বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
এই সব ঘর ভাঙ্গা ভাঙ্গির স্মৃতির কোন পরম্পরা নেই । তবু যদি নষ্ট করার মত সময় থাকে, তাহলে প্রথম পর্ব এখানে ।
৩.
প্রতিটা কালের একটা চরিত্র থাকে । একালের চরিত্র হ’ল “স্মার্ট ফোন” । হরলাল রায়ের “একের ভেতরে পাঁচ” (পাঁচ ? দশ ? না কি আরো বেশী ?) এর মত এই যাদুর যন্ত্র যে কত কিছু করে ! যখন তখন যেখানে সেখানে যে কোন ভঙ্গিমায় “চী....ই....জ”...আর নিমেষের মধ্যে খোমাখাতা সয়লাব । আমাদের কালের ব্যাপারই ছিল আলাদা...প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের কাছে যেতে হত ছবি তুলতে । তাদের দেখা মিলত “স্বপ্নপুরী / আলোছায়া / নয়নমনি / সুজন সখী / মামা ভাগ্নে / চাচা ভাতিজা...ছবি ঘর” নামক স্টুডিওতে ।
আইডিয়াল স্কুলে পড়ার সময় সিম্মি আর আমার এক বার শখ হ’ল আমাদের অমর বন্ধুত্বকে ফ্রেমবন্দী করে রাখব । টাকা ও অনুমতি চাহিয়া বড় ভাইবোনদের সুপারিশসহ দু’জনের মায়ের নিকট আবেদন করা হ’ল । আবেদন মঞ্জুর হ’ল এক শর্তে । সঙ্গে এক জন বড় ভাই / বোন যেতে হবে । সে ব্যবস্থা সহজেই করা গেল । সিম্মির বড় বোন আলেয়া আপা গেলেন আমাদের সঙ্গে । স্টুডিওতে শেষ মুহুর্তের “গ্রুমিং”য়ের জন্য থাকতো চিরুনী (যার অধিকাংশ দাঁত ভাঙ্গা), পাফসহ সাদা পাউডার (ভাগ্য ভালো হলে কেসের তলানীতে পাইলেও পাইতে পারেন কিছু অমূল্য পাউডারের গুড়া), কাজলের পেন্সিল (প্রায়শই ভোঁতা) ও ভাঙ্গা লিপস্টিক (এই দ্রব্যটির কী প্রয়োজন ছিল জানি না । তখনো আলোকচিত্র রঙ্গীন হয় নি, হইলেও ব্যয়বহুল । সাদাকালো ছবিতে লিপস্টিকের কী কার্যকারীতা কে জানে ! ) । এক শুভদিনে আমরা স্কুল ফেরত পদব্রজে (আমাদেরকে শুধুই ছবি তোলার অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল) “অমর প্রেম” স্টুডিওতে গেলাম । আলেয়া আপা তার সদ্য প্রাপ্ত দায়িত্ব অনুসারে ফটোগ্রাফারের সাথে কথা বললেন । তরুন ফটোগ্রাফারের ফাঁপানো বাবড়ি চুলের ঢেউ দেখে বুঝা যাচ্ছিল স্টুডিওর পাউডার সব কোথায় যায় ।
কথাবার্তা শেষে ফটোগ্রাফার ভেতরে আবির্ভুত হলেন । ইতোমধ্যে নার্ভাস আমাদের সাজসজ্জা সারা । সিম্মির উড়ুক্কু কোকড়া চুল কিছুতেই বাগ মানেনি, ছড়িয়ে আছে মুখের নানা জায়গায়...আমার দু’চোখের ওপর নীচে মোটা কাজল (সদ্য দেখা দরশন ছবির অভিনেত্রী শবনমের তীব্র প্রভাব)...আমাদের দুজনের মুখেই যথেষ্ট পরিমান সাদা পাউডার । ফটোগ্রাফার গুরুত্বের সঙ্গে আমাদের দেখলেন, তার ক্যামেরা ও বিশাল রুপোলী ছাতা (আলোক সম্পাতের জন্য ব্যবহৃত) ঠিক করলেন ও ঝাঝালো আলোর বাল্বগুলো জালিয়ে দিলেন । তারপর বারবার করে “ডানে”, “বামে” নির্দেশনা দিয়ে আমাদের দু’জনের মুখগুলো তার কাঙ্খিত এঙ্গেলে আনতে চেষ্টা করলেন । কিছুতেই ব্যাটে বলে হচ্ছিল না । ইতিমধ্যে আমরা দরদর করে ঘামতে শুরু করেছি । শক্তিশালী আলোর প্রখর তাপে আমাদের রূপসজ্জা দ্রবীভুত হয়ে যাচ্ছে । শেষতক পরিচালক তার অভিনেত্রীদেরকে হাত দিয়ে একটু ছুঁয়ে দিয়ে ঠিক করে দিলেন ও নির্দেশনা দিলেন “নড়বে না” । অবশেষে “রেডি...ওয়ান...টু...থ্রী” বলে শাটার টিপলেন । ক্যামেরা ফ্লাশের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে রুদ্ধশ্বাস নির্ণিমেষে তাকিয়ে থাকতে হবে ক্যামেরার দিকে । একটু এদিক ওদিক হলে আর কিছুই করা যাবে না (অনেকটা “একটি নিমেষ ধরতে চাওয়ার মত”ই ওয়ান ওয়ে জার্নি)...বুজে আসা চোখও খোলা যাবে না...রক্ত চক্ষুদের (রেড আইস) সম্পাদনা করে নীল নয়না কিংবা ক্রপ করে অপছন্দের মানুষকে বাদ দেয়া, এসব কিছুই করার উপায় নেই । সুতরাং, আমরা চিত্র পরিচালকের নির্দেশনা মত দম বন্ধ করে ক্যামেরার দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে থাকলাম...টকাশ করে শাটার টানা হ’ল, ফ্ল্যাশ বাতি জ্বলে উঠল...নির্দেশককে পরিতৃপ্ত মনে হ’ল...আমরাও বাইরে এসে মুক্ত বাতাসে ফুসফুস ভরলাম ।
এত সাধনার সেই ছবি “রিলিজে”র তারিখ একটি স্লিপে লিখে আলেয়া আপার কাছে দেয়া হ’ল । আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধে সেই তারিখ আগানো “নিতান্তই অসম্ভব” বলে অপারগতা জানানো হ’ল । কারন, যে ফিল্মে আমাদের আলোকচিত্র ধারন করা হয়েছে, তা সম্পুর্ণ হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ (ফিল্ম “ধোলাই করা” ও “নেগেটিভ” থেকে আলোকচিত্র “পরিস্ফুটন” করা) নেয়া সম্ভব ।
সেই আলোকচিত্র “আসিতেছে”র দিন আর আসে না...অনেক দীর্ঘ রজনী ও দীর্ঘ দিবস পার করার পরে একদিন আলেয়া আপা আমাদের দু’জনকে দু’কপি সাদাকালো রঙ্গের সেই আরাধ্য ধন ধরিয়ে দিলেন । রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে থাকার কারনে আমাদের দু’জনেরই চোখ “গোল গোল” (অনেকটা গরুর চোখের মত । এত কষ্টের কাজল দেয়া পুরাই বৃথা ) । তারপরেও আমাদের অমর বন্ধুত্বের স্বাক্ষী হয়ে আছে সেই সাদা কালো ছবি । অনেকবার সিম্মির সঙ্গে ঝগড়া করে সেই ঐতিহাসিক ছবি দুই টুকরা করে (পশ্চিমা মিডিয়াতে সেলিব্রেটিদের বিবাহ বিচ্ছেদের পরে যে ধরনের “প্রাক্তন সুখের ও বর্তমানে বিচ্ছিন্ন্য” ছবি ফ্রন্ট পেজে দেয়া হয় ) ছিড়তে চেয়েও পারি নাই । আমাদের বন্ধুত্ব আসলেই অমর ( ইদানীং শুধু একটাই ভয়, সিম্মি না কোনদিন খোমা খাতায় এই ছবি ছাপিয়ে দেয় ! ) !
৪.
ক্লাস নাইনে বায়োলজি ক্লাস চলছে । টিচার না দেখে কোষের ছবি আঁকতে দিয়েছেন । সবাই নিবিষ্ট মনে আঁকছে । সবার আঁকা শেষ, ডেস্কের ওপর খাতা মেলে রাখা । যথারীতি দুরদানা আর আমি বসেছি পাশাপাশি ডেস্কে ক্লাসের সব শেষ সারিতে । টিচার প্রথম সারি থেকে দেখতে দেখতে আসছেন...সবাইকে দেখিয়ে দিচ্ছেন কোথায় কি ভুল হয়েছে...আমার ডেস্কের সামনে এসেই থমকে গেলেন... “এটা কী ? আম ? আম আঁকতে কখন বললাম ?”
আমিও অবাক । আম কোথায় ? আমিতো কোষ এঁকেছি, পরিষ্কার হস্তাক্ষরে জ্বাজল্যমান লেবেল করে দিয়েছি “নিউক্লিয়াস”, “মাইটোকন্ড্রিয়া”, “সাইটো প্লাজম”, “মেমব্রেন” । কোথায় কি ? টিচার বলেই চলেছেন, “আম যখন আঁকবেই তাহলে ল্যাংড়া কেন আঁকোনি ? ফজলি আম কেন এঁকেছো ?”
ততক্ষণে সারা ক্লাস ঘাড় ঘুড়িয়ে পিছনে তাকিয়ে আছে । কিছু কিছু চাপা হাসির গমকের আভাষ পাওয়া যাচ্ছে । টিচার এগিয়ে গেলেন দূরদানার ডেস্কে... “দেখি তুমি কী এঁকেছো ? পেঁপে ? আমের বন্ধু পেঁপে ?” এইবারে সারা ক্লাস ফেটে পড়ল...আর সেই সঙ্গে যবনিকাপাত হ’ল আমার বায়োলজি পড়ার । সেই মুহুর্তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হ’লাম কোনরকমে মাধ্যমিকের (মাধ্যমিক পর্যন্ত্য বিজ্ঞান পড়তে হ’লে বায়োলজি বাধ্যতামূলক ছিল) বৈতরণী পার হ’লে জীবনেও আমি ওমুখো হচ্ছি না । আর সেই ক্ষণে জীববিদ্যা হারালো এক "সম্ভাবনাময়" নবীণ বিজ্ঞানীকে (মানব সভ্যতা কি এই শতাব্দীতে এই ক্ষতি পুরণ করতে পারবে ? ) !
বায়োলজি পড়তে না চাওয়ার আরেকটা সমস্যার কথা কবুল করি । সায়েন্টিফিক নাম আমার একদম মনে থাকতো না । মানুষকে “হোমো সেপিয়ান্স”, আমকে “ম্যাগনিফেরা ইনডিকা” (আবারও “আম” !), ধানকে “অরিজা সেটিভা” ডাকার কারন আমার মত “সৃজনশীল” ছাত্রীর জীবন দুর্বিষহ করা ছাড়া আর কি হতে পারে !
৫.
জীবনের এক একটা অধ্যায় থাকে । এই যেমন কাঁচ সবুজ ঘাস ফড়িংয়ের পেছনে ছোটার অধ্যায়...মাঞ্জা ঘষে ঘষে ঘুড়ি ওড়ানোর অধ্যায়...অকারনে মন খারাপ করার অধ্যায়...শুকনো পাতার মর্মরিত বাতাসে দূরাগত বাঁশী শোনার অধ্যায়...ঘরদোর পেতে হিসেবী জীবন যাপনের অধ্যায়...গৃহবাসী সন্ন্যাসী হওয়ার অধ্যায় । কোন কোন অধ্যায়ে মানুষ এমন কঠিন কিছু ঘোরে পড়ে যায়, যা জীবনভর সঙ্গী থেকে যায় । এই ঘোরের তাৎক্ষণিক লক্ষণ তীব্র হতে পারে । সময়ের সাথে সাথে কোন কোন ঘোরের তীব্রতা বাড়ে, কোন কোন ঘোরের তীব্রতা কমে । কিন্তু যে মানুষ সারা জীবনে কখনই এমন কোন ঘোরে পড়ে না, সে জানে না সে কী হারালো...
জীবনের এই পর্যায়ে আমাকে রবীন্দ্রনাথের ঘোরে পেয়ে গেল । আমার মায়ের ভূমিকা এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী । অজস্র গান, কবিতা, শ্লোক আর গ্রামীন প্রবাদে-প্রবচনে মা ছিল আমাদের পরিবারের পালাকার । মার প্রশ্রয়ে বলা চলে রবীন্দ্রনাথ আমার মস্তিষ্কের সবক’টি নিওরন দখলে নিয়ে নিলেন । পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যেখানে যত ছাই আছে সব উড়াইয়া দেখিতে শুরু করলাম । সেই কবেকার “জল পড়ে পাতা নড়ে” থেকে রবীন্দ্রনাথের বর্ণমালা দিয়ে দৃশ্যকল্প আঁকার প্রায় ঈশ্বরিক ক্ষমতা আমাকে বিস্মিত করে রেখেছে ! প্রথম কখন শুনেছিলাম “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন” ? আজ আর মনে নেই । কিন্তু এই অমোঘ গানের দৃশ্যকল্প “যখন জমবে ধূলা তানপুরাটার তারগুলায়...কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়...ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পড়বে সজ্জা বনবাসের...শ্যাওলা এসে ঘিরবে দীঘির ধারগুলায়...” চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার বেদনার যে দৃশ্যের পরে দৃশ্য রবীন্দ্রনাথ এঁকেছেন, তা হৃদয়ের গভীর কোন তন্ত্রীতে গিয়ে জায়গা করে নিল...তাকে আর কোন দিন সেখান থেকে সরানো গেল না...
............
কী আছে জীবনে ? সপ্তাহান্তে বিলের চিঠির তাড়া...উইন্টার টায়ার...ব্লাড ওয়ার্ক...কিচেনের সিঙ্কে পানি আটকে যাওয়া...ইউ টিউবে শ্রীকান্ত আর বাসের জানালায় আকাশ দেখার এক চিলতে অবসর...
চলুক তাহলে ?!?
মন্তব্য
চমৎকার ঝরঝরে তরতরে স্মৃতির নদী। ভারী ভাল্লাগলো।
সাদা কালো ছবিতে লিপস্টিকের উপকারীতা উত্তমকুমারকে দেখলেই বোঝা যায় :-দ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দমু'দি, আমারও ভাল লাগল আপনি পড়েছেন বলে ।
উত্তমকুমারের কথা বলছেন, সত্যিই লিপস্টিক লাগাতেন ? আমিতো তার সাদাকালো সব ছবির ভীষন "পাংখা" হয়ে রইলাম । পথে হ'ল দেরী, হারানো সুর, পৃথিবী আমারে চায়, আরো কত কত ছবি ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনারা দুই বন্ধু তো চমৎকার আঁকতেন তাহলে, জোহরা'পা!
পাসপোর্ট সাইজের ছবি তোলার জন্য কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম এক ষ্টুডিওতে।
চিরুনি তো এখনো ভাঙা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুল, দুরদানা আর আমি প্রায় পিকাসোর সম পর্যায়ের আঁকিয়ে ছিলাম । আসলে গোয়ের্নিকা তো আমাদেরই আঁকার কথা ছিল । একটু যা দেরী হয়ে গেল, তাই ফস্কে গেল
স্টুডিওর চিরুনি এখনো ভাঙ্গা ! তাইতো বলি ভাঙ্গা চিরুনিগুলো যায় কোথায় ? আসলে, রিসাইক্লিং করা আর কি ! এই যুগে তো রিসাইক্লিং "কুল" । এই পৃথিবীর সম্পদ সীমিত । কাজেই যথাসাধে রিসাইক্লিং করাই শ্রেয়
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এই মুগ্দ্ধতাটুকু জানানোর জন্য লগালাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী বোনডি, আমি জানতুম, আমি জানতুম । তুমি ঠিক দুধের সর সরিয়ে হাড়ির তলানীর (মতান্তরে গভীরের) খোঁজ ঠিকই পেয়ে যাবা ।
মুগ্ধ হয়েছো এতেই আমার "ঘরদোরের কাজে"র উইক এন্ড আলোয় ভরে গেল । অটোয়ায় আজ মৌসুমের প্রথম তূষার পড়ল । হঠাৎ বানকূড়ালী ঝড়ের মত শুরু হ'ল বাতাসের ঘূর্ণি, আর তার সঙ্গে নেচে নেমে এলো ওই আকাশের গা থেকে পালকের মত শুভ্র তূষারের কণারা । ফুলকী দিয়ে নেমে আসা সেই তূষার রাজকন্যাদের দেখতে যে কী ভাল লাগছিল ! তিথী, তোমার খুব ভাল লাগতো !
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
শুধুই মুগ্ধতা।
না চললে খবর আছে।
ফারাসাত
ফারাসাত, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ।
এতো বেশ ভয়ের কথা নির্দোষ গল্প বলতে বসে দেখি বিপদে পড়ে গেলাম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নিশ্চয়ই চলবে।
..................................................................
#Banshibir.
চলার চেষ্টা চলবে, সত্যপীর ।
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছি তো আপু।
খুব চমৎকার এগুচ্ছে। একরাশ মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
অবশ্যই চলবে।
বিশ্বাস করুন আমার কোন দোষ নাই । ভেবে চিন্তে খুব "সিরিয়াস" কিছু লিখতে চেয়েছিলাম । কিন্তু সিম্মি, দুরদানা এরা সব মনের ভেতর এমন করে গেড়ে বসেছিল, কে জানতো ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
টুকরো টুকরো ঘটনায় এক ঝলকে কৈশোরকে দেখতে পেলাম! মনের কোণে উকি দিল ফেলে আসা দিন।ধন্যবাদ বনধু!
পাপিয়া, মনের কোনে উকি দেয়া ছাড়া আর উপায় কি বল ? বাইরে তো শুধুই বিষাদ আর বিষাদ ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সময় করে মন্তব্য করার জন্য । ভাল থেকো ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
প্রিয় গানও যে কখনো কখনো শুনতে ইচ্ছা করে না আর তা জানেন? "যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে' আর 'তুমি কি কেবলি ছবি'- দুটো গান আর শোনা হয় না।
আমার ধারনা আবার একটা সময় আসবে যখন এগুলো সময় কাটানোর সম্বল হবে। কবে, তা জানি না এখনো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আসবে রে মনা (মর্ম), আসবে আবার সেই দিন আসবে । এই গান যে একবার মরমে প্রবেশাধিকার দিয়াছে, তার মুক্তি নাইরে মনা, মুক্তি নাই ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মুগ্ধ!
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন