মাঝখানে বেশ কয়েকটা মাস ভালই গেল। ইয়াদ আলী আমাকে আর ইয়াদ করেনি। মাঝরাতে ফোন করে আমাকে আর জাগায়না সে।
যারা ইয়াদ আলীকে চেনেন না তাদেরকে বলছি যে সে আমার এক বন্ধু। নিউইয়র্কে থাকে। মাঝেসাঝে গভীর রাতে ফোন করে আমাকে, আর তারপর উলটোসিধে কথা বলে। তার সাথে তর্কাতর্কি করার সাহস বা শক্তি আমার নেই বলে বেশীর ভাগ সময়েই তার কথা চুপচাপ হজম করি আমি।
আমেরিকাতে এখন সামার চলছে। শীতপ্রধান শহরগুলোতে তাই লোকের আনন্দের আর সীমা নেই। সারা গায়ে রোদ মেখে তারা ঘুরে বেড়ায়। পাহাড়ে, মাঠে, পার্কে, নদীর ধারে, লেকের পাড়ে, সমুদ্রের তীরে এমনকি অলিগলিতেও মানুষেরা সূর্য্যের আলোটিকে গায়ে জড়িয়ে নেয় পরম ভালবাসায়।
আমরা বাঙ্গালীরা এসব দেখে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলি,‘যত সব আদিখ্যেতা। সারাদিন রোদে পুড়লে আমাদের গায়ের রং কালো হয়ে যাবে না?’
যাক-সে কথা থাক। কথা হচ্ছিল ইয়াদ আলীকে নিয়ে। তার নীরবতা দেখে ভেবেছি যে সে হয়তোবা তার পরিবার-পরিজন নিয়ে কোন লংড্রাইভে বেরিয়ে পড়েছে। আগেকার আমলের সম্রাটদের মতো জয় করছে ট্যুরিস্ট স্পটের পর ট্যুরিস্ট স্পট। ইয়েলোস্টোন পার্ক থেকে ডিজনীল্যান্ড, লাস ভেগাস থেকে অরল্যান্ডো, হোয়াইট হাউস থেকে মাউন্ট রাশমোর। কিছুই আর বাদ রাখবে না। বীরবাঙালী আর কতকাল নন্দলালের মতো ঘরের কোণায় বসে থাকবে?
ইয়াদ আলীর কথা ইয়াদ করতে করতে আমি নিজেও বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ি।
সামার বলে এখন দিন বড়, আর রাত ছোট। বড়ই খারাপ জিনিস। ঘুমের সময় কম পড়ে যায় তাই প্রায়ই। তবে যতটুকু ঘুমাই, সেটুকু একেবারে সলিড। কেননা ঘুম ভাঙ্গানিয়া বন্ধুটি আর আমাকে স্মরণ করেনা আজকাল।
অভাগার এই সুখ বেশীদিন টেকে না অবশ্য। এক রাতে বিকট আওয়াজে বেজে ওঠে বিছানার পাশে রাখা ফোনটি। প্রথমে ভেবেছিলাম যে স্মোক এ্যালার্ম বাজছে। পরে চোখ কচলে ধাতস্থ হয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারলাম।
‘হ্যালো।’
‘কিরে-বেঁচে আছিস তাহলে।’ ইয়াদ আলীর গলায় খোঁচা দেওয়ার সুর।
‘আর আমাদের বেঁচে থাকা। কোনমতে টিকে আছি বলা যায়।’
‘চোখে তেল দিয়ে কাঁদছিস মনে হচ্ছে। সুখ মনে হয় গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে একেবারে।’
মরো জ্বালা! একে নিয়ে তো আর পারা যায়না।
আমি রেগে গিয়ে বলি, ‘আচ্ছা ঠিক আছে। আমি ভালো আছি, খুব ভালো আছি। এতো ভালো আছি যে আমাকে দেখে পাগলা কুকুরও কামড়ানো ভুলে আনন্দধারা বহিছে ভুবনে গানটি গাওয়া শুরু করে দেবে। এবার হয়েছে? এখন কি বলবি বল। আমার ঘুম পাচ্ছে।’
আমার অকস্মাৎ এই জাতীয় বিস্ফোরনে ইয়াদ আলী বোধহয় একটু ঘাবড়ে যায়। তার গলার স্বরটিও হঠাৎ করে কেমন যেন খাদে নেমে যায়।
‘আমার অবস্থা ভালো না দোস্ত। খুবই মন খারাপ, তাই তোকে ফোন করলাম। তুই রাগ করলে ফোন রেখে দিচ্ছি।’
আমার এ কথায় অনুশোচনা হয়। আহা-বেচারা কত আশা নিয়ে আমাকে ফোন করলো, আর আমি কিনা তার কোন কথা না শুনেই ধমকাচ্ছি। অবশ্য কাঁচা ঘুম ভাংলে কারই বা মেজাজ ঠিক থাকে?
