গল্প। হায় চিল!

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: শুক্র, ১১/০৪/২০০৮ - ৫:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(শানে নুজুল: কিছুদিন আগে একটি বারওয়ারী উপন্যাস লেখার ব্যাপারে আমার প্রস্তাবনায় হিমু মন্তব্য করেছিলেন,
"আরেকটা মজার খেলা আছে। অল্প কয়েকটা চরিত্র, কিছু অনুভূতি, কয়েকটা জিনিস ... বলে দেয়া হয়, তারপর সেগুলোকে নিয়ে গল্প লিখতে হয়। যেমন, জনাব কদম রসুল, রিটায়ার্ড যুগ্ম সচিব, তাঁর অষ্টাদশী কন্যা সুমাত্রা যে কি না কত্থক নাচে, পোষা স্প্যানিয়েল কুকুর ভুট্টো। রাগ, কৌতূহল, উত্তেজনা। একটা রবারের ডান্ডা, একটা রিডার্স ডাইজেস্ট, আধখাওয়া আপেল আর একটা ছেলেদের আন্ডারওয়্যার। এখন এগুলিকে নিয়ে একটা গল্প বা গল্পাংশ দাঁড় করানো।"

হিমুর কথা মত তালিকার কয়েকটা তথ্য/জিনিস দিয়ে একটা কিছু দাঁড় করানোর চেষ্টার ফসল নিচে দেওয়া হোল। সেটা ফসল না আগাছা, তা আপনারাই ভাল বলতে পারবেন।)

চিলটা একা একা আকাশে উড়ছে।
চৈত্রের দুপুর রোদে ঝাঁঝাঁ করছে। এক চিলতে মেঘও নেই কোথাও। গোটা শহরটি যেন প্রবল জ্বরে ভোগা রোগীর মতো নিশ্চুপভাবে নেতিয়ে পড়ে আছে।

এইরকম ভরদুপুরে কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন কেউ বাইরে বেরোয়না। কিন্তু সুমাত্রা এখন ছাদে একা বসে। ছাদের এক কোণায় লাগানো বিশাল বীচ আমব্রেলাটির নীচে বসে সে অলস চোখে চিলটিকে দেখছিল।
"হায় চিল-সোনালী ডানার চিল।"

সুমাত্রার বয়েস আঠেরো। মোটামুটি ভাল দেখতে, ভাল ছাত্রী হিসেবে তার কলেজে সুনাম রয়েছে। এর পাশাপাশি সে ডিবেট করে, বিকেলে নাচের স্কুলে কথথক শেখে, হার্মোনিয়াম বাজিয়ে মোটামুটি ঠিক ভাবেই সে গান গাইতে পারে।

সুমাত্রার মা নেই, তার দেড়বছর বয়েসে তিনি ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। কেউ বলে দুর্ঘটনা, কেউ বলে সুইসাইড। সুমাত্রার বাবা জনাব কদম রসুল একজন এক্স-আমলা, জয়েন্ট সেক্রেটারী হিসেবে রিটায়ার করেছেন সম্প্রতি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একাই মানুষ করেছেন সুমাত্রাকে।

সুমাত্রা তাই জন্ম থেকেই একাকী জীবনে কাটিয়েছে। কিন্তু সে এখনো এই জীবনে অভ্যস্ত হয়নি। তাই সে প্রায়ই বিষন্ন থাকে। বিশেষতঃ গত কয়েক মাস ধরে সুমাত্রার ভয়ানক মন খারাপ। তার কেবলই মনে হয় যে এই পৃথিবীতে সে ভয়ানক একা। তার কোন বন্ধু নেই, ভালবাসার লোক নেই, তার কোন কাছের মানুষ নেই। আর সুমাত্রার যা পার্সোনালিটি, তাতে এযাবত কোন ছেলেই আজ পর্যন্ত তাকে প্রেম নিবেদন করেনি। সেধে গলাধাক্কা খাওয়ার তো কোন মানে হয়না।

