লিখেছেন জিফরান খালেদ (তারিখ: বুধ, ১৭/১০/২০০৭ - ১১:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
সেইদিন রাত্তিরবেলাটায়, ব্ল্যাক হইয়া আউট হইল সমস্ত চরাচর, রোড-ঘাট, অবশ দুইখান পা, হেইখান্ থুন ফইরের জল, আঁজলা করে হেঁটেছি পথ, শোলক হইয়াছে বায়ুত ভীষণ - লিভ্ লঙার, লিভ্ লঙার, ... ক্যান বারবার, বারেবার, আঁরার হাঁট পইরা থাকে, থাকিয়া, জোসনাসন্দ্র বেবাক দুঃখ ভুলিওরে আবার আইস্যে, কিল্লায়, ক্যান, প্রশ্ন করিব ভাবিয়াও কইরতে পারিনাই; পারিনাই, পারি নাই. তো, কচ্ছিলাম - ব্ল্যাকের কিচ্ছা; ডমিনিয়াম আর পসেসিও, পইচ্যা গেসে মিত্তির-বাড়ির আলো, ভিয়েনার নেদার রিজিয়ন, ফাল ফারের রোমকুকুর, কুত্তা, কুত্তা, শুভ্রতার সকল বস্তু, তারকার সাগর. :
ধুত্তারি, মনটা ভাল নাই, বালা নাই মনডা, মন ভালো নেই ...
বারান্দার কাছাকাছি হইলেই ইত্যকার দিবানিদ্রা ভাঙিয়া বারান্দা জাগে, হেঁডে একখানি দরোজা, একটা মুখ : আমার বুকডা সেই মুখ দেখিলে ফাইট্যা ফাইট্যা যায়, হৃদয়ডা হইয়া ওঠে যন্দ্রণাকাতর, জোছনাচন্দ্র মিটিমিটি হাসে, হাসে, ...
মন্তব্য
বুঝেছি বললে মিথ্যা বলার দায়ে পড়বো। কিন্তু এই শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে যাওয়ার খেলা। পড়তে মজাই লাগলো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খেলা? তা একধরণের হতেই পারে... অস্তিত্বের গভীরতর কোনো অসুখ থেকে জন্ম নেয়া খেলা এটা হতেও পারে... সে যাই হোক, এ-কবিতা আসলে ভাষাজনিত যে ধাঁধাঁগুলোর মুখোমুখি আমি হই, তাদের কেন্দ্র করেই যেন গড়ে ওঠা ... ভাষার ঐতিহাসিকতা ও এলাকান্তরে অর্থ ও ধ্বনি-তাতপর্য সংগঠনের ব্যাপারগুলো কিভাবে যতি-চিহ্নের সম্পর্কায়িত করার যে ক্রিয়া, তার সাথে সাথে আমার উদ্ভাসনের মতো মুহূর্তগুলোকে অভিযোজিত করার একটা দীর্ঘদিনের চেষ্টা থেকে এই লিখা, যেটাতে প্রকারান্তরে ব্যর্থ হইলাম বলেই মনে হয়...
যাই হোক, মজা লাগাইতে পারলাম বলে ভাল লাগলো...
আসলেই, এইসব সংখ্যার মানে কি... একটা (এবং একাধিক) ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে, এবং সেটা শেষ পর্যন্ত কোনো গুরুত্ব বহন করে কি-না, তা নিয়েও সংশয়ে ভুগি খুব...
সম্পর্কহীনতার একটা আখ্যান বলে চালিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু সেটাকেও বিশ্লেষণাত্মকতার মোড়কে বাঁধিয়ে ফেলি বারবার...
সম্পর্কায়নের ব্যাপারটাই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
পাঠকের ব্যর্থতা? হবেওবা... প্রতিটি অবস্থানকেই মিথ্যে বা ভুল নামক অভিধা দেওয়া যায় সহজেই, এবং সেটা ভাষার জোড়াজুড়িই বোঝায়... রায়ের মতো করে শুধাই আবারো - এই নিরিখে একটা অসহায়ত্বের দেখা পাই বলেই তর্কমূলক অবস্থান একধরণের অনাস্থার বিষয়ে পরিণত হয়, বা, পরিণত করি...