‘স্যরি। কি হয়েছে বল।’
‘কদিন ধরে শরীর ভাল লাগছিল না। কালকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। অনেক টেস্ট-ফেস্ট করে যা বললো তাতে তো আমার অবস্থা খারাপ।’
‘কেন, কি বলেছে ডাক্তার?’
‘আমার ব্লাড প্রেসার আর কোলেস্টেরল দুটোই নাকি বেশ বেশী। ডাক্তার বলেছে এগুলো তাড়াতাড়ি না কমালে সামনে অনেক দুর্ভোগ আছে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল দোস্ত। কত আশা নিয়ে তোদের এই দেশে আসলাম, এখানে ভাল ভাবে থাকবো। বাচ্চাগুলোকে ঠিকভাবে মানুষ করবো।’
আমি তাকে সান্ত্বনা দেই। ‘আরে এগুলো তো কোন অসুখই না। খাওয়াদাওয়া কন্ট্রোল করবি, আর এক্সারসাইজ করবি নিয়মিত। ব্যাস-দুদিনেই সবকিছু নরমাল হয়ে যাবে।’
‘ডাক্তারও ওই একই কথা বলেছে। বলেছে এখন সে কোন ওষুধপত্র দিচ্ছেনা। প্রথমে নিজেকে কন্ট্রোল করতে বলছে।’
‘তাহলে আর সমস্যা কি? এখন আবহাওয়া ভালো, রোজ বাইরে গিয়ে কয়েক মাইল দৌড়াবি।’
‘সমস্যাতো ঔখানেই। বাইরে দৌড়াতে কেমন যেন লজ্জা লাগে। একটা বয়সী মোটাসোটা মানুষ আমি। আমাকে দৌড়াতে দেখলে সবাই হাসাহাসি করবে না?’
‘তাহলে?’
‘চিন্তা করেছি যে একটা ট্রেডমিল কিনে ফেলবো। তাতে করে বাইরে যাওয়ার কোন দরকার নেই। শীতগ্রীষ্ম সবসময়েই দৌড়াদৌড়ি করা যাবে।’
‘সেটাও খারাপ বুদ্ধি না। কিনে ফেল তাহলে একটা ট্রেডমিল।’
‘তুইও যখন একই কথা বলছিস তাহলে আজ বিকেলেই কিনে ফেলবো একটা। তোর সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে যেন অর্ধেক ভালো হয়ে গেলাম।’
‘ভাল থাক তাহলে।’ আমি ফোন রেখে দেই।
ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
আজকাল রাতে আর ঘুমাইনা বেশী। জানি বন্ধুটির ফোন আসবে। দিনেই তাই যতটুকু পারি এখানে সেখানে ছোটখাটো ন্যাপ নিয়ে নেই।
‘হ্যালো-আমি ইয়াদ আলী বলছি।’
‘কিরে-কেমন আছিস? এক্সারসাইজ কেমন চলছে?’
‘অলমোস্ট দেয়ার।’
‘অলমোস্ট দেয়ার? তার মানে কি? ট্রেডমিল কিনিসনি এখনো?’
‘ওটা কিনেছি সেইদিনেই। একদম বিছানার কাছেই রেখেছি, যাতে ভোর বেলায় একদম বিছানা থেকে গড়িয়ে সোজা ট্রেডমিলে দাঁড়িয়ে যেতে পারি।’
‘ভালোই করেছিস। তা এখন দৈনিক কতক্ষণ দৌড়াচ্ছিস?’
ওপাশ থেকে দীর্ঘশ্বাস আসে একটা। ‘আগে কি জানতাম যে এক্সারসাইজ করার এতো ঝামেলা। ট্রেডমিল কিনলেই যদি সব হয়ে যেতো তাহলে তো আর সমস্যাই ছিল না।’
আমি অবাক হই। ‘কেন? আর কি কিনতে হবে?’
‘ওমা-দৌড়াবার উপযোগী পোশাক-আশাক লাগবে না?’
‘দৌড়াবার আবার পোশাক কি? হাফপ্যান্ট পরে দৌড়নো শুরু করে দিবি।’
‘তোর কথা শুনলে আমার কি শুধুশুধু মেজাজ খারাপ হয়? যা জানিস না, সেটা নিয়েই বড় বড় বাণী দিবি। শোন-আমার বয়সী লোকদের হাফপ্যান্ট পরলে চলবে না। আমাকে কিনতে হয়েছে ঢিলেঢালা সোয়েট প্যান্ট, তার সাথে হাতাওয়ালা সোয়েট শার্ট। মাথায় লাগাতে হয়েছে রং মেলানো তুলোতুলো হেডব্যান্ড যাতে করে মাথার ঘাম যেন চোখে না যায়। হাতের কব্জিতেও একই রঙ্গের রিস্টব্যান্ড। দেখিসনি টেনিস প্লেয়াররা পরে। দৌড়বিদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ঘাম। তাই ঘাম যেন আমাকে থামাতে না পারে তারজন্যে একটা ব্যবস্থা করতে হবেনা?’
ইয়াদ আলীর কথা শুনে আমিও ঘেমে উঠি। বাপরে-দৌড়ানোর যে এত ঝকমারী তাতো জানা ছিলনা।
‘যাক-তা এখন তো তোর সব কিছু যোগাড়যন্ত্র শেষ। তা দৌড় কি তাহলে কালকেই শুরু করবি?’
ইয়াদ আলী বোধহয় একটু হাসে। ‘তোর মতো চিন্তা করতে পারলে খুশীই হতাম। যোগাড়যন্ত্র শেষ হলো কোথায়? আরে গাধা-আসল জিনিসই তো বাকী।’
‘আবার কি বাকী রইলো?’
‘কেন-জুতো। ভাল জুতো ছাড়া দৌড়ালে পায়ের মাস্লের উপর কি রকম চাপ পড়ে জানিস? ভুল জুতো পরে দৌড়াদৌড়ি করে কত লোকে চিরকালের জন্য পংগু হয়ে গেছে তা জানিস? যাই হোক-কালকে গিয়েছিলাম জুতো কিনতে। যেটা শেষমেশ পছন্দ হলো, সেটার আবার সাইজ মেলেনা। দোকানে অর্ডার দিয়ে এসেছি। চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই এসে পড়বে। তখন থেকে শুরু হবে দৌড়ানো।’
ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো’।
‘জেগে আছিস তাহলে?’
‘এই কোন রকম। তা তোর কি অবস্থা? শরীরচর্চা কেমন চলছে?’
‘শুরুই হোলনা, তার আবার চলা আর না চলা।’
‘কেন-জুতো আসেনি এখনো।’
‘জামা-জুতো-ট্রেডমিল সবই তৈরী। আজকে যাচ্ছি গানের যোগাড় করতে।’
‘গান কেন?’
‘ওমা-খালি খালি দৌড়ানো যায় নাকি? কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে দৌড়ালে তাহলে জিনিসটাকে আর কষ্টকর বলে মনে হবে না। তাই এখন যাচ্ছি একটা আইপড কিনতে। তোকে ফোন করলাম জিজ্ঞেস করতে যে কত গিগা বাইটের আইপড কিনবো। হাজার তিনেক গান ধরে এমন যন্ত্র চাই। তাতে করে গান যেন রিপিট না হয়। বুঝলিনা-নিত্যনতুন গানের সাথে দৌড়নোর মজাই আলাদা।’
‘তুই কি কোনদিন গান শুনতি তাতো জানা ছিলনা।’
এবারে দীর্ঘশ্বাস ভেসে আসে। ‘ভাইরে-শরীরচর্চা করতে গিয়ে কতকিছুই যে বদলাতে হচ্ছে আমার, তা যদি তুই জানতি। আইপড কিনেও তো স্বস্থি নেই। ওখানে তারপর সপ্তাহখানেক ধরে হাজার তিনেক গান ঢোকাতে হবে। বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী, আরবী, ফার্সি। সব হবে ফাস্টবিটের গান।’
ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো।’
‘আজকেও ঘুমোসনি? এক রিংয়েই ফোন তুললি।’
আমি হাই তুলি। ‘এই বিছানায় যাবো যাবো করছি। তা তোর দৌড়ানো শুরু হয়েছে।’
‘নাহ-এখনো হয়নি, তবে প্রায় কাছাকাছি এসে গেছি।’
‘কেন-হাজার তিনেক গান রেকর্ড হয়নি এখনো?’
‘নারে-দোস্ত গান শোনা বাদ। তোর সাথে সেদিন কথা বলার পর চিন্তা করে দেখলাম যে আমি আসলে গানটান তেমন পছন্দ করিনা। তারচেয়ে বরং সামনে একটা টিভি থাকলে সেটা দেখতে দেখতে দৌড়াতে ভালই লাগবে। তুই তো জানিসই যে আমি টিভি বেশ পছন্দ করি।’
‘হুঁ, তা জানি।’ মনেমনে বলি,‘আরো জানে গাঁয়ের পাঁচজনে।’
‘তাই কালকেই দোকানে গিয়ে ছোট একটি টিভিসেট কিনে ফেলেছি। কেবল কানেকশান দেওয়াও কমপ্লিট। কিন্তু নতুন একটা ঝামেলা দেখা দিয়েছে।’
‘আবার কি ঝামেলা?’
‘টিভিটাকে রেখেছি ট্রেডমিলের পাশে একটা নীচু টেবিলের উপর। তারপর ট্রেডমিলের উপরে দাঁড়াতেই ধরা পড়লো ব্যাপারটা। দৌড়ানোর সময় টিভি দেখতে গেলে ঘাড়টা কেমন নীচু হয়ে যাচ্ছে। এইরকম অবস্থায় দৌড়াতে গেলে তো ঘাড়ের মাস্লের বারোটা বেজে যাবে দুদিনেই। তাই এখন আবার দোকানে যেতে হচ্ছে।’
‘কেন?’
‘কেন আবার? একটা খুব উঁচু দেখে টুল কিনতে। তার উপর টিভি রাখলে তাহলে টিভিটা একদম আমার আই লেভেলে থাকবে। ঘাড়বাঁকা করার কোন সমস্যাই থাকবে না। তাই এখন বসে তোর সাথে খোশগল্প করার সময় নেই। আমি চললাম।’
‘আচ্ছা যা তাহলে। খোদা হাফেজ।’
ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
এবারে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ফোন ধরতে দেরী হয়ে গেল।
‘কিরে-ঘুমোচ্ছিলি মনে হয়।’
‘স্যরি-একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কি খবর বল।’
‘খবর ভালই। এভরিথিং ইজ আন্ডার কন্ট্রোল।’
‘বাহ-এতো ভালো খবর। শেষ পর্যন্ত যে তোর দৌড়ানোটা শুরু করতে পেরেছিস, এটা জেনেই আনন্দ লাগছে।’
‘দৌড়ানো? আরে সে প্ল্যান তো বাদ দিয়েছি গত সপ্তাহেই।’
‘ওমা কেন?’
‘আরে-বুঝিস না আমরা হলাম গিয়ে বাংলাদেশের ছেলে। চিরটাকাল দৌড়েছি শক্ত মাটির উপর। এখন কি এইসব চলমান বেল্টের উপর দৌড়ানো পোষায়? একদিন উঠেছিলাম ট্রেডমিলে। মেশিনটা যেই না চালিয়েছি, আচানক সেটা এত জোরে চলা শুরু করলো যে আমিতো পা পিছলে ধপাস। দাঁতের নীচে পড়ে জিভ কাটলো, কনুই ছড়ে গেল, দু তিনটে দাঁতও বোধহয় নড়ে গেল। সে এক বিশ্রি ব্যাপার। তাই ডাক্তারকে গিয়ে বলেছি যে ওসব শরীরচর্চা-ফর্চা আমাকে দিয়ে হবে না। তুমি বাপু আমাকে কঠিন ডোজের ওষুধই দাও। এখন দৈনিক চারটে ট্যাবলেট খাচ্ছি। লাইফ ইজ ফাইন।’
‘সে নাহয় হোল, কিন্তূ তোর ট্রেডমিল? সেটার কি হোল?’
‘আছে। সেটা বিছানার পাশেই আছে।’
‘ব্যবহার করিসনা, অথচ ঘরে রেখে দিয়েছিস। কেন?’
‘ব্যবহার করছিনা এটা আবার তোকে কখন বললাম? চব্বিশ ঘন্টাই ব্যবহার করছি।’
‘তাই নাকি? খুলে বলতো।’
‘দোস্ত- ট্রেডমিলের মতো এত ভাল আলনা আর হয়না। একপাশে থাকে আমার জামা-কাপড়, অন্যদিকে তোর ভাবীর। ফার্স্টক্লাশ জিনিস। তুইও একটা কিনে ফ্যাল।’
এ কথার পর শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা আমার।
মন্তব্য
জাহিদ ভাই, পারেন ও আপনে, এবারের ঘটনা তো পুরাই মাশারী বাদ দিয়ে মশারীর চার দড়ি নিয়ে দৌড়াদৌড়ির মট লাগল। ব্যাপক মজা হয়েছে, কিন্তু সত্যি কথা হল, আপনার এবারের ইয়াদ আলী কিন্তু বাস্বেতর চেয়েও বাস্তব। এমন ইয়াদ আলী দেখেছি কম করেও ৪-৫ জন এপর্যন্ত। এজন্যেই মনে হয় মজা লাগল আরো বেশী। আপনে নমস্য ব্যক্তি, কাজেই জানিয়ে যাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার মশারীর দড়ির উপমাটা কিনতু যুঁৎসই হয়েছে।
হরেকৃষ্ণের সাথে একমত। মশারীর উপমাটি সাংঘাতিক। এক্সারসাইজ করা নিয়ে মাতামাতি দেখেছি অনেক, আসল কাজ কিছুই না করে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
চরম হৈছে। অবশ্য আমার অবস্থাও এই দিক দিয়া ইয়াদ আলীর মতোই।
----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
পড়ে একেবারে মজা পাই নি বলবো না, তবে আপনি আমাদের প্রত্যাশা এমন জায়গায় তুলেছেন এখন এ সবে মন ভরে না। একটু বানানোও মনে হচ্ছিলো, যেমনটা আগেকার দিনে হাসির গল্পে হতো।
নিজেই যে নিজের বড় শত্রু হয়ে যাবো, সেটা আগে কখনো ভাবিনি। কেন যেন একটু হাসির লেখা লিখতে ইচ্ছে হোল (যদিও সেটা আমার খুব একটা আসেনা)। হাতে সময় কমে আসছে দ্রুত। দেখি আর কিছু নিয়ে লেখা যায় কিনা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ট্রেডমিল যে কোনো মিল কারখানা না, এটা একটা শরীরচর্চাযন্ত্র... সেটা জানতে আমার অনেক দেরি হইছিলো... বেকুব হইলে যা হয় আর কী...
গল্প বিষয়ে মূলোদার সঙ্গে একমত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একমত। আমিও প্রথমে নাম শুনে বুঝিনি যে ট্রেডমিল বস্তুটি কি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে জাহিদ ভাই
ধন্যবাদ মামুন!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
খাইসে...ইয়াদ আলীর দেখি পুরাই আমার মতো অবস্থা ...আমিও এটা নিয়ে 'জনৈক' সচলের সাথে (ক্লু- উনি আবার বছরে একটা করে পোস্ট দেন..কিন্তু ব্যাফক হিট ) কয়দিন আগে ভনভন করলাম। খালি. মধ্যরাতে ফোন করে ত্যক্ত করি নাই এই যা
হা হা হা ----
অন্যের কথা জানিনা----আমি বি-রা-ট আনন্দ পেয়েছি----
তবে আনন্দ পাবার পেছনে একটা বড় কারণ অবশ্যই আমি নিজে---
আপনার আজকের গল্পের ইয়াদ আলী আসলে আমার প্রেতচ্ছায়া!!!
ব্যায়াম করা নিয়ে আমি হুবহু একই কান্ড করেছি। একবার নয়। বার বার। বহুবার।ডাক্তার যখনি গালিগালাজ করে তখনই রেডি হই জিমে যাবার জন্য। কিন্তু সেই পর্যন্তই। জিমে যাবার জুতো কেনা, এই কেনা সেই কেনা---তারপরেই টায়ার্ড।
এক্কেরে ইয়াদ আলীর মত!!
খুব মজা লাগল পড়ে।
আসলে এটাই মনে হয় স্বাভাবিক। বেশীরভাগ লোকেরাই তাই করে। এখান জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারী মাসে সবাই গিয়ে জিমে ভর্তি হয় (কেননা অনেকেরই নিউ ইয়ার রেজিলিউশন থাকে ওজন কমাবার), তারপর মার্চে গিয়ে জিম ফাঁকা। লেগে থাকাটাই কঠিন ব্যাপার।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
মজারু হইছে
"Life happens while we are busy planning it"
পড়ে মজা লাগলো। কিন্তু মূলত পাঠক ভাইয়ের মত আমারো একই কথা।
আর আপনি আছেন কেমন? মাস্টারি কেমন চলে? ছাত্রগুলো কথাবার্তা শুনছে তো ঠিকঠাক?
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মাস্টারী চলছে ভালই। মাঝেসাঝে রক্তচক্ষু নিয়ে তাদের দিকে কঠিনদৃষ্টিতে তাকাই। তারা তাতে ভয় না পেয়ে বরং হেসে গড়িয়ে পড়ে। কলিকাল চলছে!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আমারও
...........................
Every Picture Tells a Story
ওয়েলকাম ব্যাক, ইয়াদ আলী! আপনার গ্রীষ্মের ছোট রাতের ঘুম কেড়ে নিলেও ইয়াদ আলী কিন্তু আমাদের বেশ কিছু উপকার করে চলেছে। এই যেমন ধরুন আমার ‘ফায়ার এ্যালার্মটা’ প্রতিদিন মাঝরাতে শুধুশুধুই বেজে উঠতো, তাই তার কন্ঠনালিটা এক টানে ছিড়ে ফেলেছিলাম; তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গিয়ে ‘পাগলা ককুরের’ গলায় হলেও এই বিদেশ বিভুইয়ে ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে’ তো শোনালোই, আবার একটি আমেজের ঘুমও পাড়িয়ে দিল। আপনার ইয়াদ আলী কিন্তু বেশ সমঝদার মানুষ, পারফেকশনিষ্ট যাকে বলে! একটু স্লো, এই যা। তার পর ধরুন এই ছোট বাড়ির সব ঘরেই কাপড় চোপড় ফেলে রাখতাম, এখন ‘ট্রেডমিলকে আলনা’ বানিয়ে গেষ্টকে বসতে দিতে পারবো। আচ্ছা, ইয়াদ আলীকে বলুন না এই ট্রেডমিল-আলনা আইডিয়াটিকে পেটেন্ট করে ফেলতে? তবে ওকে জানিয়ে দেবেন আগের বার কিন্তু ও আমাকে হাসিয়েছিল বেশি!
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি। আইডিয়া পেটেন্ট করার চিন্তাটি ইয়াদ আলীকে দিতে হবে। তবে ভয় লাগছে যে সে আবার উৎসাহিত হয়ে আলনাটাকেই আবার ট্রেডমিল বানানোর চিন্তা করা শুরু না করে দেয়।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
তা'হলে ওর হাত-পা ভাংলে আপনি বিপদে পড়বেন; আইডিয়াটা ওকে দেবেনই না।
বস মানুষের বস লেখা !! বেশ মজার, শেষে এসে তবু মনে হয় আঁচ পাচ্ছিলাম কী হবে।
তারপরেও
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
অনেক মজা পেলাম। কিছুতা আচঁ আমিও করতে পেরেছিলাম শুধুমাত্র আলনাটা ছাড়া। ইয়াদ আলী আমাদের বেশ মজা দিয়ে গেলো।
আরো মজার ঘটনার আশায় থাকলাম।
আমার ভালুই লেগেছে... অনেক মিল পেলাম নিজের সাথে!
----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইয়াদ আলীর আর কি দোষ? জীবনটাই এইরকম। খালি আয়োজন আর আয়োজন। কামের কাম করার আগেই তেল ফিনিশ।
লেখা খুব ভাল লাগল পরের বার ইয়াদ আলি যখন আপনারে ইয়াদ করবে আমার তরফ থেকে তাকে একটা ধন্যবাদ দিয়েন।
লেখাটা আমার কাছেও ভীষণ মজার লাগল। ইয়াদ আলীর এরকম কাহিনী আরো আসুক।
ভালো লেগেছে। যদিও বুঝতে পারছিলাম অনেকটা বানানো, তবুও ধরতে পারছিলামনা এর পরে কী আসবে।
ট্রেডমিল দিয়ে কাপড় শুকানোর কথা শুনেছিলাম। এটা যে ভালো আলনা হতে পারে সেটা মাথায় আসেনি।
হায় রে ইয়াদ আলী?!! সিরিজ দৌঁড়াক!!
সবাইকে ধন্যবাদ অনেক। ইয়াদ আলীকে আপাততঃ কিছুদিন শিকেয় তোলা হয়েছে। যুতসই কোন গল্প পেলে তাকে আবার নামানো হবে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ট্টেডমিল = আলনা
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন