১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস জাতীয় জীবনের সর্বোচ্চ গৌরবের ইতিহাস। সেই ইতিহাস নিয়ে আমাদের গর্ব আছে, আছে পূর্বসূরীদের প্রতি এই প্রজন্মের গভীর সন্মানবোধ। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে এই পর্যন্ত জাতীয়ভাবে তৈরি করা হযেছে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচটি তালিকা (সূত্র দৈনিক প্রথম আলো, ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদ)। সেই তালিকার সঙ্গে শহীদদের তালিকাও করা হয়েছে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে দফায় দফায় তৈরি হওয়া শহীদদের নামের তালিকাতে নারী শহীদদের নাম খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জেলা শহরে শহীদদের নাম-ধামের উল্লেখ করে যেসকল স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হযেছে সেখানেও স্থান পাননি কোনো নারী। দেশের বেশিরভাগ মানুষই শহীদ হিসেবে নারীর পরিচিতি জানেন না। মুক্তিযুদ্ধের ৩৮ বছর পরেও বাংলাদেশে কতজন নারী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তার কোন সরকারী পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু বাস্তব তথ্য বলে অন্য কথা: বহু নারী শহীদ হয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে।
“ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের ‘ইজ্জত’ এর বিনিময়ে এ স্বাধীনতা”- এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মৌখিক ইতিহাসের ভিত্তিও হয়ে পড়ে লিঙ্গীয়-পক্ষপাতিত্বমূলক, লিঙ্গীয় নিরপেক্ষ থাকে না। ইতিহাসে নারী-পুরুষের অবদানকে দেখার ক্ষেত্রে এই লিঙ্গীয় দ্বি-বিভাজিত অবস্থান পক্ষান্তরে নারীর বহুমাত্রিক ভূমিকাকে আড়াল করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বেশ কিছূ বই প্রকাশিত হলেও এই ইতিহাসভিত্তিক বইগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নারী ছিলেন অনুপস্থিত। কিন্তু গত দশকের শেষদিক থেকে এই বিষয়ে প্রকাশিত হতে থাকে অনেক অজানা তথ্য, বিশেষ করে মুত্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ, ধরন বা প্রকৃতি এবং তার মাত্রা বা ব্যাপকতা সম্পর্কে। দেশের লোকজন তারামন বিবি বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম বীরপ্রতীক, কাকন বিবি এবং শাহানারা পারভীন শোভাসহ আরও অনেক নারীর সশস্ত্র সংগ্রামের কথা জানতে পারেন। সীমিত পরিসরে হলেও এই বিষয়ে মৌখিক ইতিহাসভিত্তিক গবেষণা এবং অনুসন্ধানী কাজও হতে থাকে, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের স্বীকৃতি অনস্বীকার্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নারী যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে কিংবা শহীদ হয়েছে, রাষ্ট্র সেই বোধ থেকে নিজেকে ক্রমশ দূরে ঠেলে রাখছে। শহীদ নারীদের প্রতি রাষ্ট্রের উদাসীনতা স্পষ্ট হয়, যখন এই বিষয় তথ্য সংগ্রহ করতে কিংবা প্রকাশ করতে রাষ্ট্র খুব বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে না। শহীদ নারী হিসেবে সাংবাদিক সেলিনা পারভীন এবং কবি মেহেরুন্নেসার নাম ছাড়া এই বিষয়ে খুব বেশি তথ্য আলোচনায় আসেনি। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত স্মৃতি ১৯৭১ (সম্পদনায়: রশীদ হায়দার) বিভিন্ন খণ্ডে প্রকাশিত স্মৃতিচালনমূলক লেখায় এর বাইরে আরও দু’জন নারী শহীদের নাম জানা যায়, তাঁরা হলেন, মাগুরার শহীদ লুৎফুন্নাহার হেলেন এবং ঢাকার ডাঃ আয়েশা বেদৌরা চৌধুরী।
১৯৭১ সালের মার্চে তৈরি হওয়া অসহযোগের প্রথম শহীদ যশোরের গৃহবধূ চারুবালাও স্থান পাননি জাতীয় ইতিহাসে। সাধারন গৃহবধু চারুবালার মৃত্যু সেই সময়ে যশোরের নারীদের মিছিলে নিয়ে আসে এবং অসহযোগ আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়। ২৫ মার্চে ‘অপরাশেন সার্চ লাইটে’ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহীদ হন অন্ত:সত্ত্ াযোগমায়া দে এবং রিনা রানী দে (শহীদ মধু’দার স্ত্রী কিংবা পুত্রবধু হিসেবে এরা আলোচনায় আসলেও, আলাদা করে স্থান পাননি কোথাও)। ৭ এপ্রিল হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন ভাষা সৈনিক মিলি চৌধুরী। এপ্রিল মাসেই দিনাজপুরে নিজের বাড়িতে শহীদ হন সুরবালা সরকার। একই মাসে সৈয়দপুরে শহীদ হন সাংস্কৃতিক কর্মী ভ্রমর, (যাঁকে হত্যা করে তার দেহ বল্লমের উপরে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবাইকে দেখানো হয়েছিল) সুফিয়া খাতুন, হোসনে আখতার (যাঁকে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হয়), সরোজিনী মল্লিক (যাঁকে জীবিত অবস্থায় কুয়ায় ফেলে মারা হয়)। সিলেটের পাত্রখোলা চা বাগানে শহীদ হন বাবনী রাজগৌড়, লসিমুন কুর্মী, রাঙামা কুর্মীসহ আরও অনেকে। সিলেটের বিরানী বাজারে বাঙালিদের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রাণ দিতে হয়েছিল খাসিয়া মেয়ে কাঁকেটকে। পটুয়াখালীতে হানাদারদের তাণ্ডব-লীলায় শহীদ হোন কণকপ্রভা গাঙ্গুলি, সোনাই রানী সমাদ্দার, পারুল বালা সমাদ্দার, বাসন্তী রানী বসু, বিদ্যাসুন্দরী দাস, সাবিত্রী রানী দত্ত, সুমিত্রা রানী দত্ত, শান্তি দেবসহ অনেকে। ফরিদুপরে ভাঙ্গায় মধ্য জুলাইয়ে শহীদ হন কিরন রানী সাহা। পিরোজপুরের সাহসী নারী ভাগিরথী শহীদ হন। ভিক্ষুক সেজে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন খোঁজ খবর তিনি এনে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের, পরে রাজাকারদের সহায়তার তিনি ধরা পড়েন পাকিস্তানী সেনাদের হাতে এবং জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় টানতে টানতে হত্যা করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেই ভাগিরথীরও জায়গা মিলেনি শহীদের তালিকায়। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আঞ্জুমান আরাকে মালবাহী ট্রেনের গরম কয়লার চুল্লীতে নিক্ষেপ করে মারে বিহারীরা। তাঁর অপরাধ নিজ বাড়িতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন (নাসরীন ২০০৮, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নারী, অনুপম প্রকাশনী)
আমাদের দেশে অনেক নারীই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, বিভিন্নজনের সাক্ষাৎকার থেকে এই বিষয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ পেলেও তা প্রকাশিত হয়েছে কারো না কারো স্ত্রী, মা অথবা বোন হিসেবে। যেমন নোয়াখালী জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথ্য বয়ানে শহীদদের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তাঁদের সহযোদ্ধারা একটি জায়গায় বলেছিলেন, আরও মারা গিয়েছেন ‘হরি ঠাকুরের স্ত্রী’। এছাড়া হানাদার ক্যাম্পে যে সকল নারী মারা গিয়েছেন, কিংবা যাঁদের অত্যাচার করে, ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে, তাঁর হিসেব কেউ জানেনা, কিংবা জানার চেষ্টা করেনি কখনও। পরিবার এবং সমাজের কাছে তারা ‘মৃত’ কিন্তু শহীদ হয়ে ওঠেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, বিজয়ের পরে অনেক গণকবরে বেশ কিছু নারীর লাশ দেখা যায়। তাছাড়া নির্যাতন ক্যাম্পগুলোতে স্বাধীনতার পরে ভাঙ্গা কাঁচের চুড়ি, শাড়ী এবং নারীর হাড়-কংকাল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বধ্যভূমিগুলো থেকেও তেমনিভাবে উদ্ধার করা হয় নারীর কংকাল। যুদ্ধের সময় নারী শহীদ হওয়ার এতোসব সাক্ষ্য থাকলেও কেন তারা বাদ গেলেন ইতিহাস থেকে সেটি আজও প্রশ্ন। আশাকরি সরকার অতিসত্ত্বর এই বিষয়ে নজর দেবেন এবং তাঁদের নাম পরিচয়সহ যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ব্যবস্থা করবেন।
শুধূ ইতিহাসেই নয়, স্মৃতিচারনের ক্ষেত্রেও এসেছে লিঙ্গীয় রাজনীতি। যেসর পরিবারে বাবা-মা উভয়েই শহীদ হয়েছেন তাঁদের অনেকেই মায়ের স্মৃতি অনেকটাই ভুলে গিয়েছেন, কারন হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘মায়ের কথা খুব একটা কেউ জানতে চায়নি’। অর্থাৎ জীবিত অবস্থায়তো বটেই, একই ঘটনায় শহীদ হওয়ার পরও গুরুত্ব পেয়েছে পুরুষ, নারী নয়।
তাইতো নারী শহীদদের স্মৃতিকথা বিস্মৃত, বিবর্ন। বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এতো বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। আশা করা যায় এই সরকারের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সংখ্যা এবং তালিকাও চুড়ান্ত হবে। সেই সঙ্গে আমরা চাই শহীদ তালিকায় নারী শহীদদের নামগুলো অর্ন্তভুক্ত হউক, সরকার আগ্রহ নিয়েই নারী শহীদদেরে প্রকৃত সংখ্যা বের করবেন এবং শহীদ হিসেবে তাঁদের যথাযোগ্য সন্মান তাঁরা লাভ করবেন।
মন্তব্য
ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত
কথায় কথায় এই লাইন বলেই আমরা আমাদের চিন্তা চেতনাকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছি।
আমি সেতারা বেগম এর নাম শুনেছি মাত্র দু তিন বছর।
বাকি যাদেঁর নাম লিখেছেন তাদের কারো নাম ই শোনা হয় নি
এ বিষয়ে দৃষ্টি ভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন সবার আগে। এবং প্রচুর বই/প্রবন্ধ/লেখা প্রয়োজন , প্রয়োজন মুভি/নাটক তৈরি ।
নামটি সম্ভবত সিতারা বেগম হবে ।
উইকি সংকলন টিতে তাই লেখা আছে।
তারামন বেগম (সম্ভবত বিবি নয় বেগম হবে ) উইকি ভুক্তিএই খানে ( #৩৯৪ নাম)
আমরা চাই শহীদ তালিকায় নারী শহীদদের নামগুলো অর্ন্তভুক্ত হউক, সরকার আগ্রহ নিয়েই নারী শহীদদেরে প্রকৃত সংখ্যা বের করবেন এবং শহীদ হিসেবে তাঁদের যথাযোগ্য সন্মান তাঁরা লাভ করবেন।
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ
বোহেমিয়ান
বোহেমিয়ান ,
নাম : তারামন বিবি , তাঁর সাথে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি তাই জানিয়েছিলেন ।
আমাকেও কাসক্ষাৎকার গ্রহণের সময় তাই বলেছিলেন।
উইকির ভুক্তিতে সঠিক নাম থাকা প্রয়োজন । কেউ কি উদ্যোগ নেবেন ?
