আগের পর্বগুলোঃ
।। পর্ব -১ ।। পর্ব - ২ ।। পর্ব - ৩ ।। পর্ব -৪ ।। পর্ব -৫ ।। পর্ব -৬ ।।
৮.
উইকএন্ডের শেষদিন রোববারও রাফাত তার কম্পিউটার ও সফটওয়্যারের বইয়ে মুখ গুজে রইল । অয়নকে নিয়ে মিতি ঘরদোরের নানা কাজে এমন মেতে রইল যে রাফাতের এই একা থাকা খুব চোখে পড়ল না । তাছাড়া, যে কোন নতুন প্রজেক্ট শুরু হলেই রাফাত বেশ পড়াশুনা করে নেয় । টেকনোলজি নতুন কিংবা পুরাতন যাই হোক প্রজেক্টের প্রাথমিক পর্যায়ে যথেষ্ট সময় না দিলে নাকি পরে ভুগতে হয় । নিত্যকার গেরস্থালীর সাপ্তাহিক কাপড় লন্ড্রি করা, ঘরদোর পরিচ্ছন্য করা, জিনিষপত্র গুছিয়ে রাখা আর ছেলের সঙ্গে ঘরের কোথায় কোন জিনিষটা রাখলে ভাল মানাবে এইসব আলোচনায় মিতির সময় কেটে গেল । শুধু গ্রোসারী করতে গিয়ে কি একটা প্রশ্ন করে রাফাতের জবাবটা কেমন যেন বেখাপ্পা লাগল ওর কানে । সব্জীর টুকরি থেকে “হট হাউস” টমেটো বাছতে বাছতে মিতি রাফাতের বিমনা মুখের দিকে তাকিয়ে দেখার আগেই অয়ন এসে ওর হাত ধরে টানতে লাগল, “মা এদিকে আসো, ভেজিটবলে স্টিম পড়ছে……” গ্রোসারী দোকানে শাক সব্জী সতেজ রাখার জন্য শেলফের ওপরের দিকে সয়ংক্রিয় স্প্রিঙ্কলার বসানো আছে । কিছুক্ষন পরপর শরতের শিশিরের মত বাষ্পীভূত পানির ঝাপটা এসে পড়ে নিচে রাখা ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রকলি, সেলেরি, পালং শাক, ধনে পাতার ওপর । অয়নের কাছে এটি একটি রোমাঞ্চকর দৃশ্য, মাকে ছাড়া সে তা দেখবে না ।
সোমবার সকালে মিতি আর অয়ন উত্তেজিত গলায় কথা বলতে বলতে গাড়িতে উঠল অয়নের স্কুলে আজ কি হতে পারে তা নিয়ে । মিসেস ক্যাম্পবেল বলেছেন আজ ওদেরকে আন্ডার ওয়াটার সীর ওপর একটি ডকুমেন্টারী দেখাবেন । গভীর সমুদ্রের তলদেশে ঘুমিয়ে থাকা অতল রহস্যভেদের উত্তেজনায় অয়ন গরম বালুতে ভাজা খইয়ের মত ফুটছে । এরই মধ্যে সে জানে অথৈ জলের তলে আছে নাম না জানা হাজার রকমের শৈবাল, প্রবাল, ঝোপ-ঝাড়, গাছ গাছালি । তাছাড়াও আছে নানান রঙ্গের আর আকৃতির প্রানী, ক্ষুদে ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে স্টার ফিস, জেলি ফিস, অক্টোপাস, ডলফিন, নানা প্রজাতির তিমি । শিশুতোষ মুভি ‘ফাইন্ডিং নিমো’ দেখার পর থেকে অয়নকে যেন আরো বেশী করে গভীর সমুদ্র টানছে । ছোট্ট ক্লাউন ফিস নিমোর হারিয়ে গিয়ে বাবার কাছে ফিরে আসার গল্পটি ওদের সবার খুব পছন্দ । স্কুলের পার্কিংয়ে এসে রাফাত গাড়ী থেকে নামল না, মিতি অয়নের হাত ধরে ক্লাসে দিয়ে আসতে গেল । বাইরে ঝিরিঝিরি তূষারপাতের মধ্যে ছেলে আর মা পাশাপাশি হাঁটছে । মিতির এক হাতে অয়নের স্কুলের ব্যাকপ্যাক । অন্য হাত দিয়ে ছেলের কাঁধটা জড়িয়ে ধরে আছে মিতি ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য । রাফাত তাকিয়ে দেখছে দরজা খুলে ঢুকে গেল ওরা ভেতরে… কতদিন এমন করে ছেলেকে উষ্ণতা দিতে পারবে মিতি ?… আহ! কেন যে এইসব ভাবনার মেঘ বারে বারে উড়ে আসে আর আচ্ছন্য করে দু’চোখ । মিতি কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসবে, তারপরেই মুখোমুখি হতে হবে সেই মুহুর্তগুলোর ।
৯.
অয়নের স্কুল থেকে বেরিয়ে রোজকার মত রাফাত ব্রনসন থেকে কার্লিং এভেনিউ নিল । কার্লিংয়ের ওপরেই মিতির অফিস । সামারে যখন ওয়েদার ভাল থাকে তখন সকালের এই ব্যস্ত সময়েও এই পথটুকু যেতে বিশ মিনিটের বেশী লাগে না, কিন্তু উইন্টারের এই তূষার ঝরা দিনে রাস্তাগুলো সব কেমন পিচ্ছিল হয়ে যায় । বিশেষ করে রাতে তূষার পড়লে ভোর থেকে কাজ করেও রাস্তাগুলো পুরোপুরি পরিষ্কার করা যায় না । এবারের উইন্টারে তূষারও পড়ছে ভীষন । এইরকম ওয়েদারে গাড়ী ড্রাইভিংকে বলা হয় ‘ট্রেচারাস’ কাজ । উইন্টারের বিশেষ চাকা লাগানো সত্ত্বেও গাড়ী নিয়ন্ত্রনে থাকে না, একদিকে যেতে চাইলে ‘স্কিড’ করে অন্যদিকে চলে যায় । কখনো কখনো ব্রেক কাজ করে না ।
বেশ উজ্জ্বল রোদ উঠেছে আজ, চারিদিকে সপ্তাহ শুরুর কর্মচাঞ্চল্য বুঝা যাচ্ছে । ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছে, হাই স্কুলের ছেলে মেয়েরা সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া কবুতরের মত বাক-বাকুম করতে করতে ফুটপাথের ওপর দিয়ে হাঁটছে । অফিসমুখীরা কেউ গাড়ীতে, কেউ বাসে যাচ্ছে । গাড়ীতে যারা যায়, তারা উঠেই রেডিওতে ওয়েদার রিপোর্ট চালিয়ে দেয় । আবহাওয়া এই দেশের ভীষন জরুরী এক অনুষজ্ঞ, কারুর সঙ্গে দেখা হলে ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করার পরেই চলে যায় আকাশের মুখ আজ গোমড়া নাকি আলো ঝলমল, কোথায় আজ কতখানি “স্নো পড়ছে” এই আলোচনায় । বাসযাত্রীদের অধিকাংশই বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে আছে, অন্যরা জানালা দিয়ে বাইরের এই সোনা রোদ উপভোগ করছে । এই দেশে এই রকম উজ্জ্বল রোদ খুব সহজলভ্য নয়, বিশেষতঃ শীতকালে । কার্লিংয়ের কর্নারে এসে রাফাতকে থামতে হ’ল, ট্রাফিক লাইটের লাল বাতিতে । কাছেই একটা হাই স্কুল আছে, দল বেঁধে ছেলে মেয়েরা রাস্তা পার হচ্ছে । এক ব্যস্ত কিন্তু সতর্ক তরুনী মা স্ট্রলার ঠেলে ঠেলে রাস্তা পার হচ্ছে । ডে কেয়ারে বাচ্চাকে রেখেই হয়তো তাকে ছুটতে হবে কাজে যাওয়ার বাস ধরতে । বয়ষ্ক এক জোড়া মানুষ হাত ধরাধরি করে ধীর গতিতে রাস্তা পার হচ্ছে । দু’জনের মুখের চামড়ায় হাজারো ভাঁজ । ঠান্ডার জন্য আপাদমস্তক ঢাকা ওদের দু’জনের শুধু নিষ্প্রভ সাদা মুখটুকু দেখা যাচ্ছে । মিতিদের গাড়ীর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাটি মিতির দিকে তাকিয়ে ধুসর হয়ে আসা চোখ মেলে হাসল, মিতিও হেসে হাত দিয়ে ইশারায় ‘হ্যালো’ বলল । মিতি রাফাতকে বলল, “দেখেছো মহিলার চোখ দুটো কি উজ্জ্বল?” সামনের দিকে তাকিয়ে থাকা রাফাতের মনে হ’ল, কী ভীষন ‘ট্রেচারাস’ এই সকালটা!
মিতির অফিসের সামনে একটা গোল সড়কদ্বীপ আছে, যার ওপর সামারে, স্প্রিংয়ে মৌসুমী বাহারী নানা ফুল গাছের চাষ হয় । ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে রাখা হয়, রাতে টুনিবাতির আলোকসজ্জা দূর থেকেও খুব ভাল লাগে । এই সোনালী রোদের সকালে ক্রিসমাস ট্রির ওপর অবশ্য জমে আছে শ্বেত শুভ্র তূষার । কোন এক অদ্ভুত কারনে উজ্জ্বল সূর্যালোকের ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্রিসমাস ট্রির ওপরে জমে থাকা শুভ্রতাকে খুব মায়াবী মনে হচ্ছিল মিতির । রাফাতকে সেটা বলার জন্য মুখ খুলতে যাবে, তখনই রাফাতের মূঠোফোন বেজে উঠল । রাফাত তখন চেষ্টা করছে ব্যস্ত সড়কদ্বীপের আশেপাশে কোথাও গাড়ী পার্ক করতে । ফোনটা বেজেই যাচ্ছে, রাফাত এক সময় ধরতে পারল, “Hello” ওধার থেকে কি বলল শোনা গেল না, কিন্তু রাফাতের গলার অসহায়ত্বটুকু মিতি শুনতে পেল, “No, I haven’t talked to her yet. I want to see the report first. Is it possible to see a doctor today, please?” মিতি এতক্ষন বাইরে তাকিয়ে অপেক্ষা করছিল রাফাতের ফোনে কথা বলা শেষ হওয়ার জন্য, তারপর বিদায় নিয়ে চলে যাবে । কিন্তু ফোনে রিপোর্টের কথা শুনে হঠাৎ গাড়ীর হিটিংয়ের উষ্ণতাতেও ওর ভেতরে একটা শীতল কাপন উঠল । রাফাত তখনও ফোনে কি যেন বলছে, মিতি ঠিক শুনতে পেল না । তারপর এক সময়ে ও বিষন্ন ভঙ্গিতে ফোনটা মিতির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, “কথা বল, আমি তোমাকে পরে বুঝিয়ে বলছি ।”
মিতি ফোন কানে লাগিয়ে “Hello” বলতেই নারীকন্ঠ ভেসে এলো, “Hello Mrs. Husain. This is Dr. Rivet. Did your husband tell you about your report?”
“No. How is it? Perhaps, I should ask you how bad is it?” কেন কে জানে, কিছুক্ষন আগেও যে মিতির মনে হয়নি ওর রিপোর্ট খারাপ হতে পারে, সে কেন এই মুহুর্তে ‘খারাপ’ রিপোর্টই আশা করছে?
“I am sorry Mrs. Husain, the report isn’t good. Your tumor seems to be malignant. Considering your age and family history I had to move fast. Fortunately, there is a cancellation. So I could arrange an appointment for you with Dr. Chadwick at around noon today. In the meantime, you or your husband may come and pick up the report at the front desk. Dr. Chadwick will explain you the report, further investigation and your treatment options.”
আরো কিছু বলল কিনা ড. রিভে, তা আর শুনতে পেল না মিতি, ফোনটা রাফাতকে ফিরিয়ে দিল । ওরা দু’জনেই চুপ করে বসে আছে সামনের দিকে তাকিয়ে যেন আজকের সকালে ওদের কিছু করার নেই । সব কাজ থেকে ছুটি হয়ে গিয়েছে । নিথর কিছু মুহুর্ত কেটে যাওয়ার পর মিতিই কথা বলে উঠল, “যাই তাহলে এবার?”
রাফাত সম্বিত ফিরে পেয়ে ঘুরে মিতির দিকে তাকাল । হাত বাড়িয়ে মিতির হাতটা ধরে বলল, “মিতি কোথাও নিশ্চয়ই ভূল হচ্ছে কিছু । আমি রিপোর্ট নিয়ে আসি আগে, প্লিজ?”
শান্ত গলায় মিতি শুধু বলল, “এখানেতো রিপোর্ট সাধারনতঃ ভূল হয় না…ঠিক আছে তুমি যাও তাহলে ।”
মিতি আস্তে করে রাফাতের কাছ থেকে হাত টেনে নিয়ে গাড়ী থেকে বের হয়ে গেল । গুড়ি গুড়ি তূষারকনার বৃষ্টির মধ্য দিয়ে মিতি হেঁটে যাচ্ছে বড় দরজার দিকে । বৃষ্টি মিতির খুব পছন্দের । তূষারের এই বৃষ্টি শুকনো, তবু মিতি খুব ভালবাসে এই রকম করে তূষারের বৃষ্টিতে হাঁটতে । বিশেষ করে রাতের বেলায় নির্জন রাস্তায় একা একা হাঁটার সময়ে ওর মনে হয় ও এই পৃথিবীতে নেই । সাদা বরফে ঢাকা চারিদিক আসলে অন্য কোন গ্রহের অংশ, তখন যদি তূষার কনারা পড়ে, তারা আসলে অন্য কোন গ্রহের আকাশ থেকে ঝরে পড়ে । সেই সময়ের নির্জন নি:সঙ্গতাকে মিতি খুব উপভোগ করে । মিতিকে পেছন থেকে দেখতে এখন সেই রকম নিঃসঙ্গ লাগছে…
চলবে…
……………………………………………………………………
পূনশ্চঃ অনুগ্রহ করে আমার লেখায় বানান ও যতি চিহ্নের ভুলগুলো দেখিয়ে দিন । ধন্যবাদ ।
মন্তব্য
গুঁজে
পরিচ্ছন্ন
বাঁধাকপি
তুষার
আচ্ছন্ন
তরুণী
বয়স্ক
ধূসর
তুষার কণা
ভুল
মুহূর্ত
মুঠোফোন
কাঁপন
লেখা চমৎকার হচ্ছে।
এই যাহ! গুনে গুনে তেরটা বানান ভুল করেছি । আচ্ছা, আমাকে বলতে পারেন, হ’ল হবে না কি হল হবে? বরাবর বানান ভুল করি আমি । কবে যে একটা স্পেল চেকার পাব !
লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল । এ এক দীর্ঘ পথ চলা । জানি না, কতটা বলতে পারব সেই পথ চলার আনন্দ বেদনার কথা ।
………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত সংক্ষিপ্ত মন্তব্যেতো চলবে না ।
সে যাক, ধইন্যা পাতা পড়ার জন্য ।
………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনার ৭ টা পর্ব টানা পড়ে গেলাম, মন খারাপ করে দেওয়ার মত লেখা। অনেক মায়া দিয়ে লিখেছেন বোঝা যায়। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
-------------------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
আপনি যখন সব ক’টি পর্ব পড়েছেন, তাহলে তো জেনেই গেছেন এটি একটি সত্য গল্প । জীবনের চেয়ে মায়াবী আর কী আছে বলুন?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার লাগলো লেখা। পড়ে খারাপও লাগলো। মানুষের জীবনটা কেমন ! এক নিমেষেই সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যেতে পারে।
জীবনতো এমনই…………
এই যে সাজানো ঘরদোর, দেয়ালে স্বপ্নের রংয়ের পোচ
এক মুহূর্তের ঝড়ে সব তচনচ…
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
- বেশ নাটকীয় পরিস্থিতি... কী হয় কী হয় অবস্থা।
পরের পর্ব দিয়ে দিন তাড়াতাড়ি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেখুন আপনার অনুরোধ রাখতে পারিনি । দীর্ঘ ছুটি শেষে কাজে ফিরেছি, কাজেই লেখার টেবিলে বসা হয়নি । এখন থেকে চেষ্টা করব নিয়মিত লিখতে ।
পরের পর্বটা লিখেছি । সময়ে কুলালে পড়ে দেখুন …
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন