বিয়ের ঠিক তিনদিনের মাথায় পপি টের পেয়েছিল যে তার নব্য স্বামীটির একটি সমস্যা আছে। খুব মারাত্মক কোন সমস্যা না, তবে এটা একটা সমস্যা।
তার স্বামী সাইফ এমনিতে খুবই ভালো লোক। শান্ত এবং মার্জিত। শিক্ষিত এবং উদার। সভ্য এবং দয়ালু। শুধু তার ঘাড়ের একটা রগ একটু ত্যাড়া। সেই রগের অ্যান্টেনায় যদি একবার কোন কিছু ধরা পড়ে, তাহলেই হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে শান্ত, শিক্ষিত সভ্য এবং দয়ালু মানুষটি সম্পূর্ণ ভোল পালটে ডক্টর জেকিল থেকে মিস্টার হাইড হয়ে যাবে।
তবে স্বস্তির কথাটি হচ্ছে এই যে ত্যাড়া রগটির অ্যান্টেনায় এই পৃথিবীর অনেক কিছুই ধরা পড়ে না। অতএব নিয়মিত সমস্যার কোন ভয় নেই।
সাইফ আর পপির বিয়ে হয়েছে বছর তিনেক হোল। তখন সাইফ তার পড়াশুনার পাট চুকিয়ে ফেলার শেষ দিকে। রাত জেগে থিসিসটি তৈরী করা, প্রেজেন্টশনের স্লাইড তৈরী করা, ঘন ঘন এ্যাডভাইসরের সাথে মিটিং, এইসব চলছে। সে পর্ব শেষ করে এখন সাইফ চাকরি নিয়ে চলে এসেছে ক্যানাডার উইনিপেগ নামের শহরটিতে চাকরি নিয়ে।
উইনিপেগে এসে পপি ভারী খুশি। যদিও সে শুনেছে যে এখানে শীতকালে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে , তারপরেও তার খুব ভালো লাগে শহরটিকে। পিছনে ফেলে আসা ক্যাম্পাস টাউনটি ছিল বড্ড ছোট্ট। আর এখানে কত কিছু পাওয়া যায়। ভারতীয় গ্রোসারীতে পাওয়া যায় মশলাপাতি, কালিজিরা চাল, দেশী আচার। সালোয়ার-কামিজের দোকানও আছে গোটা তিনেক। পাওয়া যায় হিন্দী সিনেমার ডিভিডি, মাঝেসাঝে জিভের স্বাদ বদলের জন্য আছে শালিমার বা তাজমহল নামের রেস্তোরাঁগুলো।
অক্টোবরের একটি সকালে শীতের প্রথম বরফটি পড়লো। ঘুম থেকে উঠে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পপি আর সাইফ প্রাণভরে দেখলো পেঁজাতুলোর মত তুষারপাত। কি সুন্দর লাগে দেখতে। সাইফ পপির চোখের দিকে তাকিয়ে হাসে।
‘ভালো লাগছে তোমার?’
‘হু-খুব সুন্দর। কিন্তু আমার এখন বমি লাগছে। সরো-আমি বাথরুমে যাবো।’
পপি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আজকাল সে প্রায় কিছুই মুখে দিতে পারেনা। ভাগ্যিস-এই শহরে দেশী গ্রোসারীর দোকানে নানান রকম আচার কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যার ব্যাপারটি হচ্ছে এই যে বর্তমানে ঘরে আচারের বোয়েম খালি। সাইফ ভেবেছিল যে আজকে দোকানে গিয়ে আচার কিনবে। কিন্তু সাত সকালে উঠে বরফ দেখে সে একটু ভয় পাচ্ছে। বরফের মধ্যে সে আগে কখনো গাড়ী চালায়নি। আর তাদের প্রিয় গ্রোসারীর দোকানটি শহরের অন্য মাথায় প্রায়।
শেষ পর্যন্ত বরফ ঠেলেই বেরোতে হোল। তবে ওদের অ্যাপার্টমেন্টের কাছের গ্রোসারী দোকান ‘ইন্ডিয়া গ্রোসারী’তেই যাওয়া হোল। যদিও কাছাকাছি, কিন্তু এই দোকানটিতে সচরাচর বাজার করতে আসা হয়না। আসা হয় অন্য কারণে। এখানে ভালো মিষ্টি পাওয়া যায়। বোধহয় স্থানীয় কেউ মিষ্টি বানিয়ে এখানে সাপ্লাই দেয়।
শেষ এখানে আসা হয়েছিল প্রায় দু মাস আগে। কার বাড়ীতে যেন দাওয়াত ছিল, এই দোকানের মিষ্টি হাতে করে নিয়ে গিয়েছিল সাইফরা।
গাড়ী পার্ক করার সময় নজরে এলো নতুন একটি দোকান হয়েছে পাশে। নাম ফ্যাশান হাউস। কাঁচের শোকেসে দেখা যাচ্ছে নানান ধরণের সালোয়ার কামিজ আর শাড়ী পরা ম্যানিকেন। সাইফ মনে মনে প্রমাদ গুনলো।
গলায় এক ধরণের নিস্পৃহতা এনে পপি বললো,‘চলতো-এই নতুন দোকানটা কি রকম দেখে যায়।’
সাইফ হাসে। ‘ভিতরে ভিতরে দোকানটাতে যাওয়ার জন্য লাফাচ্ছো, আর মুখে ভাব দেখাচ্ছো যেন তোমার কোন ইন্টারেস্টই নেই।’
পপিও হাসে। ‘তুমি বেশী কথা বলো।’
দোকানটি বেশ বড়ো। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখা গেল এখানে কাপড়-চোপড়ের পাশাপাশি থান কাপড়ও পাওয়া যায়। উইনিপেগে এতদিন কোন ভালো দেশী জামাকাপড়ের দোকান ছিলনা। সাইফ আড়চোখে খেয়াল করলো পপির চোখেমুখে আনন্দ থইথই করছে।
কাউন্টারের ওপাশে এক বুড়ো সর্দারজী। সাদা দাড়ি, মাথায় হলুদ রঙ্গের পাগড়ি। ওদেরকে দেখে সে একগাল হাসে।
‘আইয়ে আইয়ে।’
পপি শাড়ির সেকশনের দিকে এগোয়। সাইফ ঘুরে ঘুরে দেখে। দোকানটিতে বেশ অনেক ধরণের জিনিসই আছে। কাঁচের কাউন্টারের ভিতরে রকমারী চুড়ি, কানের দুল। পিছনের শেলফে আছে ইমিটেশনের আরো গয়না। মেয়েদের বাহারী চপ্পল। থান কাপড়ের কোণাটিতে একটি সেলাই মেশিনও রয়েছে। সম্ভবতঃ এরা জামা কাপড় সেলাই করার কাজটিও করে।
সাইফ একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। এই দোকানে মনে হয় তাকে আরও অনেকবার আসতে হবে ভবিষ্যতে।
’এই দ্যাখো- এই সেট টা সুন্দর না?’
সাইফ ফিরে তাকায়। পপির হাতে একটা নীল আর বেগুনী ছোপছোপ ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ।
‘হ্যাঁ-ভালই তো।’
‘অমন মুখ গোমড়া করে আছো কেন? আমি কিনছি না বাবা। শুধু এটার দাম কিরকম সেটা জানতে, তাহলে একটা আইডিয়া পাবো।’
‘ওর গায়েই তো লেখা আছে দাম। পয়ষট্টি ডলার। এর আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে?’
‘ইন্ডিয়ান দোকানে কি কেউ ওই দামে জিনিস কেনে নাকি? সব কিছুতেই দামাদামি করে নিতে হয়। তুমি একটু ওনাকে জিজ্ঞেস করোনা দামটা।’
পোশাকটি হাতে নিয়ে সাইফ এগোয় সর্দারজীর দিকে।
‘হাউ মাচ ইস দিস?’
সর্দারজী বললো,‘ইসকা কীমত সাঠ ডালার হ্যায়। আগার আপ লেংগে তো, হাম ইসকা কীমত থোড়া ঘাটা সাকতে হ্যায়।’
সাইফ বললো,‘আই এ্যাম স্যরি। আই ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াট ইউ জাস্ট সেইড। কুড ইউ প্লিজ স্পীক ইন ইংলিশ।’
সর্দারজী আমতা আমতা করে,‘মুঝে তো আংরেজী নেহি আতি। আপ কিয়া হিন্দী সামাঝতে নেহী?’
সাইফ সে কথার কোন জবাব দেয় না।
সর্দারজী আবার আমতা আমতা করে,‘আই - ইংলিশ-নো। নো ইংলিশ।’
সাইফ পোশাকটি কাউন্টারের উপর নামিয়ে রাখে। ‘আই এ্যাম স্যরি। আই অলসো ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড ইওর ল্যাংগুয়েজ। ’
সর্দারজী অসহায়ের মতো মুখ করে থাকে, তারপর সে গলা তুলে ডাকে,‘বিটিয়া, ও বিটিয়া।’
কাউন্টারের পিছনে একটি দরজা। সেটি দিয়ে এবারে একটি মেয়ে বাইরে আসে। পপির বয়েসীই হবে। কপালে অল্প সিঁদূরচিহ্ন।
সর্দারজী মেয়েটিকে হাত-পা নেড়ে দ্রুত কথা বলে যায়। মেয়েটি এবার সামনে এগিয়ে আসে।
তারপর থেমে থেমে বলে ‘ইউ -ওয়ান্ট-- দিস --ড্রেস?’
‘ওয়েল- আই জাস্ট ওয়ান্টেড টু নো হাউ মাচ ইউ ক্যান রিডিউস দ্য প্রাইস।’
মেয়েটিকে দেখে সাইফের পিছন থেকে এবার পপি সামনে চলে আসে।
‘ক্যান ইউ শো মি সাম স্যারিস?’
‘ইয়েস-ইয়েস। প্লিজ কাম।’
মেয়েটি আর পপি দোকানের অন্য কোণায় চলে যায়। সাইফ একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। আজকে যে এই দোকানে কতক্ষণ কাটাবে হবে, খোদা মালুম।
সর্দারজী অল্প একটু হাসে। মেয়েটিকে দেখিয়ে বলে,‘মেরা বেটাকি বহু। মেরি বিটিয়া।’
সাইফ হাত নেড়ে বোঝায় যে সে এই কথাটির কিছুই বুঝছে না।
বাজারঘাট সেরে বাড়ী ফিরবার সময় পপিকে খুব খুশী খুশী লাগছে। ‘এতদিন পর উইনিপেগে একটা দোকানে যেয়ে ভালো লাগলো। ওদের জামাকাপড় গুলো দেখেছো? কি সুন্দর ডিজাইন। অন্য দোকানগুলোর কালেকশন দেখে বমি আসে। ও- তোমাকে তো আসল কথাই বলা হয়নি। অমরজিৎও প্রেগন্যান্ট। একদম আমার মতো। ওর তিনমাস চলছে।’
সাইফ পপির দিকে তাকায়। ‘অমরজিৎ আবার কে?’
‘ওই যে ওই দোকানের মেয়েটা। ও হচ্ছে বুড়ো সর্দারজী মানে গুরমুখ সিং এর ছেলের বৌ।’
‘মেয়েটা যে সর্দারজীর ছেলের বৌ সেটা আমি জানি। আমি শুধু জানতাম না যে ওর নাম অমরজিৎ।’
পপি অবাক হয়। ‘তুমি এসব কি করে জানলে?’
‘কেন ওই যে সর্দারজী আমাকে বললো।’
‘ওমা-তুমিই না সর্দারজীকে বললে, যে তুমি ওর কথা বুঝতে পারছোনা। তার মানে কি তুমি হিন্দী বুঝতে পারো?’
‘সব পারিনা, তবে কিছু কিছু পারি। গব্বর সিং মার্কা বোম্বের ছবি দেখে কিছুটা হিন্দীতো এস্তেমাল করেছি। গুরমুখ সিং এর কথা যে আমি পুরো বুঝিনি তা ঠিক না, কিন্তু ওর ভাষায় আমি কথা কেন বলবো?’
পপি সাইফের অল্পক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তারপর বলে,‘অমরজিতের স্বামী এই দোকানটি খুলেছে। কিন্তু সে আবার দিনের বেলা চাকরি করে বলে দোকানে বসতে পারেনা, তাই সে তার বাবাকে পাঞ্জাব থেকে নিয়ে এসেছে। বুড়ো সর্দারজী পুরোটা জীবন বলতে গেলে তার ওই গ্রামেই কাটিয়েছে। এক মেয়ে ছিল, তার বিয়ে হয়ে গেছে। অমরজিতের শ্বাশুড়ীও মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। বুড়ো মানুষ একা একা কি করবে, তাই এখানে চলে এসেছে। দোকানে বসে সময়টা কাটায়। এখন অমরজিতের হাতে সময় আছে বলে সেও দোকানে চলে আসে। কিন্তু বাচ্চা হবার পরে তো আর কাজ করতে পারবে না। সেই সময়ে দোকান চালানোর জন্যে তো একজন লাগবে।’
সাইফ হাসে,‘তুমি তো দেখি একদিনেই ওদের চৌদ্দগুষ্ঠির সব খবর নিয়ে এসেছো।’
পপি বলে,‘আমার আর অমরজিতের বয়েস প্রায় একই, আবার তার উপর আমাদের বাচ্চাও হবে প্রায় একই সময়ে। আর ও বেচারাও উইনিপেগে এসেছে বেশীদিন হয়নি। একা একাই থাকে বেশীর ভাগ সময়ে। আমাকে বলেছে ওদের দোকানে আমরা যেন সময় পেলেই যাই। ভাগ্যিস-ও কিছু কিছু ইংরেজী জানে। তা না হলে তো আর এত কথা বলা যেতো না।’
‘তাতো বলবেই। ছলে বলে কৌশলে যে করেই খদ্দেরকে দোকানের দিকে টেনে আনা যায়।’
‘এই- আমি কিন্তু কিছুই কিনিনি আজকে।’
‘এই জন্যেইতো তোমাকে নিয়ে টানাটানি করছে।’
কদিন পর পপির খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলো।
সাইফ বললো,‘ঠিক আছে, আমি ইন্ডিয়া গ্রোসারী থেকে নিয়ে আসছি।’
‘চলো-আমিও যাই। একা একা বাসায় বসে থেকে কি করবো?’
সাইফ হাসে। ‘তোমার কোথায় যে আসলে কোন দোকানে যেতে ইচ্ছে করছে সেটা তো আমি জানিই।’
পপি বলে,‘তুমি এমন করো কেন? জামা কাপড় আর গয়নার দোকানে যেতে কোন মেয়েরই না ইচ্ছে করে বলো?’
‘তুমি কিছু কিনবে ওখান থেকে?’
‘নাহ-দেখি নতুন কি ডিজাইনের কাপড় এলো। দেখতেই তো বেশী আনন্দ।’
ওদেরকে দেখে বুড়ো গুরমুখ একগাল হাসে। ‘আইয়ে আইয়ে।’
সাইফ কিছু না বলে হাসে।
বুড়ো এবার পপির দিকে তাকায়। ‘আও বিটিয়া। পিছলে হাপ্তেমে বহুত নয়া কাপড়া আয়া।’
পপি সে কথার কিছুই বোঝেনা। সে সাইফের দিকে প্রশ্নসূচক ভাবে তাকায়। সাইফ হাত নাড়ে। সে এসব কথার মানে বোঝেনা।
বুড়োকেও এবার অসহায় মনে হয়। সে এবার গলা তুলে ডাকে,‘বিটিয়া- ও বিটিয়া।’
পেছনের দরজা দিয়ে অমরজিৎ দোকানে ঢোকে। পপিকে দেখে তার মুখটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। পপিও আনন্দ ঝলমল করতে থাকে। দুজনে কথা বলতে বলতে দোকানের অন্য দিকে চলে যায়। সাইফ একটা চেয়ারে বসে পড়ে। ঘন্টাখানেকের মামলা কমপক্ষে।
সেদিন বাসায় ফিরে পপি মুখ গম্ভীর করে থাকলো। সাইফের কথার কথার জবাব দিয়েছে কাটাকাটাভাবে। কি হোল আবার?
রাতের খাবারের শেষে সিংকের সামনে দাঁড়িয়ে সাইফ প্লেট বাটি ধুয়ে রাখছিল। পপি পাশে এসে দাঁড়ালো।
‘তোমার এই কাজটা কিন্থু ভালো হচ্ছে না।’
‘কোনটা? প্লেট ধোয়াধুয়ি?’
‘ফাজলামো করোনা। তুমি দোকানের ওই বুড়ো মানুষটার সাথে খামাখা খারাপ ব্যবহার করছো।’
‘আমি আবার কি করলাম?’
‘বেচারা বুড়ো মানুষ, ইংরেজী জানেনা বলেই সে হিন্দীতে কথা বলে। তুমি বুঝেও কেন না বোঝার অভিনয় করো?’
সাইফ তোয়ালেতে হাত মোছে। ‘এটা বোঝা না বোঝার ব্যাপার না। ও কেন ধরে নেয় যে ওর ভাষা আমি বুঝবো?’
‘সে কিছুই ধরে নেয় নি। জানলে সে নিশ্চয়ই ইংরেজীতে কথা বলতো।’
‘এটা কোন যুক্তি হোলনা। ইংরেজী তার জানা উচিত। এটাতো আর সেই পাঞ্জাবের গন্ডগ্রাম না, এখন সে থাকে ক্যানাডা নামের এক দেশের উইনিপেগ নামের এক শহরে যেখানকার ভাষা হচ্ছে ইংরেজী। দোকান চালানোর আগে তার বোঝা উচিত ছিল যে কাজটি করতে তার কি কি জিনিস জানা দরকার।’
পপি বুঝতে পারে যে সাইফের ঘাড়ের বহুদিন ধরে ঘুমিয়ে থাকা ত্যাড়া রগটি এবার জেগে উঠেছে। এটাকে তাড়াতাড়ি ঘুম না পাড়ালে পরে অসুবিধা হবে।
সে তাড়াতাড়ি বলে,‘তোমার কথায় যে যুক্তি আছে, তা আমি মানছি। আমি শুধু বলছি, যে বেচারা বুড়ো মানুষ। ওর সাথে দু একটা হিন্দী কথা বললে এমন কোন অসুবিধা হবে না তোমার। ব্যাস-এইটুকুই।’
‘এখানে ওই লোককে তুমি বেচারা বলছ কেন? ও এখানে এসে ব্যবসা করতে। আর আমি হচ্ছি ওর কাস্টমার। ওর কথামত আমি চলবো কেন? বরং ও আমার সুযোগ-সুবিধার দিকে খেয়াল রাখবে। মনে করো, ওই লোকের পছন্দ যে মহিলারা যেন শাড়ীই পরে। এখন এখানে যদি বেশীর ভাগ মহিলারা শাড়ী না পরে, আর তারপরেও ওই লোক যদি বেশী বেশী করে শাড়ীই শুধু আনাতে থাকে, তাহলে কি ওর ব্যবসা চলবে? চলবে না। কেননা সে তার কাস্টমারদের পছন্দ-অপছন্দকে পাত্তা দিচ্ছে না। ভাষার ব্যাপারেও একই কথা।
‘আজকে অমরজিৎ আমাকে বলছিল যে তার শ্বসুর নাকি আমাকে খুব পছন্দ করে। তাই আমার একটু মায়া হচ্ছিল লোকটার জন্য। আহা-বেচারা ইংরেজী জানেনা।’
সাইফ চোখ গোল করে তাকিয়ে থাকে পপির দিকে। ‘তুমি কেন যে বারবার তাকে বেচারা বেচারা বলছো, সেটাই তো আমি বুঝতে পারছিনা। সে কেন ধরে নিচ্ছে যে আমি হিন্দী জানি?’
‘কিন্তু তুমি তো আসলেই হিন্দী জানো। প্রতি সপ্তাহে বসে বসে হিন্দী সিনেমার নাচগান কে দেখে?’
‘তার সাথে এর সম্পর্ক কি? হিন্দী সিনেমাতো তুমিও দেখো, তার মানে কি তুমি হিন্দী জানো?’
পপি বুঝতে পারে যে তর্কে গেলে ত্যাড়া রগ আরো ত্যাড়া হয়ে যাবে। সে এবার সুর পালটায়।
‘আচ্ছা তাহলে তোমাকে আসল কারণটা বলি।’
‘আচ্ছা- বলো।’
‘অমরজিৎ যখন আজকে আমাকে বললো যে লোকটা আমাকে খুব স্নেহ করে, তখন আমার বারবার বাবার কথা মনে হচ্ছিল। আমার বাবাও তো একই বয়েসের মানুষ। ধরো-এই দোকানটা যদি আমাদের হোত, আর সেই দোকানে যদি বাবা বসতেন তাহলে তারও নিশ্চয়ই কথায় কথায় ইংরেজী বলতে অসুবিধা হোত। সেই কথা মনে করেই বুড়ো মানুষটার জন্য আমার মায়া লাগছিল।’
পপির চোখ ছলছল করে ওঠে। সাইফের মন অবশ্য তাতে গলে না।
‘ঠিক আছে, তুমি যখন নিজের বাবাকে এর মধ্যে টানছো, তাহলে আমিও একটা কথা বলি। আজকে যদি ওই লোকটা আমার বা তোমার বাবা হতেন, এবং ওই দোকানে কাপড় কিনতে যদি তোমার বান্ধবী অমরজিৎ বা তার স্বামী বা তার শ্বসুর আসতো, তবে তারা কি আমাদের বাবাদের দুঃখে গলে গিয়ে বাংলা ভাষা শেখা শুরু করে দিতো? দিতো না। তখন কি হোত জানো। আমাদের বাবাদেরকেই কষ্ট করে ইংরেজী শিখতে হোত, এমন কি খদ্দের চাইলে তাদেরকে হিন্দীও শিখতে হোত। কারণটি কি জানো? কারণ দ্য কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট, ব্যবসা করতে গেলে এই জিনিসটা সব চেয়ে আগে শিখতে হবে।’
‘কি জানি, এত কথা আমি জানিনা। আমার মন খারাপের কথা তোমাকে জানিয়ে রাখলাম। তুমি কি করবে, তা তুমিই জানো।’
‘আমি আর কি করবো? আর দশটা দোকানে যেভাবে ইংরেজী বলি, ওই দোকানেও তাই বলবো। আমার মতো লোক আরো দশটা যদি এখানে থাকতো, তাহলে ওই লোকটা এতদিনে ইংরেজী বাপ বাপ করে শিখে ফেলতো।’
মাস কয়েক পরের কথা। সাইফরা আবার এসেছে ফ্যাশান হাউস দোকানটিতে। পপির জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাড়ী কেনা হবে।
আজকাল গুরমুখ সিং সাইফকে দেখে একটু দূরে দূরে থাকে। সে বোধহয় সাইফকে একটু একটু ভয় পায়। যতবারই তারা এখানে এসেছে ততবারই গুরমুখ সিং ওদেরকে দেখেই তার পুত্রবধূকে ডাক দেয়। সাইফ মনে মনে হাসে। ইংরেজীটা তাড়াতাড়ি শিখে ফেলেন আংকেল। আর কতদিন?
বাচ্চা হবার সময় ঘনিয়ে আসছে কাছে। অমরজিৎ আর পপি দুজনেই যথেষ্ঠ ভারী হয়েছে। হাঁটতে কষ্ট হয়। নিঃশ্বাস নিতেও বোধহয়। দুজনেই হাঁপায়। তারপরেও তাদের কথা বলা থামে না। সাইফ চুপচাপ চেয়ারে বসে থাকে। কাউন্টারের ওপাশে গুরমুখ সিং মুখ কাঁচুমাচু করে থাকে।
শাড়ীটি দেখতে খুবই সুন্দর। আজকে দোকানে অমরজিৎ নেই। পপি নিজেই পছন্দ করেছে শাড়ীটি। ভারী চমৎকার লাল রঙ্গের শাড়ী, তার উপর হাতী হাতী ডিজাইন। সাইফেরও খুব ভাল লেগেছে। গায়ে দাম লেখা পচাত্তর ডলার।
সাইফ হাত বাড়ায়। ‘দাও আমার কাছে। দেখি দামাদামি করা যায় কিনা।’
পপি বলে,‘তুমি কথা বলবে কিভাবে? আজকে তো অমরজিৎকে দেখছিনা।’
‘দেখিই না চাচাজী এই কয়দিনে কেমন ইংরেজী শিখলো?’
‘এই-তোমার দোহাই লাগে, খামাখা খারাপ ব্যবহার করোনা। আমরা নাহয় আর একদিন এসে শাড়ী কিনবো।’
‘না-না, আমি কোন খারাপ ব্যবহার করবো না।’
সাইফকে কাউন্টারের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে গুরমুখ সিং উঠে দাঁড়ায়। মুখখানি হাসিহাসি।
‘হাউ মাচ ইজ দিস?‘ শাড়ীটি এগিয়ে দিয়ে সাইফ জিজ্ঞেস করে।
গুরমুখ আগের মতোই আমতা আমতা করে বলে,‘পায়সাকে বারেমে বাত বাদমে করেঙ্গে। মেরি বিটিয়াকো ইয়ে চীজ আচ্ছা লাগা হ্যায়। ইয়েহি সবসে বড়ি বাত হ্যায়। ম্যায় ইসে প্যাক কর দেতা হ্যায়।’
সাইফ মুখ কঠিন করে ফেলে। ‘আই ডোন্ট নো ইওর ল্যাংগুয়েজ।’
গুরমুখ সিং এর মুখটি মলিন হয়ে যায়। সে বিড়বিড় করতে করতে শাড়ীটি ব্যাগে ভরতে থাকে।
পপি পিছন থেকে বলে,‘তুমি একটুও দামাদামি করলে না?’
‘আমি কি করবো? কাকা তো ভাষা জানে না।’
সাইফ পকেট থেকে টাকা বের করে। বুড়ো হাঁ হাঁ করে ওঠে,‘নেহি, আভি নেহি। পায়সা বাদমে।’
সাইফ কঠিন মুখে পচাত্তর ডলার কাউন্টারের উপর রেখে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়।
ডাক্তার যে তারিখ দিয়েছিল, তার দু দিন আগে পপির ব্যথা শুরু হোল। ব্যাগ-ট্যাগ সব গোছানই ছিল, তাই প্রায় সাথে সাথেই হাসপাতালে চলে যেতে পেরেছিল তারা।
ঘন্টাচারেক লেবার পেইনের পরে খুব সকালে জন্ম নিল শিশুটি। মেয়ে।
হাসপাতালের ডেলিভারী রুমে কেঁদে-কেটে চোখ লাল হয়ে গেল সাইফের। পপি নিজের কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে সাইফের দিকে তাকিয়ে থাকলো। এমন নরম মানুষের সাথে বিয়ে হয়েছে তার!
শিশুটিকে কোলে নিয়ে সাইফ চুপচাপ পপির বিছানার পাশে বসে থাকে। পপি হাসে। ‘মনে হচ্ছে যেন তুমিই ওর আসল মা।’
সাইফ বলে,‘এর নাম আমি রাখলাম পালোমা। বলো- নামটা সুন্দর না?’
দুপুরের দিকে পপি বললো,‘শোন-বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে থাকলে তো আর চলবে না। বিকেলে এখানকার কিছু বাঙ্গালী হয়তো আসবে বাচ্চাকে দেখতে। দেশে থাকলে তো বাড়ী বাড়ী মিষ্টি বিলোতে হোত। তুমি অন্ততঃ কিছু মিষ্টি নিয়ে এসো। যারা আসবে তাদেরকে দেওয়া যাবে।’
সাইফের যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিলনা। পপির তাড়ায় বেরোতে হোল।
ঘর থেকে বেরোনোর সময়ে পপি পিছন থেকে বললো,‘আর পারলে বাচ্চা হ’বার খবরটি অমরজিৎকে দিও। ওদের ওখানে তো অনেকদিন যাওয়া হয়নি, কে জানে এতদিনে ওরও বাচ্চা হয়ে গেছে কিনা।’
দুপুর বলেই হয়তো দোকানটি একেবারে ফাঁকা। কাউন্টারে একাকী বসে আছে গুরমুখ সিং। সাইফকে একা ঢুকতে দেখে সে একটু অবাক হয়।
‘সব কুছ ঠিকঠাক?’
‘আই জাস্ট কেইম টু গিভ দ্য নিউজ দ্যাট উই হ্যাড আওয়ার বেবী দিস মর্ণিং।’
একথায় গুরমুখ সিং কি বুঝলো কে জানে। তবে সে হাতের ইশারায় সাইফকে অপেক্ষা করতে বলে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল।
এতো দেখি মহা মুশকিল! কথা তো বুঝিইনা, এখন আবার কি করবে কে জানে? সাইফ ঘড়িতে সময় দ্যাখে। এখান থেকে বেরিয়ে তারপর মিষ্টি কিনে হাসপাতালে পৌঁছুতে হবে।
কয়েক মিনিট পরেই গুরমুখ সিং ঘরে ঢোকে। তার হাতে একটি প্লেটে কয়েকটি লাড্ডু ধরণের মিষ্টি।
একগাল হাসি নিয়ে সে সাইফকে বলে,‘আজ মেরে লিয়ে বহুত খুশীকি দিন হ্যায়। ম্যায় দাদা বন গিয়া। মেরি বিটিয়াকো বাচ্চা হুয়া। আই-আই-নাউ গ্র্যান্ডফাদার। হাঃ-হাঃ।’
খুশীতে গুরমুখ সিং এর মুখটি ঝলমল করে। সাইফ অবাক হয়। বাহ-বেশ মজার কোইন্সিডেন্স তো। একই সময়ে পপি আর অমরজিতের বাচ্চা হওয়ার কথা সে জানতো, কিন্তু তাই বলে একই দিনে?
গুরমুখ সিং একটি মিষ্টি সাইফের মুখে তুলে দেয়।
এমনি সময়ে দরজা দিয়ে হাসি মুখ নিয়ে দোকানে ঢোকে অমরজিৎ। সাইফ সবিস্ময়ে খেয়াল করে যে অমরজিৎ এখনো অন্তঃসত্ত্বা। তাহলে? তাহলে সে কার জন্মের মিষ্টি খাচ্ছে?
অমরজিৎ বলে,‘কংগ্রাচুলেশনস! উই আর সো হ্যাপী!’
সাইফের বিস্ময়ের অবধি থাকে না।
গুরমুখকে দেখিয়ে অমরজিৎ বলে,‘হি অলওয়েজ কনসিডারস ইওর ওয়াইফ অ্যাজ হিজ ডটার। লুক হাউ হ্যাপী হি ইজ। হি অলওয়েজ কলস্ ইওর ওয়াইফ অ্যাজ বিটিয়া। থ্যাংক ইউ ফর শেয়ারিং দ্য গুড নিউজ।’
সাইফ অবাক হয়ে বুড়ো গুরমুখের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে বুঝতে পারে এতদিন সে তার জিদের কালো ধোঁয়ায় একজন বাবার হূদয়ের অপার স্নেহটিকে দেখতে পায়নি। যে স্নেহের কাছে দেশ, ভাষা, জাতি সবকিছু একাকার হয়ে যায়। একমাত্র বোকা অহংকারী মানুষেরাই সে জিনিস দেখতে পায়না।
বুড়ো গুরমুখের চেহারায় সেই ভয়ার্ত ভাবটি আজ আর নেই। সে আজকে হাসছে, একজন বাবা যেমন ভাবে তার মেয়েটির সন্তান-প্রসবের খবর শুনে হাসে।
সাইফের চোখে পানি আসে। সে কোন কথা বলতে পারেনা। শুধু বুড়ো মানুষটার হাত ধরে বলে,‘চাচাজী-মুঝে মাফ কর দেনা। ম্যায় আজ বহুত শরমিন্দা হুঁ।’
মন্তব্য
জাহিদ ভাই আপনার এই লেখার প্রথম পাঠক মনে হয়, আমি।
ভাল লাগলো পড়ে।
আমার পরিচিত একজন রগ ত্যাড়া মানুষের সাথে কিছু মিল খুজে পেলাম
আমিও ভাবছিলাম সাইফ নামটাকি নিছক কাকতাল!
আমার খুবই ভাল লাগল, জাহিদ ভাই।
গল্পের নায়ক-নায়িকাকেও বেশ 'চেনা চেনা' লাগল----
থায়েক বাই, এই গল্পের নায়ক, নায়িকা, তাদের কন্যা মায় তাদের প্রতিবেশীকে পর্যন্ত সচলের আমজনতা চেনে।
জাহিদ ভাই যে গল্পের জাদুকর তা আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হা হা হা ------
প্রথম থেকেই মনটা কুডাক দিচ্ছিল আমার। আমি সাধারণতঃ আমার লেখার চরিত্রগুলোর নাম আগে থেকে ঠিক করে রাখিনা। যখন লেখাটি শুরু করি তখন চিন্তা করি নামগুলো কি হবে। এবং এমন একটা নাম বেছে নেই যে নামের বাস্তবে কোন লোককে আমি চিনিনা। এক সময়ে এই নাম বিষয়ক ঝামেলা এড়ানোর জন্যে আমার সব লেখার প্রধান নারী চরিত্রের নাম ছিল মিরি।
এই লেখাটির সময়েও আমি এমন দুটো নাম বাছলাম যে নামের কাউকে আমি বাস্তবে চিনিনা। তখন অবশ্য মনে কু ডাক দিয়েছিল যে "সাইফ" নামটি ব্যবহার করাটা ঠিক হচ্ছে কিনা।
এ গল্পের সাইফের সাথে যদি কোন বাস্তব সাইফ, কিংবা তার পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশী, কিংবা তার রগের সোজামী বা ত্যাড়ামীর সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়, সেটি নিতান্তই কাকতালীয়।
যদি লেখাটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলেই আমি খুশী।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আহ জাহিদ ভাই, মন ভালো করে দেয়া ধ্রুপদী ঘরানার গল্প। সাহিত্যের বানিজ্যিকিকরণের এই উত্তরাধুনিক কালে আপনার অদ্ভুত মায়ামাখা গল্পগুলো যদি সব মানুষের কাছে পৌছে দেয়া যেত!
একটি দীর্ঘ সময় ধরে লেখালেখি করিনি। দু একটা টুকটাক যাও লিখেছি তার পাঠক মূলতঃ আমি নিজে। এখন আমার লেখা যে আপনারা পড়ছেন এবং মাঝেমাঝে আনন্দ পাচ্ছেন, এতেই আমি মহা খুশী। আগেও বলেছি যে আপনারা না থাকলে আমি এর কিচ্ছু লিখতাম না।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
মারাত্মক! আপনার তো কয়েকটা বই বের করা দরকার!...একের পর এক এত চমৎকার লেখেন কি করে!!
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।
ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে ঠেলেঠুলে দু এক কলম যাও বা আমি লিখতে পারি, কিন্তু বই প্রকাশের জন্য প্রকাশক খোঁজা, বা ঘোরাঘুরি করার মতো সাধ্য, লোকবল বা কানেকশান আমার নেই। আমি দেশ থেকে বহুদূরে থাকা একজন অতি সাধারণ মানুষ।
লেখাটি যে আপনার ভালো লেগেছে সেটি জেনেই আমি খুশী হয়েছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, কি বলব, ভাষা হারিয়ে ফেললাম আপনার লেখনির জাদুতে। কাকতালীয় ভাবে মিলে যাওয়া আপনার গল্পের চরিত্রের সাথে আমার মিল এতই বেশী যে কী বলব!!
খুবই আবেগী লেখা হিসাবে বিচার করব আমি এ লেখাটাকে, আর অনুগল্প নাম দিলেন কেন, সেটা অবশ্য আমার কাছে একটু বিস্ময় হয়ে থাকল। তবে আপনার এ অসামান্য সৃষ্টির আজীবন ভক্ত হলাম আর আপনার সব লেখাই আমার খুব প্রিয়, তারপরেও প্রিয় লেখায় ঝুলিয়ে রাখলাম।
লেখাটা আমাকে কিছু জায়গায় খুবই স্পর্শ করল, যেমন, শাড়ি দাম করবার সময়টা যেন পুরা চোখে দেখতে পেলাম, আর শেষে এসে মিষ্টি খাবার সময় যেন আমার চোখ ভিজে আসল, আপনে পারেন ও, পাঠকদের অনুভুতিকে এত সূচারুভাবে টানা হেঁচড়া করেন যে, একটা কথাই আসে তখন মনে, "ভয়ংকর সুন্দর"।
আবারো আপনাকে মানতে হল, থেমে যেয়েন না আবার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হায় হায়-কি সর্বনাশের কথা! শুধু নামেই তাহলে মিল সীমাবদ্ধ নয়।
আপনি কেন গল্পের সাইফের মতো ঘাড় ত্যাড়া হবেন? আপনার ঘাড় সোজা বলেই তো জানতাম।
আপনাদের সবার উৎসাহ যে আমাকে কতখানি লিখতে সাহায্য করে তা যদি আপনারা জানতেন। সেই হিসেবে গল্পগুলোর অর্ধেক মালিকানা আপনাদের সবার।
ভাল থাকুন। ত্যাড়া ঘাড় সোজা করে ফেলুন!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
কে একজন বলেছিল ত্যাড়া ঘাড় মানূষেরা নাকি সাধারনত ভাল মনুষ হয়।
এখন আমি ভাবতেসি সাইফ ভাইয়ের প্রোফাইল ছবিটাওকি একটা কাকতাল?
ছবির ঘাড় যে কাকতালীয় ভাবে ত্যাড়া, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই, আর গল্পের চরিত্র অনেকাংশে আমার চেয়ে বৃহৎ, তারপরেও কাকতালী্য ভাবে মিলে যাওয়া নাম নিয়ে আমি বেজায় খুশি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফের চরিত্রটা বেশি ভালো লেগেছে। সাথে যুক্তিগুলোও। সুন্দর গল্প!
..................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
অনেক ধন্যবাদ পান্থ!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ধুৎ মিয়া। কী লিখছেন মনে হইতাছিলো য্যান চোখের সামনে দেখতাছি।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আপনার মনে হয় অচিরেই চশমা নিতে হবে। এরকম বানোয়াট জিনিস দিনেদুপুরে দেখতে পাওয়া ঠিক না।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
এই গল্পে আমার সবচেয়ে ভালু লেগেছে নায়ক যেভাবে পপিকে কেনাকাটা করতে নিয়ে যায় । বাস্তবে একরম হলেতো আমি পাখা মেলে সারাক্ষন উড়তে থাকতুম
একজন মানুষ তাঁর আশার সমান বড়
গল্পের নায়কেরা ঐরকমই হয়। গল্পে কেনাকাটা করতে পয়সা লাগেনা, সে কারণেই মনে হয় ফটাফট দোকানে চলে যায় তারা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আপনার গল্প তৈরীর মেশিনটা একদিন ধার দিয়েন !
আমাদের সবার কাছেই কত শত গল্প আছে। অন্যের মেশিনের দরকার কি?
তবে আপনার কমেন্টটি পড়ে খুব মজা পেয়েছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
গল্পতো আসলেই আছে শতশত। কিন্তু নামাবো কিকরে?... মেশিনযে আপনার কাছে?
খুব ভাল লেগেছে ভাইয়া...
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হেহে এই লেখা এবং কমেন্ট অবশ্যই একটা যুগের আগের। তখনও মেশিন শব্দটা স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করা যেত। কিছুদিন আগে আমাদের একটা সেমিনার ছিল, সেমিনারটার নাম 'কানেক্টিং পিপল অ্যান্ড মেশিন'। মেশিন উইল নেভার বি দ্যা সেম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চমৎকার গল্প।
চলতে থাকুক গল্প মেশিন.........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনার গল্প আমিও নিয়মিত পড়ি। খুব ভাল লাগে। আজও তাই। কেমন সুন্দর এবং সাবলিল। কোন কষ্ট কল্পনা নাই।সুহ্ম বোধ আর দৈনন্দিন আনুসঙ্গেরই যত বিবরণ।ভীষণ ভাল লাগলো।
নৈশী।
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
উপরের ক'জনকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার এবং তারপর মন্তব্য করার জন্য।
ভাল থাকুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, বরাবরের মতোই ভালো লাগলো আপনার এই গল্পটা। প্রথম থেকে পড়ে খুব যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছিলো। শেষে এসে এমন একটা ব্লেন্ড দিলেন... যুক্তিটুক্তি উড়ে গেলো কোথায়...
আপনার লেখায় অনেক শক্তি... সেটা টের পাইছি সেইদিন। ব্লগের ইতিহাসে আমি কোনোদিন এতো ধৈর্য আর সময় নিয়া কোনো লেখা পড়ি নাই। আপনার ঢাবি সিরিজটার কথা বলতেছি।
আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন যে পুরো সিরিজটা আমি এক বসায় পড়ছি? পুরা ১৭টা পর্ব? উপপর্বসহ?
এখন আমার নিজেরই বিশ্বাস হইতেছে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাই নজরুল-আপনি নিজেও হয়তো জানেন না যে আপনারা সবাই আমাকে কি ভীষণ ভাবে ঘিরে রেখেছেন, রীতিমত আমাকে ঘাড়ে ধরিয়ে আদায় করে নিচ্ছেন লেখাগুলো। আমি জানতাম না যে আমার ঢাবি সিরিজটি পড়ে আপনি এত আনন্দ পেয়েছেন। সেই সময়গুলো আমার জীবনে মহামূল্যবান এক একটি মুক্তোদানা।
এই এক দিয়ে আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবান। আমি এই জীবনে অনেক মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। সে ঢাবি হোক, আমেরিকাতে হোক, বা সামহোয়্যারইন/সচলায়তন হোক, সবখানেই কেন জানিনে মানুষেরা আমাকে ঘিরে রেখেছে। আমি কারোর জন্যেই কিছু করতে পারিনি কখনো, তারপরেও। আমার পুরনো বন্ধুরা (যাদের কথা আমি ঢাবি সিরিজে উল্লেখ করেছি) এখনো আমাকে পেলে জাপটে ধরে অপার ভালবাসায়। বলে,"কি গাধা-ভালো আছিস তো?" মাঝে মাঝে গভীর রাতে কিংবা রোদজ্বলা মধ্যাহ্নে আমি সবার কথা ভাবি। কতকিছু পাইনি, কিন্তু যা পেয়েছি সেটি ক'জনে পায়? কেন যে আমি এত ভালবাসা পেলাম, সেটি অবশ্য এখনো পরিষ্কার নয় আমার কাছে।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভেচ্ছা!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
এতদিন কীর্তিনাশা ভাইকে বলতাম তাঁর অণুগল্পের ফ্যাক্টরির কথা। কিন্তু আসল ফ্যাক্টরি তো জাহিদ ভাই আপনার কাছে! দুর্দান্ত লিখেছেন। একের পর এক যেভাবে মুগ্ধ করে চলেছেন.. সত্যিই অসাধারণ
কার সাথে কার তুলনা করলেন! কীর্তিনাশা ভাই হচ্ছেন লম্বা রেসের ঘোড়া, আর আমি হচ্ছি মৌসুমী পাখি। এই আছি, আবার এই নেই।
আমার লেখাগুলো আপনার ভালো লাগছে জেনে খুব আনন্দিত হ'লাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
গল্পটা চমৎকার।
কিন্তু পাঞ্জাবের অজ পাড়াগাঁর বৃদ্ধ মনে হয় হিন্দিও জানবে না, পাঞ্জাবিতে কথা বলবে।
অতি সত্য কথা। এ জিনিস আপনার চোখ এড়াতে পারবেনা জানতাম।
তাহলে ঘটনাটি খুলেই বলি। যখন লেখাটি শুরু করলাম, তখন সমস্যা দেখা দিল। গুরমুখ সিং এর মুখের ভাষাটি কি হবে? প্রথমে ভাবলাম যে বাংলাতেই দেই যেহেতু সাইফ চরিত্রটি কাজ চালানোর মত হিন্দী জানে অতএব সে যা বুঝছে বাংলাতে তাইই লিখি। কিনতু দুলাইন লিখে দেখলাম তাতে ঠিক সাইফের ঘাড় ত্যাড়ামীটি পরিষ্কার হচ্ছে না। বুঝলাম, বাংলাতে কাজ হবে না। তাহলে যুক্তিসংগত ভাবে পান্জাবী ভাষাই দেওয়া উচিত। এখন আমি তো পান্জাবী জানিনে, হিন্দীও জানিনে। ফোন করলাম এক ভারতীয় বন্ধুকে। সে বললো যে সে কাজ চালানোর মত হিন্দী জানে এবং সে আমার লাইনগুলোকে হিন্দীতে তর্জমা করে দিল। চেষ্টা করলে যে এক পান্জাবীকে ধরে এনে কথাগুলোকে পান্জাবীতে লিখতে পারতাম না তা নয়, তবে দেখলাম বোম্বে ফিল্মের কল্যাণে অনেক বাঙালীই কিছু কিছু হিন্দী জানেন এবং তারা হয়তো হিন্দীতে লেখা কথাগুলো সরাসরি বুঝতে পারবেন । পান্জাবী ভাষা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারবেন না।
এইই হচ্ছে শানে-নুযুল।
লেখাটি পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, লেখার আড়ালে এত গল্প লুকিয়ে ছিল কে জানত, আর আপনার রিসার্চ এবং ধৈর্য দেখে অবাক হলাম আবারও
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ইংরেজী জানবে না বলে হিন্দিও জানবে না, এটা সবসময় না-ও হতে পারে। একজন পাঞ্জাবী হিন্দি জানতেই পারে, উপমহাদেশীয় কাউকে দেখলে হিন্দি আর পাঞ্জাবীর মিশেলে ভাষা বলতেই পারে। অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমুর মতো আপনারও কথা সত্য। তবে গৈ-গেরামের বুড়ো পানজাবী মানুষের পানজাবী ভাষাটা জানাই স্বাভাবিক।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ক'দিন দেরিতে এলাম সচলে, এসেই প্রথমে আপনার গল্প পড়ে ফেললাম। মনে হচ্ছে আমার কথা রেখেছেন এবং যুদ্ধ'র পর আরেকটি গল্প সেই লাইনে লিখেছেন। আপনার কলমে এমন গল্প আরো চাই।
ভাল্লাগছে আপনার মন্তব্য পড়ে। "একই লাইনের গল্প" বলতে কি আপনি বিদেশে বসে বাঙালী চেতনা জাগিয়ে রাখার কথা বলছেন? ওই জিনিস নিয়েই যদি শুধু লিখতে থাকি, তাহলেতো পাবলিকে বোরড হয়ে যাবে। দেখি অন্য কিছু টপিক নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায় কিনা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
- খুব ভালো লাগলো জাহিদ ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাংকু-থ্যাংকু!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
হাই সচলায়তনের সদস্যরা- আপনাদের মত আমিও জাহিদ হোসেনের লেখার একজন ভক্ত। এই লেখাটি পড়ে আমি খুব নস্ট্যালজিক হয়ে গেলাম। দেখলাম, কয়েকজন নিজেদের সাথে লেখার চরিত্রের মিল খুজে পেয়েছেন। সেটাই বোধহয় লেখক জাহিদ হোসেনের ম্যাজিক।
_____________________________________
http://www.facebook.com/people/Surma-Hossain/100000665071583
ভারী ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
নতুন মন্তব্য করুন