথা বিশ্বাস হয়েছে তোমার?"
মনোজের দোকান থেকে বেরিয়ে গিয়ে বসেছিলেন খলিলের চায়ের দোকানে। পুরনো ছাত্র খলিল, গেলেই যত্ন করে চা-সিংগাড়া খাওয়ায়। দু'দিনের বাসী খবরের কাগজটাও নাড়াচাড়া করা যায়।
সেখানে আজ দেখা হয়েছিল কলেজের প্রফেসর তিমির নন্দীর সাথে। আর এক পুরনো ছাত্র। ভালই জমেছিল আলাপ।
"বুঝলেন মাস্টারমশাই- একটা বই পড়ছি, ভারী অদ্ভুত কথা লিখেছেন ভদ্রলোক।"
"কি রকম?"
"ভদ্রলোক মনে হয় নাস্তিক, কিন্তু তার কথায় এক ধরণের অদৃষ্টবাদিতার সুর। তার মতে আমাদের যাবতীয় হিসেবকিতেব এই পৃথিবীতেই মিটিয়ে ফেলা হয়। যেমন ধরুন আপনি যদি কারো মনে দুঃখ দেন তাহলে কোন না কোন এক সময় তেমনি দুঃখ আপনাকেও পেতে হবে। উপকার করলে উপকার পাবেন। কোন কিছু হারালে তাতে দুঃখ করবেননা। সেগুলো সব জমা হচ্ছে কোথাও। এক সময় আবার ফেরত পাবেন। আমাদের প্রত্যেকেরই এ্যাকাউন্ট ঠিক ঠিক মিলিয়ে দেওয়া হবে একদিন। বুঝলেন না- আমাদেরকে ঠকানোর নতুন ফন্দী। আমরা যেন নালিশ না করি।"
বাজার থেকে বেরোতে রাত হয়ে গেল অনেকটা। তাতে কি? কেউ তো আর বাড়ীতে তার জন্যে বসে নেই। এক সময় বাড়ীতে ফিরলেই হোল।
শীত পড়বো পড়বো করছে। গায়ের চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে সাইকেলে উঠে পড়েন তিনি।
ভালই কুয়াশা পড়েছে। চাঁদের আলোটি ম্লান। সাইকেল চালাতে চালাতে নীলু মাস্টার ভাবছিলেন তিমিরের বলা কথাগুলো।
সব হিসেব মিলে যাবে একদিন। বাহ-এমনটি হলে মন্দ হয়না। কত কিছু হারিয়েছেন এ জীবনে। মনে আছে পড়ার নাম করে কত লোকে তার বইগুলো নিয়ে গেছে, আর ফিরিয়ে দেয়নি। আবার ফিরে আসবে বইগুলো? আবার ফিরে পাবেন দু বিঘে জমি? মনোজের মেরে দেওয়া সাত টাকা? এ্যাসিসট্যান্ট হেডমাস্টারের চাকরি?
নীলু মাস্টারের ভাবতে ভালই লাগে। বিশ্বাস করেও তাহলে জেতা যায়? যা কিছু হারিয়েছেন সব জমা হচ্ছে কোন একখানে। একদিন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো সবকিছুকে পায়ের কাছে নামিয়ে দেবে।
সব কিছূ? এমনকি সত্যবতীকেও?
বিয়ের পাঁচ বছর পর উত্তরপাড়ার নিখিলের সাথে চলে গিয়েছিল সত্যবতী। আর কোনদিন ফেরেনি।
তবে কি সেও ফিরে আসবে? আহা-ওই ঢলোঢলো সুন্দর মুখটি কতদিন দেখেননি তিনি।
একমুখ হাসি নিয়ে কুয়াশার মধ্যে সাইকেলের প্যাডেল মারেন নীলু মাস্টার। মনোজ সাঁপুই এর সাত টাকা মেরে দেওয়ার দুঃখ তিনি ভুলে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
মন্তব্য
চমত্কার সাজেশন। দেখি অন্যেরা কি বলে।
প্রশংসা চাইনা, এইরকম ভাল সাজেশন দিলেই হবে।
ভাল কথা-ইমেল এ্যাড্রেস কেন চেয়েছিলেন তাতো বললেন না।
টেনশনে আছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ভাল-লাগলো
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
- হুমম।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুমম মানে কি? ভাল না খারাপ?
টেনশনে থাকলাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
- এইখানে হুমম মানে হলো স্পিচলেস।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাংক ইউ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
বেশ ভালো লাগলো। দিনকে দিন অণুগল্পের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে কিন্ত আপনার ফিনিশিংটা যথার্থ মনে হয়েছে।
এটা না বললে গল্পের আসল মজাটা পেতাম না।
আমি নিজেও অণুগল্পের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে গাড়ী চালাতে চালাতে ভাবি কি হবে পরের গল্পটির প্লট।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
নীলু মাস্টার রা বঞ্চিত হয়......।।
আমি দেখেছি এ ধরনের লোকগুলোর মুখে কেমন যেন একটা শিশু শিশু ছাপ থাকে, বয়েসে বুড়িয়ে গেলেও......আর দেখেছি, তাদের অন্তিম প্রয়াণে কিছু বেশি মানুষ কাঁদে।স্বাভাবিকের চেয়ে ।
কালবেলা
বাঃ।
অলৌকিক হাসানের প্রস্তাবিত সমাপ্তির বিষয়ে আমিও সম্মতি জানাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ অনেক আপনার মন্তব্যের জন্য। দেখি অন্যেরা কি বলে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে আপনার ছোটগল্প।
"যা কিছু হারিয়েছেন সব জমা হচ্ছে কোন একখানে। একদিন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো সবকিছুকে পায়ের কাছে নামিয়ে দেবে।" লাইনটি সুন্দর!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগলো। ফিনিশিংটা ভালোইতো লাগলো। ছোট করে আটসাট করতেই হবে এমনতো আর নয়।
সত্যবতী ফিরেনি এইখানে শেষ করলে যে ভাব পাই, বুকে যে মোচড় লাগে, পরের দুই লাইনে সেই ভাবটা বদলে যায়। মানুষটা ভালো কিছু ভাবছে। বেদনা ভুলে গিয়েছে এই ব্যপারটা বেশ আরাম দায়ক।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বেভুল মানুষটি তার বেদনাটুকু কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে যাক, আমিও তাই চেয়েছিলাম।
আপনাকেও আমার সাথে পেয়ে খুশী হ'লাম। ধন্যবাদ বাউল ভাই।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
অসাধারণ লাগলো জাহিদ ভাই। নীলু মাস্টারের বিষাদ আমাকেও কিছুক্ষণের জন্য গ্রাস করে নিলো।
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
অণুগল্পের সমাপ্তিটাই বোধহয় মুখ্য। সার্থক সমাপ্তি। গল্পটাও ভাল লেগেছে। চালিয়ে যান।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ভুলে যাবার সমাপ্তিটা পজিটিভ টাচ এনে দেয়।
এটাই আমার বেশি ভাল লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গল্পটা দারুণ
যদি এডিট করেন তবে বলব
সবকিছু বাদ দিয়ে নীলু মাস্টারকে দিয়ে একটা জিনিসই ফেরত চাওয়ান
তা হলো- সময়
সময়কে ফেরাতে পারলে সবকিছুকেই ফেরানো সম্ভব
গোটা জিনিসটাই তো মিথ্যে। কিছু কি আর কোনদিন ফেরত আসে কখনো? এলেতো ভালই হোত। তাতে অবশ্য হেয়ার ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট জাতীয় বিজনেসের বারোটা বাজতো।
গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হয়েছি।
অণুগল্প হচ্ছে আলসে লেখকের আবিষ্কার।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
খুব সুন্দর গল্প।
তবে আমার ধারণা ছিল 'শর্মা' উপাধি একটা একক শব্দ।
'সেনশর্মা' টাইটেল ধারি রা লেখেন 'সেন শর্মা'।
কী জানি। ভুলও হতে পারি।
আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে নীলু মাস্টার
এমন এক জায়গায় থাকেন যেখানে
খবরের কাগজ যায় দুদিন পর
সেখানকার লোকজন কথা বলছে শুদ্ধ ভাষায়।
এভাষায় কথা বলা গল্পের সৌন্দর্য নষ্ট হয়নি।
তবে আন্চলিক ভাষায় বললে
বাস্তবের আরো কাছাকাছি যেতো।
সমপ্তি পজিটিভ না হলেও ভালো লাগতো।
তবে সত্যবতী র কথা দিয়ে শেষ হলে
গল্পটা হয়ে যেতো পুরোপুরি রোমান্টিক।
তার থেকে শেষ হয়েছে আরো
অনেককিছু মিলিয়ে।
তাই এই শেষটাই ভালো লেগেছে বেশী।
আরেকটা কথা জাহিদ হোসেন।
আপনার ইদানিকার লেখাগুলো
তেমন ভালো লাগছিল না।
এই লেখায় অনেকদিন পর
'নির্বাসিত' কে খুঁজে পেয়েছি।
(কিছু মনে করবেন না প্লিজ)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ছি-ছি, মনে করবো কেন? এত সুন্দর করে আপনি গল্পটিকে নিয়ে আপনার ভাবনাগুলোকে লিখেছেন, তার জন্য খুবই খুশী হয়েছি।
আপনার সবগুলো পয়েন্টই মনে হয় যুক্তিসংগত।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে গল্পের বর্তমান শেষটিকেই পছন্দ করি যেখানে বোকা মানুষটির একটু আনন্দের কথা লিখতে পেরেছি। বোধকরি আমি নিজে শীর্ষেন্দুর লেখা পছন্দ করি বলেই, এই ধরণের আলাভোলা বেভুল চরিত্রদেরকে একটু বেশী মমতা দিয়ে হৃদয়ে লালন করি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই,
অতি সুন্দর। আরও ছাড়ুন...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
বেশ ভালো।
ভাই, অণুগল্পের ভূত মাথার উপর চড়ে আছে। এটাকে নামাই কিভাবে বলেনতো?
শেষে দেখা যাবে যে তিন পাতায় উপন্যাস লেখার পাঁয়তারা কষছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
দারুণ লিখেছেন জাহিদ হোসেন।
স্বল্প-গল্পের দারুণ প্লট। বিষয়টাও ছোট। সাত টাকা মেরে দেয়ার কাহিনী দিয়ে শুরু।
কিন্তু তারপর আমরা আরো নানারকম ঠকে যাওয়ার তালিকা পেয়ে যাই- জমি, প্রমোশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা থেকে শুরু করে বউ সত্যবতীকে হারানো।
মাঝখানে গল্পের একটা দর্শন্ও পেয়ে গেছি আমরা। সব হারানোই কোথাও না কোথাও জমা আছে এবং তা অকস্মাত্ ফিরে আসতে পারে।
এতো হারানোর কথা বলার পর শুধু সাত টাকার দু:খ ভুলে যাওয়ার বাক্য দিয়ে গল্পটা শেষ হওয়া যথার্থ হয় না সম্ভবত:।
একটা বাক্য না বদলে, শুধু কাট-পেস্ট করে আমি একটা বিকল্প শেষ করার চেষ্টা করে দেখি:
ব্র্যাকেটে রাখা সাতটাকা সংক্রান্ত বাক্যটা রাখার যুতসই জায়গা পাচ্ছি না।
শুভেচ্ছা জাহিদ হোসেন।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সাত টাকা হারানোর কথা শেষে বলা হয়েছে এই কারণে যে এটাই মোস্ট রিসেন্ট লস। নীলু মাস্টারের মতোন মানুষেরা তাদের ক্ষতি নিয়ে বেশীক্ষণ হা হুতাশ করেনা বা মনে রাখেনা, করলে তো তারা পরের বার আরো সতর্ক হোত।
মানুষটার মনটি একটি মনগড়া থিওরীতেই যে কিছুক্ষণ খুশী খুশী আছে, সেটাই কাহিনী। একজন বোকা মানুষের কাহিনী।
আপনার চমতকার বিশ্লেষণের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
... ... কিছু বলতেই হবে এমন তো কথা নেই
পড়লাম
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
অনেক ভাল লাগল।যথার্থ সমাপ্তি...।।
-নিরিবিলি
খুব ভালো লাগল গল্পটা...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখাটা ভালো লেগেছে।
সমাপ্তি যেখানে হয়েছে সেখানেই থাক।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
আচ্ছা! শেষটা বদলাচ্ছিনা,তবে অলৌকিকের পরামর্শটিকেও মনে ধরেছে। হয়তো ভবিষ্যতে অন্য কোন গল্প লেখার সময় সেটা কনসিডার করবো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
অসাধারণ। আপনার সমীপে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আলোকশিখাটির জন্যে ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আপনি কেন যে বহুদিন হলো লিখছেন না!
নতুন মন্তব্য করুন