কিন্তু অতি সম্প্রতি একটি পুরুষের প্রতি সুমাত্রার নজর পড়েছে। সমস্যা হচ্ছে এই যে পুরুষটির নজর সুমাত্রার প্রতি পড়েনি।

ছাদের সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে রহিমা, তার এক হাতে মোবাইল ফোন, অন্য হাতে একটি কুকুরের বাচ্চাকে জাপটে ধরে আছে। জাতে সে স্প্যানিয়েল, নাম ভুট্টো।
"আফা-আপনের ফুন। আর কুত্তাটা আফনেরে বিছরায়।"

সুমাত্রাকে দেখে ভুট্টো লাফ দিয়ে তার কোলে চলে আসে। এই কয়েকমাসের মধ্যেই সে সুমাত্রার ভয়ানক ন্যাওটা হয়েছে।
"হ্যালো।"
"সুমা-আমি ময়না।"
"কি চাস বল?"
"বিকেলে তোদের ও দিকে একটা কাজে আসবো। ভাবছিলাম তোর সাথে দেখা করবো। তুই কি থাকবি বাসায়?"
"আমি এখন বেহাগ শুনছি।"
"ও আচ্ছা। ঠিক আছে। পরে কোন এক সময় হবে।"

ফোনটা পাশের ছোট্ট টেবিলে নামিয়ে রাখে সুমাত্রা। টেবিলটি নানবিধ জঞ্জালে ভর্তি। সেখানে আধখাওয়া আপেল থেকে শুরু করে রীডার্স ডাইজেস্ট পর্যন্ত আছে। মন ভাল থাকলে টেবিলের চেহারা অন্যরকম হোত।
"বেহাগ শুনছি" লাইনটি হচ্ছে সুমাত্রার নিজস্ব কোড। কাছের বন্ধুরা জানে যে এর মানে হচ্ছে তার মন খুব খারাপ এবং এই মুহুর্তে সে কারো সাথেই দেখা করতে চায়না। (যদিও সুমাত্রা ঠিক শিওর না যে বেহাগ দুঃখের রাগ কিনা)। সুমাত্রার আরো কোড আছে। যেমন "মনে জয়জয়ন্তী বাজছে" মানে তার মনটি খুব খুশী। শেষ কবে তার মনে জয়জয়ন্তী বেজেছিল, তা মনে নেই সুমাত্রার।

সুমাত্রাদের তিনতলা বাড়ীর লাগোয়া একটি একতলা বাড়ী। সেখানে নতুন ভাড়াটে এসেছে তিন-চার মাস আগে। ভদ্রলোক একাই। বয়েস বেশী না, হয়তো তিরিশ, হয়তো তার চেয়ে কিছু কম। সুমাত্রা শুনেছে যে ভদ্রলোক সাংবাদিক। পয়সাপাতি রোজগার নিশ্চয়ই তেমন কিছু করেনা, কেননা এই পাড়াতে একমাত্র তারই কোন গাড়ী নেই। উনি রিকশায় চলাফেরা করেন।

ভদ্রলোকটিকে সুমাত্রা প্রথম দেখেছিল এক বর্ষণমুখর দিনে। সেদিন হয়তো উনি আর রিকশা পাননি। খবরের কাগজ দিয়ে মাথা ঢাকার ব্যর্থ প্রয়াস করতে করতে উনি পথ হাঁটছিলেন। তার পরণের পাজামা-পাঞ্জাবী বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপ করছে।

দোতলার জানালায় বসে সুমাত্রা বৃষ্টি দেখছিল। হঠাত্ তার চোখ পড়েছিল ভদ্রলোকের উপর। তারপর কি যে হোল কে জানে? সুমাত্রার ভেতরটা কেঁপে উঠেছিল আনন্দে। কে এই লোকটি? কেন তাকে দেখে আমার এত ভাল লাগছে, এত আপন মনে হচ্ছে? এই কি তবে প্রেম? এর জন্যেই কি মানুষ অকাতরে অগ্রাহ্য করে সবকিছু?

তারপর আর এগোয়নি ঘটনা। লোকটির কাছাকাছি আসার কোন পথ তৈরী হয়নি। বেশ কয়েকবার সুমাত্রা ইচ্ছে করে একই সময়ে বাড়ীর বার হয়েছে, যাতে করে মুখোমুখি দেখা হয়, হয়তোবা কোন এক দিন পরিচয়টা করাটাও হয়ে যাবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি।

ভদ্রলোকের যেন জন্মই হয়েছে ওসব কিছুকে অগ্রাহ্য করার জন্য। আশপাশের লোকজন, গাড়ীঘোড়া, সুন্দরী মেয়ে, কোনকিছুই যেন তার মনোযোগ আকর্ষণ করেনা। কখনো তিনি রিকসাতে বসে আকাশ দেখতে দেখতে চলে যান, কখনো বা মাটির দিকে তাকিয়ে হেঁটে যান সরলরেখায়।

সুমাত্রা মনে মনে দাঁতে দাঁত পেষে। এত কিসের ডাঁট তোমার? এত কিসের গর্ব? করোতো বাপু দু আনার রিপোর্টারগিরি। সেই গর্বেই মনে হচ্ছে বাবুর মাটিতে পা পড়ছেনা।

এই মানুষটি করে সাংবাদিকতা? সাংবাদিকদের না সব সময় চোখ-কান খোলা রাখতে হয়? এই কি তার নমুনা? একটি মেয়ে তার জন্যে প্রতিদিন উথাল-পাথাল করছে, আর উনার সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। আপনি যে কি জাতের সাংবাদিক তা ভালই বুঝতে পারছি।

অবশ্য পরিচয় করার জন্য একটা সহজ পথ রয়েছে। সেটা হোল যে সুমাত্রা একদিন সোজা গিয়ে তার সামনে দাঁড়াবে। বলবে," আমার নাম সুমাত্রা, আমি আপনার প্রতিবেশী। রোজই আপনাকে দেখে ভাবি একদিন পরিচয় করতে আসবো আপনার বাসায়। যাক, ভালই হোল, আজ আমাদের দেখা হয়ে গেল।"

কিন্তু মেয়েটি যে সুমাত্রা। দুঁদে এক্স-আমলা কদম রসুলের একমাত্র মা-মরা মেয়ে সুমাত্রা। বাপের আদরে চরম খেয়ালী সুমাত্রা। নিজে আকর্ষিত না হয়ে সব সময় অন্যকে আকর্ষণ করা সুমাত্রা। এক কথায় মাত্রাহীন সুমাত্রা। সে যাবে সেধে সেধে একজনের সাথে আলাপ করতে। ইম্পসিবল-অসম্ভব-না মুমকিন! তোমাকেই আসতে হবে আমার কাছে। কিন্তু কিভাবে?

অলস চোখে সুমাত্রা আকাশের দিকে তাকায়। চিলটি এখনো বিরামহীন ভাবে আকাশে পাক দিচ্ছে। আহা-বেচারার বোধহয় খাওয়া-দাওয়া জোটেনি এখনো।

তাহলে কি করা যায়? মনে হচ্ছে যে এতদিনের যাবতীয় মান-সম্মান জলাঞ্জলী দিয়ে সুমাত্রাকেই যেতে হবে শাহানশাহের কাছে।
আচ্ছা কি আছে লোকটির মধ্যে? কেন তাকে দেখে এমন লাগে? সেকি তার নিস্পৃহতা, নাকি আপনভোলা স্বভাব, অথবা অহংকারী গ্রীবায় হেঁটে চলার ভংগীটি? জানিনা, আমি কিচ্ছু জানিনা। শুধু জানি, ওকে ছাড়া আমি অপূর্ণ থাকবো।

চিলটি মনে হয় এবার কিছু একটা শিকার দেখতে পেয়েছে। তীরবেগে সে নেমে আসছে নীচে।

কোলের মধ্যে এতক্ষণ গুটিসুটি মেরে থাকা ভুট্টো এবার নড়ে ওঠে। লাফ দিয়ে সে উধাও হয় সিড়ির দিকে। সুমাত্রাও উঠে পড়ে চেয়ার থেকে। এখন সে নিজের ঘরে গিয়ে বিরহের গান শুনবে। প্রেম হওয়ার আগেই বিরহ। বা বা- সুমাত্রা, ভালই এগোচ্ছে সব।

নীচ থেকে একটা হাল্কা চেঁচামেচির আওয়াজ আসে। রেলিং এর উপর ঝুঁকে সুমাত্রা নীচে তাকায়। চিলটি আগের মতোন তীরবেগে উঠে আসছে উপরে। পাশের একতালা বাড়ীটির উঠোন থেকে কিছু একটা বাগিয়ে নিয়েছে সে। আচারের বোতল হয়তোবা।
সুমাত্রা সিড়ির দিকে পা বাড়ায়।

ঝুপ করে কি যেন একটা সাদা মতোন জিনিস তার সামনে এসে পড়ে। উপরের দিকে তাকিয়ে সে দেখলো চিলটি উড়ে যাচ্ছে। বোধহয় তার পা থেকে ছুটে গিয়েছে শিকারটি। আহা-বেচারী চিল!
কিন্তু জিনিসটি কি? সুমাত্রা হাত বাড়ায়।

এমা-ছি ছি! জিনিসটি একটি ভেজা আন্ডারওয়্যার। ছেলেদের। ধুয়ে হয়তো উঠোনে শুকোতে হয়েছিল, চিলটি তাকে কোন লোভনীয় জিনিস ভেবে ছোঁ দিয়েছে। ভেজা বলে ভারী ছিল, তাই বেশিক্ষন হয়তো ধরে রাখতে পারেনি চিলটি। পড়ে গেছে তার পা থেকে।

জিনিসটিকে ছুঁড়ে আবার একতলার উঠোনে ফেরত পাঠানো যায়।
রেলিং এর কাছে গিয়ে সুমাত্রার চোখে পড়লো যে ভদ্রলোক ব্যস্তপায়ে এদিকেই আসছেন। হয়তো জিনিসটির চিলের পা থেকে পড়ে যাওয়াটা দেখেছেন তিনি।

ছুঁড়তে উদ্যত হাত গুটিয়ে আনে সুমাত্রা। অনেকদিন পর তার মুখে হাসি দেখা গেল।

দ্রুতপায়ে সিঁড়ি বেয়ে সুমাত্রা নামে। চারদিক কি সুনসান, কিন্তু সুমাত্রার মনে হয় কোথায় যেন জয়জয়ন্তী রাগ বাজছে।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী দৌড়ের উপর এর ছবি

রাবারের ডান্ডা কোথায় গেল?

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ভালো লাগল। চলুক...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

এটা কি ধারাবাহিক হবে?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

তীরন্দাজ এর ছবি

মেঘ নেই, বৃষ্টি নেই , আন্ডারওয়ারেই জয়জয়ন্তী বাজিয়ে দিলেন? তবে যা ই হোক আন্ডারওয়ারটি ভেজা ছিল বটে..!

গল্পটি ভাল লেগেছে।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হিমু এর ছবি

নির্জলা প্রেমের গল্পই বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু জাঙ্গিয়া ভেজা ছিলো বলে আর বলা গেলো না। তবে চমৎকার হয়েছে। রাবারের ডান্ডাটা দিয়ে বরং দুষ্ট পাঠকের মাথায় বাড়ি দিন।

খেলাটার নিয়ম আরো আছে কিন্তু। একই ভাবে কিছু চরিত্র, কিছু জিনিস আর কিছু অনুভূতি আপনাকেও হাজির করতে হবে। সেগুলো নিয়ে মশাল জ্বালাবেন অন্য কেউ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

স্বপ্নাহত এর ছবি

হায় চিল!! নেবার মত আর জিনিস পাইলিনা!!

আমারও একই কথা... আরো পর্ব হবে নাকি?

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

কিছুদিন আগে খানিকটে অলস সময় পেয়েছিলাম, তাতে শয়তানের কারখানা মস্তিস্কটি ব্যস্ত হয়েছিল এই লেখাটির কাজে। যেহেতু লেখার সময়ই কনফিউজড ছিলাম, লেখাটি পড়ে পাঠকেরা যে কনফিউজড হবেন তা নিয়ে কিছুটা শংকাও ছিল মনে। তাই হয়েছে শেষমেশ।

বেশীর ভাগ লোকেই প্রশ্ন করেছে যে সামনে আরো পর্ব আসছে কিনা। ছোটগল্প সাধারণতঃ 'শেষ হয়ে হইলো না শেষ' কিসিমের হয় জানি, আমি সেভাবেই ইতি টানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে যে পাঠকেরা এই লেখাটির মধ্যে ভবিষ্যত কাহিনীর বীজ দেখতে পেয়েছেন। সুমাত্রার পরে প্রেম, মিলন ইত্যাদি হবে কিনা, সেটা বলার দায়িত্বভার নিতে চাইনা। যে কাহিনী শুরুই হয় ভেজা আন্ডারওয়্যার দিয়ে, তার শেষ কোথায় হতে পারে তা চিন্তা করে রীতিমত শিউরে উঠছি আমি। তার উপর জনা কয়েক আবার হাউকাউ করছেন রাবারের ডান্ডার জন্যে।

অতএব, এই কাহিনীর ইতি এখানেই। অবশ্য সাহসী কেউ যদি সামনে এগোতে চান, প্লিজ ডু সো। এই রিলে রেসের রাবারের ডান্ডা তার হাতে সঁপে দেবো নির্দ্বিধায়।

হিমু-স্যরি, কাহিনীটিকে ১০০% নির্জলা বানাতে পারিনি। দারুণ গরমের দুপুরেও আন্ডারওয়্যারটিকে ভেজাতে হয়েছিল, তা না হলে চিল ব্যাটা কি আর ছেড়ে দিতো? ওইটুকু (আন্ডারওয়্যার নিংড়ানো) জল যেকোন পানীয়তেই মার্জনীয়, আশা করি। আপনার বানানো লিস্টটি দিয়ে আরো অনেক কাহিনী বানানো যায় নিশ্চয়ই। আরো কেউ চেষ্টা করলে মন্দ হয়না।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

হিমু এর ছবি

চৈত্রের দুপুরে যেখানে রোদে জ্বলছে তপ্ত আকাশ, সেখানে জাঙ্গিয়া কেন ভেজা থেকে যায়?

পাঠকের মনে প্রশ্নের গুঞ্জরণ হার মানায় লক্ষ কোকিলের সমবেত সঙ্গীতকেও। হাঁ ভাই, সে প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে পৌঁছে দিতেই আসছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে, নাচে গানে ভরপুর হিট ছায়াছবিপোস্ট, "রবারের ডান্ডা" ... ডান্ডা .. ডান্ডা ... আন্ডা ... ডা ... ডা ... ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রায়হান আবীর এর ছবি

কিন্তু কবে কবে কবে????
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

হাঃ-হাঃ-হাঃ!
ভাগ্যিস চেয়ারটার হাতল ছিল। তা না হলে হাসপাতালে দৌড়ুতে হোত।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনাদের সবার সমস্যাটা কি একটু বলবেন? এত সব কিছু বাদ দিয়ে সবাই রবারের ডান্ডার পিছনে ঝুলোঝুলি করছেন কেন? এ্যাম আই মিসিং সামথিং?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।