উল্টা-পাল্টা গ্যাজাইলাম, মাফ দিয়েন...।
এই চিন্তার সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটা আমার থেকে একটু বিলা বিলা লাগে... এই কারণেই বোধহয় যে, তাতে করে অরাজকতা গড়ে তুলতে দেয়া হয় নিজের ভেতর এবং প্রকাশের ভেতরও বটে... যেটা কিনা 'বোঝা'র সামগ্রিক ব্যাপারটাকে অনেকটুকুই মুল্যহীন করে ফ্যালে... এবং, এই নিরিখে আমরা মনে হয় অসংখ্য পথ তৈয়ার করি, যার সমস্তই স্ব-গুরুত্বে ভাস্বর... আত্মপ্রকাশের এহেন প্ররোচনা কেমন একটা অবসাদি তৈরি করে...
কিছুই তো বুঝাইতে পারলাম না মনে হয়। যাক, সার্বভৌমত্বের আড়ালে তাকে ঢাকা দেয়া যাবে বোধকরি... হা হা হা।
রাসেল ভাই, আমি কিন্তু কথাটা ঐ কোণা থেকে বলি নাই... কিন্তু, উতপল্কুমারের এই বক্তব্যে আমার একটু দ্বিধা আসে... অবশ্য এইটার জন্যে আমি সেমান্টিক্স আর মরফোলজিরে দায়ী করি... যাই হোক, আমার তো মনে হয় - যেকোনো বচন প্রতিকযিয়া-প্রকাশী আর সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া-প্রত্যাশী... সেই বিচারে গেলে সবি খারিজ হয়ে যাবে এবং নতুন ভাষা-কাঠামো দাঁড় করানো লাগবে...
আমি আসলে অরাজক এই অর্থে বলসি যে - চিন্তার সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটা একটা স্টেইজে গিয়ে 'বোঝা' ব্যাপারটার সাথে তুমুল বিরোধীতায় লেগে পড়ে আর, আমার মতে, বোঝা যেহেতু এক্কেবারেই ফিজিওলজিক্যাল একটা প্রক্রিয়া, তাই চিন্তার সার্বভৌমত্ব পিছু হটে যায়...
আপনার চিন্তাটা বলেন...
আর, আমরা হাস্মু আর কাঁদমু... তাতে কার বাপের কি... আমার বাপের কোনো সমস্যা নাই অন্ততঃ...
রাসেল ভাই, আমার বক্তব্যটা একটু অ-পরিষ্কার-ই আসিলো। আমি সেই শিরোনাম বিষয়ে আসলে এই বক্তব্য দিই নাই। আমি এর আগেও কয়েক জায়গায় খেয়াল করসিলাম আপনার এই চিন্তার সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটা, আর তাই ভাবসিলাম এইটা নিয়া আমার বিলা লাগনের ব্যাপারটা বলি...
আমি শিরোনাম বিষয়ে আপনার যে মতামত দিলেন, ঐটার সাথে একমত এবং এইটা এইকারণেই যে অন্য কোনো মত আমি এইখানে দেখি না... মানে, চিন্তার সার্বভৌমত্বের বিষয়টা আমরা অনেকটা অধিকারের মতো করেই ব্যবহার করি, এবং এইটাও ঠিক যে, এইটা কবিতায় সবচেয়ে বেশি হয়, সেখানেই এইটা হওয়ার দরকার আসে কি-না আমার জানা নাই, কিন্তুক, ঐখানেই এইটার চর্চা চলে ব্যাপক... সম্পর্কহীনতার বা সম্পর্কায়নের আখ্যান তাই সার্বভৌম আচরণ-ই বটে... কিন্তু সেইটা মানি নেওয়ার পরো আমার শুধু যখন চিন্তার সার্বভৌমত্ব ব্যাপারটা নিয়া চিন্তা করতে গেলাম তখন মনে হইলো বুঝতে চাওয়ার সাথে এই জিনিসটার একটা বিরোধ আসে... এবং চিন্তার সার্বভৌমত্ব আসলে ব্যক্তিক চিন্তায় একধরণের অরাজকতা বা স্বেচ্ছাচারীতা তৈয়ার করতে উতসাহিত করে... এই অরাজকতা মানুষের সবসময়ই মিনিং এর দিকে আগ্রহী আস্পেক্ট-এর সাথে বিরোধে যায় বলেই আমার ধারণা... আর তখনি শুরু হয় ক্যাটাগরাইজাশানের খেলা...
শেষে যে অসম্পূর্ণতার কথা বললেন, এইটাই মনে হয় বেশি সমস্যা ... এইকারণেই ভিটগেন্সটাইনের নয়া ভাষার প্রস্তাবে আগ্রহী হয়া উঠসিলাম, যেটাতে এই অসম্পূর্ণতা হয়তো কাটানো যাইতো... ব্যাপার যা বুঝতেসি তা হইলো, চিন্তার সার্বভৌমত্ব পুরাই একটা সাব্জেক্টিভ জিনিস, এইটার কোনো কন্সেনসাস পয়েন্ট নাই, থাকার যে দরকার, তা-ও তো বুঝি না, এবং, এই যোগাযোগহীনতার ব্যাপারটার শুরুতেই কেমন অরাজকতার একটা পরিবেশে পড়ে যাই... সেটাও হয়তো আমাদের বা আমার মিনিং বাইর করতে আগ্রহী জ্ঞান-কাঠামোর কেরামতি...
কবিতার পোস্ট-রে কোনো কারণ ছাড়াই যে আপত্তিকর কয়, তারে আমি ঠিক কবিতার এরেনায় বসবার অধিকার দিতে রাজি না... তারে আমি পালটা থুথু হয়তো দিবো না, কিন্তু, তার সাথে মনুষ্য স্বরেও কথা বলাটা অর্বাচীনতার কাজ হবে... আমিও মডারেটরদের কাসে এই ব্যাপারটার একটা ব্যাখ্যাকরণ আশা করতেসি...
হুম...
একটা পর্যায়ে গিয়ে আর বুঝতে ইচ্ছা করে না... বিস্বাদ লাগে জ্ঞানের পরিখা-খনন...
লিভ লঙ্গার! চলুক।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
রাসেল ভাই, এরম করলে কিন্তু খায়া ফেল্মু... আমি আসলে জোরাজুরির তর্করে বলতে পারেন ভয় পাই... একটা পর্যায়ে বিস্বাদ লাগে... এইকারণেই কাইট্যা পড়ি... এসকেপিস্ট কারে বলে...
এইটা আপনি ভাবেন... আপনি ভাবেন বলতে বুঝাইসি, আপনার ভাবনাটা এরম এবং খানিক্টা হইলেও আমার জন্যে কমফোর্টিং... আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা অন্য... সে যাক...
সুমন ভাই কই?
বুঝাবুঝি নিয়ে খুব বেশি কেঁচাল আমার ভাললাগে না।
যে বুঝবে সে বুঝবে যে সে বুঝছে।আর যে বুঝতে পারবে যে সে বুঝেনাই,সেইটাও এক ধরনের বুঝা।সেইটা সে নিজেই বুঝতে পারেনা।ধুর,প্যাঁচ লেগে যায়।বুঝাবুঝির প্যাঁচাল বাদ!
কথা সাজানোর খেলা একটা আদিম খেলা।হেঁয়ালীর মজা হল একশ রকমের অর্থ বের করা যায়।সম্ভাবনা অফুরান হলে তো পাঠকেরই দুরন্ত রোমহর্ষক স্বাধীনতা!আরও খেলতে দেন জিফরান।খেলুড়ে তৈরী!
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এই সম্ভাবনাগুলার একেকটাই হয়তো একেক্টা সার্বভৌম চিন্তা যারা পরস্পরের সাথে সম্পর্কহীনতাকে উদযাপিত করার প্রেমিস তৈরি করে... উদযাপনে আমার কোনোই সমস্যা নাই, কিন্তু দাঁড়ানোর জায়গাটা যে তাইলে সারাক্ষণ ভাংতে থাকে... এবং সেইটা ডিসকন্সার্টিং; এই অস্বস্তিরে ডুবাই দেওয়াই মানব ইতিহাসে অদ্যাবধি মাইনশের মেইন কাজ বলে মনে হইসে...
নতুন মন্তব্য করুন