উপক্রমণিকাঃ
[ মে মাসের শুরুতে মাধ্যমিকের ফলাফল বের হওয়ার পরে সচলায়তনে এই লেখাটি দিয়েছিলাম । পত্রিকার পাতায় হত দরিদ্র অথচ অনন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের ম্রিয়মান মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে আমার ব্যক্তিগত অপরাধবোধের কথা লিখেছিলাম । আমার সামান্য লেখাটিতে কয়েকজনের সদয় আগ্রহ দেখে খুব ভাল লেগেছিল । সচল স্নিগ্ধা , শামীম ও তাসনীমের মন্তব্যে অনুপ্রানিত বোধ করেছি । সচল রাগিব জানিয়েছিলেন হৃদয়ে বাংলাদেশ নামে সংগঠনটির কথা ।
তখন ভেবেছিলাম এই বিষয়ে যথা সম্ভব তথ্য যোগাড় করে আরেকটি পোস্ট দেব । সে কারনেই সেই পোস্টের মন্তব্যের জবাবও দেইনি । কিন্তু জীবনের দূর্বিনীত গ্রাসের কারনে হয়ে উঠেনি । এই সুযোগে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
প্রায়শঃই মনে হয়, জীবন এমন এক তাড়না শুধু ছুটিয়ে নেয় । মুহুর্তের অবসর দেয় না……প্রাণপাত করে ছুটে চলা যেদিন সাঙ্গ হবে, বেলা শেষের সেই ক্ষণের সঞ্চয় দেখে কুন্ঠিত হব না তো? সে যাক গে, জীবনের এই কঠিন প্রশ্নের জবাব আজকের মত তোলা থাক … ]
খুব সম্ভব দ্বিতীয়বার যখন দেশ থেকে ফিরছি তখন উড়োজাহাজে আমার পাশে বসে ছিলেন একজন মাঝবয়সী ভদ্রলোক । কথায় কথায় জানলাম উনি উত্তর আমেরিকার কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । অনেক বছর প্রবাসে বসবাস । দেশে গিয়েছিলেন মায়ের মৃত্যুর পরে পারিবারিক স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের ব্যবস্থা করতে । বাবা আগেই মারা গিয়েছেন । ভাই বোনরা এক সঙ্গে বসে সব কিছুর মীমাংসা করেছেন । স্বচ্ছল পরিবারে কেউই অর্থকষ্টে নেই । কাজেই, সকলে একমত হয়ে বেশ বড় অংকের টাকা দান করেছেন গ্রামের মসজিদ উন্নয়নে । তখন আমার বয়স কম, বাবা মা দু’জনকে হারিয়ে ফেলার কথায় মন আচ্ছন্য হয়ে আসে । কাজেই ওনার মসজিদে দান করার চেয়ে সদ্য মা হারানোর কষ্টের দিকেই মনোযোগ ছিল ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই ভদ্রলোক কোন ব্যতিক্রম নন । আমাদের সমাজে যাঁরাই দান খয়রাত করেন, যে কোন কারনেই হোক, প্রথমেই বেছে নেন মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, দরগা,…তথা ধর্মীয় উপাসনালয় (আমার পর্যবেক্ষন ভুলও হতে পারে । স্যাম্পল সাইজ ছোট হলে রেজাল্ট বায়াস হতেই পারে । কেউ যদি এই ব্যাপারে কোন স্টাডি দেখান, তা’হলে আমি পড়তে আগ্রহী ।) আমার এই লেখার উদ্দেশ্য কিন্তু তাঁদের সমালোচনা করা নয় । আমি শুধু এই প্রবনতাটির বিরুদ্ধে । মসজিদ, মন্দির, গীর্জা তথা উপাসনালয় অবশ্যই দরকার আছে, কিন্তু মসজিদের দেয়াল, মেঝে, সিড়িতে দামী টাইলস লাগিয়ে তাকে সুশোভন করার কতটা দরকার আছে সে নিয়ে বোধহ্য় বিতর্ক করা যেতে পারে । বিশেষতঃ যে দেশে এখনো ডায়রিয়ায় কোলের শিশু মারা যায়, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রসুতি মারা যায় আকছার, টাকার অভাবে মেধাবী ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে না ।
কানাডায় আমার এগার বছরের প্রবাস জীবনের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার কথা কিছু বলি এবারে । এই দেশে সরকার শিক্ষা (টুয়েল্ভ গ্রেড পর্যন্ত) ও চিকিৎসার সিংহভাগ ব্যয়ভার বহন করে । ক্যান্সারের মত ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচও সরকারই দেয় । সেজন্য সরকার অবশ্যই সকল সক্ষম নাগরিকের কাছ থেকে প্রগ্রেসিভ রেটে ট্যাক্স আদায় করে । তারপরেও, ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়বেটিস ইত্যকার নানাবিধ রোগের চিকিৎসা, গবেষনায় নাগরিকরা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে দান করে । প্রতি বছর শুধুমাত্র ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা, গবেষনা, ও রিহেবিলিটেশনের জন্যই আছে CIBC (কানাডার একটি ব্যাংক)র “রান ফর কিউর”, “উইকএন্ড টু এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার” রান । প্রস্টেট, লাংস, প্রভৃতি ক্যান্সারের জন্যও আছে একই রকম ফান্ড রেইজিং ইভেন্ট । এছাড়াও আছে লিজেন্ডারী টেরি ফক্স রান । শিক্ষা বছর শুরুতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে প্রতিটি স্কুলে “টুনি ফর টেরি” রান হয় । স্কুলের ছেলে মেয়েরা খেলার মাঠে দৌঁড়ায় । একটি করে ল্যাপ দিয়ে এসে শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতে একটি সিল পায় । সবশেষ ল্যাপটি দিয়ে এসে শিক্ষকদের হাতে তুলে দেয় বাবা মায়ের কাছ থেকে চেয়ে আনা দু’ডলারের মুদ্রাটি, যা “টুনি” নামে পরিচিত । ছেলে মেয়েরা সামারের ছুটিতে এক্সট্রা কারিকুলাম প্রজেক্ট হিসেবে বেছে নেয় কানাডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটি, হার্ট ফাউন্ডেশনের হয়ে ফান্ড রেইজিং । বাড়ী বাড়ী গিয়ে তারা সংগ্রহ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত অনুদান, যা এক করলে আর ক্ষুদ্র থাকে না । আমার নিজের দেখা একটি অভিজ্ঞতার কথা না বলে পারছি না । বাড়ীর কাছের হাসপাতালটির ক্যান্সার সেন্টারটিতে রোগিদের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না । তাই, প্রভিনশিয়াল সরকার হাসপাতাল সম্প্রসারনের কাজ হাতে নেয় ২০০৮ এর মে মাসে । সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নাগরিকদের কাছ থেকে ২০ মাসে ২০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে “২০/২০” ফান্ড রেইজিং প্রোগ্রাম শুরু হয় । বিশ মাসের মাথায় ২০১০ এর ফেব্রুয়ারীতে
২০/২০ ক্যাম্পেইন ২৪.৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে । হাসপাতালটির সম্প্রসারন এই বছরের শুরুতেই শেষ হয়েছে ।
আমাদের দেশের মানুষের সামর্থ্য প্রথম বিশ্বের দেশের নাগরিক কানাডিয়ানদের মত না । নিজের পরিবারের গ্রাসাচ্ছন সংগ্রহের পায়তারাতেই দিনমান পরিশ্রম করতে হয় অধিকাংশ মানুষের । তারপরেও আমরা যদি আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যকে একত্র করি তাহলে কী হতে পারে তা মাত্র ২২ বছরের টেরি ফক্স দেখিয়ে গিয়েছে । কানাডার স্কুলগুলোতে শিশু কিশোরদের টেরির আদর্শে অনুপ্রানিত করার যে সংস্কৃতি চালু আছে তারই ফলাফল অটোয়া হাসপাতালের সম্প্রসারিত ক্যান্সার সেন্টারটি ।
আমরাও যদি সেই সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে চালু করতে পারি, তা’হলে অনেক স্বপ্নই পুরন হতে পারে । জানি না কবে সেই স্বপ্ন পুরনের দিন আসবে । আজকের এই লেখাটি শেষ করব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের “অদম্য মেধাবী” উদ্যোগটির কথা দিয়ে । আমি জানতাম না যে, প্রথম আলোর কোন ট্রাস্ট আছে । ইন্টারনেটে খুঁজতে খুঁজতে এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে যোগাযোগ করলাম । যা জেনেছি, তা মোটামুটি এরকম ।
“প্রথম আলো ট্রাস্ট মাধ্যমিক পরিক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে যারা দরিদ্র, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং যাদের শিক্ষার জন্য নিজেরা পরিশ্রম করে এরকম দেশ ব্যাপী কিছু ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । বিশাল বাংলার সাংবাদিক দল খবরের জন্য দেশব্যাপী ঘুড়ে বেড়ান এবং সংবাদ সংগ্রহ করেন । ফলে এই সুবাদে দেশের আনচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসেন । সামান্য অর্থের অভাবে যাদের উজ্জল ভবিষ্যত থাকা স্বত্বেও শিক্ষা জীবন গুরুতর ঝুঁকির মুখে তাদেরকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিচ্ছে প্রথম আলো ।
বিশাল বাংলার সাংবাদিকগণ প্রথমে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে যারা প্রচণ্ড সমস্যার মাঝেও কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করেন । সেই তালিকা প্রথম আলোর কর্মকর্তাগণ বাছাই করে অঞ্চল, নারী-পুরুষ প্রভৃতি বিষয়ের উপর একটি সামঞ্জস্যতা ও ভারসাম্য বজায় রেখে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে । এরপর শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত ছাত্র/ছাত্রীকে ১৫০০ টাকা মাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয় । এছাড়া ২৫০০ টাকা দেয়া হয় ভর্তিকালীন সময়ে ।”
…… উদ্ধৃতি (অদম্য মেধাবী, প্রথম আলো ট্রাস্ট এর ওয়েবপেইজ থেকে)
ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে জেনেছি প্রতি বছর প্রথম আলো ৪০জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহযোগিতা দেয় । বিভিন্ন কর্পোরেটের পাশাপাশি যে কোন ব্যক্তিও এই উদ্যোগে অনুদান দিতে পারেন । একজন শিক্ষার্থীর দু’বছরের (উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষার খরচ যোগাতে সর্বমোট ৪২,৬০০ টাকা দিতে হয় (ভর্তি ট২৫০০, প্রতি মাসে ট১৫০০, ডি. ডি. ফি. ট১১০০ ও সম্বর্ধনা বাবদ ট৩০০০) । স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দাতাকে সরাসরি শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয় । প্রথম আলো ট্রাস্ট শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস হতে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে ।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
কারওয়ান বাজার, ঢাকা - ১২১৫
ব্যাংক একাউন্ট নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট
ব্যাংক: ঢাকা ব্যাংক
একাউন্ট নম্বর: ২০৭-১০০-৭১১৫
সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদের ই-মেইল এড্রেসেও (paulazizএটgmailডটcom, trustএটprothom-aloডটinfo, trustএটprothom-aloডটcom) যোগাযোগ করতে পারেন ।
জানি না প্রথম আলোর এই উদ্যোগটি কতটা ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে এইসব ম্রিয়মান শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপুরনে । শুধু জানি, কোথাও না কোথাও আমাদের শুরু করতে হবে । হৃদয়ে বাংলাদেশ, অদম্য মেধাবীর মত উদ্যোগগুলো সৎ ও কার্যকরী হোক এই প্রত্যাশা করি । এমন আরো উদ্যোগ আসুক মেধাবী শিক্ষার্থীদের চোখের গহবরে জমে থাকা অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোকের স্বপ্নচারনে…
……………………………………………………………………………………………………
পাদটীকাঃ তাসনীমসহ যাঁরা আগের লেখাটি পড়ে আমার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন, তাঁদেরকে আমার সশ্রদ্ধ ধন্যবাদ । দোয়া করবেন যেন আমি আমার মায়ের আলোকের শত ভাগের এক ভাগ অন্ততঃ ধারন করতে পারি । আমার মাকে নিয়ে ছয় পর্বের একটি সিরিজ লিখেছিলাম তাঁর মৃত্যুর পর । এখানে শেষ পর্বের লিঙ্ক দিচ্ছি । এই লেখায় আমি তাঁর অতি ক্ষুদ্রাংশই তুলে আনতে পেরেছি । তবে, এটি লেখার অভিজ্ঞতা আমাকে সদ্য মা হারানোর বেদনার সময়ে হাত ধরে পথ দেখিয়েছে । বাকী জীবন মার শেখানো আলোতেই পথ দেখবো, এই আমার চলার শক্তি ।
মন্তব্য
-খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। আমাদের এখানেও ব্যাপারটা দেখি, বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর পর একটা বড় অংশ মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করতে বলা হয়। এটা না করে টাকাগুলো এমনভাবে খরচ করা উচিত, যাতে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানে সরাসরি কাজে লাগে। দানের মাধ্যমে যদি পরকালের নেকী হাসিলের চিন্তাই করা হয়, তাহলে বরং মানুষের উপকারের জন্যই বেশি করা উচিত।
মেধাবি শিক্ষার্থীদের সাহায্যের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা পড়ার জন্য । আসুন না আমরা সবাই আমাদের আশেপাশে এই প্রবনতাটি ভাঙ্গার চেষ্টা করি । কম সম্পদের এই দেশে কম গুরুত্বপুর্ণ কাজে সম্পদের অপচয় না করে, সত্যিকারের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করি ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মেধাবী ছাত্রদের সাহায্যের প্রয়াস কে স্বাগত
আমার নিক : সাধারণ
ধন্যবাদ আপনাকে । আমি আমার মায়ের জীবন থেকে জেনেছি শিক্ষাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ । আমার মা নিভৃতে তাঁর সাধ্যের মধ্যে এ কাজ করে যেতেন । আজ আর সে নেই, কিন্তু আমার প্রেরণা হয়ে আছে সে সব সময়, সব কাজে…
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মাকে নিয়ে লেখা সিরিজটা আবার পড়লাম আপু..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক ধন্যবাদ তিথী পড়ার জন্য । ভাল থেকো ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচলায়তনের গেস্ট একাউন্ট নিয়ে আমার কোন অনুযোগ নেই । একটাই সমস্যা লেখা এডিট করা যায় না । কোনভাবে কি গেস্টদেরকে এই সুযোগ সচলায়তন দিতে পারে না?
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন