অণুগল্প-১৭। রূপকথা।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৭/২০০৯ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজ্যটির নাম --।
থাক, রাজ্যের নাম বলে আর কি লাভ? এমন কোন মানচিত্র নেই যেখানে ওই রাজ্যটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে।

সেই রাজ্যে আছেন এক রাজা, আছেন রানী, আর আছে এক রাজকন্যা। রাজার সুশাসনে সারা রাজ্যে শান্তি বিদ্যমান। রাজকন্যা অতীব সুন্দরী, আর সেই সাথে তার গুণেরও অভাব নেই। রাজা রানী প্রায়ই ভাবেন যে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তার যোগ্য পাত্র কই?

একদিন খুব সকালে এক যুবক এসে উপস্থিত হোল রাজপ্রাসাদের সামনে। সে রাজার দর্শনপ্রার্থী, কিন্তু একমাত্র রাজা ছাড়া আর কাউকে সে কারণটি বলবে না। অগত্যা রাজা তাকে নিভৃতে ভিতরে ডেকে পাঠালেন।

রাজা দেখলেন যুবকটির সারা গায়ে দীর্ঘ পথ ভ্রমনের ক্লান্তি, তার পরনে সাধারণ পোশাক। তার অবিন্যস্ত চুলে মিশে আছে নিস্পৃহতা, রোদে পোড়া মুখে প্রতিফলিত হচ্ছে শ্রমজীবির অহংকার। যুবকটির মধ্যে এক ধরণের দৃঢ়তা রয়েছে, যাকে ঠিক ঔদ্ধত্ব বলা যাবে না।

রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,‘কি তোমার পরিচয় যুবক, আর কেনই বা তুমি আমার কাছে এসেছো?’
‘রাজা, আমি এসেছি অতি দূরের একটি গ্রাম কৌশিল্য থেকে। সেই গ্রামের একটি ক্ষুদ্র বিদ্যাপীঠে আমি শিক্ষকতার কাজে রত। আজ আমি আপনার কাছে একটি প্রার্থনা নিয়ে এসেছি।’
‘বলো কি তোমার প্রার্থনা।’
যুবকটি একটু ইতস্ততঃ করে বলে,‘মহারাজ, আমি আপনার কন্যার পাণিপ্রার্থী। আমি তাকে আমার স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করতে চাই।’

যুবকের কথা শুনে রাজা স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। একজন সামান্য গ্রাম্য শিক্ষকের সাথে রাজকন্যার বিবাহ! এমন সম্ভাবনা স্বপ্নেও তার চিন্তায় আসেনি।

‘যুবক, তুমি ভুল করছো না তো? তোমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে। তুমি রাজী হলে আমি রাজ কবিরাজ গুল্মশ্রেষ্ঠকে অনুরোধ করবো যেন তিনি তোমাকে পরীক্ষা করেন।’
যুবকটি বিনীত ভাবে মাথা নাড়ে। ‘মহারাজ-আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে আপনার সম্মুখে উপস্থিত। আমি জানি আমি কি বলছি।’

রাজা এবারে ক্রোধান্বিত হলেন। তার মুখমন্ডল ক্রমশঃ রক্তবর্ণ ধারণ করলো।

‘তোমার এই স্পর্ধার শাস্তি সম্পর্কে কি তুমি সম্পূর্ণ অবগত আছো? তোমার কি এমন যোগ্যতা আছে যা নিয়ে তুমি আজ আমার কন্যাকে পরিণয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছো? পিতৃ-পরিচয়, অর্থ-বৈভব, বিদ্যাবুদ্ধি, না শৌর্য্য-বীর্য্য, এর কোনটি আছে তোমার?’

যুবকটি মৃদু হাসে। তারপর সে বললো,‘আমি আন্দাজ করেছিলাম যে আপনি এই প্রশ্নটি আমাকে করবেন। এ কথা সত্য যে জাগতিক এমন সম্পদ বা যোগ্যতা আমার নেই যার বলে আমি আপনার কন্যার স্বামীত্ব অর্জন করতে পারি। তবে আমার নিকট এমন একটি সম্পদ আছে যা এই পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদের উর্ধ্বে। এবং সেই সম্পদের শক্তিতেই আজ আমি আপনার সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার মতো সাহস অর্জন করেছি।’
‘কি সেই সম্পদ?’
‘সেই সম্পদ হচ্ছে আপনার কন্যার ভালবাসা। আজ থেকে দ্বাদশ চান্দ্রমাস পূর্বে অগ্রহায়নের পূর্ণিমা তিথিতে রাজকন্যার সাথে আমার হূদয় বিনিময় হয়েছে। কথা ছিল, আমরা দুজনেই এক বৎসর অপেক্ষা করবো। এই সময়ের মধ্যে যদি আমাদের একে অন্যের প্রতি ভালবাসা হ্রাস না পায়, তাহলে আমি আপনার কাছে এসে রাজকন্যাকে প্রার্থনা করবো। তারপর আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা আমাদের দাম্পত্য জীবন পরিক্রমা শুরু করবো।
গতকাল সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে এবং এই সময়টির প্রতিটি পলে আমার হূদয়ে রাজকন্যার প্রতি প্রেম কেবলই উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। বিরহপীড়ায় আমার বর্তমান জীবন শুধুই দুর্বিসহতায় পূর্ণ।’

রাজা বিস্ময়ে যেন বাক্যহারা হয়ে গেলেন। তিনি অপলকে শুধু তাকিয়ে রইলেন যুবকটির দিকে। এ কি কথা বলছে সে?

যুবকটি আবার কথা বলে,‘আজ আবার এসেছে অগ্রহায়নের পূর্ণিমা তিথি। আপনি অনুমতি দিলে আমরা দুজনে আজ রাতে কৌশিল্য অভিমুখে যাত্রা করতে ইচ্ছুক। আমাদের বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতা করতে চান রাজকন্যা। সেখানকার সকল ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক অধীর আগ্রহে পথ চেয়ে বসে আছে।’

রাজা বোধকরি এবার সম্বিত ফিরে পেলেন। ‘যুবক-নিঃসন্দেহে তোমার মতিভ্রম হয়েছে। এক বৎসর পূর্বে রাজকন্যা যদি তোমাতে আসক্ত হয়েও থাকে, আমি নিশ্চিত যে এই দীর্ঘ সময়ে তোমার কোন স্মৃতিই আজ তার মনে নেই। তুমি তাকে ভালবাসলেও সেও যে তোমার প্রেমে এখনো মত্ত তা তুমি কি ভাবে নিশ্চিত হলে?’

যুবকটির মুখে আবারও স্মিত হাসি দেখা দেয়। ‘আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন রাজা, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে যে আপনি প্রকৃত ভালবাসা সম্পর্কে অবহিত নন। যারা প্রকৃতভাবে ভালবাসে তারা একে অন্যের মনের চিন্তাটি যোজন যোজন দূরে থেকেও জানতে পারে। আমি জানি যে রাজকন্যা আজ সকাল থেকে অধীর হয়ে আমার প্রতীক্ষা করছেন। আপনি আর বিলম্ব না করে ---।’

রাজার এইবার ধৈর্য্যচ্যুতি হয়। তিনি উচ্চকণ্ঠে বলে ওঠেন, ‘রুদ্ধ করো এই উন্মাদের প্রলাপ! আমি জানিনা তুমি তোমার কোন পিতৃপুরুষের পূণ্যের বদলে এখনো আমার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলছো। যদি তোমার জীবনের প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া পোষণ করে থাকো, তবে অনতিবিলম্বে এই রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করো। তোমার এবং রাজকন্যার প্রণয় অসম, এবং এই পরিণয়ের ফল কখনোই শুভ হবে না।’

যুবকটির চোখে মুখে আতংকের কোন লেশ মাত্র নেই। সে স্থির কণ্ঠে বলে,‘ভালোবাসা উচ্চ-নিচ বিচার করেনা। এখানে কেউই কারো অসম নয়, এখানে সবাইই একই তলে থাকে। আর আমার প্রাণের ভয় করিনে আমি, আপনি আমাকে যে কোন শাস্তি দিতে পারেন। আমি কেবল রাজকন্যার মঙ্গলচিন্তায় ভারাক্রান্ত। আমার অনুপস্থিতি তাকে প্রচন্ড শোকাভিভূত করবে। আর আমি জানিনা যে সেই ভার বহন করবার মতো শক্তি রাজকন্যার আছে কিনা। আমি জানিনা ভালবাসাহীন ভাবে রাজকন্যা বেঁচে থাকতে পারবে কিনা।’

রাজা এই প্রশ্নের কোন জবাব দিলেন না, শুধু তর্জনী দিয়ে ইংগিত করলেন। পর্দার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা প্রহরীরা মুহুর্তের মধ্যে উপস্থিত হোল। তারা যখন যুবককে শৃংখলে বাঁধছে, তখনও যুবকের মুখে সেই স্মিত হাসিটি একটুও ম্লান হয়নি।

রাজা শুধু বললেন,‘ যাও যুবক-পরপারে তুমি তোমার প্রেমিকাকে অন্বেষণ করো। তোমাকে আমি মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিলাম যা অনতিবিলম্বেই কার্য্যকরী হবে।’

সেইদিন সন্ধ্যেবেলা যখন সূর্য্য পাটে বসেছে, রাজকন্যা রাজার কক্ষে এলো। তার আনতচোখে শংকা এবং বিষাদের যুগপৎ উপস্থিতি। বিনম্র পায়ে সে রাজার পদতলে বসলো।
রাজা মনে মনে নিজেকে সংযত করলেন। সাবধানে, খুব সাবধানে কথা কইতে হবে এখন।
‘বাবা।’
‘বলো মা- কেমন কাটলো তোমার আজকের দিনটি?’
‘বাবা-আজ সারাটি দিন আমি একজনের প্রতীক্ষা করেছি। কিন্তু সে আসেনি।’
‘কে সে? আর প্রতীক্ষায় দিনাতিপাত করেছো তুমি?’
‘আমার এক বন্ধু। সে আমাকে কথা দিয়েছিল যে সে অগ্রহায়নের পূর্ণিমা তিথিতে আমার সাথে সাক্ষাত করতে আসবে। আজ সেই দিন। একটু পরেই এই ভুবন চাঁদের আলোয় ভেসে যাবে। কথা ছিল যে সে আমাকে এই জ্যোৎস্নার মধ্যে একটি নতুন স্থানে নিয়ে যাবে। আমি সারা দিন সেই স্বপ্নে বিভোর ছিলাম। কিন্তু সে আসেনি।’
‘আশ্চর্য্য-কথা দিয়ে সে কথা রাখেনা, কেমন মানুষ সে? হয়তো বা সে ভুলে গেছে তোমার কাছে করা অংগীকারের কথা। হয়তো সে অন্য বন্ধুদের নিয়ে জ্যোৎস্না দেখায় ব্যস্ত। হয়তো সে তোমার প্রকৃত বন্ধু নয়।’
রাজার কথায় রাজকন্যা সচকিত হয়ে রাজার দিকে তাকালো। রাজার চোখে চোখ রেখে কি যেন দেখলো সে। রাজা মনে মনে শংকিত হলেন। তবে কি তার ছল ব্যর্থ হোল?

রাজা আবার কথা বলেন, ‘প্রিয় কন্যা আমার-তুমি কি ভুলে গেছো যে তুমি এই রাজ্যের রাজার দুহিতা? একজন সাধারণ প্রজা কিভাবে তোমার বন্ধুত্ব আর বিশ্বাস দাবী করে? তোমার পাশে দাঁড়ানো মানুষটি হবে শৌর্য্যে-বীর্য্যে অতুলনীয়, রূপে-গুণে মহিমান্বিত। তুমি তো একজন সাধারণ মানুষের সংগ কামনা করতে পারোনা।’

রাজকন্যা বোধকরি তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। সে ধীরে উঠে দাঁড়ায়। নম্র পায়ে সে চলে যেতে যেতে আবার ফিরে আসে। নীচু হয়ে সে রাজাকে প্রণাম করে।

রাজা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন,‘আজ তো তোমার জন্মতিথি নয়। তুমি আমাকে হঠাৎ কেন প্রণাম করলে কেন? আজ কি কোন বিশেষ দিবস?’
রাজকন্যা মৃদু স্বরে বলে,‘আর যদি তোমাকে কোনদিন প্রণাম করতে না পারি। আর যদি কোনদিন দেখা না হয়।’

রাজা এ কথার জবাব দেওয়ার আগেই রাজকন্যা প্রস্থান করে।

পরদিন থেকে রাজকন্যাকে আর কেউ কোনদিন দেখেনি। কেউ জানেনা রাজকন্যা কখন, কিভাবে, কেন এবং কোথায় চলে গেল। শুধু রাজা বুঝতে পারেন সঠিক কারণটি। শুধু রাজা বুঝতে পারেন যে প্রেমের আলোতে মিথ্যারা কিছুতেই আত্মগোপন করতে পারেনা।

সে দিন রাজার মিথ্যাকথন রাজকন্যার কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিল।

কন্যার শোকে রাজাও আর বেশীদিন বাঁচেননি। তবে তিনি চলে যাওয়ার আগে রাজকন্যার একটি বিশাল শ্বেতপাথরের মূর্তি নির্মানের আদেশ দিয়ে যান। মূর্তিটি কালে কালে রাজ্যের আলোচিত বিষয়বস্তু হয়ে পড়ে।

কি এক অজানা কারণে প্রেমিক-প্রেমিকারা এই মূর্তিটি দেখতে দূর-দূরান্তর থেকে চলে আসে। আর প্রতি অগ্রহায়নের পূর্ণিমা রাতে জ্যোৎস্নার আলোর নীচে মূর্তিটি থেকে একটি অদ্ভুত আভা বিকিরীত হয়। কেউই তার কারণ আজও জানেনা।

ক্রমে ক্রমে রাজকন্যা বা তার মূর্তিটির খ্যাতি এতই প্রসিদ্ধ হয়ে গেল, যে একসময়ে রাজ্যের নামটিই বদলে গেল। এখন তার নাম--।
থাক- রাজ্যটির নাম বলে আর কি লাভ? কোন মানচিত্রেই রাজ্যটিকে আজ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।


মন্তব্য

জাহিদ হোসেন এর ছবি

লেখাটি আমার মতে একটি উৎকৃষ্ট জগাখিচুড়ি। কাহিনী এবং ভাষার। কি আর করা? এটাই ছিল হাতের কাছে, তাই দিয়ে দিলাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

রচনাটি পাঠ করে অন্যরকম স্বাদ পাইলাম হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

(জগা)খিচুড়ির কিছু একটা স্বাদ তো পাওয়ারই কথা। সেটা ভালো না খারাপ, সে প্রশ্নে যাচ্ছিনা আর। লেখা কৈ?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আমার কাছে তো বেশ লাগলো! শুধু শুধু খিচুড়ি-টিচুড়ি বলছেন কেন!

মূলত পাঠক এর ছবি

এটা গল্প তো খারাপ নয়, তবে কি না আপনার লেখায় যেমন উইট কিংবা টানটান ব্যাপার থাকে সেটা এখানে অনুপস্থিত। সেই প্রত্যাশারই খেলা সব।

যাক, সব রকমই চাই এই দুনিয়ায়, আপনি লিখতে থাকুন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

সচলে ক'দিন রূপকথা নিয়ে একটা লেখা ছিল। তা দেখে কেন যেন ইচ্ছে হোল একটা রূপকথা লিখবার। এখন বুঝছি সেটা একটা ব্যাড আইডিয়া ছিল। তার উপর আবার সাধু-চলিত ভাষার সংমিশ্রন হোল।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

অনেক পরিচিত এক গল্প মনে হচ্ছিল পড়তে পড়তে। চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাষার জগাখিচুড়িটা নিয়ে দুকথা লিখবো বলে এসেছিলাম, এসে দেখি আপনি নিজেই বলে দিছেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

নিজের ঢোল নিজেই পেটাই।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মামুন হক এর ছবি

ভালোবাসার গল্প জাহিদ ভাই। ভালো না লেগে উপায় আছে? হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

প্রেম-মোহাব্বতের ঢালের আড়ালে লুকিয়ে যা ইচ্ছে লিখে গেলেও অসুবিধা নেই, মনে হচ্ছে। জানা থাকলো। এরপর কাহিনী না পেলে একজোড়াকে আমদানী করে ফেলবো।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মামুন হক এর ছবি

কাহিনীর অভাব নাই জাহিদ ভাই, ডাইনে বায়ে তাকালেই কাহিনী। কিন্তু সেইটারে শৈল্পিক রূপ দেয়ার ক্ষমতা আছে কয়জনার? আপনার আছে, তাই মাঝে মধ্যে বেলাইনের গপ্পোও লাইনে নিয়া আসেন ঝানু কাপ্তান এর দক্ষতায়। এটা জারী থাকুক ভাইজান, এইটাই জনতার দাবী হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নীল ভ্রমর [অতিথি] এর ছবি

রুপকথার কথা (ভাষা) নিয়ে যে যাই বলুক না কেন, রুপ নিয়ে কিন্তু কেউ প্রশ্ন তোলেনি। তাই গল্পকার সার্থক। ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমার ভালো লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জাহিদ হোসেন এর ছবি

থ্যাংক ইউ, নীল ভ্রমর আর শিমুল!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী এর ছবি

ভালো হয়েছে গল্পটা . আমি অন্য রকম একটা ending ধারণা করেছিলাম, কিন্তু এটি আরও চমত্কার

জাহিদ হোসেন এর ছবি

লেখা বড় হয়ে যাচ্ছিল, তার উপর আবার নাম দিয়েছি অণুগল্প। তাই তড়িঘড়ি করে একটাকে মেরে, আর অন্যটাকে উধাও করে দিয়ে কোনভাবে শেষ করতে হয়েছে এ লেখাটিকে। রূপকথা আর ভবিষ্যতে না লেখাই উচিত হবে আমার। ভালো কথা-আপনি কি ধরণের ending আশা করেছিলেন, জানতে ইচ্ছে করছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খিচুড়ি খুবই সুস্বাদু লাগল খেতে, জাহিদ ভাই হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

খিচুড়ি ভালো লেগেছে সাথে আপনার আনা বেগুন ভাজা ছিল বলে। ধন্যবাদ বিডিআর ভাই!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

স্রেফ বেগুন ভাজা? এমন বর্ষায় ইলিশ মিললো না?

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আর ইলিশ? এবারে ইলিশের আমদানী নাকি একদম কম। খবরে দেখলাম জেলেরা হতভম্ব।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।