আবার বাড়ী বদলাতে হচ্ছে । দু’দিন আগেও ঘরের যেখানে যেটা থাকার কথা, তাই ছিল...এখন সব অগোছালো । বইয়ের শেলফগুলো হা হা শুন্যতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । কিচেনের কাউন্টারে স্তূপ করে রাখা জিনিস বাক্সবন্দী হওয়ার অপেক্ষায় । লিভিংরুমের মেঝেতে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্ঝরের পাজলের টুকরো...ছোট্ট রাবারের শার্ক...কবেকার কোন জন্মদিনের পার্টিতে পাওয়া না-খোলা লুটব্যাগ (সেখান থেকে উকি দিচ্ছে মোড়কসহ ললিপপ)...হলুদ রংয়ের স্ট্রেস বল...। নির্ঝরের ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে বাদামী রংয়ের স্টাফড ভাল্লুক, ক্যান্ডির মোড়ক...দেয়ালে লাগানো দু’বছর আগের স্কুল প্রজেক্ট My Hero – Terry Fox (ভুল বানানে লেখা Terry is my hero, because he ran for winnign cancer), National Geographic এর পোস্টার World of water, নির্ঝরের নিজের করা টিনটিনের স্কেচ । এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ইরেজার...রং পেন্সিল...লাল মলাটের বই “Je t’aime” । নির্ঝরকে বইটা কিনে দিয়েছিলাম মন্ট্রিয়ালে, তখনো ও খুব ছোট, বই পড়তে শুরু করেনি...ফরাসী বইয়ের তো কথাই ওঠে না । বইয়ের মলাটে মাকে জড়িয়ে ধরে থাকা এক শিশুর ছবি । বইটা নাড়াচাড়া করলে সেই ছবির শিশুটি মাকে জড়িয়ে ধরে । দেখেই আমাদের দু’জনের খুব ভাল লেগে গিয়েছিল । অসংখ্যবার সেই বই পড়ার সময় নির্ঝর আমাকে ছবির শিশুটির মত করে জড়িয়ে ধরে রিনরিনে গলায় বলেছে, “মাম, Je t’aime (তোমাকে ভালবাসি)” । নির্ঝর এই বইটা “আউট গ্রো” করে ফেলেছে, আমি করিনি...প্রতিবার বাড়ী বদলের সময় যত্ন করে বইটা সঙ্গে নেই ।
লিভিং রুমের দেয়ালের ছবিগুলো খোলা হয়েছে...দেয়ালের গা ফুঁড়ে দুর্বিনীত পেরেকগুলো শুধু মাথা বের করে আছে...একটা দেয়ালে এখনো ঝুলছে লাল সবুজ পতাকাটা । ক্লোজেটের হাট করে খোলা দরজা পেরিয়ে চোখে পড়ে ডজন খানেক খালি হ্যাঙ্গার ঝুলে আছে । কিচেনের দরজায় ঝুলানো উইন্ড চাইমটা বাতাসে লেগে বেজে উঠল লিং লিং লিং...আসবাব পত্রহীন বাড়ীটার জানালায় পর্দাগুলো কেমন বিষাদের বেহাগের মত ঝুলে আছে । বেডরুমের জানালায় এসে দাঁড়াতেই আকাশটা খুব কাছে চলে এলো...জানালার গরাদে মাথা রেখে শেষবারের মত এই বাড়ীর জানালার আকাশটা দেখতে থাকি ।
কত বাড়ীর জানালায় এমন করে আকাশ দেখেছি? সেই শৈশবে গ্রামের টিনের চালের বাড়ীর জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখা...দুদ্দাড় করে হঠাৎ কোন কালবৈশাখী ঝড় এলে শো শো বাতাসের ঝাপটায় গাছেদের নুয়ে পড়ার দৃশ্য...টিনের চালে ঝম ঝম বৃষ্টি পড়ার শব্দ...ঝড় থেমে গেলে উঠানে ভেঙ্গে পড়া গাছের ডাল, পাতা, বাকল...মাটির সোঁদা গন্ধ...
দেশে শেষ যে বাড়ীতে ছিলাম তার এক ধারের জানালা দিয়ে দেখা যেত একটু দূরে দাঁড়ানো কৃষ্ণচূড়ার গাছ । লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলেরা থোকা থোকা ফুটে থাকত জানালা জুড়ে । বাড়ীর ধার ঘেঁষে একটা ছোট্ট জলা জায়গা ছিল । শোবার ঘরের জানালা দিয়েই পাশের এক চিলতে বারান্দা পেরিয়ে দেখা যেত সেই জলা জায়গাটা । বৃষ্টি হলেই বারান্দার গ্রিলে গাল ঠেকিয়ে দেখা যেত আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোটাদের টুপটাপ পড়া । পূর্ণিমা রাতে জ্যোৎস্নারা জানালার পর্দা গলে ঢুকে পড়ত শোবার ঘরে...তখন পড়তে থাকা বই বুকের ওপর আলগোছে রেখে জানালায় চোখ রাখতেই হ’ত । চন্দ্রাহত নির্ঘুম অনেক রাত কেটেছে কখনো পরিষ্কার নীল আকাশের ব্যাকগ্রাউন্ডে উজ্জ্বল চাঁদ দেখে, কখনো চাঁদের গা ঘেঁষে মায়া মায়া মেঘেদের আনাগোনা দেখে ।
দেশান্তরী জীবনের প্রথমে যে বাড়ীতে ছিলাম, সেটা ছিল চোদ্দ তলায় । এত উঁচুতে কখনো থাকিনি, মনে হ’ত যেন আকাশের খুব কাছাকাছি । জানালা দিয়ে হাত বাড়ালেই বুঝি আকাশ ছোঁয়া যাবে । উঁচুতলা এই এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের পাশেই ছিল একটা উইপিং উইলো ট্রি...সেই প্রথম উইলো ট্রি দেখা, খুব ভালবেসে ফেললাম প্রথম দেখাতেই । কোথায় যেন অনেক আগে শৈশবে গ্রামের বাড়ীর পুকুর পাড়ের ধার ঘেঁষে দাঁড়ানো হিজল গাছের সঙ্গে একটা মিল আছে । হিজল গাছের পাতারা নুয়ে পড়ে পুকুরের পানি ছুঁয়ে থাকতো, লাল রংয়ের হিজল ফুলেরা পুকুরের পানিতে অদ্ভুত এক কবিতার মত পড়ে থাকতো । ঐ বাড়ীতে যতদিন ছিলাম, সুযোগ পেলেই কিছুক্ষণ উইলো গাছটার নীচে বসে থাকতাম...তখন শৈশবের পুকুর পারের হিজল গাছটা গুটিসুটি পায়ে চলে আসত আমার কাছে...
তারপর শহর বদলে গেল...বাড়ী বদলে গেল । আবার উঁচু বাড়ী, আটাশ তলার এগার তলায় । সেই বাড়ীর লন্ড্রি রুম প্যান্ট হাউসে । তার পাশেই বিশাল সুইমিং পুল, তিনদিকের দেয়াল জোড়া বিশাল বিশাল স্বচ্ছ কাঁচের জানালা । মনে হ’ত নীল আকাশের গায়ে না, মেঘেরা ঝুলে আছে জানালার গায়ে । বাড়ীর নীচ তলায় সারি সারি মেইল বক্স, পোস্ট অফিসের মত । দিনের শেষে ঘরে ফেরার পথে প্রতিদিন অধীর আগ্রহে চাবি দিয়ে মেইল বক্স খোলা...দেশের চিঠি আসবে...মার চিঠি, অর্চির চিঠি...ঝাপসা চোখে সেই চিঠি ছুঁয়ে নিথর দাঁড়িয়ে থাকা...
নির্ঝর যে বাড়ীতে জন্মালো সে বাড়ীতে অনেক ইনডোর গাছ করেছিলাম । ছোট্ট দু’রুমের এপার্টমেন্ট...এখানে ওখানে ঝুলানো গাছেরা সবুজ করে রেখেছিল বাড়ীটা । সব চেয়ে বড় ছিল বেলি ফুলের গাছটা, সারাটা সামার ফুলে ফুলে ভরা ছিল গাছটা, গন্ধে ভরে থাকতো ছোট্ট এপার্টমেন্ট । নির্ঝরের জন্ম অবশ্য উইন্টারে । হাসপাতাল থেকে নির্ঝরকে নিয়ে যেদিন বাড়ী এলাম, বাড়ীর সামনে তুষারের বিশাল উঁচু স্তূপ । মোটামুটি হিমালয় পাড়ি দিয়ে গৃহপ্রবেশ নির্ঝরের । সেই বাড়ীতে নির্ঝরের অনেক “প্রথম” - হঠাৎ একদিন ঘুমের ঘোরে কেঁদে উঠে “আম্মা” ডাক...হামাগুড়ি দিয়ে বিছানা থেকে পড়ে যাওয়া... টলমল পায়ে হাঁটতে শেখা...খেলা ফেলে কিছুক্ষণ পর পর অন্য ঘরে এসে মাকে দেখে যাওয়া...
জীবনের এক দুঃসময়ে একবার নির্ঝরকে নিয়ে উঠতে হয়েছিল খুব ছোট্ট একটা বাড়ীতে...শুধুই একটা রুম । তার একধারেই রান্নার ব্যবস্থা । একটাই জানালা, কোন ব্যালকনিও ছিল না । সেই বাড়ীতে যেদিন উঠলাম, সেদিনই গভীর রাতে বেজে উঠল ফায়ার এলার্ম, ভয়াবহ সেই শব্দ । অচেনা নতুন বাসায় এমনিতেই ভয়ে কুঁকড়ে আছি, তার মধ্যে এই পাগলা ঘণ্টি । তাড়াহুড়োয় কোনরকমে ছেলেকে উইন্টার জ্যাকেট, বুট পরিয়ে নীচের তলায় যখন এসেছি, তখন হাড়ের ভেতরে মজ্জা কামড়ানো ফেব্রুয়ারির ঠাণ্ডার সাথে যুদ্ধ করার আমার কোন প্রস্তুতিই নেই । নীচতলার এক মধ্যবয়সী দম্পতি নির্ঝরের আকুল কান্না আর আমার ঠকঠকানো কাঁপুনি দেখে এগিয়ে এলো । দু’জনের ব্যাকুল কথা শুনে এইটুকু উদ্ধার করেছিলাম, তারা স্প্যানিশ...আমার ফরাসীর দৌড়ও অপর্যাপ্ত । কিছুক্ষণের মধ্যে স্ত্রীটি ত্রস্ত পায়ে ঘর থেকে তার উইন্টার কোট এনে আমাকে যখন পরিয়ে দিচ্ছিল তখন আমি দু’চোখের বাষ্প ঢাকতে মুখ লুকাচ্ছিলাম...জীবন কী বিচিত্র!
সেই বাড়ীতে ছোট্ট নির্ঝরের তিন চাকার সাইকেল চালানোর কোন জায়গা নেই । হলওয়েটাও এতই অপরিসর ছিল যে উলটো দিক থেকে কেউ এলে গায়ে লেগে যায় । সেখানেই নির্ঝর সাইকেল চালাত । একদিন হলওয়ের শেষ মাথার দরজাটা কি মনে করে খোলার চেষ্টা করলাম । দরজাটা খুলেও গেল...আহ্ এক মুঠো আকাশ! দরজার সামনে ফায়ার এস্কেপের পেঁচানো সিঁড়ি নেমে গিয়েছে, সেখানেই একটু দাঁড়ানোর জায়গা...আর এক টুকরো নীল আকাশ!
এ বাড়ীর আগে যে বাড়ীতে ছিলাম তার ব্যাক ইয়ার্ড পেরিয়ে একটা খোলা মাঠ ছিল । কিচেনের জানালা দিয়ে তাকালে উইন্টারে প্রতিদিন ছেলে মেয়েদের হুটোপুটি দেখা যেত । স্কুল বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে না থেকে ওরা স্নো বল বানিয়ে খেলতে শুরু করত । একজন আরেকজনের গায়ে স্নো বল ছুঁড়ে মারার কি যে আনন্দ! সামারে দেখা যেত নানান রংয়ের আর সাইজের বাইসাইকেল আর ছেলেমেয়ের দল । ব্যাকইয়ার্ডের ছোট্ট ডেকটায় দাঁড়িয়ে ডানদিকে তাকালে দেখা যেত একটা ঝাঁকড়া ছাতিম গাছের মত গাছ । কি গাছ কখনো জানা হয়নি, কিন্তু কোন নিঝুম রাতে বাইরে এসে দাঁড়ালে মনে হ’ত ও ও নির্ঘুম দাঁড়িয়ে আছে নিঃসঙ্গ...
আট তলার এই এপার্টমেন্টে যখন এসেছিলাম, মনে হয়েছিল আবার আকাশের কাছাকাছি চলে এসেছি । মাটির সমতল থেকে গাছ দেখা যাচ্ছে না, দেখতে হচ্ছে পাখির উচ্চতা থেকে । ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালেই খুব কাছেই একটা পার্ক দেখা যায় । সারি সারি মেপল ট্রিতে সামারে পার্কটা সবুজ । পাতা ঝরানো উইন্টার আসার আগে গাছগুলোতে শুরু হয়ে যায় রঙ্গের হোলি খেলা...হলুদ, কমলা, লাল, বাদামী, মরিচা...চোখ ফেরানো যায় না । উত্তরের হিমশীতল বাতাস নিয়ে আসে হাঁড় কাঁপানো শীত...পাতারা সেই শীতল বাতাসে ঝড়ে পড়ে...সারি সারি পত্র শুন্য গাছ উর্ধমুখী দাঁড়িয়ে থাকে শরৎকালের প্রতীক্ষায়...এরই মধ্যে গুড়ি গুড়ি তুষার কণারা নেমে আসে আকাশ থেকে...প্রথমে খুব ছোট্ট, পড়েই গলে যায়, ধীরে ধীরে শীত জাঁকিয়ে বসে, সাদা সাদা তুষার কণার দল দখল নেয় চারিদিক...মাঠ, রাস্তা, গাছ-পালা, বাড়ীর ছাদ, গাড়ীর উইন্ডশীল্ড...।
এ বাড়ীর ব্যালকনি থেকে যেই পার্কটা দেখা যায় তার বুক চিড়ে একটা পায়ে চলা পথ আছে । সামারে পথটাকে দেখতে লাগে গ্রামের মেঠো পথের মত । উইন্টারের কোন জোছনা রাতে তাকালে সাদা স্নোর ব্যাকগ্রাউন্ডে পায়ের ছাপগুলো দেখতে কেমন অপার্থিব লাগে...যেন এই চেনা পৃথিবীর না...অন্য কোন ভুবনের...
বাড়ী বদলে যায়...বদলে যায় জানালা...বদলে যায় জানালায় ঝুলানো পর্দার রঙ । আকাশ? আকাশ কি বদলায়? রোদ? জ্যোৎস্না? মেঘ? বৃষ্টি? স্মৃতি? কত অসংখ্য রাত মেঘ ছোঁয়া জ্যোৎস্নার আলো জানালা গলে এসে ঘুমন্ত নির্ঝরের মুখে পড়ে অপার্থিব এক দৃশ্য তৈরি করেছে...আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত তা দেখেছি...
এক একটা বাড়ীর জানালার ক্যানভাসে একটুকরো আকাশ দেখার অসংখ্য স্মৃতি বয়ে নিয়ে যাই আরেকটা বাড়ীর জানালায়...তাই কি আমরা মানুষ?
মন্তব্য
আমাকেও বাড়ী বদলাতে হচ্ছে। গত তিন বছরে ছয় বার বাড়ি বদল করতে হয়েছে। এবার সপ্তম বার।
গুড লাক উইথ মুভিং, মুর্শেদ । অনেক ঝক্কি । অনেক হেভি লিফটিং ।
আধুনিক নাগরিক জীবনের এইতো নিয়ম, ঘন ঘন বাড়ী বদল ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মেলা ঝক্কি তো!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ঠিক বলেছেন । অনেক ঝক্কি, তবুও বাড়ী বদলাতে হয় ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এক টুকরো আকাশের জন্য হাহাকারটা কি দারুণ ভাবে তুলে ধরলেন।
facebook
অনেকদিন আগে পড়া একটা বইয়ের কথা মনে পড়ে গেল । প্রগতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এক সময় রুশ ভাষার বইয়ের বাংলা অনুবাদের বইগুলো অদ্ভুত ভাল ছিল । বইটার নাম ছিল খুব সম্ভবত ছিল "রুশ ইতিহাসের কথা ও কাহিনী" । সেই বইটাতে একদল কিশোর বয়সী ছেলে মেয়ে মাঠে শুয়ে শুয়ে গল্প করছিল আর আকাশ ভাগ করছিল । তারপর এক সময় ইগর, নাদিয়ারা ঠিক করল আকাশ ভাগ না করাই ভাল । আকাশ অখন্ড থাকুক সবার জন্য ।
আকাশ দেখার হাহাকার, ঠিক বলেছেন এ এক ভীষন হাহাকার । সবারই ভাল লাগে একটু হলেও নীল আকাশ দেখতে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
'পিছনে ফেলে আসি
একটি বাড়ি---
বয়ঃপ্রাপ্ত কিছু বৃক্ষ, শুকনো ডালপালা;
কিশোর ঘুড়িগুলো, শিউলিঝরা ভোর, শ্যাওলাসবুজ জলের পুকুর...
কিংবা কোন আকাশউপুড় জলবতী মেঘের মৃদু একটানা বর্ষণ।
'বিদায়' বলা একটি মুখের কান্নাচাপা হাসি..
পিছনে ফেলে আসি….''
#রফিক আজাদ
আমি যে রুমটায় বসে কামলা দেই, সেটার জানলা দিয়ে আকাশ দেখা যায় না। সেজন্যেই বোধহয় সারাদিন এমন হাসফাঁস লাগে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, খুব ভাল লাগল কবিতা ।
জানালা দিয়ে আকাশ না দেখা গেলে হাসফাঁসতো লাগবেই । জানালা হ'ল গৃহবাসী মানুষের প্রকৃতির সাথে যোগাযোগের "টুল" । জানালা দিয়ে রোদ, বৃষ্টি, মেঘ ঢুকে পড়ে আমাদের মনের আকাশে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
- গভীর মুগ্ধতায় অনেকক্ষন স্তব্ধ হয়ে ছিলাম আপনার এই লাইনটি পড়ে, ঠিক যেমনটি আমার ঘটেছিল পাবলো নেরুডার এই কথাটিতেঃ
"I was lone like a tunnel" ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অনেক ধন্যবাদ উচ্ছলা । কিছু কিছু দৃশ্য এমন করে ঢুকে যায় নিওরনে, অনেকটা প্রিয় গানের সুরের মত । অনেক আগে দেখা হিজল গাছের দৃশ্যটি সেই রকম । ভোরের সুর্য্যের তির্যক আলোর উজ্জ্বল রেখাটি পর্য্যন্ত মনে আছে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অসাধারণ লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ, তাসনীম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
কী সুন্দর ঝরঝরে লেখা !!!
ভীষণ ভালো লেগেছে।
মোহছেনা ঝর্ণা
অনেক ধন্যবাদ, ঝর্ণা ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
জী, ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ধন্যবাদ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ভালো লাগলো!
ধন্যবাদ রংতুলি পড়ার জন্য ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অসাধারণ!
ধন্যবাদ, সাবেকা ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
খুব ভাল লাগলো। ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ধন্যবাদ । আপনিও ভাল থাকুন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ভারি চমৎকার। হলওয়ের শেষ মাথার দরজা খুলে হঠাত আকাশ আবিস্কারের ব্যাপারটা দারুণ লাগলো।
ভালো থাকবেন।
..................................................................
#Banshibir.
অনেক ধন্যবাদ সত্যপীর পড়ার জন্য । আসলেই সেদিন সেই একটুকরো আকাশ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল…
আপনিও ভাল থাকুন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আসলেই। বাড়ি বদলাতে ভাল লাগে না আমার। প্রথম যখন বাসা থেকে গিয়ে হোস্টেলে থাকতে হল, সবেচেয়ে বেশী খারাপ লেগেছে নিজের জানালা থেকে দেখা আকাশটুকুর জন্য, দরজা বন্ধ করলেই একা হয়ে যাওয়ার সুযোগটুকুর জন্য। এখনও তাই হয়।
নিজের মত করে আকাশ দেখার স্বাধীনতাটুকু আসলেই খুব দামী...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন