মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি এক সময় উন্মনা করে তুলতো । আনমনে পথ চলতে আচম্বিতে নীল আকাশ ধোয়া এক ফোঁটা বৃষ্টি গালে ছুঁয়ে গেলে কোথায় যেন ময়ুরীর পেখম তোলা নুপুরের ঝঙ্কার বেজে উঠতো । যে দেশে সেই স্বপ্নের ময়ুরের বাস সেখানে মন ছুটে যেত । কখনো পড়ার টেবিলে বসে বৃষ্টির শব্দে সব মনোযোগ ছুটে যেত, আলগোছে পড়ার টেবিল থেকে উঠে বারান্দার গ্রীলে মাথা ঠেকিয়ে শুধু বৃষ্টির ফোঁটাদের পড়তে দেখা…সামনের নিচু জমিটায় জমে থাকা জলের ওপর…প্রথমে এক ফোটা…দু’ফোটা…তিন ফোটা…তারপর অঝোর ধারায়…পড়েই জলের মধ্যে মিলিয়ে যাওয়া…দূর আকাশ থেকে নেমে আসা বৃষ্টির ফোঁটাদের জীবন শুধুই ওইটুকু সময়ের…
পেছনে ফিরে তাকালে সে এক অন্যজীবন মনে হয় । বৃষ্টি পড়ার সেই সুর অন্য ভূবনের মনে হয় । তারপরেও মৌসুমের প্রথম তূষার পড়ার দিনে প্রায় মধ্যরাতে একজন ঘর থেকে বের হয়ে আসে । তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে, আপাদমস্তক শীতের পোষাকে ঢাকা তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই সে নারী, নাকি পুরুষ । পেছনে পড়ে থাকে ঘর দোর, সংসার, সন্তান, আসবাব, জানালায় বর্নীল পর্দা, ফায়ার প্লেসের ম্যান্টেলপিস, দেয়ালে দেয়ালে সুখী পারিবারিক ছবি,…সব কিছু পেছনে ফেলে সে হাঁটতে থাকে । রাস্তার সাইডওয়াক ধরে হাঁটতে থাকে একা । যতদূর চোখ যায় তাকালে সেই একমাত্র পথচারী এই নির্ঘুম রাতে…
আকাশের গায়ে ঝুলে আছে ঘষা চাঁদ । সর্বগ্রাসী নাগরিক আলোর কাছে হার মানা জ্যোৎস্ন্যাকে ম্রিয়মান মনে হয় । নিঝুম রাতের নিঃশব্দতাকে ভেঙ্গে অনেকক্ষন পরপর এক একটা গাড়ী বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেরী হয়ে যাওয়া গৃহবাসীদের । দূর থেকে গাড়ীগুলো যত কাছে আসে, ওদের চলার শব্দে “দেরী হয়ে গেছে, বড্ড দেরী হয়ে গেছে”ভাবটা তত প্রকট হয় । তারপর এক সময় ছুটে চলা গাড়ীগুলো এক এক করে মধ্যরাতের পথচারীকে ছাড়িয়ে যায় । গাড়ীর ওই ছুটে চলার শব্দই এই মুহুর্তে মানুষটির একমাত্র সঙ্গী । নিয়মিত বিরতিতে এই শব্দেরা আসে…আর যায়…তারপর নিথর, নিঃশ্চুপ চরাচর…
বেশ কিছুদূর সাইডওয়াক ধরে হেঁটে এসে মানুষটি বাঁক নেয় বাদিকে । কংক্রিটের সাইডওয়াক ছেড়ে পা রাখে সাদা তূষারের পুরো স্তরের ওপর । সদ্য নীল দিয়ে ধুয়ে মেলে দেয়া ধবধবে সাদা কাপড়ের মত পড়ে আছে চারকোনা বড় খেলার মাঠটি । এক কোনায় ছোট ছোট শিশুদের প্লে স্ট্রাকচার, সুইং, বড়দের বসার বেঞ্চ । পুরো মাঠ জুড়ে পড়ে থাকা তূষারের সাদা রং ছাড়া কোথাও আর কোন রং নেই…দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ীগুলোর ঢালু ছাদে সাদা তূষারের টুপি…এখানে ওখানে পাতা ঝরা গাছগুলোর ডালে ডালে ঝুলে আছে পেঁজা তুলার মত ছোট ছোট তূষারের সাদা বল…পাইন গাছের কাঁটা কাঁটা শক্ত পাতার সবুজ পাতায় কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে মুঠো মুঠো সাদা তূষার…
কোথাও কেউ নেই । মাঠের ওপরে জমে থাকা গুড়ো গুড়ো তূষারকণাদের দু’পায়ে মাড়িয়ে যেতে থাকে মানুষটি…দেখে মনে হয় চাঁদে পেয়েছে তাকে…মন্ত্রমুগ্ধের মত হাঁটতে থাকে সে মাঠের মাঝ বরাবর…পেছনে পড়ে থাকে স্বপ্নদেখার অভিলাষ, স্বপ্নভঙ্গের মনস্তাপ…কোনাকুনি হেঁটে মাঠের মাঝখানে এসে কী হয় কে জানে, মানুষটি দু’হাত ছড়িয়ে দেয় দু’পাশে । তারপর ছুটতে থাকে মাঠের ওপর, যেন সে পাখি হয়ে গেছে । পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষনকে একটুখানি ফাঁকি দিতে পারলেই সে উড়ে চলে যেতে পারবে ঐ আকাশে । এক সময় একটু থেমে গোল হয়ে নিজের চারিদিকে নিজেই ঘুরতে থাকে সেই ছেলেবেলার “কানামাছি ভোঁ ভোঁ/ যারে পাবি তারে ছোঁ…”র মত । আপন মনে নিজেই এক সময় হেসে উঠে, “ভূল মানুষকে ছুঁয়ে দিয়ে কেটে গেল জীবন ওরে অন্ধ বিহঙ্গ তোর…”
এক সময়ে ধীর লয়ে হেঁটে এসে দাঁড়ায় মাঠের অন্য কোনার ল্যাম্পপোস্টের নীচে । মুখ তুলে তাকায় আকাশের দিকে, ল্যাম্পপোস্টের তীর্যক আলো ছড়িয়ে পড়ে মানুষটির গালে, মুখে, চিবুকে । কোন এক অদ্ভুত কারনে ঠিক এই সময়ে ঝিরিঝিরি তূষারকণারা নেমে আসে আকাশ থেকে…একটি কণা…দু’টি কণা…তিনটি কণা…তারপর অঝোরে…তূষারকণারা কী যাদুমন্ত্রে ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলোর নীচে বাতাসে উড়ে যাওয়া সোনালী ফিতের মত এঁকে বেঁকে আলগোছে নেমে আসে মানুষটির চোখে, মুখে, চিবুকে…তখন সে দু’চোখ বন্ধ করে দেয় । কোথা থেকে ভেসে আসে ফেলে আসা গত জন্মের সেই সুর…আকুল হয়ে তখন সে শুধু তাই আকন্ঠ পান করতে থাকে…
নিঝুম চরাচরের মধ্যে নিঃসঙ্গ মানুষটিকে দেখে তখন আর মনে হয় না সে কারুর কেউ…না কারুর জননী, না কারুর অপত্য স্নেহের সন্তান, না কারুর আবাল্যের বন্ধু… যেন সে শুধুই প্রকৃতির অংশ…
ফুটনোটঃ
ছবিটি এখান থেকে নেয়া
মন্তব্য
বাহ্!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই । প্রিয় ছড়াকারের মন্তব্য পেলে কার না ভাল লাগে?
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই । প্রিয় ছড়াকারের মন্তব্য পেলে কার না ভাল লাগে?
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
বেশ ভালো লাগলো। তবে শিরোনামটা কি বাংলায় হতে পারত না? "নৈঃশব্দের সুর" দিতে পারতেন। পুরো লেখায় ভাষার ব্যবহার চমৎকার। এ কারণেই বললাম। স্রেফ নিজস্ব মত। কিছু মনে করবেন না।
অতন্দ্র প্রহরী, অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সদয় মন্তব্যের জন্য ।
জানেন, আপনার মত আমিও ভেবেছিলাম বাংলায় শিরোনাম দিতে “নৈঃশব্দের মূর্ছনা/সুর” । নিজের সঙ্গে অনেকক্ষন বোঝাপড়ার পরে এই শিরোনামটা দিয়েছি …আপনার কথায় কিছু মনে করব কেন? আপনি যে বাংলায় শিরোনাম দেয়ার কথাটা ভেবেছেন, আমাকে জানিয়েছেন সেটাই আমার ভাল লেগেছে । ভাল থাকুন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
খুবই ভাল লাগলো। গল্পে যে চিত্রটা দেখালেন, খুব সুন্দর তা।
অনেক ধন্যবাদ বইখাতা পড়ার জন্য । তূষার ঝরা নীরব রাতের ছবিটি আপনার ভাল লেগেছে দেখে ভাল লাগছে ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অপুর্ব লাগলো -
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
অনেক ধন্যবাদ আঁকাইন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আর অম্নি আমি ভাবতে শুরু করলাম, কে সে ? কিসের এত দুঃখ তার?
খুব খুব সুন্দর।
সাত্যকি
সাত্যকি, আপনি খুব মনোযোগী পাঠক বুঝাই যাচ্ছে । তূষার ঝরা নীরব রাতের গল্পের গহীনের জায়গাটি ঠিক ধরে ফেলেছেন । এ এক দূঃখের গল্প, আবার দুঃখ অতিক্রমের গল্পও বলতে পারেন ।
কীসের এত দূঃখ তার? দুঃখ ছাড়া কি কিছু হয়?.....
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
খুব সুন্দর...ছেলেবেলার গন্ধ মাখানো রূপকথার মত লেখা।
আরো ঘন ঘন লিখুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ।
সাহস দিচ্ছেন? ছাইপাশ কীসব লিখি, কেইবা পড়ে…
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার লেখা!
অনেক ধন্যবাদ নাজনীন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার লাগলো বর্ণনা। সাথের ছবিটাও।
বিডিআর- এর বলা 'নৈশব্দের সুর' শিরোনাম হিসেবে ঠিক আছে। কিন্তু গল্পে যে বর্ণনা এসেছে, যে তুষারপাতের কথা এসেছে সেটা প্রকাশ করার জন্য 'নৈশব্দের সুর' বোধকরি যথেষ্ট না। মিউজিক অফ সাইলেন্স-ই আসলে যথাযথ। কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে, কিছু কিছু অনুভূতি থাকে যেগুলোর কোনো অনুবাদ হয় না। প্রথম যে শব্দটা মাথায় আসে, সেটাই গেঁথে থাকে সবসময়, সেই মুহূর্ত কিংবা সেই পারিপার্শ্বিকতার গন্ধ নিয়ে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধূলি, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আমার এই অতি সাধারন গল্পটি এত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন দেখে ভাল লাগছে ।
আগের একটি মন্তব্যের জবাবে বলেছি এ এক দুঃখের গল্প, আবার দূঃখ অতিক্রমেরও গল্প । ভূল মানুষকে ছূঁয়ে দিয়ে কাটিয়ে দেয়া জীবনের গল্প । আবার সেই জীবনকে অতিক্রমেরও গল্প…
ও হ্যা, গল্পের শিরোনামের ব্যাপারে একদম আমার মনের কথাটি বলেছেন । আমিও অনেকক্ষণ বাংলা শিরোনামের কথা ভেবে ভেবে শেষে এই শিরোনামটিকে বেছে নিয়েছি ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
দারুণ!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ, নজরুল ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
শিরোনামটা দেখে একটু কৌতুহলি হয়েছিলাম। এই শিরোনামে সম্ভবতঃ ওস্তাদ আমজাদ আলি খানের একটা শাস্ত্রীয় সরোদবাদনের এ্যালবাম ছিলো। গভীর আগ্রহে পড়লাম, কয়েকবার। গতানুগতিকতাবিরোধি একটা লেখা যেখানে তুমি নেই, আমি নেই কিন্তু আছে কেউ। নর বা নারী, তা অনিশ্চিত কিন্তু এক পথচারির সবল উপস্থিতি। আপনার লেখাটা মনে করিয় দিলো আর একবার যে আমাতে প্রকৃতি বাস করে আর প্রকৃতিতে আমার বসত। চমৎকার লিখেছেন আপনি জোহরা আপা।
রাতঃস্মরণীয়
ঠিক বলেছেন, রাতঃস্মরনীয় । অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সময় করে মন্তব্য লেখার জন্য । আমি খুব অনিয়মিত, তাই জবাব দিতে অনেক দেরী করলাম, আশা করি কিছু মনে করবেন না । ভালো থাকুন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
“ভূল মানুষকে ছুঁয়ে দিয়ে কেটে গেল জীবন ওরে অন্ধ বিহঙ্গ তোর…”
অসাধারণ লাগলো আপনার লেখা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাল লাগলো...কাকতালীয় ভবে একটা বৃষ্টির গান শুনতে শুনতে আপনার লিখাটা পরলাম। বরফ ভাল লাগে কিন্তু দেশ ছেড়ে আসার পর অনেক কিছুর সঙ্গে বৃষ্টিকে মিস করি ভীষণ রকম। আমার খুব প্রিয় একটা বৃষ্টির গান আপনার জন্য।
http://www.youtube.com/watch?v=9sXy3m3o0ys
মেঘলা
আগে পড়া হয়েছিল না, বর্ণনাটা অনেক ভালো লাগল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"ঠিক মানুষ" পুরাই একটা ভান্ত ধারমা মাত্র।
তবে এইরকম কথা শুনলে বুকের খুব ভেতরে গিয়ে লাগে কোথাও।
মনে হয়, কি ভীষণ সত্যি একটা কথা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভীষণ সত্যি কথা বলেই তো হালকা করে বললাম যে, কী যায় আসে? আসলে চিরকাল ছুঁয়ে থাকার চেয়ে একবার ছুঁয়েছিলাম সেটাই বা কম কী? জীবনটাতো খুবই ছোট্ট শুনেছি, সার্থকতাটুকু-ব্যর্থতাটুকু পুরোটাই উপভোগ করলেই ঝামেলা মিটে যায়। আর আসলেই তো, আমিও প্রথমে ঐটাই লিখতে গিয়েছিলাম কিন্তু... 'ঠিক মানুষ' আর 'ছুঁয়ে দেওয়া' সবই আসলে ভ্রান্ত ধারমা।
ইচ্ছে আমার ইচ্ছে গাড়ি
যা মিলে যায় তাতেই পাড়ি...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করুন, দিদিমণি!
আমি যেন ভালোমন্দ যাহাই আসুক- এর মতো, পাওয়া-না পাওয়া, যাহাই ঘটুক, সবকিছুকে সহজে লইতে পারি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে! আমি কী আশিব্বাদ করবো আপুজান? আমি খালি ঐটাই বলছি যে, দুই দিনের দুনিয়া, কী আছে জীবনে!
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গতানুগতিকতাবিরোধি একটা লেখা যেখানে তুমি নেই, আমি নেই কিন্তু আছে কেউ। নর বা নারী, তা অনিশ্চিত কিন্তু এক পথচারির সবল উপস্থিতি। আপনার লেখাটা মনে করিয় দিলো আর একবার যে আমাতে প্রকৃতি বাস করে আর প্রকৃতিতে আমার বসত। চমৎকার লিখেছেন আপনি জোহরা আপা।
রাতঃস্মরণীয়
আমিও রাতঃস্মরণীয়ের মত বলতে চেয়েছিলাম।
আপা আপনাকে মিস করি।
আ,শ,ম এরশাদ
নতুন মন্তব্য করুন