উইকির ভুক্তি পরির্বতন করা হলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এই বিষয়ে আমার একটি গবেষণা বই আছে। 'মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নারী''-বইটিতে ২৫ জন নারীর শহীদ হওয়ার ঘটনা বিধৃত রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে অনুপম প্রকাশণী। আগ্রহী হলে দেখতে পারেন।
আপনাকে ধন্যবাদ
নামটা আসলে সিতারা হবে
এটা জাতির জন্য সত্যিই দুঃখজনক বিষয় যে নারী শহীদরা অবহেলিত থেকে যাচ্ছেন। এক সময় হয়তো কালের অন্ধকারেই হারিয়ে যাবেন তাঁরা, যদি তাঁদের নাম ও ইতিহাস সংরক্ষিত না হয়।
আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য। অনেক তথ্যই আমরা জানি না। এক্ষেত্রে আপনি হয়তো যাঁদের সম্পর্কে জানেন, প্রত্যেক শহীদের নামে আলাদাভাবে তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সিরিজ পোস্ট করতে পারেন। এতে করে অন্তত অন্তর্জালিক আর্কাইভে তথ্যগুলো জমা হবে, একেবারে মুছে যাবে না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ এ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। আরও লিখুন।
আরও অনেক লেখা পড়তে চাই এ বিষয়ে।
আমার গবেষণার ২৫ টি কেইস এখানে দেয়া সম্ভব কী ?
নিশ্চয়ই। ধারাবাহিকভাবে দিতে পারেন। শেষে আপনার বইয়ের তথ্য (প্রকাশক, প্রকাশকাল, আইএসবিএন, পৃষ্ঠাসংখ্যা) উল্লেখ করে দেবেন।
খুবই ভাল কাজ হবে যদি আপনি কেসগুলি সিরিজাকারে এখানে দেন । আগাম ধন্যবাদ ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। আপনি উনাদের জীবনী এখানে আলাদা আলাদা করে লিখতে পারেন। সচলের পক্ষ হতে কেউ সেগুলো উইকিতে দিয়ে দিতে পারবে। লেখাটি মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্যের আর্কাইভে রাখা হল। আপত্তি জানালে সরিয়ে নেওয়া হবে।
আপত্তি নেই।
প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ!! আপনি অনেক দিন পর পর লেখেন, কিন্তু লেখেন যখন তখন এতোই গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় নিয়ে লেখেন যে মুগ্ধ হয়ে পড়ি আর আপনাকে অভিনন্দন জানাই
২৫ টি লেখা নিয়ে একটা দারুণ সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম। আগাম ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সিরিজ আসুক। তাড়াতাড়ি।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ছোটবেলায় যখন ভাগিরথীর কথা পড়েছিলাম রহস্যপত্রিকায়,
শিউরে উঠেছিলাম।
আপনি অতি অবশ্যি সিরিজ পোস্ট করুন।
অপেক্ষায় থাকলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মন খারাপ হয়ে গেলো
কেন মন খারাপ হয়ে গেল?
উইকি যুদ্ধের নতুন কোন খবর নেই কেন?
উইকিতে অনেক প্রয়োজনীয় প্রবন্ধতো নেইই সাথে সাথে অনেক গুরুত্বপুর্ণ ভুক্তির তথ্য সংকট আছে। যেমন এই মাত্র আমি ''[url]http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F [/url]অপারেশন সার্চলাইট'' ভুক্তিতে ঢুকে দেখি সেখানে একটা ছক ছাড়া কিছুই লেখা নাই!!!! এত গুরুত্বপুর্ন (আসলে শুধু গুরুত্বপুর্ন বললে অনেক অনেক কম বলা হয়, কিন্তু আপাতত আর কিছু মনে আসছে না) একটা ব্যাপারে এত কম তথ্য!!!
ঐটা পড়ে ঘটনার বিস্তৃতি বা ঘটনা সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা পাওয়া মোটেও সম্ভব না। এটাকে অন্যান্য লেখায় লিংক হিসাবে দিলেও ঐ ঘটনার সাথে অপারেশন সার্চলাইটের কোন সম্পর্ক পাওয়া সম্ভব না। আর ছকটাতেও তেমন কিছু নেই!!
কে কে মূল পরিকল্পনাকারী,কোন কোন স্থানে ঘটনা ঘটেছিল, কোন কোন স্থান ছিল প্রধান টার্গেট, মুজিবের গ্রেফতার, স্বাধীনতার ঘোষণা, রাজারবাগ পুলিশলাইনের প্রতিরোধ,ই পি আর এর প্রতিরোধ, নিহতের আনুমানিক সংখ্যা কিচ্ছু নাই!!!! তাই আমি বলব শুধু ভুক্তি তৈরি করলেই হবে না, এটা পড়ে যাতে ঘটনা সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা অন্তত পাওয়া যায় সেভাবে ভুক্তি তৈরি করতে হবে। ছোট খাট বিষয়ের ভুক্তি পরের জন্য রেখে দিয়ে আগে যুদ্ধকালীণ সময়ের প্রধান প্রধান বিষয়গুলো খুজে নিয়ে ওগুলো নিয়ে ভুক্তি করুন বা ওগুলোকে সম্পাদনা করে একটা ভাল রূপ দিন।
আর আমাকে একটা বিষয় নিয়ে সাহায্য করুন। আমি ''ক্রাক প্লাটুন'' আর ''অপারেশন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল''
নিয়ে ভুক্তি দিতে চেষ্টা করছি। কিন্তু শুধুমাত্র ''একাত্তরের দিনগুলি'' বইতেই কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তাও যথেষ্ট না।
তাই এই দুটো বিষয়ের উপর কোথাও বিস্তারিত থাকলে আমাকে জানান অথবা নিজেই উইকিতে ভুক্তি তৈরি করুন।
আমিই তানভী |
সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
প্রিয়তে রাখলাম। সিরিজটা শুরু করে দিন। আপনাকে ধন্যবাদ।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভীষন দরকারি লেখা। অনেক ধন্যবাদ। এই বিষয়ে আপনার ধারাবাহিক পোস্টের অপেক্ষায়। যেট বুঝলাম যে নারী শহীদ যারা তাঁদের নাম অনেক ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত নয় আর যাও বা জানা যাচ্ছে তাও নিতান্তই অবহেলার ছায়ায়। এই বিষয়টিকে সামনে উঠিয়ে আনার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে সিরিজ থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেননা।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। আপনার সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
বিনীত কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন এই লেখাটির জন্য। পারলে ডঃ নীলিমা ইব্রাহীমের আমি বীরাঙ্গনা বলছি র কিছু অংশেরও যদি রেফারেন্স দিটেন কেইস স্টাডিগুলোর সাথে, প্রীত হতাম।
শুভাশীষ।
খুব দরকারী লেখা।
পরের পর্ব গুলো আসুক দ্রুত।
নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য নারীকেই এগিয়ে আসতে হবে সর্বত্র।
এসএফকে৫৫৫
ধন্যবাদ জোবাইদা।
খুবই দরকারি একটা দেওয়ার জন্য।
মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকার প্রকৃত মূল্যায়ন হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা। আপনার গবেষনা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। ইস! আগে জানলে বইটা কিনে ফেলতাম দেশ থেকে।
তবে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কিছু প্রশ্ন আমাকে খুব ভাবায়ঃ
১। কারা মুক্তিযোদ্ধা? নির্ণায়ক হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়? কারা এই নির্ণায়কগুলো নির্ধারন করেছিল আর তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল?
২। বীরাঙ্গনারা কি মুক্তিযোদ্ধা নয়? [বীরাঙ্গনা শব্দ পরিবর্তন করা কি উচিৎ না?]
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
সরাসরি প্রিয়তে রেখে দিলাম।
সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনার লেখা আগে পড়িনি। 'সাম্প্রতিক মন্তব্য' তালিকার কল্যাণে পড়া হোল। সিরিজের অপেক্ষায় থাকলাম। -রু
নতুন মন্তব্য করুন