এরপর
উচ্চতর সিঁড়িতে দৃষ্টি হানে শরীর,
শব্দের পঙ্কিলতায়
রি-রি করে ওঠে নাগরিক হৃদয়,
খুব উঁচুতে উঠে হারিয়ে গেছে যে
বেলুন -
তার মতো সবকটা চিন্তা,
বর্ণক্রীড়া.
নগ্নিকার চেয়েও সুন্দর পংক্তির ছবি
আর
স্তবকের নিষ্প্রাণ চেয়ে থাকা, - দূরে
সরে যায় - আমার হাতের মুঠো হতে
সিঁড়িটির
প্রথম ধাপে পা দিতে যাব কি-না বুঝতে পারছিনা,
দ্বিধা হয, সংশয় জেগে ওঠে...
আসলে এ ধরণের চিন্তা, দ্বন্দ্ব
কিংবা
চরের মত জেগে ওঠা সংশয়ের
কেনো মানে নেই, কোনো মানে হয় না,
মানে হয় না 'মানে হয় না'
শব্দ দুটো উচ্চারণের;
তবুও বুকের মাঝে কী চমৎকার
নীল আকাশ ভেসে ওঠে - যখন কোনো
শীতার্ত রাতে তরুণীর ফ্যাকাশে
ঠোঁটে মৃদুভাবে আঙ্গুল ছুঁয়ে দিই , যখন তার
স্তনে 'কোমল' শব্দটি
জীবন্ত হয়ে উঠে তুমুল, খুব
ঠান্ডায় ভোরবেলা কোনো
অনাবৃত বালকের অবুঝ দৌড় যখন
স্মৃতির পর্দায় ম্যাজিকের মত জেগে
ওঠে, তখন, মনে হয় -
'মানে হয়না' শব্দদুটোর
আসলেই কোনো মানে হয় না।
মন্তব্য
আমার অন্যান্য লিখার চেয়ে একটু আলাদা - ধরণে; যারা কবিতা পড়তে ভালোবাসেন, কবিতাগুলো পড়ার পর তাদের অনুভূতি জানতে পারলে ভালো লাগবে।
এ অংশে 'আসলে' শব্দের ব্যবহারে মনে হয় যেনো ব্যখ্যা প্রদান করা হচ্ছে । 'আসলে','যেহেতু','একারনে' এরকম ব্যখ্যামুলক শব্দপ্রয়োগ ঠিক কবিতাসুলভ মনে হয়না । কবিতায় এতো ব্যখ্যা দেয়ার কিংবা কারনদর্শানোর তো দরকার নেই ।
খুব ঠিক । ।
একেবারেই ব্যক্তিগত মতামত জানালাম পাঠক হিসেবে । পড়তে চাই । আরো কবিতা পড়তে চাই ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভালো লাগছে আপনার লেখা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে; মোরশেদ সাহেবের জন্যে এই মন্তব্যখানি। 'আসলে' শব্দখানির আগের প্যারাগুলোতে কবি যে অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটাকেই নেড়ে চেড়ে দেখা শুরু তার পরের প্যারা থেকে; এই পুরো প্রক্রিয়াতে যে অনিচ্ছাসুলভ নির্লিপ্তি আছে, সেটার জন্যে ওই শব্দখানি ব্যবহার অপরিহার্য মনে হয়েছে।
আর, কবিতাতেই শুধু বোধহয় শব্দের অর্থ সাধারণ প্রকরণ মেনে চলে না;
ইমরুল ভাই, মাফ করে দিলাম, হে হে।
যেমন ভালো লাগেনা শব্দদ্বয়ের কোনো মানে হয় না ঠিক তেমনি আমার মন্তব্যের মানে হয় কী!
"মাটি খুব শান্ত, খনির ভেতর দাবদাহ"
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
মৃন্ময়দা, এই পদ্যখান কি ভাল লাগল না? আহা, দিলে ব্যাথা পাইলাম!!!
আর, হ, মন্তব্যের ও হয়তো মানে নাই, তারপরেও প্রশংসিত/ সমালোচিত হওয়ার লোভ আইজও আটকাইতে পারলাম না;
আফসোস!
আমি একজন জিফরানকে জানতাম যিনি বুয়েটে চান্স পেয়েও পড়েননি। উনার ইচ্ছে ছিলো বাংলায় অনার্স করা। তা অবশ্য করা হয়ে ওঠেনি। পরিবারের চাপে শেষ পর্যন্ত চিটাগাং ইউনিতে ল'তে ভর্তি হন তিনি। আপনিই কি সেইজন?
এই পোস্টে।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বুয়েট না, অন্য আরেকটা প্রখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; আর, বাংলা না,আংরেজী। এবং,হ,সি.ইউ এর ল।
এখন আমি বিলাতে,লন্ডন ইউনিতে আইন অধ্যায়নরত।
আপনি কেডা,কন ত?
ঠিক আছে। আপনি আমাকে চিনবেন না। আমি সারোয়ার আলম স্যারের কাছে আপনার কথা শুনেছি। আমিও একসময় সি.ইউ.তে ভর্তি হয়েছিলাম মেরিনে। অবশ্য ক্লাশ শুরু হওয়ার আগে ভর্তি বাতিল করি।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
সরোয়ার স্যার,কার কথা বলতেসেন?
আই.আই.ইউ.সি নাকি সি.ইউ এর?
হুম। আই.আই.ইউ.সি-র সারোয়ার আলম স্যারের কথা বলছি। avrobth@gmail এ মেইল করতে পারেন। পোস্ট বহির্ভূত আলোচনায় অনেকে বিরক্ত হতে পারেন।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন