যারা ইতিমধ্যে কষ্ট করে আগের দুই কিস্তি ( ভালবাসার ক্যান্সার - ১ ও ভালবাসার ক্যান্সার - ২ ) পড়েছেন তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা । যদি না পড়ে থাকেন, তাতেও শেষ কিস্তি পড়তে কোন অসুবিধা নেই । যারা পরিসংখ্যানের কচকচানি সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের দ্বিতীয় কিস্তি না পড়াই ভাল ।
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী....
ক্যান্সারের কাছে স্বজন হারানো মানুষ জানে নিজের দেশে বিশ্বমানের আধুনিক একটি ক্যান্সার হাসপাতালের গুরুত্ব কতখানি । কবে স্বপ্নের সুদিন আসবে তার অপেক্ষায় না থেকে সাহসী মানুষেরা স্বপ্ন বিনির্মাণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় । সেই রকম কিছু স্বপ্নবাজ মানুষের কথা বলতে ইচ্ছে করছে ।
কাজী রফিকুল আলম ঢাকা আহছানিয়া মিশনের কর্ণধার । ১৯৫৮ সালে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়নমূলক নানাবিধ কাজের সাথে জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে জনশিক্ষার প্রসার, নারী ও শিশু পাচার রোধ, কারিগরি প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার (আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়) ইত্যাদি ।
১৯৯৪ সনে কাজী রফিকুল আলম তাঁর স্ত্রীকে হারান ক্যান্সারের কাছে । খুব কাছ থেকে ক্যান্সারকে দেখার সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে দেশে একটি আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে । একই বছরে একটি ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল (আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল) নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয় । বাংলাদেশ সরকারের দেয়া জমিতে ২০০৫ থেকে পনের তলা (দুই তলা বেইজমেণ্টসহ) বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ চলছে উত্তরায় (সেক্টর ১০) তুরাগ নদীর তীরে । হাসপাতালটিতে সাতটি অপারেশন থিয়েটারের সাথে থাকবে রেডিওথেরাপী ও কিমোথেরাপীর ব্যবস্থা । শিশুদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডও থাকবে । এই হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সেবিকাসহ চিকিৎসা সেবাখাতে উন্নত মানব সম্পদ প্রশিক্ষনেরও অঙ্গীকার করছে । আশা করা যাচ্ছে যে, হাসপাতালটি চালু হলে বছরে ৭৩,০০০ রোগীকে সেবা দিতে সক্ষম হবে, যা ৪০,০০০ রোগীকে অসময়ে মৃত্যুর দিকে অসহায় হাঁটা থেকে বাঁচাবে ।
এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালটির নির্মানের ব্যয়ভার বহন করছে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ, যে কারণে প্রতিষ্ঠানটি একে “জনগণের হাসপাতাল” নামে অভিহিত করছে (ইতিমধ্যে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে মিরপুরের একটি ছোট পরিসরের ভবনে) । হাসপাতালটি নির্মাণ কাজের সুচনা থেকে সকল শ্রেণী, পেশার মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণের কারণে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে । ২০০৫ সালে প্রথমবার লটারির মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে তিন কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল । নানা সময়ে দরিদ্র রিকশা চালকের ঘাম ঝরানো ২০ টাকার মানি অর্ডার, গৃহবধূর সঞ্চিত ৫০০ টাকা, স্কুলের শিশু কিশোরদের টিফিন বাঁচানো টাকা, স্কুল শিক্ষকের এক মাসের বেতনের টাকার মত মহৎ অনুদান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই মানবিক স্বপ্নটিকে ।
হাসপাতালটিতে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি তহবিল করা হয়েছে, যা থেকে অনন্ত ৩০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হবে । হাসপাতালটি ইতিমধ্যেই দশ তলা পর্যন্ত সমাপ্ত হয়েছে । বাকি নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরো বাইশ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠানটি দেশ ও প্রবাসের সকল বাংলাদেশীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছে (এখানে কাজী রফিকুল আলমের আবেদনটি শুনতে পাবেন)।
এবছরের শুরু থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল লটারি ছাড়া হয়েছে । দশ টাকা মূল্যের এই লটারির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার রাখা হয়েছে যথাক্রমে ত্রিশ লক্ষ, পাঁচ লক্ষ ও সত্তর হাজার টাকা । আগামী ২৩শে মার্চ লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে ।
এই হাসপাতালটি হতে পারে বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য অহঙ্কারের প্রতীক । এ পর্যন্ত হাসপাতালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সহৃদয় অনুদানে । কোনরকম বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই বাকি কাজ শেষ করে হাসপাতালটি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে একটি স্বনির্ভরতা ও মানবিকতার প্রতীক হয়ে । প্রতি বছর অসংখ্য ক্যান্সার রোগীর অনিচ্ছুক বিদেশ গমনের কারণে পাঁচশ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে । দেশের মাটিতে একটি আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল হলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হতে পারে । আনুষঙ্গিক অন্যান্য মনস্তাত্ত্বিক কষ্টের হিসেব নিকেশ না হয় বাদই দিলাম ।
অটোয়ায় আমার বাড়ির কাছে হাসপাতালটির ক্যান্সার সেন্টারটিতে রোগীদের “ওয়েটিং টাইম” কমানোর জন্য ২০০৮ এর মে মাসে সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয় । সরকারী অনুদানের পরেও জনগণের কাছ থেকে ২০ মাসে ২০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের জন্য “২০/২০ ক্যাম্পেইন” একই সময়ে শুরু করা হয় । সত্যি কথা, হাসপাতালের এই সম্প্রসারণ কাজ প্রতিশ্রুত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে আমি বেশ সন্দিহান ছিলাম । ওমা, সেদিন গিয়ে দেখি ক্যান্সার সেন্টারের নতুন ভবনটি মানুষের সেবার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে ! আলো ঝলমলে নতুন করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে কেন কে জানে ফিরে গেলাম আমি আবার সেই বত্রিশ বছর আগের করিডোরে.....
হাসপাতালের দরজা ঠেলে বের হতে হতে মনে পড়ল, মানবদেহে কোন একটি কোষের অনিয়মিত বৃদ্ধি থেকে “ক্যান্সারের” উৎপত্তি । অতি দ্রুত বংশ বিস্তারে সক্ষম ক্যান্সারের কোষেরা মানব দেহের সুস্থ সব অর্গানের দখল নিয়ে অকেজো করে দেয় । মানুষের মস্তিষ্কের নিওরনে ভালবাসার কোষগুলোর ক্যান্সার কেন হয় না ...?
তথ্যসূত্রঃ
আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল লটারির বিস্তারিত
হাসপাতালটি সম্পর্কে খালিদ শামসের সাক্ষাৎকার
হাসপাতালটি সম্পর্কে কাজী রফিকুল আলমের সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব
হাসপাতালটি সম্পর্কে কাজী রফিকুল আলমের সাক্ষাৎকারটির দ্বিতীয় পর্ব
[ কৈফিয়তঃ গত কিস্তিতে সংখ্যার ভারে যাঁদেরকে ভারাক্রান্ত করেছি, তাঁদের কাছে বোধহয় একটু মুচলেকা দেয়া যেতে পারে । প্রথমতঃ অর্থনীতির ছাত্রী হিসেবে সংখ্যার প্রতি দুর্বলতাটা মজ্জায় ঢুকে গেছে, কারণে অকারণে চামড়া ফুঁড়ে বের হয়ে আসে । দ্বিতীয়তঃ মনে হয়েছিল অনুসন্ধিৎসু পাঠক হয়তোবা যথেষ্ট তথ্য না পেলে অসন্তুষ্ট হতে পারেন (দেখুন, কেমন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিলাম ।) ]
মন্তব্য
এই সিরিজটি শুরু থেকেই পড়ে আসছি। শেষ কিস্তিটা কেমন যেন বিজ্ঞাপণমূলক ঠেকল। হয়তো উপাত্তের ভারেই।
ক্যান্সার চিকিৎসা সেবার এই উদ্যোগের সাফল্য কামনা করছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুনোহাঁস, আপনি সময় নিয়ে লেখাটি পড়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।
শেষ কিস্তি ভাল না লাগার পুরো দায়িত্বটি মাথা পেতে নিচ্ছি । কিন্তু ক্যান্সার পরিবারের সদস্য বলেই হোক আর দেশের প্রতি টানেই হোক যে কোন মানবিক উদ্যোগের কথা বলতে ভাল লাগে ।
আপনার সঙ্গে সঙ্গে আমারও বলতে ইচ্ছে করছে ক্যান্সার চিকিৎসা সেবার এই উদ্যোগটি সফল হোক । কিন্তু দেখুন কত দীর্ঘ সময়েও হাসপাতালটি নির্মাণের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না । মানুষের মমতার কোষগুলোতে ক্যান্সার হলে বোধহয় এতটা সময় লাগতো না ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
পড়েছি আপু...
দ্বিতীয় পর্বটা একটু কম ভাল্লেগেছে!
[অ.ট: অর্থনীতির কোর্সগুলোতে সবচেয়ে মজা পেতাম, আম্মুও ঢাবিতে এ বিষয়েই পড়তেন]
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য । দ্বিতীয় পর্বটি যে ভাল লাগেনি সেটা আমার অক্ষমতা ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ভালো লাগলো সিরিজ। আরো আসুক এমন সব লেখা।
এই রে, আপনার তো দেখছি ক্যান্সার রোগীদের প্রতি ভালবাসার “ক্যান্সার” হয়েছে । সে যাক, আমি খুবই অনিয়মিত । তারপরেও চেষ্টা থাকবে লেখার ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমার পরিচিত এক চাচীরা সবাই দাদার আমলে কেনা জমিতে ডেভেলাপারের কল্যাণে যখন সবাই কয়েকটা করে ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন তখন পাঁচ বোন প্রত্যেকে পাঁচ লাখ করে পঁচিশ লাখ টাকা ডোনেট করেছিলেন।
আমরা সবাই স্তব্ধ হয়ে দেখেছিলাম। কি দুঃসাহস!
শ্রদ্ধায় আনত হই সেই পাঁচ বোনের প্রতি । পৃথিবী এখনো উদ্ভাসিত এমন হিরন্ময় মানুষের আবাস বলে !
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনি আসলে দুই বিষয়েই দারুণ লিখেছেন। কিন্তু দুটো একসঙ্গে আমার ভাল লাগেনি।
আলাদা করে ভাল লেগেছে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য, আপনি যদি “দুই বিষয়” বলতে “ক্যান্সার” ও “ভালবাসা” বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে আমার কিছু ব্যাখ্যা দেয়ার থাকে ।
আসলে লেখাটির প্রণোদনা এসেছিল শীতের শেষ সন্ধ্যায় করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে... কিন্তু ব্যক্তি “আমার” বেদনাবোধকে আমি অতিক্রম করতে চাই সমষ্টির কল্যাণে আমার যেটুকু সামর্থ্য আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে । আমার যে খুব ক্ষুদ্র সামর্থ্য... ছাপোষা কেরানীর মত বিনে পয়সার ব্লগে লিখতে পারি । তাই শুধু এই কলম পেষা ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
একসাথে তিন কিস্তি পড়লাম
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নাম অনেকদিন থেকে শুনে আসছি। কিন্তু বিস্তারিত তেমন কিছু জানতাম না। এ উদ্যোগের কথা জেনে ভালো লাগল। আপনি কি আহছানিয়া মিশনের সাথে জড়িত কেউ? এই সংগঠন কারা, কীভাবে শুরু করল, এর অর্থায়ন কীভাবে হয় ইত্যাদিও জানার ইচ্ছা ছিল। ওয়েবসাইটে চোখ বুলিয়ে তেমন কিছু দেখলাম না।
তানভীর, একসঙ্গে তিন কিস্তি পড়ার ধৈর্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিতেই হচ্ছে । ঢাকা আহছানিয়া মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি ওয়েব সাইটের যোগাযোগে গিয়ে কন্ট্যাক্ট পেতে পারেন । তাছাড়া, এই ঠিকানায় ই-মেইল করতে পারেন ।
আর আমার কথা? আমি একটি ক্যান্সার পরিবারের সদস্য । আমার পরিবারে এই রোগ হানা দিয়েছে একাধিকবার । দু’জন প্রিয় মানুষ চলে গেছেন । একজন বড় বেশী অসময়ে, যার কথা প্রথম পর্বেই পড়েছেন । আরেকজন গেছেন পাঁচ বছর আগে ।
সবশেষ জন এখনো স্বপ্ন দেখছে অপূর্ণ স্বপ্নগুলোর কিছু অন্ততঃ দেখে যাওয়ার । ব্যক্তি জীবনের স্বপ্নের সাথে সাথে “জন্মভূমিতে এই রোগে আক্রান্ত সকল রোগীর চিকিৎসা সুনিশ্চিত হবে” এই স্বপ্নটিও তালিকায় আছে ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপু, আমি আপনার প্রথম পর্ব পড়েই বলেছিলাম পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকব! যদিও দ্বিতীয় পর্বটা সম্পূর্ন শেষ করতে পারি নাই (কারনটা সংগত, আমি অর্থনীতির ছাত্র নই ), কিন্তু শেষ পর্বটা দারুন লাগল!
আচ্ছা, এই লেখাটার মেসেজ়টা কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, আমরা যেন অচিরেই “২০/২০ ক্যাম্পেইন” জাতীয় কোন প্রোগ্রাম শুরু করার প্রয়াস চালাই এই মহৎ উদ্যোগটাকে আরও দ্রুত সফল করতে??
কাকুল কায়েশ
কাকুল, আপনি যে দ্বিতীয় কিস্তির বিরক্তি কাটিয়ে শেষ কিস্তি পড়েছেন, সেজন্য আপনাকে অভিনন্দন ।
আর এই লেখাটির মেসেজ ? আপনাকে আমার একটি রোগের কথা বলি । যেদিন থেকে এই দেশে এসেছি সেদিন থেকে এই রোগের উৎপত্তি । যে কোন ভাল জিনিষ দেখলেই ঈর্ষায় ভুগি । এদের আছে আমাদের নেই কেন ? সে আমার ছেলের এলিমেণ্টারী স্কুল বলেন, প্রতিটা পাড়ায় খেলার মাঠের দোলনা বলেন আর এই হাসপাতালের ক্যান্সার সেন্টারটির কথাই বলেন । যেখানে শুধুমাত্র অপেক্ষার সময় কমানোর জন্য এত বিশাল কাজ করে ফেলা গেল মাত্র ২০ মাসে, সেখানে আমাদের দেশে পণের বছরেও একটি হাসপাতালের কাজ শেষ করতে পারলাম না । যাদের হাসপাতাল নেই তাদের অপেক্ষার ঝামেলাও নেই !
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন