অণুগল্প-১১। চিঠি।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৭/২০০৯ - ৩:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আমার মা-মণি,
আর কয়েক ঘন্টা পরেই ঘটনাটি ঘটবে। জানিনা তারপর কি হবে? তাই ভাবলাম তোমাকে কথাটি এখন বলেই যাই। আর কোনদিন যদি সুযোগ না পাই। এই কথাটি তোমাকে অনেক বার বলতে চেয়েছি, কিন্তু বলা হয়নি। কেন যেন মনে হচ্ছে--।’

ছোট্ট একটুকরো নোটপ্যাডের কাগজ। হাসপাতালের লেটারহেড ছাপা আছে উপরে।

তিতলি কাগজটি টেবিলের উপর নামিয়ে রাখলো। তারপর ধরা গলায় বললো,‘এই কাগজটি আমাকে দেবার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।’

মা মারা গেছেন সাত দিন হোল। ওপেন হার্ট সার্জারী। এখানকার হাসপাতালটি ভালো। সার্জনরাও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তারপরেও অপারেশনের টেবিলেই মারা গেলেন মা। এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে মা নেই।

গত রাতে ফোন এসেছিল। ওপাশের গলাটি ছিল ভারী মিষ্টি।
‘আমার নাম ডাঃ ইয়াসমিন। আমি কি তিতলির সাথে কথা বলতে পারি।’
‘আমিই তিতলি।’
‘আপনি কি কালকে সকালে একটু কষ্ট করে হাসপাতালে আসতে পারবেন? আপনাকে একটি জিনিস দেবার ছিল।’

ডাঃ ইয়াসমিনের বয়েস বেশী না, ত্রিশ এর কাছাকাছিই হবে। হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ায় তাকে পাওয়া গেল। তিতলিকে দেখে তিনি তার টেবিল ছেড়ে উঠে এলেন।
‘আপনিই তিতলি?’
‘জ্বি-কিন্তু আমাকে তুমি করেই বলুন। আমি সবে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।’
‘আচ্ছা-তুমি তাহলে বসো, আমি তোমার জিনিসটি নিয়ে আসছি। আর তুমি কিছু খাবে? এখানকার বীফরোলটা কিন্তু বেশ ভালো হয়।’
‘না, না, কিচ্ছু লাগবে না। আমার তেমন খিদে নেই এখন।’

পাঁচ মিনিট পরে ডাঃ ইয়াসমিন এসে ছোট্ট কাগজটি তিতলিকে দিলেন। ‘উনার বেডের পাশে পাওয়া যায় কাগজটি। হয়তো তোমাকে চিঠি লিখছিলেন তিনি সার্জারীর আগের রাতে।’

মায়ের হাতের লেখা দেখে আবার মনে পড়লো যে মা নেই। একজন মানুষের চলে যাওয়াতে গোটা সংসার কেমন যেন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বাবা একদম চুপ মেরে গেছেন। সারাদিনই শুয়ে থাকেন আর চোখ মোছেন।
ছোট ভাইটা মাঝেমাঝে রেগে ওঠে। ‘এইসব ডাক্তারদের ধরে জেলে ভরা উচিত। কসাই এক একটা। শুধু টাকাটা পকেটে পেলেই হোল। রুগী মরলো না বাঁচলো, তার কোন খবর নেই। একদিন দেবো সবাইকে বোমা মেরে উড়িয়ে।’

তিতলির চোখ পানিতে ভরে আসে। এখন কে সামলাবে এইসব? মা-তুমি আমাকে কি বলতে চেয়েছিলে? যে তুমি একেবারে চলে যাচ্ছো আমাদের ছেড়ে?

ডাঃ ইয়াসমিন তিতলির হাতে হাত রাখেন। ‘মনকে শক্ত করো, তিতলি। সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এক সময়।’
তিতলি ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে।
ডাঃ ইয়াসমিন একটু আনমনা ভাবে বলেন,‘আমি জানিনা উনি তোমাকে কি বলতে চেয়েছিলেন। তবে সার্জারীর সময় ওনাকে আমিই অ্যানাস্থেসিয়া দিয়েছিলাম। উনি তখন কাঁদছিলেন অল্প। হয়তো উনি টের পেয়েছিলেন কিছু একটা। আমি ওনাকে শান্ত হতে বলেছিলাম। উনি আমাকে তখন তোমার কথাই শুধু বললেন। বললেন, তার কিছু একটা হলে আমি যেন তোমার সাথে কথা বলি। আমি যেন তোমাকে বলি যে উনি তোমাকে খুব ভালবাসতেন। হয়তো এই কথাটিই উনি তার চিঠিতে লিখতে চেয়েছিলেন।’

তিতলির আবার বুক ভেঙে কান্না আসে। মাগো-আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি। আমি তোমাকে অনেক অনেক মিস করছি মা।

ডাঃ ইয়াসমিন ধরা গলায় বলেন,‘উনার ডেথটা খুবই সারপ্রাইজিং। আমাদের কিচ্ছু করার ছিলনা।’

হাসপাতালের শিফট শেষ হোল বিকেল চারটেয়। গাড়ীতে উঠে সিটে গা এলিয়ে দিলেন ডাঃ ইয়াসমিন।
রাস্তায় অসংখ্য ঘর-ফেরতা মানুষ। ডাঃ ইয়াসমিন সেদিকে তাকিয়ে তিতলির কথা ভাবছিলেন। আজ তিনি একটি মহাসত্য গোপন করেছেন তিতলির কাছে।

সার্জারীর আগে অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন মহিলা। ‘আমি জানি আমি আর ঘরে ফিরবোনা। আমি জানি তিতলির সাথে আমার আর কোনদিন দেখা হবে না। ওকে কথাটা আমার বলে যাওয়া হোলনা।’
‘আপনি এতো অস্থির হবেন না। আপনি ভাল হয়ে যাবেন।’ অ্যানাস্থেসিয়ার টিউব ঠিক করতে করতে ডাঃ ইয়াসমিন জবাব দিয়েছিলেন।
‘আমি যদি আর না ফিরে আসি, তাহলে আপনি কি একটা কথা তিতলিকে বলতে পারবেন?’
‘নিশ্চয়ই। বলুন কি বলবো।’
‘ওকে বলবেন যে ও ওর বাবার সন্তান না। ওর আসল বাবা ও পেটে আসার কয়েক দিন পরেই গাড়ী একসিডেন্টে মারা যায়। এ কথা আর কেউ জানে না।’

ডাঃ ইয়াসমিন একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেন। মহিলা কি পাগল ছিলেন? এই কথা কি কোন মেয়েকে বলা যায়? এই কথা জেনেই বা তিতলির কি লাভ? তিতলির মনে তার মায়ের যে চেহারাটি রয়েছে এই কথা শুনে কি তা মুহুর্তের মধ্যে অন্ধকারে ঢেকে যাবে না?

গাড়ী থামতেই দরজা খুলে ঘর থেকে দৌড়ে আসে ছোট্ট মেয়েটি। ‘আম্মু-আম্মু।’

ডাঃ ইয়াসমিন তাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরেন। ‘হ্যালো মামণি।’
মেয়েটির ঘন চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে নিঃশ্বাস নেন ডাঃ ইয়াসমিন। আহ- পৃথিবীর সব আনন্দ যেন এই শিশুটির কাছে জমা আছে।

মেয়েটির হাত ধরে বাড়ীর ভিতরে যেতে যেতে ডাঃ ইয়াসমিন আবার ভাবেন-সত্যিই মহিলাটি পাগল ছিলেন। নিজের মেয়েকে এই কথা কি কখনো বলা যায়? তিনি কি কোনদিনও শিশুটিকে মাদ্রাজের কনফারেনসের সেই রাতটির কথা বলতে পারবেন?

শিশুটি মাথা উঁচু করে তার দিকে তাকিয়ে হাসে। ‘আই লাভ ইউ, আম্মু।’


মন্তব্য

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

অন্যরকম একটা গলপ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি জানি এটা গল্প, মোটেই কোনো স্টেটমেন্ট নয় (আপনার গল্প বলার/লেখার ক্ষমতার প্রশংসা আগেই অনেক করেছি, এবারে তাই সেসব বাদ) তবুও মূল বিষয়টি নিয়ে আমার মনোভাবটা কেন যেন জানাতে ইচ্ছে হচ্ছে - যায়, এমন কথাও বলা যায়। বিশেষ করে কেউ যদি এই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগে মনে করে যে তার অতি প্রিয়জনকে একটা কথা জানিয়ে যাবে, তাহলে সেটা নিষ্ঠুর হলেও তার জানা উচিত হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আমার প্রিয় একটা টিভি সিরিজ হাউজ-এ "এ ডক্টর প্লেয়িং গড" জাতীয় ধারণা নিয়ে প্রায়ই নাড়াচাড়া করা হয়। গল্পটা আর এই মন্তব্য সেই ব্যাপারটা মনে করিয়ে দিলো। ডাক্তার আর ইশ্বরের এই সীমারেখাটা কোথায় সেটা একটা বেশ ইণ্টারেস্টিং বিষয়। এ নিয়ে সুলেখক ব্লগাররা চাইলে বিস্তারিত আলোচনার সূত্রপাত করতে পারেন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জাহিদ ভাই, আবারো এলো আপনার অসামান্য সৃষ্টি আরেকটি অনুগল্প, অসাধারণ একটি গল্প, আর কেমন যেন লাগল ২ মায়ের গোপন ভালোবাসার কথা, এভাবে কতজনের কত গোপন কথা মৃত্যুর সাথে করবে চলে যায়, ভেবে বের হয়ে এল একটা দীর্ঘশ্বাস।

বস, এবারেও বলবেন, ভার্চুয়াল গান্জা? নাকি এবার ভার্চুয়াল LSD চোখ টিপি তবে যাই হোক না কেন, তার জয়জয়কার করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জাহিদ হোসেন এর ছবি

"গোপন কথাটি রহিবে গোপনে", এই জাতীয় একটা লাইন লিখেছিলেন রবিবুড়ো। সব সত্যি প্রকাশ করা উচিৎকিনা, এটা নিয়ে আমি নিজেই অনেক সময় ধন্ধে থাকি।
এবারে গাঁজা, এলএসডি কিছুই খাওয়ার টাইম পাইনি, তার আগেই যা মনে আসে লিখে ফেলেছি।
গল্পটি পড়ার এবং পড়ে মন্তব্য করার জন্যে আবারো ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অনিকেত এর ছবি

জাহিদ ভাই,
গল্পটা ভাল।গল্পের উপস্থাপনা আরো ভাল।
কিন্তু কেন জানি মনে হল একটু তাড়াহুড়ো করে লেখা----তাই কি?

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দুর্দান্ত! আসলেই একদম হুট করে লিখেই পোস্ট করে দিয়েছি লেখাটি। হঠাৎ করেই মাথায় প্লটটি আসে। বেশী চিন্তা না করেই লিখে ফেলেছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মামুন হক এর ছবি

ভালো লেগেছে। আপনি আমাকে অণু গল্পের নেশা ধরিয়ে দিচ্ছেন ভাইজান। আবার দেখবেন ফট করে একটা জঞ্জাল লিখে ফেলব হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অণুগল্পের নেশা ছড়িয়ে পড়ুক দেশ থেকে দেশান্তরে। আপনার কাছে যা জন্জাল, আমাদের কাছে সেটাই উপাদেয়। গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাতে কি তার মান এতটুকুও কমে। আপনার লেখার ভক্ত আমি সবসময়েই। চলুক লেখা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মামুন হক এর ছবি

এইতো দিলেন পাগলকে সাঁকো নাড়ানোর অনুমতি। অণুগল্পের সব শাখা নিয়েই লেখার ইচ্ছা আছে, এখনও শিখছি আপনার গল্প পড়ে পড়ে হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। এমন গল্প যদি লিখতে পারতাম!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার কাছ থেকে ভালো সমালোচনা আশা করি। ভবিষ্যতে পাবো আশা করি।
এমন গল্প যদি লিখতে পারতাম!
এর মানে কি? লিখেছেন তো দেখলাম। পড়িনি এখনো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

এই গল্পে একটা নির্মম প্রশ্ন থাকলেও সব মিলিয়ে নরমসরম গল্প। অনেকে এই জাতীয় গল্পকে সিরিয়াসলি নিতে চান না, অভাব অশ্লীল হাংরি কিছু না হলে তাঁদের মন ওঠে না। মুশকিল হলো, আমার কিন্তু এমন গল্প খুব ভালো লাগে। সে ক্ষেত্রে খারাপ কথা বলি কেম্নে? হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আন্ডারস্টুড!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

চশমাওয়ালি এর ছবি

আপনাদের লেখা এইরকম অসাধারণ গল্প পড়েই তো আমাদের মত আম জনতার লিখতে ইচ্ছে করে।

খুব ভাল লেগেছে জাহিদ ভাই।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

একেবারে আমি যেকথাটা বলতে চাই তা বলে দিলেন আপুনি...

হুমমম...জাহিদ ভাই। খুব সুন্দর হয়েছে।

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লাগলো।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ধন্যবাদ উপরের তিনজনকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এটা একটা পুর্নাঙ্গ গল্প বলেই কিন্তু মনে হলো জাহিদ ভাই, অণুগল্পের মতো স্বল্প পরিসর লাগেনি। আপনি চমৎকার লিখেছেন।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

থ্যাংক ইউ আপনাকে। যতদূর সম্ভব চেষ্টা করেছি লেখাটির আকার ছোট রাখতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

জটিল!...আরো চাই। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল...
------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

জাহিদ হোসেন এর ছবি

দীর্ঘশ্বাস কেন? কার জন্যে?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এমন কিছু কষ্ট থাকে যার কোন প্রকাশ নেই। লেখাটা ভাল লাগলো, সাথে লেখককেও । বড় একটা ধন্যবাদ..........

অমাবস্যা

বইখাতা এর ছবি

আমার মনে হয়, সত্য যতই কঠিন হোক তা একসময় না একসময় জানা উচিত। অবশ্য এটাও ঠিক যে, সবাই সব সত্য সহ্য করতে পারেনা বা সবার জন্য সব সত্য প্রাসঙ্গিক না, আর কখনো কখনো সময় বা পরিস্থিতিও অনুকূল থাকেনা।
গল্পটা ভালো লাগলো।

নিবিড় এর ছবি

হুম......... ভাল লাগল আপনার গল্পটি চলুক
যদিও আমার মতে বাস্তবে এমন ক্ষেত্রে তিতলীকে ঘটনা টি জানান উচিত । তবে আপনার দৃষ্টিভংগীও ঠিক কারণ একটা লেখায় লেখক অসীম স্বাধী্নতা ভোগ করেন।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই লেখাটির প্রথম আইডিয়া যখন মাথায় আসে, তখন ঠিক করেছিলাম যে গল্পের ডাক্তার চরিত্রটি পুরুষ হবে। এবং শেষটা হবে যে ডাক্তারটি বাড়িতে ফিরে নিজের মেয়েকে আদর করতে করতে ভাবছে যে মেয়েটি কি আসলেই তার? তার স্ত্রী কি কোন এক দিন তিতলির মায়ের মতো সত্যটি প্রকাশ করবে? পরে কেন জানিনে গল্পের বর্তমান সমাপ্তিটিই পছন্দ হোল।
আগেই বলেছি সত্য প্রকাশের ব্যাপারটি সাবজেক্টিভ। কেইস বাই কেইস বেসিসে মতামত পাল্টায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সত্য প্রকাশ হবে কি হবে না, হলে তা কীভাবে? এসব নিয়ে হাজারো ব্যাখ্যা থাকতে পারে। কিন্তু আমি যে গল্পটা যখন পড়ি, তখন তার লেখকের ভাবনাটাই বড় আমার কাছে। এসব বিষয়ে আসলে কোনো স্ট্যান্ডার্ড নীতি নাই, থাকা উচিত না। যার যার ব্যক্তিগত।
লেখক এখানে যে পরিণতি দিছেন, তাই সই...

ভালো লাগছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

সহমত আর ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগল গল্পটা। খুব চমৎকার। নজরুল ভাইয়ের বক্তব্যের সাথে সহমত।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গল্পটার কথা উপরে সবাই বলে দিয়েছেন।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিলাম। বিয়া নাহয় কপালে নাই, কেউ একজন ঐ অল্প একটু সময়ের জন্য ভালোবাসলেও তো শান্তিতে মরতে পারতাম। অন্তত কবরে শুয়ে শুয়ে ইয়ারদোস্তদের বউপুলাপানের গল্পে যোগ দিয়ে বলতে পারতাম, "হেঃ হেঃ হেঃ চান্দুরা, আমারও কইলাম একটা পুলা আছে!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।