অণুগল্প-২। ইলিশ।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বুধ, ০৯/০৪/২০০৮ - ৯:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আকবর আলী দাওয়ায় গল্পের আসর বসিয়েছে। মালেক, রাজ্জাক আর তার চাচাতো ভাই রউফ হাঁ করে আকবর আলীর মাছ ধরার গল্প শুনছে।

"তরা তো বিশ্বাস যাবি না। গহীন রাইতে আমরা সবাই ঘুমাইয়া আছি। হঠাত্ আমার ঘুম ভাইংগা গেল। কিসের যেন ঘ্রাণ পাইলাম।"
"কিসের ঘ্রাণ, আকবর ভাই?"
"পয়লা ঠাহর পাই নাই। পরে বুঝলাম,ইলিশের ঘ্রাণ। বাপরে-সেকি ঘ্রাণ। পরাণডা এক্কেরে জুড়াইয়া যায়। আস্তে আস্তে সবটিরে উডাইলাম। তারপর ফেললাম জাল। আমাগো চাইরদিকে শুধু ইলিশ আর ইলিশ। জাল ফেললেই ইলিশ। তাগো চকচকা গায়ে চান্দের আলো পিছলাইয়া যায়। আমাগো নৌকা প্রায় ডুবেডুবে ইলিশের ভারে।"
রাজ্জাক বিশ্বাস যায়না। "এইডা তুমি চাটাম মারলা আকবর ভাই। নৌকায় বইসা তুমি পানির ইলিশের ঘ্রাণ পাইছো?"
আকবর আলী হা হা করে হাসে। "আমার নাক কি আর তগো মতোন? এই নাক হইলো গিয়া আকবর নিকারীর নাক। এর সামনে ইলিশের বাঁচন নাই।"

এবার যাবার সময় বলেছিল চার-পাঁচ দিনের মাথায় ফিরবে। কিন্তু ফিরেছে বারো দিন পর।

চুলোয় কয়েকটি নতুন খড়ি দিয়ে জমিলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আকবর আলীর মাথায় আর কিছু নেই। শুধু ইলিশ ছাড়া।

তাদের বিয়ে হয়েছে দুই বছর হোল। আকবর আলী মাছ ধরে, দুইপুরুষের পেশা। "জেলে" শব্দটা কেমন হিন্দু হিন্দু শোনায় বলে আকবর আলী নিজেকে নিকারী বলে। জমিলা সেই সুবাদে নিকারীবৌ।

জমিলার বাপ ছিল মাঝি। বাপের নৌকায় করে কত বড় বড় গাঙ পাড়ি দিয়েছে জমিলা।
"নদীর মইধ্যে কেমুন একটা নেশা আছেরে, মা।" দাঁড় টানতে টানতে বাপজান কথাটা বলেছিল তাকে।
জমিলার কাছে তাই নদীকে আপন মনে হয়। নদীর বুকে যখন বড় ঢেউ ওঠে, তখন সে ভয় পায়না। কিন্তু আকবর আলীকে তো নদীর নেশায় পায়নি। তার নেশার জিনিস থাকে নদীর গভীরে। তা হোল রূপোলী ইলিশের ঝাঁক।

আগে নিজের নৌকা ছিল, কিন্তু দুর্ভিক্ষের সময় তা বেচতে হয়েছিল। এখন আকবর আলী গফুর বেপারীর নৌকায় মাছ ধরে। আগে ইচ্ছেমত ঘরে ফিরে আসতে পারতো, এখন সে স্বাধীনতা নেই। বেপারীর কথামত নদীতে থাকতে হয়। তাতে আকবরের কোন সমস্যা নাই। সে তো পারলে সারাটা জীবনই কাটাতে চায় ইলিশের পিছন পিছন।

আজকে সে ফিরেছে সন্ধ্যার একটু আগে। হাতে তিনটে বড় ইলিশ ঝুলিয়ে।
"বৌ-কেমুন আছস?"
তারপর উত্তরের অপেক্ষা না করেই সে চলে গেছে পুকুরের দিকে গোসল করতে।

এখন রাত। জমিলার রান্না প্রায় শেষ। একটা বড় ইলিশকে কেটে তিন রকমের রান্না করেছে সে। কড়কড়ে করে ইলিশ ভাজা, সর্ষে-ইলিশ, আর ইলিশের কাটাকুটি দিয়ে একটা বেগুনের তরকারী। আর দুটো ইলিশকে সে অমনি রেখে দিয়েছে রান্নাঘরে, কালকে সেগুলোকে কেটে জ্বাল দিয়ে রাখবে।

খেতে বসে বেশী খেলোনা আকবর আলী। "তর পাক ভাল হইছে রে বৌ। কিন্তু খিদা নাই বেশী। শরীলডাও ছাইড়া দিছে। আমি ঘুমাইতে গেলাম।"

রান্নাঘরের সব কিছু গুছিয়ে যখন জমিলা ঘরে ঢুকলো তখন আকবর আলীর নাক ডাকছে। জমিলা জানে যে এখন বাড়ীতে ডাকাত পড়লেও তার ঘুম ভাংবেনা। আকবরের পাশে চুপ শুয়ে পড়ে সে।

বাইরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে জমিলার ঘুম আসেনা। শরীরের মধ্যে এক জ্বলুনি টের পায় সে। জমিলার দাদী বলতো যৈবনজ্বালা। "সোয়ামীর পায়ে পায়ে থাকবি সব সময়। সোয়ামী হইলো যৈবন জ্বালার ওষুধ।"

হায়রে-সোয়ামী! বারো দিন পরে যাও বা সোয়ামীর দেখা পাইলাম, সে কিনা এখন নাক ডাইকা ঘুমায়।

কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে পড়ে জমিলা। কুয়োতলায় গিয়ে বালতি বালতি পানি ঢালে গায়ে। জলের ধারায় মুছে ফেলে সংসারের সব গন্ধ। আনাজপাতি, ঘুঁটে, তেল মশলা সব কিছুই মুছে যায় একে একে। এখন সে নতুন নারী। ডানপিটে মাঝির মেয়ে জমিলা, যে নদীর মতোই সদা-চঞ্চলা। এই রমণীকে সংসারে যেন মানায় না।

অন্ধকারের মধ্যে ভেজা শাড়ী বদলায় জমিলা। গায়ে তোলে নতুন প্রসাধন। বিড়বিড় করে বলে,"আকবর নিকারী, তুমি আমারে অহন তরী চিনো নাই।"

গহীন রাতে আকবর আলী নড়ে ওঠে। বাতাসে ও কিসের ঘ্রাণ? ঘুমের মধ্যেই সে হাত বাড়ায়।

এ কি ইলিশ নাকি ইলিশগন্ধা কোন জলদেবী? শিকারী আকবর আলী আধোঘুমে তার নিশানা সই করে। তুমি যেইই হও না কেন, আকবর নিকারীর কাছ থেইকা আজ আর তোমার বাঁচন নাই।

সোয়ামীর আদরে খল খল করে হাসে জমিলা। অবিকল নদীর মতোন।

ভোররাতের দিকে একটি শিয়াল উঠোনে ফেলে দেওয়া দুটি আস্ত ইলিশ দেখে নিজের সৌভাগ্যে নিজেই অবাক হয়ে যায়।

(চাটাম মারা= চাপা মারা)

(অণুগল্পের ভূতে পেয়েছে আমাকে। জলদী কোন অভিজ্ঞ ওঝার সন্ধান পেলে খুশী হতাম।)

অণুগল্প-১। হিসেব-কিতেব


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এদিকে আমি তো ভাবছি অভিজ্ঞ কোন ভূতের সন্ধান পেলে আপনার খবরটা তাকে জানাব যাতে আরো ভালভাবে আপনার ঘাড়ে চেপে বসতে পারে! ভাল লিখেছেন, আরো ভালর অপেক্ষায় ...

অতন্দ্র প্রহরী

জাহিদ হোসেন এর ছবি

নিদ্রাহীন গার্ড সাহেব, আপনার পরিকল্পনায় সবিশেষ দুঃখ পাইলাম।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

গল্পটা ভালো হয়েছে। তবে এই গল্পকে ঠিক অণুগল্পের শ্রেণীতে ফেলতে আমার আপত্তি করতে ইচ্ছে হয়। অণুগল্পের ঠিক সেরকম সংজ্ঞা আছে কি না জানি না, তবে তা মনে হয় অনেকটা স্কেচধর্মী ও ইঙ্গিতময় হওয়া দরকার। সেই হিসেবে আকারে ছোটো হলেও এটিকে পূর্ণাঙ্গ গল্প বলতে অসুবিধা দেখি না।

অণুগল্পের ভূত ছাড়ানোর দরার কি? থাক না। লিখে যান ইচ্ছেমতো। শুধু লেখার সমময় অণূ শব্দটা মাথায় রাখবেন না, শব্দ গুনে লিখবেন না। ব্যস, এই তো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কনফুসিয়াস এর ছবি

জুবায়ের ভাইয়ের সাথে একমত।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জাহিদ হোসেন এর ছবি

কিভাবে যেন শব্দসংখ্যা গোণার ব্যাপারটা মাথা থেকে আর বের করাই যাচ্ছেনা। একটা নতুন চ্যালেন্জের মত মনে হচ্ছে। কত অল্পকথায় বলে ফেলা যায় গল্পটিকে এই চিন্তাই বেশী আচ্ছন্ন করছে আজকাল। মহা সমস্যা!

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভোররাতের দিকে একটি শিয়াল উঠোনে ফেলে দেওয়া দুটি আস্ত ইলিশ দেখে নিজের সৌভাগ্যে নিজেই অবাক হয়ে যায়।

যার উঠানে দুই দুইটা ইলিশ পড়ে থাকে সে যে কত্তো বড়ো বড়োলোক তা আমাদের রূপকথাও বর্ণনা করতে পারবে না

০২
গল্পটা চমৎকার
তবে এই অনু-ফনু নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার কী?
গল্প গল্পই
যতক্ষণ মনে হবে চলা দরকার চালাবেন
যখন মনে হবে শেষ করা দরকার করবেন

সংজ্ঞা ঠিক করবে গবেষক কিংবা অমিত-শিমুলের মতো বিশেষ প্রকাশক/সম্পাদকরা

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আর আট-দশ বছর পর হয়তো এই গল্পটির ফুটনোটে বলতে হবে যে ইলিশ বস্তুটি কি আসলে।
আপনাদের সাজেশন গুলো মানবার চেষ্টা করবো।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সৌরভ এর ছবি

সোয়ামীর আদরে খল খল করে হাসে জমিলা। অবিকল নদীর মতোন।

ভীষণ ভালো লাগলো।
এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভীষণ ভালো লাগলো।

কালবেলা

তীরন্দাজ এর ছবি

আমিও এক নি:শ্বাসেই পড়ে গেলাম। একেবারে বহমান নদীর মতো কুলকুলে। আর বিষয়বস্তুও চিরদিনই সমসাময়িক!

খুব ভাল হাত আপনার।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। গল্পটি ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

স্বপ্নাহত এর ছবি

ভাল্লাগছে। - এই শব্দটা ছাড়া আর কিছু এখনো আপনার কোন লেখার মন্তব্যে লিখতে পারিনি।বিরক্ত হলেও কিছু করার নাই।একই ঘ্যান ঘ্যান করে যাবো যতদিন আপনার লেখা পড়বো। হাসি

---------------------------
দুঃখ সুখের স্পর্শ নীরে
সাঁতরে বেড়াই;
নিঃসংগ এক,নিঃসংগ মেঘ।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

যদি পারেন তো দু চার লাইন সমালোচনামূলক মন্তব্য লিখতে পারেন। তাহলে ত্রুটিগুলো সারানোর সুযোগ পাবো।
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদতো রইলোই।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অমিত আহমেদ এর ছবি
জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনাদের পাল্লায় পড়েইতো এই ভূত ঘাড়ে উঠেছে আমার।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ফারুক হাসান এর ছবি

বিরাট লেখকের গন্ধ পাচ্ছি মনে হয়!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আমার কথা আমাকেই কায়দা করে ফিরিয়ে দিলেন! লিখেছেন বিরাট লেখকের গন্ধ পাচ্ছেন। যাই তো দেখে আসি উঠোনে দু-চারটে লেখক পড়ে আছে কিনা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো দিন যত যাচ্ছে আপনার অনুগল্পের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।চলিয়ে যান।
-নিরিবিলি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সমালোচনার জায়গা রাখেন নাই ভাই।
তবে আকার নিয়ে মাথাব্যাথা রাখার দরকার নেই। যার মাথায় এতো গল্পের প্লট সে কয়টা অনু- আর কয়টা তাল-গল্প লিখলো সেটার হিসেব পরেও করা যাবে।
গল্পগুলো আসতে থাকুক আর আমরা পড়ে আনন্দ নিতে থাকি।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অণুপরমাণু বুঝিনা, গল্পটা জোশ হৈছে।
জমিলা শইলে ইলিশের গন্ধ মাইখা সোয়ামির সোহাগ পাওনের লোভে ইলিশ গুলাই উঠানে ফেলাইয়া গেলো, কামডা কি ঠিক হৈলো!

আর এই রাইতের বেলায় তার ভিজাশাড়ি বদলানোর দিকে আপনে এমনে ফ্যালফ্যাল কইরা চাইয়া রৈছেন ক্যা মিয়া? আপনের কি লাজশরম নাই?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ওই ইলিশ না ফেলে আর উপায় আছে?
আর ভিজা শাড়ী বদলানো কেউ যেন দেখতে না পারে সেই জন্যেইতো ঘুটঘুটে অন্ধকারের আমদানী করলাম গল্পে।এর পরেও আমার দোষ?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

শেখ জলিল এর ছবি

পিনপতন নীরবতা নিয়েই পড়লাম। অণুগল্পের নেশায় এমন লিখতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। খুব ভাল্লাগলো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার মন্তব্যে খুবই খুশী হয়েছি। ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ভালো লাগল হাসি ।। ইলিশ খেতে ইচ্ছে করছে এখন

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ইলিশ পাবেন কোথায়? সে তো শিয়ালের পেটে।
লেখাটি ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরুটা মজার Ñ ভাবছিলাম ভুত প্রেতের গল্প হবে।
ডানপিটে মাঝির মেয়ে জমিলা, যে নদীর মতোই সদা-চঞ্চলা -- এই রমণীকে সংসারে যেন মানায় না— মনে হচ্ছিল অন্য কোন ইতিহাসের ইতিবৃত্ত।
কিন্তু গল্পটা নিপাট সরল-সাদামাটা জীবনের।
ভাল। সহজ করে জীবনের গল্প লেখাটা কঠিনÑ বেশ কঠিন। অভিনন্দন আপনাকে।

ক্যামেলিয়া আলম

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই ধরণের মন্তব্যের কোন মানে হয়? নাপিতকে ধরে ডাক্তারের লেবাস পরিয়ে দিলে ও বেচারা কি আর ফোঁড়া কাটতে পারবে আগের মতোন?
ধন্যবাদ তার পরেও।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অসাধারণ...ছাড়া আর কী বলব?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আমি তো এই কথাটিই বলতে চেয়েছিলাম আপনার লেখা সম্পর্কে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রানা মেহের এর ছবি

অতি সুন্দর

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এ কি ইলিশ নাকি ইলিশগন্ধা কোন জলদেবী?

জাহিদ ভাই, একে বোধহয় বলে, "ছোট মরিচের ঝাল বেশী" মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম, আপনার আগের লেখা গুলো পড়া হয়নি ভেবে নিজেকে অপরাধী লাগছে, আজকে একপাশ থেকে শুরু করব, আর দোয়া করি, আপনার এই অনুগল্প যেন কখনও লেখা শেষ না হয়। আপনে সচলের শ্রেষ্ঠ লেখক, এর মাঝে কোন কিন্তু নাই।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ভাইরে-আমারে আর লজ্জা দিয়েন না। মাঝেসাঝে দু কলম লেখার হাত মকশো করি মাত্র, তাও আপনারা কষ্ট করে পড়েন তাই। লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আমারও। ভালো থাকুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

কাকাতুয়া এর ছবি

গল্পটা দারুন লাগলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।