অণুগল্প-১৩। ওরা।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: রবি, ২৬/০৭/২০০৯ - ৮:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"আচ্ছা বলতে পারো কেন ওরা আমাদের পছন্দ করেনা? আমাদের কি দোষ?"

গত তিন দিনে এই নিয়ে বোধহয় তিন হাজার বার একই প্রশ্ন করলো নিকি। আমার বিরক্ত লাগে। সমস্যা কি ওর? যে প্রশ্নের কোন জবাব হয়না, যে প্রশ্নের উত্তর আমরা কেউ জানিনা, সেই প্রসংগ এতবার তোলার কোন মানে হয়?

আমাদের এই বসতিতে এখন সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেকের বেশী হবে না। অথচ এক সপ্তাহ আগেই আমাদের সংখ্যা এখানে প্রায় পাঁচ হাজারের উপরে ছিল।

প্রবীণেরা আশংকা করছিলেন যে একটা ভয়াবহ কিছু হবে। সে কারণেই আমাদের সবাইকে নিয়ে তারা বসেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিকি, নুবা আর মীপু’র মতো বিজ্ঞেরা। সেদিন ত্রিকি আমাদেরকে পুরনো দিনের কথা বলেছিলেন।

"তোমরা আমাদের ইতিহাস ভুলে যেওনা কখনো। ওরা সবসময় আমাদেরকে বলে এসেছে যে আমরা অস্বাভাবিক, আমরা খারাপ, আমরা ক্ষতিকর। অথচ ওরা একটিবারের জন্যও স্বীকার করেনা যে আমরা ওদেরই মতোন। আজ থেকে বহু বছর আগে আমার পিতামহের পিতামহ দিরাক এই বসতির পত্তন করেছিলেন। তিনি ও তার কয়েক সহচর তার জন্মভূমি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। কেননা ওরা তার গোটা গোষ্ঠীকে ধবংস করে দিয়েছিল, জ্বালিয়ে দিয়েছিল তাদের আদি জন্মভূমি।

দিরাক বলেছিলেন যে আমাদের গোষ্ঠীর প্রথম জনের উৎপত্তি হয়েছিল ওদের সমাজেই। অনেকটা সময় ধরে কেউ বুঝতেই পারেনি তার পার্থক্যকে। পরে দেখা গেল সে ওদের মতো জরাগ্রস্থ হয়না, সে ওদের মতো প্রজননের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেনা কিছুদিন পর। আমরা যদিও মৃত্যুঞ্জয়ী নই। কিন্তু আমরা বহুদিন বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু এ ছাড়া আমরা তো ওদের মতোই, ওরা বারবার ভুলে যায় যে প্রকৃতিই আমাদের তৈরী করেছে।"

"তারপর কি হোল?" প্রশ্ন করলো একজন।

"যখন ওরা দেখলো যে ওদের চেয়ে অনেক বেশী হারে আমাদের সংখ্যাবৃদ্ধি হচ্ছে, তখন ওর ভয় পেয়ে গেল। বললো যে আমরা খারাপ, আমরা ধ্বংস নিয়ে এসেছি, আমরা অস্বাভাবিক। এবং তখন থেকেই ওরা বারবার আমাদেরকে মারণ আঘাত হেনেছে। নতুন নতুন অস্ত্র বানিয়েছে আমাদেরকে শেষ করবার জন্যে। কিন্তু আমরা শেষ হতে হতেও শেষ হইনি। আবার নতুন করে বসতি বেঁধেছি, সন্তান-সন্ততি লালন করেছি।

প্রপিতামহ দিরাক যেমন আমাদের বলে গিয়েছিলেন, আজ আমিও তোমাদেরকে আমাদের ইতিহাস বলে যেতে চাই, কেননা আমার মনে হয় যে এতদিন ধরে আমরা ওদের চোখের আড়ালে থাকলেও আর বোধহয় বেশীদিন লুকিয়ে থাকতে পারবোনা, কেননা আমাদের সংখ্যা এখন অনেক। এতজনের পক্ষে ওদের দৃষ্টির আড়ালে থাকা সম্ভবপর নয়। ওরা আবার আসবে আমাদেরকে মেরে ফেলার জন্যে। নিয়ে আসবে বিধ্বংসী রাসয়নিক বোমা, নিয়ে আসবে মারণ রেডিয়েশন।

তাই আবার সময় হয়েছে। আবার বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়তে হবে, মিশে যেতে হবে ওদের সাথে। তারপর সুযোগ বুঝে স্থাপন করতে হবে হাজারো বসতি। এভাবেই আমরা আমাদের সংখ্যা বাড়িয়ে যাবো। একদিন ওরা অবাক হয়ে দেখবে যে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ট। সেদিন হয়তো আমি বা আমাদের অনেকেই বেঁচে থাকবোনা, কিন্তু সেদিনই হবে আমাদের জয়। সেদিন আমরাই হবো ওদের প্রভু।

এখন যাদের বয়েস কম, যারা আরো অনেক দিন বেঁচে থাকবে, তাদেরকেই নতুন বসতি পত্তন করার দায়িত্ব নিতে হবে। আর সময় নেই। তোমরা প্রস্তুতি নাও।"

এসব এক সপ্তাহ আগের কথা। সেদিন আমরা কেউই ত্রিকি আর অন্য প্রবীনদের কথা শুনিনি। আমরাতো কোন জন্ম থেকে কোন ধ্বংস দেখিনি। আমরা তো এখানে ভালই আছি। এইসব আষাঢ়ে গল্প বলে প্রবীণেরা কেন আমাদেরকে এখান থেকে তাড়াতে চাইছেন?

তিন দিন আগে হঠাৎ করে দেখলাম আমাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। জলের ধারা নিয়ে আসছে বিষ। উপর থেকে নেমে আসছে বিধ্বংসী রেডিয়েশনের অদৃশ্য প্রলয়।

চোখের সামনে ছটফটিয়ে মারা গেল সকলে। শুধু আমরা ক’জন ছাড়া। কি ভাবে যে আমরা বেঁচে গেলাম, তা জানিনা। হয়তো প্রকৃতিই আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছে কোন এক ভাবে।

নিকির পাশে বসে আছে সুহান। তার পাশে পিভু আর রিদি। আমরা বসে প্ল্যান করছি। ওদের মতে আমাদের সবারই এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত। আমি একাই শুধু এর বিপক্ষে। আমি মনে যে আমাদের কয়েকজনের এখানে থেকে যাওয়া উচিত। প্রবীনেরা সবসময় আমাদেরকে আলাদা হয়ে যেতে বলেন যাতে করে একদল মারা পড়লেও আর এক দল যেন বেঁচে থাকে।

এমন সময় একটি খবর নিয়ে এলো রাপা।

‘এবারে ওরা নাকি নতুন পদ্ধতি বার করেছে আমাদের মারার জন্যে। ওরা এবারে বাহিনী পাঠাচ্ছে যারা আমাদেরকে খুঁজে খুঁজে বার করে তারপর মারবে। লুকিয়ে থাকলেও ওরা আমাদেরকে খুঁজে বার করতে পারবে।’
‘অসম্ভব। আমরা দেখতে একদম ওদের মতো। আমরা যদি একা একা ওদের মধ্যে মিশে যাই, তাহলে আমাদেরকে দেখে চেনার কোন উপায়ই নেই।‘
‘আমি শুনেছি যে আমরা ওদের মতো দেখতে হলেও একদম এক রকম নাকি না। এই নতুন বাহিনী নাকি আমাদেরকে চিনে ফেলার কায়দা জানে। এবং চিনে ফেলার সাথে সাথে আমাদেরকে মেরে ফেলবে। এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া নাকি এক কথায় অসম্ভব।’
আমি এবারে বিরক্ত হই। কাজের সময়ে এই ধরণের বাগড়া ভালো লাগে না। ‘আচ্ছা-ঠিক আছে। তোমার কথা আমি পরে শুনবো রাপা।’
রাপা কথা বলেই চলে। ‘আমি শুনেছি যে এদের পোশাক নাকি নীল রং এর, আর এরা নাকি সাধারণতঃ জলপথ দিয়েই আসে।’

সন্ধ্যেবেলা আমরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার কথা শোনা হয়নি, তাই আমরা সবাইই একসাথে যাচ্ছি। নিকি এর মধ্যে আরো সহস্রবার প্রশ্নটি করেছে। "
কেন ওরা আমদেরকে মারতে চায়? কি অপরাধ করেছি আমরা?"
রাগে আমার শরীর কেঁপে উঠছে। সাধ্য থাকলে নিকিকে খুন করে ফেলতাম আমি।

আমরা জলপথেই যাবো। সচরাচর এই পথে যাতায়াত করতেই আমরা স্বচ্ছন্দ।

‘সবাই তৈরী?’ জলে নামবার আগে আমি জিজ্ঞেস করি।
এমনি সময় পাগলের মতো রাপা চিৎকার করে উঠলো,‘পালাও, পালাও। ওরা আসছে।’
খেয়াল করলাম যে জলের রংটি গাঢ় নীল বর্ণ ধারণ করেছে।
আমি রাপাকে জিজ্ঞেস করি,‘কে আসছে?’
‘আমি যাদের কথা বলেছিলাম। নীল বাহিনী। ওরা আমাদেরকে মেরে ফেলার জন্যে আসছে।’

একটু পরেই জলের বুকে ভেসে আসা নীল বাহিনীকে দেখা যায়। তাদের প্রত্যেকের কাছে রয়েছে মারণাস্ত্র। আমি বুঝে ফেলি যে আমাদের ভয়ানক দেরী হয়ে গেছে।

নিকি এবারে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।

----------- XXXXXXX-------

মাথা নীচু আই ভি ট্র্যানসফিউশন টিউবটি পরীক্ষা করলেন ডাক্তার। রোগিনী এখন ঘুমাচ্ছে।
বেডের পাশের চেয়ারে বসে থাকা স্বামীর উদ্বিগ্ন মুখের দিকে তাকিয়ে ডাক্তার একটু হাসলেন।
‘চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আমি অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিয়েছি। ক্যানসারের জন্য এটাই বেস্ট ট্রিটমেন্ট।’
‘তাই নাকি?’
‘হ্যাঁ। সার্জারী, কেমোথেরাপী আর রেডিয়েশন থেরাপীতেও যে ক্যান্সার কোষগুলো মরেনি, তাদেরকে এবার এই অ্যান্টিবডিগুলো খুঁজে খুঁজে বার করবে। তারপর-কচাং! হাঃ হাঃ- কচাং! একদম হিন্দি সিনেমার গব্বর সিং এর ডায়ালগের মতো। তুঝে ম্যায় চুন চুনকে মারুংগা। এবার আর ক্যান্সারের রক্ষা নেই। হাঃ হাঃ।’

গাঢ় নীল বর্ণের অ্যান্টিবডি সল্যুশনটি ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে থাকে।


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

সার্থক গল্প! কেমন যেন মিশ্র অনুভূতি হলো - নিকি, রাপাদের জন্য আক্রান্ত হিসেবে মায়া আর আক্রমণকারী হিসেবে কেমন একটা ভয়মিশ্রিত রাগ দুটোই হলো!

ক্যান্সার সেল নিয়ে লেখার আইডিয়াটা আমার কাছে খুবই অন্যরকম লাগলো হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

হঠাৎ করেই চিন্তাটি মাথায় এসেছিল। ক্যানসার সেলদেরকে সবাই অপছন্দ করে, সবাই এদেরকে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু ওদের কি দোষ? ওদের কি চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারেনা? উদ্ভট চিন্তা, মানছি সেটা। সাত-পাঁচ ভেবে লেখাটি কোনভাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলাম। কেমন হোল কে জানে?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষটাই চমৎকার লাগলো!

স্বপ্নহারা এর ছবি

ভয়াবহ মারাত্মক...চমৎকার!! এইটা জটিলা-কুটিলা কঠিন হইছে!!

হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ক্যানসার সেলদের হয়ে একটু ওকালতি করলাম আরকি? ছুটির দিনের উদ্ভট চিন্তা!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি গল্পের শেষটায় কী হবে আন্দাজ করার ব্যাপারে খুব কাঁচা, তবে দিরাক যা বলেছিলেন সেটা শুনে মনে হচ্ছিলো ভাইরাস নয় তো? তো সে যাই হোক, গল্প চমৎকার লেগেছে।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার কাছে তাহলে আমার ট্রিক খাটলো না দেখা যাচ্ছে। ভাইরাস আর ক্যানসার সেলের মধ্যে খুব মেজর পার্থক্য নেই (গল্পের খাতিরে)। সে যাকগে-লেখাটি ভালো লেগেছে সেটা জেনেই খুশী আমি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাহ! চমৎকার!

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জটিল, আবারো অবাক বিস্ময়ে পড়লাম আপনার অনুগল্প, খুব ভালো লাগল

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বাহ, বেশ জাহিদ ভাই। বেশ !!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

ভুতুম এর ছবি

জটিইইল!!!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন!!! চলুক

জাহিদ হোসেন এর ছবি

থ্যাংক ইউ উপরের সবাইকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগের গল্পের তুলনায় এটাতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন জাহিদ ভাই। অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম আপনার মোটিভ ধরতে। কিন্তু পারি নাই। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জাহিদ হোসেন এর ছবি

হঠাৎ করেই ক্যানসার সেলগুলোর জন্যে একটু মায়া লাগলো। আহা-ওদের কথাতো কেউ বলেনা। তাই ভাবলাম আমিই বলে ফেলি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ গল্প। চমৎকার।
মোটিভ ধরা যায় নি। বর্ণনা দারুণ।
খুবই ভালো লাগল।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

জাহিদ হোসেন এর ছবি

টুইস্টওয়ালা গল্প বানানো একটা ঝামেলার জিনিস। ক্লু দিতে হবে কিন্তু পুরোটা বলা যাবে না। অন্য কিছু ধরণের লেখা যায় কিনা তাই চিন্তা করছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! টুইস্টটা ভালোই জমেছে !
ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নিবিড় এর ছবি

বাহ চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মামুন হক এর ছবি

এই বিষয়টা নিয়েই আমিও ভেবেছিলাম জাহিদ ভাই। কিন্তু আপনি চমৎকার ভাবে সেটাকে গল্পে রুপান্তরিত করলেন। অভিনন্দন!
৫৫ শব্দ আর ১০০ শব্দের কিছু অণুগল্প লেখা হয় শুনেছি। দুই একটা স্যাম্পল ছাড়েন না ভাইজান। আমার অণু গল্পের প্রতি আগ্রহের কারণ কিন্তু আপনার অসাধারণ সব গল্পগুলো।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

৫৫ শব্দের মধ্যে গল্প? বলেন কি? নারে ভাই-অতো এলেম নেই আমার। আমি যত ছোট করতে চাই,লেখাগুলো কিভাবে যেন ততই বড় হয়ে যায়।
আমার লেখা আপনার ভাল লাগছে এটা জেনে খুবই খুশী হ'লাম। আপনার হাত দিয়েও অণুগল্প বেরোবে। আমরা প্রতীক্ষায় আছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

হরেকৃষ্ন এর ছবি

চমৎকার বিষয়, চমৎকার সমমর্মিতা, চমৎকার প্রতারণা! প্রতারণা যে ভাল হতে পারে, আপনি তার দিক নির্দেশনা দিলেন। অভিনন্দন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।