আমার মা । আমার জীবনের প্রথম আলো । মায়ের হাত ধরেই রবীন্দ্রনাথ এসেছেন আমার জীবনে । শৈশবের “বীরপুরুষ” কবিতার শিশু রবীন্দ্রনাথ ক্রমশঃ বড় হয়েছেন আমার জীবনে । এক সময়ে আমি জেনেছি, মেঘে ঢেকে যাওয়া বিধুর গোধূলি গগনের গান ছাড়িয়ে আমার মা রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শনকে ভালবেসেছিলেন । যে রবীন্দ্রনাথ একলা বাহির হ’ন পরমেশ্বরের অভিসারে ও লজ্জিত হ’ন নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিধ্বংসী আত্মগৌরবের, তিনিই লিখেন “অচলায়তন” ।
১.
রবীন্দ্রনাথের অচলায়তন সনাতন আচার অনুষ্ঠান আর লৌকিকতার মোড়কে বৈষম্যের প্রাচীর ভাঙ্গার আখ্যান । প্রাণময় গুরুর হাতে যে আয়তনের প্রতিষ্ঠা, দীর্ঘকাল অন্তঃসারশূন্য জপ-তপ, ব্রত আর মন্ত্রের সাধনে তার প্রাণ গিয়েছে হারিয়ে । তাই সেই আয়তন আলো, হাওয়াহীন এক রুদ্ধ অচলায়তন । সেখানে রাত্রি, দিন নিয়মের নিগড়ে বাঁধা । সেখানে হয় দীপকেতন পূজা । যে পূজায় ডুমুরতলা থেকে মাটি এনে পঞ্চগব্য দিয়ে বিরোচন মন্ত্রপূত করে ছোট ছোট মন্দির গড়তে হয় । সেই মন্দিরের ওপর ধ্বজা বসাতে হয় । এমন হাজারটা ধ্বজা বসিয়ে সূর্যাস্তের পরে জলগ্রহণ । মর্ত্যলোকের সেই ধ্বজার কারণেই প্রেতলোকে পিতামহদের জন্য আবাস তৈরি হয় । অচলায়তন প্রেতলোকের অধিবাসীদের গৃহনির্মাণে ব্রতী হয় । কিন্তু মর্ত্যলোকের গৃহহীনদের কথা নিরুচ্চারিত থাকে অচলায়তনে । এমনই হাজার পূজা-অর্চনার অচলায়তনে আছে আচার্য্য, উপাচার্য্য, উপাধ্যায়, মহাপঞ্চক ও কচি কচি শিশু শিক্ষার্থীরা । আর আছে মহাপঞ্চকের ছোট ভাই পঞ্চক । আছে তার বিপুলা প্রাণ । সেই প্রাণ এমনি বিপুলা যে অচলায়তনের বজ্রবিদারণী মন্ত্রের “ওঁ তট তট তোতয় তোতয় স্ফট স্ফট স্ফোটয় স্ফোটয় ঘুণ ঘুণ ঘুণাপয় ঘুণাপয় স্বর বসত্ত্বানি” উচ্চারণে তাকে বন্দী করা যায় না । সেই বিপুলা প্রাণ মহাপঞ্চকের চোখ রাঙ্গানীতে বশ মানে না । সে প্রাণ যে পেয়েছে কোন অন্য লোকের ডাক ! তাই সে অচলায়তনের প্রাচীরের মধ্যেই বারে বারে গেয়ে উঠে, “তুমি ডাক দিয়েছো কোন সকালে কেউ তা জানে না...” । স্থবির, রুদ্ধ অচলায়তনের প্রাচীরবন্দী জীবনেও পঞ্চক শুনতে পায় মুক্ত আকাশ, বাতাসের সেই পঞ্চমী স্বরের ডাক । সেই ডাকে ব্যাকুল হয় পঞ্চকের মুক্তিপ্রিয় প্রাণ । বিপুলা সেই প্রাণ যে অচলায়তনের সব ছাড়িয়ে যেতে চায় ! অচলায়তনের উঁচু দেয়াল কেমন করে ধরে রাখবে সেই প্রাণকে ?
তাই পঞ্চক নিষেধের প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে অচলায়তন থেকে প্রায়শই বের হয়ে যায় । কোথায় যায় সে ? যায় ম্লেচ্ছ শোণপাংশুদের কাছে । যারা কি না লোহার কাজ করে, খেসারীর ডালের চাষ করে ! অচলায়তনের শুদ্ধাচারী অধিবাসীদের খেসারীর ডাল খেতে নিষেধ নেই, নিষেধ খেসারীর ডাল চাষ করা শোণপাংশুদের ছোঁয়ায় । আর হবে নাই বা কেন ? ওরা যে আগুনে লোহা পুড়িয়ে হাঁপর চালায় আর গান গায়,
কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে ছিল অচেতন,
ও তার ঘুম ভাঙাইনু রে!
লক্ষ যুগের অন্ধকারে ছিল সংগোপন,
ওগো, তায় জাগাইনু রে।
পোষ মেনেছে হাতের তলে,
যা বলাই সে তেমনি বলে,
দীর্ঘ দিনের মৌন তাহার আজ ভাগাইনু রে।
অচল ছিল, সচল হয়ে
ছুটেছে ঐ জগত জয়ে,
নির্ভয়ে আজ দুই হাতে তার রাশ বাগাইনু রে।
পঞ্চকের সেই প্রাণ কেমন করে যেন ছুঁয়ে ফেলে অচলায়তনের আচার্য্যকেও । আয়তনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে গুরু যার হাতে আয়তনের দায়িত্ব সঁপে দিয়েছিলেন বহু যুগ আগে । আজ অনেক দিন পরে গুরুর অচলায়তনে আগমনের সংবাদে সেই আচার্য্যই অনুধাবন করেন,
প্রথম যখন এখানে সাধনা আরম্ভ করেছিলুম তখন নবীন বয়স, তখন আশা ছিল সাধনার শেষে একটা-কিছু পাওয়া যাবে । সেইজন্যে সাধনা যতই কঠিন হচ্ছিল উৎসাহ আরও বেড়ে উঠছিল । তার পরে সেই সাধনার চক্রে ঘুরতে ঘুরতে একেবারেই ভুলে বসেছিলুম যে, সিদ্ধি বলে কিছু-একটা আছে । আজ গুরু আসবেন শুনে হঠাৎ মনটা থমকে দাঁড়াল—আজ নিজেকে জিজ্ঞাসা করলুম, ওরে পণ্ডিত, তোর সব শাস্ত্রই তো পড়া হল, সব ব্রতই তো পালন করলি, এখন বল্ মূর্খ, কী পেয়েছিস । কিছু না কিছু না, সূতসোম । আজ দেখছি—এই অতি দীর্ঘকালের সাধনা কেবল আপনাকেই আপনি প্রদক্ষিণ করেছে— কেবল প্রতিদিনের অন্তহীন পুনরাবৃত্তি রাশীকৃত হয়ে জমে উঠেছে ।
অচলায়তনের শিক্ষার্থী কিশোর সুভদ্র । সে একদিন কৌতূহলের বশে অচলায়তনের উত্তরের জানালা খোলার মহাপাপ করে ফেলে । তিনশ পঁয়তাল্লিশ বছরের বন্ধ জানালা খুলে সুভদ্র দেখে ফেলেছে জানালার ওপারের পাহাড়, সবুজ ঘাসের মাঠ আর সেখানে চড়ে বেড়ানো গরুর দল । এ যে মহাপাপ ! উত্তরের দিকটা যে একজটা দেবীর ! তার দিকের জানালা খুলে সুভদ্র একা পাপী হয়েছে তা তো নয়, অচলায়তনের সকল পূজা, অর্চনা, ব্রত, যজ্ঞকে যে মিথ্যে করে দিয়েছে । এখন উপায় ? উপায় একটাই । মহাপঞ্চক শাস্ত্র ঘেঁটে ফতোয়া দিলেন, সুভদ্রকে ছয় মাস “মহাতামস” সাধন করতে হবে । সুভদ্র ছয় মাসের জন্য আলোকের এক রশ্মি মাত্র দেখতে পাবে না ।
কেননা আলোকের দ্বারা যে অপরাধ অন্ধকারের দ্বারাই তার ক্ষালন।
সুভদ্রের সেই জানালা খোলার মধ্য দিয়ে অচলায়তনের অন্ধকারের পূজার ঘট পূর্ণ হয় । আর তাই অচলায়তনের আচার্য্য এতদিনের প্রাণহীন আচার অনুষ্ঠানের প্রার্থনার লৌকিকতার বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান । তাতে ক্ষুদ্ধ রাজা তাকে আচার্য্য পদ থেকে বিচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠান । আচারনিষ্ঠ মহাপঞ্চক হয় নতুন আচার্য্য । আচার্য্য অদীনপুণ্যর সঙ্গী হয় পঞ্চক ও উপাচার্য্য । অন্ত্যজ দর্ভক পল্লীতে হয় আচার্য্যর নির্বাসন । দর্ভকদের নেই মন্ত্রের দীক্ষা, নেই কোন নিয়মের নিগড় । ওরা তাই প্রার্থনা করে প্রাণের মন্ত্রে,
ও অকূলের কূল, ও অগতির গতি,
ও অনাথের নাথ, ও পতিতের পতি !
ও নয়নের আলো, ও রসনার মধু,
ও রতনের হার, ও পরানের বঁধূ !
ও অপরূপ রূপ, ও মনোহর কথা,
ও চরমের সুখ, ও মরমের ব্যথা !
ও ভিখারির ধন, ও অবলার বোল –
ও জনমের দোলা, ও মরণের কোল !
শেষ মেষ ভেঙ্গে পড়ে অচলায়তনের কঠিন প্রাচীর । যার হাতে তার প্রতিষ্ঠা সেই গুরুর জয়রথই ভেঙ্গে দেয় সেই প্রাচীর । ভাঙ্গা মাল মশলা দিয়েই নতুন করে আয়তনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় । নতুন সেই সচলায়তনে হবে আলোকের অর্চনা, মুক্তির মন্ত্রের উপাসনা, আর সাম্যের সাধনা ।
কে সেই গুরু ? আর কেউ নয় । সে যে ম্লেচ্ছ শোণপাংশুদের “দাদাঠাকুর” ! অন্ত্যজ দর্ভকদের “গোঁসাই” ! ম্লেচ্ছ আর অন্ত্যজদেরকে উপেক্ষা করে যে প্রাণের দেবতার সন্ধান মেলে না !
২.
আমার মা এক সময় চলে যান এই পৃথিবী থেকে । সেই গভীর দুঃখের দিনে আমি প্রথম উপলব্ধি করি আমার মায়ের নামের অর্থ “আলো”, “পৃথিবীর আলো” । আমার মায়ের নশ্বর দেহের মৃত্যুতে আমি প্রথম জেনে যাই, জননীর শূন্যতায় আলোর তীব্র অভাব । বেদনার তিমিরে ডুবে আমি আমার মায়ের গল্প লিখি সচলায়তনে ।
সেই আমার সচলায়তনের সাথে পথ চলার সুচনা । আমি লিখিয়ে নই, মৌলিক কিছু লেখার হাতও নেই । ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই গল্প । আমার সব গল্পে আমার মা খুব তীব্রভাবে উপস্থিত (গজরা গ্রামের মুন্সী বাড়ির বেটির তেজ ছিল বহুত । কোন অন্যলোকে গিয়েও তার তেজ একটুও কমেনি । নিজের জায়গাটা সে ছাড়বে নাকো !) । আমার অতি সাধারণ গল্পে আরও আছেন সেই সাদা আলখাল্লার পরা সন্তর মতো চেহারার “বুড়ো” । যে কেবল মন্ত্রে আর হোমানলে খুঁজে মরেননি পরমেশ্বরকে । সীমার মাঝে করেছেন অসীমের সন্ধান । তাই তার অচলায়তনে দেখা মেলে ম্লেচ্ছ শোণপাংশুদের আর অন্ত্যজ দর্ভকদের ।
৩.
সচলায়তন এক নক্ষত্রের হাট । কাকে রেখে কার কথা বলি ? শুরু করা যাক, স্মৃতির শহরকে দিয়ে, যার পিতৃদত্ত (মাতৃদত্তও হতে পারে) নামটি এখন আর আমার মনে নেই । যার সঙ্গে হেঁটে হেঁটে স্মৃতিময় শহরের পথে পথে খুঁজে ফিরেছি নিজের ফেলে আসা একলা দুপুর, বারান্দার গ্রিলে আটকে পড়া বিষণ্ণ বিকেল । সচলায়তনে আছেন সাইফ শহীদ ভাই । তিনি মনে করিয়ে দেন,
আমরা মহাবিশ্বের রহস্য জানার জন্যে কত কিছু করছি, কিন্তু আমাদের কাছের মানুষের অন্তরের গভীরে কি স্বপ্ন আছে, তার কতটা আমরা জানি ?
আছেন আসমা আপা, যার লেখায় থাকে ঋদ্ধ জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ কথা । আছেন নজরুল ইসলাম, যার লেখায় থাকে বাংলাদেশের প্রতি দায়বদ্ধতা । সচলায়তনের এই নজু ভাইয়ের এক বিশাল গুণ, তিনি নতুন লেখকদের ভাল লেখায় মন্তব্য করেন । গুণের প্রশংসা যখন করেই ফেলেছি, দোষের কথাটা বলে ভারসাম্য আনি । নজু ভাই একবার শীতনিদ্রায় গেলে আর জাগেন না (পড়ুন, লিখেন না) । এই রকম কুম্ভকর্ণ নিদ্রায় যাওয়া আরও অনেক নক্ষত্রেরা আছেন, যেমন স্নিগ্ধা, বুনোহাঁস, অনিন্দ্য রহমান, বইখাতা প্রমুখ ।
এখানে আছেন বিশ্ব নিন্দুক হিমু । তিনি যখন একুশে ফেব্রুয়ারিতে আদিবাসী ভাষায় “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গেয়ে উঠেন, তখন চোখের পানি ধরে রাখাটা কঠিন হয়ে যায় । তাজ্জব লাগে এই গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করা লোকটার (ছেলেটার !?!) কণ্ঠে এত মমতা কে জানতো ? আছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ, যিনি “আমি ত্বকীর বাবা বলছি”র মত সংবেদনশীল লেখা লিখেন । আছেন মুস্তাফিজ ভাই, যিনি শোনান “অসুন্দরের সুন্দরবনের গল্প” । আছেন পিপিদা (আসলে, প্রকৃতিপ্রেমিক, দুষ্টু সচলেরা ডাকে পিপিদা), যিনি শোনান “কলিজা”র গল্প । সচল জাহিদ, দেশের পানি সম্পদ নিয়ে যার খুব দুশ্চিন্তা, সংগত কারণেই । মাহবুব লীলেন্দা আরেক কুম্ভকর্ণ । তিনি মহাভারতের রাজনৈতিক নারীদের গল্প বলতে বসে দিব্যি আমাদের দেশের ভোটের রাজনীতিবিদের মত উধাও হয়ে যান । গল্পের ক্লাইম্যাক্সে এসেই কাজটা ওনাকে করতে হয় ।
এখানে আছেন সুমাদ্রী, যিনি হারিয়ে যাওয়া “তেতলা বাড়ি, গ্রাম ও ঘুড়ি”র গল্প বলে আমাদের মন মেঘ মেদুর করে দেন । আছেন মর্ম, যিনি শোনান বিশ্বজিৎ নামের একজনের অমানবিক মৃত্যুতে “একজন সাধারণ মানুষের জবানবন্দী” । আছেন একজন তুমুল অভিমানী কবি, নাম যার তিথী । তার কাছে পাওয়া যায় “অরণ্যের দিনরাত্রির গল্প” । আরও আছেন সত্যপীর নামের একজন, যিনি বলেন “নগরীতে নেমে আসা গভীর রাতের গল্প” । আশালতা নামের এক বুটিফুল ঠাম্মি, যার দেখার ও লেখার চোখটি খুবই তীক্ষ্ণ । আছেন আমার এক ভইন সাফিনাজ আরজু, যিনি শোনান “কড়ে আঙ্গুলের সমান এক দস্যি”র গল্প । সচলরা শুধু লেখালেখিতেই আছেন, তাই না । মেধা ও মননকে কাজে লাগানো রাগিব হাসান একজন প্রযুক্তিবিদ । যিনি আন্তর্জালে বাংলায় মুক্ত জ্ঞানের মেলা “শিক্ষক” পরিচালনা করছেন ।
চরম উদাস । তার কথা আমি কিছু বলতে চাই না । তার গবেষণার বহরটা একটু দেখুন এখানে ও এখানে । বলব না, বলব না করেও একটা কথা না বলে পারছি না । ওনার পোস্টের ৯৮.৯৬% পর্যন্ত পড়তে পড়তে আর হাসতে হাসতে আপনি যখন নিশ্চিত যে এটি একটি রম্য রচনা (কারণ, হাসতে হাসতে আপনার পেটে খিল ধরে গিয়েছে), তখনই উনি আসল মোচড়টা দেবেন এবং আপনাকে কাঁদিয়ে ছাড়বেন । এইবারে আপনি জানবেন “হাউ টু ক্রাই” । হিংসুটে ছেলেপিলে কৌস্তুভের কথা বোধহয় বলিনি এখনো, তাই না ? যতই কেন উনি “দ্বীপ জ্বলে যাই” মার্কা জ্ঞানী জ্ঞানী লেখা দিন না কেন, নীল কমলিনীর রাশি রাশি মিষ্টিগুলো কিন্তু ওনার পেটেই যায় । এখানে গৃহবাসী বাউলের লেখায় পাবেন কী পরিমাণ খানাপিনা হয় সচলাড্ডাগুলোতে ।
আছেন ব্যানার্জিরা । স্যাম, মুস্তাফিজ ভাই, উজানগাঁ ও জিএমটিসহ আরও অনেকে । আছেন মণিকা রশিদ । যিনি গান করেন, কবিতা লিখেন ও “বান্ধব” এর মতো গল্প লিখেন । আর অনিকেত ? তিনি আমাদের “যে পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে”র গান শোনান । ফাহিম হাসান । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ । কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গেই তার অধিক প্রেম । আছেন পায়ের তলায় সর্ষে তারেক অণু । সময় চলে যাচ্ছে, সেটল হওয়ার কোন লক্ষণই নেই তার !
ও হো ভুলেই গিয়েছি ইশতিয়াক রউফের কথা । কে জানতো শিশু বেলায় খালার হাতে চড় খেয়ে “শীলা লালা, তুমি আমাকে মারলা...আমার বুঝি মনে ব্যথা লাগে না ?” প্রশ্ন করা সেই অভিমানী বালক বড় হয়ে এমন তুখোড় তার্কিক হবে ? “এই আমাদের সমকাল” এর মতো লেখা লিখে ফেলবে ? টুইটার, ফেসবুকে ঝড় তুলবে ?
আরও আছেন হাসান মোরশেদ, পুতুল, তুলিরেখা, আনোয়ার সাদত শিমুল, শামীম, অনার্য সংগীত, ধূসর গোধূলি, দ্রোহী, সুমন চৌধুরী, রনদীপম বসু, কনফুসিয়াস, খেকশিয়াল, দুষ্ট বালিকা, মূলত পাঠক, সুহান রিজওয়ান, সবজান্তা, রায়হান আবীর, সাবেকা, ত্রিমাত্রিক কবি, সুলতানা পারভীন শিমুল, অতন্দ্র প্রহরী, যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, কীর্তিনাশা, সাইফুল আকবর খান, নীড় সন্ধানী, রিসালাত বারী, ষষ্ঠ পাণ্ডব, ইয়াসীর আরাফাত, রংতুলি, অমি_বন্যা, বেচারাথিয়াম, তাপস শর্মা, সুমিমা ইয়াসমিন, কুমার, অরফিয়াস, নিলয় নন্দী, মেঘা, কুলদা রায়, অরূপ, অন্য কেউ, সাফি, মণি শামীম, তানিম এহসান, নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী, ফারাসাত, আব্দুল গাফফার রণি, আয়নামতি, ধূসর জলছবি, রিশাদ ময়ূখ, টিউলিপ, দিগন্ত, বাউলিয়ানা, সাম্য, রু... আরও অসংখ্য উজ্জ্বল নাম ।
উজ্জ্বল নক্ষত্রদের এই মেলায় নীরবে যিনি আছেন, তিনি মুহম্মদ জুবায়ের । আরও আছেন সচলায়তনের অন্নপূর্ণা মেহবুবা জুবায়ের ।
সচলায়তনের এত এত নক্ষত্রেরা শুধু লিখেন, তাই না । তারা শাহবাগ আন্দোলন স্বশরীরে উপস্থিত থাকেন । না থাকতে পারলে প্রবাসে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন । ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ, দেশী-বিদেশী পত্র-পত্রিকায় দেশের হয়ে গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করেন, মিথ্যাকে প্রতিহত করেন । রাজনৈতিক কোন দলের তোয়াক্কা না করে দেশের প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিৎকার করেন । দেশে, প্রবাসে রাতভর জেগে থেকে টাইগারদের প্রতিটি রান আর বলের পেছনে ছোটেন । দেশের প্রতিটি ভালো খবরে আলোড়িত হ’ন । তারা শোষনমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, নারী-পুরুষের সমতা ভিত্তিক একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্নকে মনের মধ্যে জাগিয়ে রাখেন । এরা প্রত্যেকেই এক এক একজন শোণপাংশু আর দর্ভক ! এদের দেখে মনে আশা জাগে । মনে হয়, যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছেন মুনির চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সেলিনা পারভীন, আলতাফ মাহমুদ, জহির রায়হান, শহীদুল্লাহ কায়সারের মত অসংখ্য নক্ষত্রেরা সে মাটিতে অচলায়তনের অন্ধকার ঘাঁটি গাড়তে পারবে না আর কোনদিন ।
প্রিয় জন্মভূমি, প্রিয় জননীরা (শহীদ রুমীর জননী জাহানারা ইমাম, শহীদ আজাদের জননী সাফিয়া বেগম, অসংখ্য নাম না জানা শহীদ জননীরা ও অসংখ্য নারী যাঁরা একাত্তরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন),
____________________________________
পাদটীকাঃ
১. ২৭শে মার্চ কাজ থেকে ফিরে দেখি সচলায়তন বৈদ্যুতিক ডাকে চিঠি পাঠিয়েছে আমার একাউন্টটি পূর্ণ সচল করার সুখবর জানাতে । অচল থেকে হাচল, হাচল থেকে সচল হওয়ার আনন্দে লোকজনকে দেখেছি আনন্দিত পোস্ট দিতে । আমি “টিউব লাইট” মানুষ । কখন হাচল হয়েছিলাম, বুঝতে পারিনি । তাই এইবারে আর দিরং করলাম না । আনন্দিত পোস্ট দিলাম । সচল পরিবারের সবাইকে আমার আনন্দ ভাগ করে দিচ্ছি (মা বলতেন, ভাগ করলে আনন্দ বেড়ে যায় । তাই, ভাগ করে নিচ্ছি । নইলে দিতাম কি না সন্দেহ আছে ) । সচলায়তনে আপনাদের সঙ্গে এই পথ চলা সত্যিই আনন্দদায়ক । শুভ কামনা সবার জন্য ।
২. এক জন মানুষকে ধন্যবাদ না দিলে অন্যায় হবে । মেহদী হাসান খান, অভ্র যার সৃষ্টি । যাঁর কারণে আমার এই বাংলায় লিখতে পারা । ধন্যবাদ, মেহদী ।
৩. সচলায়তনের সঞ্চালক মণ্ডলীকে জানাই আন্তরিক সাধুবাদ । সচলায়তনের সতেজ পরিবেশ ও লেখার মান ধরে রাখার কাজটি করার জন্য ।
মন্তব্য
অভিনন্দন। লিখ্যা ফাটায়ালান।
গুণে দেখলাম ১০১-১২ = ৮৯ হয়। বেশিদূর নাহ
..................................................................
#Banshibir.
আপ্নেরে গুনতে ক্যাডা কইছে ? অর্থনীতিবিদ হইছেন, ট্যাকা পইসা গুনেন । গুনতে গুনতে ট্যাকা পইসা দিয়া দুইন্নাই ভইরা ফালান
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
পরের পয়সা গুইনা সুখ নাইরে ভইন।
..................................................................
#Banshibir.
পরের পয়সা মানে ? আমিতো ভেবেছিলাম, সচল ফান্ডের টাকা আপনার হেফাজতেই থাকে । কোথায় আমি সচল ফান্ডের চেক চাহিয়া একটি আবেদনপত্র লিখছিলাম আপনার সকাশে
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ধন্যবাদ, স্যাম । পড়ে এসে বলে যাবেন কিন্তু কী কী বানান ভুল করলাম । ভেবে দেখলাম অচল, হাচল থাকা অনেক ভাল । লেখা দিয়ে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত একটা মধুর “অপেক্ষা”, লেখার মানের চিন্তা মডারেটরদের ওপর ছেড়ে দিয়ে বেশ নিশ্চিন্ত থাকা যেত । এখন সব হ্যাপা নিজের ঘাড়ে । মোটেও ভালু না ব্যপারটা । পারলে মডুদের বলতাম, “কলা বুজাইয়া দেও...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
যা পেয়েছি আমি তা চাইনা তো পুরানা গান - তবে একমত
আমি এ ব্যাপারে ভুল লোক ভইন !
আগে অভিনন্দন জানাই - এবার পড়ি
অভিনন্দন আপু!! সুন্দর সুন্দর লেখায় ভেসে যাক সচলায়তন!
অনেক অনেক ধন্যবাদ, রংতুলি ।
কোথায় ভাবলাম বলবেন, “এবারে ঘুমাতে যান । আপনিও বাঁচেন, আমরাও বাঁচি ।”
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন। তবে সচলের ঐতিহ্য মেনে কষে ঘুমোবার প্ল্যান করবেন্না যেন। লিখুন অনেক অনেক করে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
'এক বুড়ি আরেক বুড়িরে বলে নানী' - এইটা মনে হয় অণু না হয় উদাস শিখাইসে, নাকি সত্যপীর?! - কেন জানি মনে পড়ল! ওহ! এক ফাকিবাজ যদি আরেকজন কে উপদেশ দেয় ফাঁকি দিস না ... মনে তো পড়বেই
এইও! আমি তো চিরকেলে ঐ ইয়ে আরকি। তা'বলে চান্সে দু একখানা উপদেশ ঝাড়তে পাবো না এইটা কেমুন বিচার?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
না না, আশালতা, আপ্নি বলুন, আমি কান পেতে শুনছি
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এসব কী স্যাম ? এখেনে কথা হচ্ছে এক ঠাম্মির সঙ্গে আরেক ঠাম্মির । ঠাম্মিতে ঠাম্মিতে কথার মাঝখেনে বাচ্চা ছেলেদের কথা বলতে হয় না
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আশালতা, অনেক ধন্যবাদ । কিন্তু, ঐতিহ্য ঠিক রাখাটা খুব জরুরী একটা কাজ না ? এই যেমন আপনি ঐতিহ্য সমুন্নত রাখছেন
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন !
গতকাল আপনার নামের পাশে কোন ব্র্যাকেট নেই দেখেই বুঝছিলাম কাজ হয়ে গেছে, দুই একদিনের মধ্যেই এইরকম একটা লেখা পাচ্ছি
আপনার লেখার ভক্ত পাঠক ছিলাম এবং আছি । আশা করি এখন থেকে ফটাফট আরো আরো লেখা পাবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, সাবেকা । ফটাফট লেখার কথা বলছিলেন, আমিতো একটা তোফা ঘুমের ব্যবস্থা করছিলাম
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচলত্বের অভিনন্দন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ, ত্রিমাত্রিক কবি
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
খাইছে, আমার নামও আছে দেখি!
এতো কম লিখি এখন যে বর্তমান সচলরা আমার নাম জানে তাতেই অবাক!
যাহোক, বিশাল অভিনন্দন।
আমি যে অল্প কয়েকটা নাটকে মঞ্চে সশরীরে হাজির হয়েছিলাম। তার মধ্যে অচলায়তন একটা। বহু বছর আগে। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন আলী যাকের। খুব প্রিয় একটা নাটক। অনেকদিন পর নাটকটার কথা মনে করায়ে দিলেন। স্মৃতি!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল, বিশাল ধন্যবাদ ।
অচলায়তনের কোন চরিত্র করেছিলেন ? আমার দেখা অচলায়তনে পঞ্চমের চরিত্র করেছিলেন খালিদ খান যুবরাজ । আহ্ কী যে ভাল লেগেছিল । মহিলা সমিতির মঞ্চ কাঁপিয়ে “তুমি ডাক দিয়েছো কোন সকালে...”
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন। লিখতে থাকুন, আমরা পড়ছি।
ধন্যবাদ, প্রৌঢ় ভাবনা । ভালো থাকুন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন!
আপনার লেখার হাত আলাদা, একদম আলাদা, লিখতে থাকুন বেশি করে।
অনেক ধন্যবাদ, তানিম
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ঘুমানোর সময় হলো
z-z-z-z-z-z
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন। লেখা চলুক----
facebook
ধন্যবাদ, অণু
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন জোহরা আপা। এই নগণ্য, বালখিল্য লেখার লেখককে মনে রেখেছেন জেনে অবাক হলাম, খুশীও লাগল। আপনার ইংরেজী লেখাও পড়তে খুব ভাল লাগে আমার। ভাল থাকবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সুমাদ্রী, আপনার লেখার গভীর বেদনাবোধটি মন ছুঁয়ে গিয়েছে, কাজেই মনে রাখতে কষ্ট হয়নি ।
আপনিও ভাল থাকুন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমি যখন সচল হয়েছিলুম তখন বিশাল এক খানাদানা দিছিলুম। এখানে সেসব তো পেলুমই না বরং হিংসুটে অপবাদ শুনতে হল।
কৌস্তুভ, কী করব বলুন । আমি হলেম গিয়ে বুড়ি মানুষ । এই সব ভার্চুয়াল খানাদানাতে পেট ভরে না । বরঞ্চ, খিদেটা চাগিয়ে উঠে । তাই বলি কি, এট্টা ওল্ড ফ্যাশন নিমন্ত্রন করেন, রিয়েল খানাদানা খাওয়ান ।
এই দেখুন বুঝতেই পারলেন না । ছোট বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপিলেদের ঠাম্মিরা স্নেহ করে কী বলে ডাকেন ? সেই ত্রেতা যুগ থেকেই “হিংসুটে” বলে ডেকে আসা হচ্ছে ছেলেপিলেদের
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক অনেক অভিনন্দন - লিখুন মন খুলে।
অটঃ আমার নামটি/নিকটি আমার মায়ের দেওয়া।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ, তাসনীম ।
আমারও কেমন সন্দ হচ্ছিল, আপনার নামটা মাতৃদেবীর রাখা । সব জায়গায় জননীরাই ভাল ভাল কাজগুলো করেন
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ভাল লেখকদের সচল করার ব্যাপারে ঘোর বিরধী আমি। ভাবছি এই ব্যাপারে কন্টাক্ট@সচলায়তন এ চিঠি দিব। সচল করা আর এদের ভ্যানিশ করে দেয়া একি কথা।
যাই হোক অনেক অভিনন্দন আপু!
অন্তত “ঘরের চাবি” ভাঙ্গা যেন বন্ধ না হয়, বিশেষ অনুরোধ রইল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
শাব্দিক, অনেক অনেক ধন্যবাদ এই রকম অকুন্ঠ প্রশংসার জন্য । বুঝাই যাচ্ছে, আপনি মন খুলে প্রশংসা করেন ।
ঘরের চাবি ভাঙ্গা বন্ধ না করতে বলছেন ? এই ভাবে যদি সব ঘর দোর ভেঙ্গে পড়ে, তখন থাকব কুথায় সবাই মিলে ?
ভাল থাকুন । নিরাপদে থাকুন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
শুধু ঘরের চাবি না, ...... জার্নালও কিন্তু খুলতে হবে এবার। বলি মগডালে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিলে চলবে???
আমি তোমার লেখার সাংঘাতিক ভক্ত। ভক্তকে কিন্তু নিরাশ করতে হয়না আপুনি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সচলত্বে অভিনন্দন। অনেক অনেক সৃষ্টিশীল লেখা আসুক আপনার হাত ধরে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ, সচল জাহিদ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচলে যখন হইয়া পড়লেন আপু সাথে কইরা একটা ঘর ভাঙ্গা চাবির মিষ্টি আনবেন না!!! কি আজিব!!?!?! খালি মুখে জমে নাকি?? যাকগা ফাও(আসলে কিন্তু সিরিয়াসলি কইছি) কথা বাদ দিয়া আসল কথায় আসি, সচলত্ত্বের অভিনন্দন মনের গহীন থেকে।।
ছোট্ট করেঃ এতগুলা বড় বড় নামের সাথে আমার মত এক আইলসা অচলের নাম দেখে আমার চক্কে পানি চইলা আসছে। আপু
আমি তো মনে করলাম, ঘর ভাঙ্গা চাবি’র যন্ত্রনায় আপনারা কাতর । তাই একটু অচলায়তনের গল্প বললাম । দেখুন সেখানেও ভাঙ্গা-ভাঙ্গি । আমাকে দিয়ে ভাঙা ছাড়া আর কিচ্ছু হবে না
এই জিনিসটা ভাই এক দম মনের গহিনে রেখে দিলাম । অনেক দামী জিনিস । তালা বদ্ধ করে রাখছি...কিছুতেই হারানো যাবে না । জিনিসপাতি যা খুশী হারাক, মানুষের স্নেহ, ভালবাসা না ।
নাহ্, আপনাকে এই গানটা শুনতেই হবে ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচলাভিনন্দন ... এইবার লিখে লিখে ফাডাই ফেলেন।
ধন্যবাদ ।
তাহলে, আপনি একটা “এসো নিজে করিঃ কীভাবে লিখে লিখে ফাডাইবেন How to write” লিখেন
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ও আল্লাহ, আমার প্রথম এসো নিজে করিই তো - How to write
পড়েন নাই বুঝি
পড়ি নাই আবার ? বুড়ি হয়েছি, তাই মনে থাকে না । কিন্তুক আপনি আরেকটা লিখেন, How to write ফাডানো blog ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এইডার দরকার আছে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অনেক অনেক অনেক অভিনন্দন আপুনি।
তোমার লেখা পড়তাম আর অপেক্ষা করতাম কবে আসবে সেই দিন যেদিন তোমাকে সচলাভিনন্দন জানাতে পারব।
মন থেকে বলছি তোমার লেখা আমার খুব ভালো লাগে। কেমন মন এলোমেলো করা লিখা।
প্লিজ নিয়মিত লিখতে থাক।
তোমার লেখাতে আমার মত এক নবিশের নাম এসেছে দেখে খারাপ মন ভালো হয়ে গেল।
এই ভালবাসার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি।
ভালো থেক সবসময়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সাফিনাজ, ভইন আমার, আমার মাফ করে দিও। এতো সুন্দর ও মন ভালো করে দেয়া মন্তব্য করেছো, কিন্তু আমি তার জবাব দিতে এতো দেরী করলাম। জাতীয় চিনিশিল্পের গুষ্টি উদ্ধারে ব্যস্ত ছিলাম। এখন কিছুদিনের জন্য এট্টু শান্তিতে থাকতে পারব বলেই আশা করছি। তারপরতো শরতকাল চলেই এলো। পাখিরা সুমিষ্ট সুরে গান গাইতে শুরু করেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমাকে খুড়পি হাতে বেড়িয়ে পড়তে হবে শাক সবজির চাষে। খাদ্য উৎপাদন হলো স্বনির্ভরতার প্রথম ধাপ
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অভিনন্দন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ, রাতঃস্মরনীয় । ভালো থাকুন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচলাভিনন্দন রবীন্দ্রপূজারী আফা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ, প্রিয় অভিমানী কবি ।
পূজারী ? ফ্রেমী বলো, তিথী, ফ্রেমী । ফ্রেমিকাও বলতে পারো
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
১। সচলস্য শুভেচ্ছা! দ্বিতীয়বার হল, ক্ষতি কী! এবার ঘুমোতে যান!
২। 'ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি' প্রত্যেক পর্বে ট্যাগ হিসেবে যোগ করুন প্লিজ, মানুষজনকে পাঠাতে আর খুঁজে পেতে সহজ হয়, এখন তো হারিয়েই যাবেন, লেখাগুলো না হারায় তার ব্যবস্থা করে যান!
৩। সচলপাঠ দিয়ে 'সম্পাদনা'র অভিজ্ঞতা হয়েছিলো, 'সম্পাদিত' হওয়ার আনন্দটুকু দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
Z-Z-Z-Z-Z
মানুষজনকে এই “অখাদ্য” পাঠান ? যাকগে, বলছেন যখন করে দেব ।
খুব ভাল করেছেন লিঙ্কটা দিয়ে । এটা সংগ্রহে রাখার মত একটা লেখা । মানুষের প্রতি আপনার মমতাটা টের পেলাম (মমতা ছাড়া এই রকম একটা সম্পাদনা হয় না) । খুব ভাল লাগলো ।
অটঃ আপনার সম্পাদনাতে আমার মা আছেন দেখেও ভাল লাগলো । ধন্যবাদ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচল আপনাকে ঘুমের একটি বিরাট সুযোগ দিয়ে গেল। মডুদের গদাম। আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
অনেক ধন্যবাদ । সচলের ভূত ঘাড় থেকে নামিয়ে আসলেই একটা লম্বা শীতনিদ্রার দরকার ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সচলাভিনন্দন
সচল ধন্যবাদ, ধুসর জলছবি ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
তোমাদের এই তা-বড় তা-বড় সচল-সচলাদের আসরে আমি তো নাদান পোলাপান। সচল হওনের লাইগ্যা সব্বাই হাত-তালি দিতাসে আর তোমারে ধন্য ধন্য করতাসে, আমিও তাতে যোগ দিলাম।
তোমার এ লেখাও অতি মনোরম, অতি সুন্দর! প্রবল আকাঙ্খা রাখি যে তুমি নিয়মিত আমাদের এইভাবে অসাধারন সব লেখা উপহার দিয়ে যাবে।
এই যাহ্ অমিতদা, তুমি দেখছি আসলেই একটা নাদান পোলাপান! সচলায়তনের নারী জাতিকে তো জানো না, তারা কেউ সচলা হতে রাজী না। চিরকাল এইসব মনভুলানো আ-কার, উ-কার, ই-কার, ঈ-কার দিয়ে দিয়ে ঠকিয়ে এসেছো। আর চলবে না। সবাই আমরা সমানে সমান। হুঁ, মনে রেখো।
তুমি দেখছি আমার আরামে ঘুমানোর প্লানটাই মাটি করতে চাইছো
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপু, আপনাকে অনেক সচলাভিনন্দন।
কুমার, ধন্যবাদ জানাতে অনেক দেরী করলাম। ক্ষমা করবেন। খুব একটা দৌড়ের মধ্যে ছিলাম, ক’দিন। চিনি শিল্পের গুষ্টি উদ্ধার করছিলাম কি না!
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন