বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
১.
শৈশবের ক’বছর গ্রামে ছিলাম । কোন এক অদ্ভুত কারনে সেই ক’বছরের স্মৃতিরা তীব্র ভাবে জানান দেয় কারনে অকারনে । পূর্ণিমার জ্যোৎস্ন্যা রাতে বাড়ির সব শিশু-কিশোরের দল উঠোনের সীমানা ভাগাভাগিতে মেতে উঠতাম । শুকনো মাটিতে কাঠি দিয়ে দিব্যি এঁকে দিতাম সীমানা, “এই দেখ এই আমার সীমানা, দেখ চাঁদ কেমন আমার সঙ্গে হেঁটে হেঁটে চলে আসছে ! আজকের চাঁদ শুধুই আমার” ।
চাঁদতো আমার সঙ্গে রওনা দিয়ে এলো ঠিকই, কিন্তু রিনা (আমার জেঠাতো বোন) যেই আমার সীমানা থেকে হেঁটে ওর সীমানায় যেত, চাঁদ বিশ্বাস ঘাতকের মত ওর সঙ্গে চলে যেত !
গ্রামের জীবনের স্মৃতির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে লন্ঠনের আলোতে বসা শীতের রাতের গানের আসর । সেই আসরে রাতভর চলতো জারি-সারি, মুর্শিদী, দেহতত্ত্ব, বিচ্ছেদ গান । সে সব গান বুঝার বয়স তখন হয়নি (এখনো কি হয়েছে ?) ।
কিস্তিতে কিস্তিতে টিনের কাপে তেজপাতা আর খেজুরের রস সহযোগে রং চায়ের সঙ্গে চলতো অবিরাম গায়েনদের গান । মার কোলে শুয়ে শুয়ে সেই সব গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম...আধো ঘুমেও দুরাগত বাঁশীর সুরের সাথে ভেসে আসতো... “আমি কেমন করে পত্র লিখি রে বন্ধু...গ্রাম পোস্টাপিস নাই জানা....তোমায় আমি হ’লেম অচেনা...”
গ্রামের বাড়ির সেই ক’বছরের মুক্ত জীবনের ইতি টেনে নাগরিক জীবনে পদার্পনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল স্কুল । কয়েকবার স্কুল বদলের পরে থিতু হওয়া গেল মিরপুরের আইডিয়েল ল্যাবরেটরী স্কুলে । স্কুল বাড়ির বিরাট সীমানা জুড়ে উচু দেয়াল (সেই সময়ের গার্লস স্কুল মানেই ছিল আকাশ ছোঁয়া দেয়াল), তার ওপর কাঁটাতারের বেড়া । স্কুল বাড়ির করিডোরের কোথাও গুরু গম্ভীর প্রিন্সিপাল আপাকে দেখলেই প্রান শুকিয়ে “সাহারা” মরুভূমি । কিন্তু তারপরেও অনাবিল আনন্দে ভরা ছিল দিনগুলো । জানুয়ারী মাসে নতুন ক্লাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যেত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি । বরকতুন আপা, আনোয়ারা আপা দড়ির দুই মাথা ধরে দাঁড়িয়ে যেতেন মাঠের এক প্রান্তে । অন্য প্রান্তে হাফিজা আপা হুইসেল বাজিয়ে “রেডি...সেট...গো” বলতেন । হাফিজা আপার আরেকটা কাজ ছিল, কাঁটা তারের বেড়ার ওপর দিয়ে পাশের বয়েজ স্কুলের কোন “ক্রীড়ানুরাগী” ছেলে গার্লস স্কুলের মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার “দূঃসাহস” দেখালে জোরে হুইসেল বাজিয়ে স্কুলের নিরাপত্তা কর্মীকে জানানো । একবার যদি সেই দূষ্কৃতিকারীকে ধরা হ’ত তা’হলে মোটামুটি তার জীবন “তেজপাতা” হওয়া নিশ্চিত ছিল ।
মিরপুর আইডিয়ালের তিন বছরের জীবনে বন্ধু পেলাম অনেক । এর মধ্যে রুহি ছিল ক্লাসের “কমেডিয়ান” ।
এখন আছে কী না জানি না, তখনকার স্কুলে নিয়ম শৃংখলা রক্ষার কাজে শিক্ষককে সাহায্য করার জন্য “ক্লাস ক্যাপ্টেন” এর মত একটি সম্মানজনক পদ ছিল । সাধারনতঃ ক্লাসের বিশিষ্ট ভাল ছাত্র-ছাত্রীরা এই পদ অলংকৃত করতো । শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তারা ক্লাসে নীরবতা বজায় রাখার মত মহৎ দায়িত্ব পালন করতো । কেউ সে কাজে ব্যাঘাত ঘটালে, তৎক্ষনাত সেই অপরাধীর নাম লিখে পরে শিক্ষককে জানানোর মত গুরু দ্বায়িত্ব ক্লাস ক্যাপ্টেনের কাঁধে ন্যস্ত ছিল । আমাদের ক্লাসের ক্যাপ্টেনরা অসংখ্যবার রুহির নাম লিখে লিখে তাদের হাতের লেখার বিশেষ উন্নতি করেছিল ।
স্কুল জীবনের সবচেয়ে আরাধ্য জিনিষ ছিল, বৃষ্টিটা যেন ছুটির ঠিক আগে আগে শুরু হয় । তাহলে ভিজতে ভিজতে বাড়ি যাওয়া যাবে । মাঠের মধ্যে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ছিটিয়ে খেলা যাবে । এতে যদি ঠান্ডা লেগে জ্বর হয়, তাহলে তো পোয়াবারো । আর যদি জ্বর নাও আসে, পরদিন স্কুল ড্রেস আর জুতা ভেজা এই অজুহাতে স্কুল ফাঁকি দেয়া যাবে । সব সময় আল্লাহ চোখ মেলে চাইতো, তা কিন্তু না । তারপরও কিছু কিছু সময়েতো প্রার্থনা কবুল হ’ত...
২.
আইডিয়েল স্কুলের গেইটের সামনের পাকা কদবেল, জলপাই, তেতুল আর চালতার আচার আমার কিসমতে ফুরিয়ে এল । আমি শহীদ আনোয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চলে এলাম । এই স্কুলেরও হেড মিস্ট্রেসের নাম রাজিয়া । তিনিও ভীষন রাগী (ছাত্রীরা তাঁকে ভালবেসে আড়ালে “বুড়ি” বলে ডাকে) ।
এই স্কুলেরও দেয়াল ক্রমশঃ উচু হচ্ছে (আমার ধারনা সে কারনেই সকল গার্লস স্কুলগুলোকে “উচ্চ” বিদ্যালয় বলা হ’ত), আর গেইট ক্রমশঃ সরু হচ্ছে । একটু মোটা হলেই সরাসরি না ঢুকে “সাইড ওয়াইজ” ঢুকার প্রস্তুতি নিতে হ’ত ।
নতুন স্কুলে এসে দেখলাম এখানে শরীর চর্চার ব্যাপার খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় । সপ্তাহের দু’দিন পিটি ( সামরিক বাহিনীর মত “ড্রিল”) করা বাধ্যতা মুলক । সেই পিটির দিনের স্কুল ড্রেস সাদা (অন্যদিনের ড্রেস ছিল আকাশী নীল) ।
স্কুল ড্রেস ঝকঝকে পরিষ্কার আর কাপড়ের সাদা জুতা বিশেষ “চক” (এক ধরনের খড়ি মাটি) দিয়ে ঘষে ঘষে শ্বেত শুভ্র রাখা “ফরজের” পর্যায়ে পড়ে । আমি বরাবরই অলস মানুষ, শরীর চর্চার ধারে কাছে থাকি না । প্রথম থেকেই খুঁজতে লাগলাম “সমমনা”দের (সমান অলস), পেয়েও গেলাম (রাখে আল্লাহ, মারে কে?) ।
ক্লাসের পেছনের সারির ডেস্কে বসা দূরদানা ইসলাম ও শিবানী গোমেজ হয়ে গেল আমার প্রানের বন্ধু । দু’জন সম্পুর্ন ভিন্ন কারনে । দূরদানা পড়ার বইয়ের নিচে লুকিয়ে সারাক্ষণ পড়ছে মাসুদ রানা সিরিজের বই । ক্লাসে ভূগোল টিচার যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় কী কী খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় তার সন্ধান দিচ্ছেন, দূরদানা তখন বিভোর রানা আর রেবেকার উত্তাল প্রেমে । “আই লাভ ইউ, ম্যান”এর সব ডায়ালগশুদ্ধ বলে দিতে পারত দূরদানা । তো এমন দুরদানার সঙ্গে ভাব হবে না তো কি হবে তানিয়ার সঙ্গে ? তানিয়া পরীক্ষার খাতা জমা দেয়ার আগে যে পরিমান দোয়া দরুদ পড়ে পড়ে ফুঁ দিত, তাতে খাতা উড়ে কেন যেত না, তাই জানি না ! অনেকেরই সন্দেহ ছিল তানিয়া যে ক্লাসে সেকেন্ড হ’ত, তার কতটা দোয়ার জোরে, আর কতটা ওর পড়ার জোরে ।
শিবানীর সঙ্গে ভাবের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন । শিবানী খুব গাছ ভালবাসতো । বিশাল স্কুলের পাঁচিল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা অসংখ্য গাছ হাত ধরে ধরে চিনিয়েছে আমাকে শিবানী । অসংখ্য ফার্ণ, অপ্রচলিত ফুল, পাতা বাহারী গাছের নাম জানতো শিবানী । স্কুল বাড়ির বড় বড় গাছের গোড়ায় গোলাকৃতি শান বাঁধানো বসার ব্যবস্থা ছিল । অসংখ্য দিন টিফিন আর পিটি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিবানীর সঙ্গে লজ্জাবতী গাছেদের জ্বালিয়েছি । শিবানীই বোধহয় প্রথম শিখিয়েছিল ইউক্যালিপটাসের পাতার গন্ধের কথা ।
ক্লাস নাইনে একবার এক টিচার (নাম মনে নেই । তিনি আমাদের রেগুলার টিচারও ছিলেন না) আমাদের বাংলা ব্যাকরন ক্লাসে “ফিল ইন” করতে এসেছেন । এক কথায় প্রকাশ পড়াতে পড়াতে “অভিসারিকা”র মানে বুঝাচ্ছেন । গুরু গম্ভীর সেই টিচার বুঝাতে শুরু করলেন, অভিসারিকা কত খারাপ জিনিষ (অনন্তকাল রৌরব নরকবাসের সম্ভাবনা ৯৯.৫%) ।
পিতা মাতার বাধ্য ভাল মেয়েরা কখনও অভিসারিকা হয় না, ইত্যাদি । আমরা সবে তখন বাতাসে ভর করে আসা ফাল্গুনের চিঠি পেতে শুরু করেছি...রবীন্দ্রনাথ, মহাদেব সাহা, হেলাল হাফিজ ও নির্মলেন্দু গুণের কবিতার পংক্তি পড়ে মরে যেতে শুরু করেছি আর টিচার কী না আমাদেরকে প্রতিজ্ঞা করতে বলছেন যেন কোন দিন “ডাকাতিয়া সেই বাঁশী” না শুনি ! সেই ক্লাসের শেষে আমরা একটা গণ হাসির তোড়ে ভেঙ্গে পড়েছিলাম (ঠিক হয়নি, একদম ঠিক হয় নি । গুরুজনদের কথা “অমৃত সমান”) ।
শহীদ আনোয়ার স্কুলের প্রতিটি সেকশনের এক একটা বাহারী নাম ছিল । নাইনে আমাদের সেকশনের নাম ছিল “কৃষ্ণচুড়া”, ক্লাস টেনে ছিল “সানফ্লাওয়ার” ।
আমাদের ক্লাস ছিল দোতালায় । দোতালার বারান্দা থেকে হাত বাড়ালেই সামনের সারি সারি কৃষ্ণচুড়া আর রাধাচুড়ার গাছগুলোর পাতা ছুঁয়ে দেয়া যেত । কৃষ্ণচুড়ার লাল ফুল আর রাধাচুড়ার হলুদ ফুলেরা রাঙ্গিয়ে রাখতো আমাদের স্কুল বাড়ি । বৃষ্টি হলে দোতালার বারান্দা থেকে নিচে তাকিয়ে অপলক দেখতাম জমে ওঠা পানির তোড়ের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের অসংখ্য পাপড়িদের ভেসে যাওয়া । স্বচ্ছ জলের ডানায় চড়ে লাল ফুলেদের দ্রুতলয়ের চলে যাওয়া...সে যে কী অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য!
দোতলার ক্লাসরুমের জানালাগুলো ছিল অনেক বড় । সবচেয়ে পেছনে বসার কারনে একটা বড় সুবিধা ছিল, জানালা দিয়ে বাইরে নিরবিচ্ছিন্য তাকিয়ে থাকা যেত । টিচাররা তেমন একটা পেছনের দিকে তাকাতেন না (এটা সাধারন জ্ঞান ছিল যে ভাল ছাত্রীরা পেছনের সারিতে বসে না) ।
সেই জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়েই আমি দিনের বেশীর ভাগ সময় কাটাতাম (কাজেই ক্লাসে যখন হানিফ স্যার ইলেকটিভ ম্যাথের মিডল টার্ম ফ্যাক্টর, কিংবা বাতেন স্যার ট্রিগোনমেট্রির মত ভাল জিনিষ বুঝাচ্ছেন, তখন আমি আকাশের কোন মেঘে কত জল তা পরিমাপ করছি) ।
সেই সময়েই বুদ্ধদেব বসুর স্মৃতিচারনা “পুরানা পল্টন” পড়া হয় (খুব সম্ভবতঃ আমাদের পাঠ্য ছিল) ।
বুদ্ধদেব বসুর বর্ণনায় সেকালের পুরানা পল্টনের আদিগন্ত বিস্তৃত মাঠ ছাপিয়ে দশ দিশি আঁধার করে আসা হঠাৎ বৃষ্টিপাতের যে অপুর্ব দৃশ্য, তা আমাকে চিরকালের মত কিনে ফেলেছে । ক্লাসরুমের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমি শুধু প্রার্থনা করতাম, “ও মালিক, আকাশের ওই কালো মেঘগুলোকে আর দূরে যেতে দিও না, এবারে বৃষ্টি করে দাও । ঐ দিগন্তের কাছ থেকে শো শো বাতাসে ভর করে ধারা জলেরা চলে আসুক দশ দিক ছাপিয়ে...সামনের ঐ নারকেল, তাল, শুপাড়ি গাছেরা কেঁপে উঠুক আছড়ে পড়া ঝড়ের তোড়ে...আর আমি জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ছূঁয়ে দেই প্রথম বৃষ্টির জলের ফোটাকে...”
চলবে ?
মন্তব্য
স্কুল লাইফ! আহা!! পাহাড়ের ঢালে একটা স্কুলে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আপনার লেখাটি একটানে সেই সময়ে টেনে নিয়ে গেলো আর এই মেঘলা দিনে মনটাকেও ভিজিয়ে দিলো। এখন অফিসে বসে বৃষ্টি দেখতে ইচ্ছে করছে খুব।
চলবে মানে? দৌড়াবে।
ফারাসাত
অনেক ধন্যবাদ ফারাসাত পড়ার জন্য ও সহৃদয় মন্তব্যের জন্য । আপনার পাহাড়ের ঢালের স্কুলের গল্পটা কিন্তু একদিন শুনতে চাই ।
সাহস যখন দিচ্ছেন তখন আসবে পরের পর্ব । আপনাকে এই উত্তরের দেশ কানাডার শীতের শুভেচ্ছা পাঠালাম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমারও ঠিক সেরকম মনে হচ্ছে। পাহাড়ের ঢালের সেই স্কুল, মাদ্রাসা নামে অনেকের কাছে পরিচিত ছিল (নিয়ম কানুনের কড়াকড়ির জন্য।) কিন্তু হাজারো স্মৃতির মাঝে সেই মাদ্রাসা অনুভূতি এক্কেবারেই বিলীন, ছোটখাট মিষ্টি দুষ্ট স্মৃতিগুলোই প্রবল।
স্মৃতির ধরনই বোধহয় এমন । সময় গেলে শাসনের স্মৃতিগুলোও আনন্দের হয়ে যায় । ভাল থাকুন নীল পরী ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সেই স্কুলটা আজো তেমনই আছে, পাশের পাহাড়টাও। শুধু পেছনের পাহাড় আমাদের লোভের করুণ উদাহারণ হিসেবে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। অনেকদিন পর একবার কি মনে করে গিয়েছিলাম আর পাহাড়টা দেখে বুকে একটু ধ্বক করে লেগেছিলো। বুঝে গিয়েছিলাম কষ্টগুলো এখন থেকে শুধু বাড়তেই থাকবে। তার চাইতে বরং স্মৃতিতেই ওরা রাজত্ব করুক।
ফারাসাত
সত্যজিৎ রায়ই বোধহয় লিখেছিলেন, স্মৃতিমাখা জায়গার কাছে ফিরে যেতে নেই, আঘাত পেতে হয় ।
আর লোভের কাছে পাহাড় নিশ্চিহ্ন হওয়া ? সম্ভব, খুব সম্ভব ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চলবে না মানে - এইভাবে দুরন্ত শৈশব ও কৈশোরের গন্ধ নিয়ে এসে হাজির করলেন নাকের সামনে যে মনটা আইঢাই শুরু করলো - চিত্রপটের মত চোখের সামনে ভেসে উঠলো হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী দিনগুলি - আর এখন আরো না চালালে হবে?
-অয়ন
অয়ন, অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য । শৈশব ও কৈশোরের গন্ধ মাখা গল্প আসলেই টানে সবাইকে ।
সাহস দিচ্ছেন যেহেতু, এখনতো আমাকে পরের পর্ব লিখতেই হয় । শুভেচ্ছা রইলো ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
শুধু চলবে না দৌড়বে। লেখাটা অনেক ভাল লাগলো।
বাবুনি, আপনি দেখছি ভীষন অমনোযোগী পাঠক বলেছি না আমি চরম অলস মানুষ ? পারতপক্ষে হাঁটিই না, আর আপনি দৌড়াতে বলছেন !
আপনার ভাল লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । পরের পর্ব খসড়া করতে বসব, যদি ঘুমিয়ে না পড়ি ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ভালই লাগলো। চলুক
অনেক ধন্যবাদ আউটসাইডার । চলতে বলছেন যখন তাহলে তো চলতে হবেই ...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম-----
সেটাইতো উদ্দেশ্য ...
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি পড়ার জন্য ও সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার। অবশ্যই চলবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম । ভরসা যখন দিচ্ছেন, চলার একটা চেষ্টা নেয়া যেতেই পারে...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চলুক
ধন্যবাদ সুমিমা । শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
খুব চমৎকার শৈশব, কৈশরের বর্ননা, সেই স্কুল জীবনের অসাধারন স্মৃতিময় বর্ননা কি যে ভাল লাগলো জোহরা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আসমা খান
অনেক ধন্যবাদ আসমা আপা সময় করে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য । ভাল থাকবেন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
দীর্ঘ মন্তব্য নয়, ছোট্ট করে বলি?
সিরিজ চলুক, সঙ্গে আছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, বড় ভরসা পেলামরে বোনডি । সঙ্গে থাকলে সাহস পাই মনে । এখনতো শুধু ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় । কেউ যদি বলে, "সঙ্গে আছি" ... সে যে কত আনন্দের !
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
হ্যাঁ, হ্যা, চলুক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার হচ্ছে আপু! চলুক।
আয়না, চলার একটা প্রচেষ্টা থাকবে । অনেক অনেক ধন্যবাদ এই কদবেল, চালতার আচারের গল্প শোনার জন্য ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চলুক, চলুক !
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ । একটু আটঘাট বেঁধে নেই, তারপর চলি, কেমন?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
স্কুল লাইফে সব থেকে বেশি যে দুইটা জিনিষ মিস করি সেটার ১টা হচ্ছে বইয়ের ফাকে সেবা প্রকাশনীর বই পড়া, ব্যাপারটাকে আমি আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গেছিলাম যে সামনের বেঞ্চে বসেও পড়তে ভয় পাইতাম না।
দুই নম্বরটা শুধু বাজে ছেলেরাই করে, পাশের গার্লস স্কুলে মেয়েদের সাথে বদমাইশি করা, তবে তাতে মেয়েরা আক্রান্ত হওয়ার থেকে তাদের শিক্ষকরাই বেশি আক্রান্ত হত ভাব দেখে মনে হত।
চলুক!!!
ক্লাসরুমে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সেবা প্রকাশনীর বই পড়ার চার্মই আলাদা ! এর ছিটেফোটা হয়তো পাওয়া যেতে পারে এই "কামলা" জীবনে অফিসে বসে সচল পড়তে পারলে । আমার অফিসে এক্সেস নেই
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য । শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমিও
ঠিক ছুটির মুহূর্তে আসা ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি আসার মজাই আলাদা... স্কুল গেটে চালতা, তেঁতুল, বরই, জলপাইয়ের আচার... কদবেল, কামরাঙ্গা মাখা... ধুৎ! এক্কেরে লোল পড়া শুরু হয়ে গেলো! স্কুল মাঠে লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ছেয়ে যাওয়া... পুরাই নস্টালজিক! চলুক...
রংতুলি, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগল...অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সহৃদয় মন্তব্যের জন্য । স্কুলের মাঠজোড়া কৃষ্ণচুড়ার স্মৃতির ছায়াই থাকুন । শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
কে যেন বলেছিলেন ঠিকস মনে নেই,যার সুন্দর ছেলেবেলা নেই-তাকে দিয়ে আসলে কোন সৃষ্টিশীল কাজ হয় না । সত্যি কিনা জানি না । তবে আমার মনে হয়-যার ছেলেবেলাটা গ্রামে কাটেনি(আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে) সে আসলে খুব দুঃখী । এর এখনকার শহরের ছেলেমেয়েদের জন্যতো কথাটা একদম সত্যি । ১৫০ মিলিয়ন মানুষের ঢাকা শহরে কয়টা মাঠ আর কয়পিছ গাছ আছে গুনে বলা যাবে ।
নচিকেতা থেকে-
’একা একা পথ চলা
একা একা কথা বলা
হাজার মানুষের ভীড়ে মিশে
দিনের কোলাহল দিনের শেষে
দু’চোখ আজও খুঁজে ফেরে
ফেলে আসা ছেলেবেলা ।
একা একা পথচলা’
-----------------------------------
খুব ভালো লাগলো, ছেলেবেলা আমারো খুব প্রিয়, কোন এক সময় হয়ত শুনিয়েও দিব । ভালো থাকবেন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অতিথি (নাম জানা হ'ল না আপনার) পড়ার জন্য ।
গ্রামে কেটেছে আমার অল্প ক'বছর । কিন্তু কেন যেন মনে হয়, খুব তীব্র সেই ক'বছরের প্রভাব আমার ওপর । সেই গ্রামের ধার ঘেষে বয়ে চলা ছোট্ট নদী থেকে ঝিনুক কুড়িয়ে আনা, মাঠের আল দিতে মইয়ে চড়া, শীতের দিনের আড়ংয়ে যাওয়া ...কত শত স্মৃতি ।
ঠিকই বলেছেন, সব বাচ্চাদের যদি গ্রামের মুক্ত আকাশের নীচে নিয়ে যাওয়া যেত !
ভালো থাকুন সব সময় ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মুগ্ধ হলাম লেখাটা পড়ে।
রাশেদুল ইসলাম ফরহাদ
ধন্যবাদ ফরহাদ । শুভেচ্ছা আপনাকে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার, চলুক সাথে রইলাম
ধন্যবাদ, সাবেকা পড়ার জন্য । দেখি চালানো যায় কি না...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অসাধারণ। এই সিরিজ না চালালে আপনার খবর আছে
লেখাটা দুবার পড়লাম । ঝুপ করে শেষ হয়ে গেল। আরও অনেক পড়তে ইচ্ছে করছিল।
এই রে,হুমকী দিচ্ছেন ? তাহলে তো চালাতেই হচ্ছে !
দু'বার পড়লেন এই লেখা ? আপনারতো নষ্ট করার ম্যালা সময় তাহলে ?
ঝুপ করে শেষ হ'ল ? কি করা বলেন ? ব্রিফিং নোট লিখতে লিখতে সব কিছুই "ব্রিফ" হয়ে যায় ...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
কি চমৎকার!
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ, সত্যপীর ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
কেরালার কালিকাতে থাকি।শীতের সময় এখানকার তাপমাত্রা থাকে ২২-২৪ সেলসিয়াস। শীতকে তাই খুব মিস করি।
বুনো পথিক
শীতেই টেম্পারেচার ২২-২৪ ডিগ্রি ? তাহলেতো গরমে বোধহয় বার বি কিউ ?
চলে আসুন কানাডায় । আপনার শীত দেখার সাধ মিটে যাবে । জায়গা ভেদে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ছোটবেলায় ফাইনাল পরীক্ষা শেষের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া হতো। শীতের রাতে মুর্শিদী বা অন্য কোন গানের আসরে যাওয়া হয়নি। তবে চাচাতো ভাইবোনদের সাথে একবার যাত্রা দেখতে গিয়েছিলাম। রূপভান। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
দূরদানা - নামটা তো বেশ!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুল পড়ার জন্য । ঠিক বলেছেন দুরদানা নামটা বেশ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চমৎকার
facebook
কি ভয়াবহ ব্যাপার অণু ! এত সব নিয়ে এলে তো ভয় পাই । শেষে যদি প্রত্যাশার অপঘাত মৃত্যু হয় ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
উল্টো ঘুরে ৬ থেকে ১-এ এসে পৌঁছলাম। এমনি আকর্ষণ যে অপেক্ষা করা গেল না!
১। স্মৃতির শহর
২। নেভারেস্ট
৩। অ্যা ম্যাজিক্যাল জার্নি
৪। শিশুপালন
৫। আদমচরিত
সচলায়তনের দুয়ারে যাঁদের আমন্ত্রন করি মানুষভেদে এ সিরিজগুলোর টোপ ফেলতে দ্বিধা করি না একদম। 'ভেঙে মোর ঘরের চাবি' সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়।
বেঁচে থাকুক আপনার লেখা, বেঁচে থাকুন আপনি।
আপনার স্মৃতি আরো জমাট হোক, মলাটে বাঁধা পড়ে আমাদের হাতে আসুক- সে পর্যন্ত অপেক্ষাই করব না হয়!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
যদিও এই মনিহারের যোগ্য আমি নই, তবুও ভালবাসার এই দান আমি মাথায় পেতে নিলামরে ভাই । মাথায় পেতে নিলাম ।
আরেকটি আশীর্বাদ করুন...নিজের কাছে যেন সৎ থাকি । এই এক ভয়ানক লোভ আমার ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন