মাঝে মাঝে সামাজিক আড্ডায় শুনি, “ব্লগারদের মুখ খুব খারাপ। কোন শিষ্টতা নেই, শালীনতা নেই। আন্তর্জালের এই যুগে কেউ কারুর মুখ দেখে না তো, তাই যা ইচ্ছে তাই লিখে। বর্বরদের মতো ভাষা। ব্লগতো না, আগের দিনের পাড়ার “রক” আর কি! ব্লগারতো না, রকবাজ, আড্ডাবাজ”। চুপচাপ শুনি। বাংলা দু’টো ব্লগ (প্রথমে প্রথম আলো ব্লগ ও এখন সচলায়তন) এর সঙ্গে অনিয়মিত হলেও কিছুটা সংস্পর্শ থাকার কারণে জানি, অভিযোগগুলো সর্বাংশে সত্য নয়। বাংলা কমিউনিটি ব্লগে যারা লিখে, তাদের সিংহভাগের বয়স ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে হবে বলেই আমার অনুমান। একটা জিনিস আমি গত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি - নারীর প্রতি সম্মানবোধ। যে কোন বিষয়ের মেরিট নিয়ে তুলকালাম বিতর্ক করবে। সেখানে নারী-পুরুষ দেখবে না। কিন্তু কোন একজন নারীকে শুধু “নারী” বলে কেউ অসম্মানজনক একটি কথা বললে, দশজন ঝাঁপিয়ে পড়ে তার প্রতিবাদ করবে।
ব্লগাররা মুখ খারাপ করে। ভীষণভাবেই করে। বয়সের কারণেই হোক বা প্রচণ্ড আবেগের কারণেই হোক। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে নিজেদের কোন ব্যক্তি-স্বার্থ বাঁচাতে মুখ খারাপ করে না। স্বার্থ একটা আছে বটে, তবে সেটা “বাংলাদেশ” নামের একটি ছোট্ট ভূ-খণ্ড নিয়ে তাদের স্বপ্নকে ঘিরে। দেশের আনাচে-কানাচে কিংবা পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই ব্লগারদের আসলেই কোন কাজ নেই। তাই কেউ আন্তর্জালে মাতৃভাষায় শিক্ষা বিস্তারের কাজ করে। ব্লগ থেকেই নানা সময় দেশের দরিদ্র মানুষকে ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগের হাত থেকে বাঁচাতে চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কেউ আবার দেশের প্রকৃত ইতিহাস প্রচারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশ আর দেশের মানুষদের নিয়ে অসংখ্য সম্ভব-অসম্ভব স্বপ্ন তাদের। যখনই সেই স্বপ্নগুলোকে আক্রান্ত হতে দেখে, তখনই গ্রামের “নওজোয়ান” কিংবা নাগরিক “রংবাজ”দের মতো মুখ খারাপ করে কথা বলে।
অনেক শিবের গীত গেয়েছি । এবারে ধান ভানি । বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে “বদলে দেয়া”র অঙ্গীকার করা প্রথম আলোর বিশেষ ক্রোড়পত্রে একজন প্রাজ্ঞ লেখকের একটি ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে । গল্পের শিরোনাম “টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি” । লেখকের নাম হাসনাত আবদুল হাই । ক্রমশ: জানলাম তিনি একজন প্রাক্তন আমলা । গল্পটির প্রতিপাদ্য বিষয় মফস্বল থেকে ঢাকায় পড়তে আসা একটি মেয়ের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে “নষ্ট” হয়ে যাওয়ার বীভৎস প্রক্রিয়া । রাজনৈতিক দলের বড় নেতা থেকে শুরু করে মাঝারি নেতা, পাতি নেতা, চিকা মারা কর্মী সবার সম্ভোগের পাত্রী মফস্বলের সেই মেয়ে । এখানেই শেষ না । গরুর রচনা পড়ে আসা ছাত্রের মত করে গল্পটিকে টেনে আনা হয়েছে শাহবাগ আন্দোলন, গন জাগরণ মঞ্চে নারীর শ্লোগান দেয়া পর্যন্ত । আছে “মফস্বলের মেয়েরা ঢাকার মেয়েদের চেয়েও বেশী খোলামেলা” ধরনের কদর্য অভিমত। আরও আছে নারীর শরীরের রগরগে বর্ণনা । এক কথায় গল্পটি বিবমিষা জাগানো একটি “নীল রং” গল্প ।
গল্পটির প্রেক্ষাপট ও প্রকাশের সময় কাল দেখে যে কোন পাঠকের মতই সন্দেহাকুল হয়ে উঠি। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে বেদনার্ত হই। বাংলাদেশে জন্মানো যে কোন আর দশটি মেয়ের মতই আক্রান্ত বোধ করি। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মেয়েদের “দৃশ্যমান” ও “পরিমাপযোগ্য” অংশগ্রহণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম, হয়তোবা দেশের সামগ্রিক মনস্তত্ত্বে একটা গুণগত পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের মেয়েরা চিরকালই ঘরে-বাইরে কাজ করে এসেছে। এমন কি কৃষিভিত্তিক কর্মকাণ্ডের কায়িক শ্রমেও নারী অবদান রেখেছে এসেছে আবহমান কাল থেকে। কৃষিভিত্তিক সেই সব কর্মকাণ্ডে সাধারনতঃ অর্থের লেনদেন হতো না। আর গৃহস্থালি কাজেরতো কোন মূল্যায়নই করা হোত না। কিন্তু, গত কয়েক দশকে ক্ষুদ্র ঋণ ও গার্মেন্টস শিল্পের নারীর অবদানের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা কতটা ঘুরছে, তা দেখতে অর্থনীতিবিদ হতে হয় না। সাধারণ মানুষের সাদা চোখেই তা দেখা যায়।
বাংলাদেশের অন্য অজস্র মেয়ের মতো আমিও ভাবতে শুরু করেছি সমাজ থেকে প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার বোধহয় দূর হয়েছে। এখন নিশ্চয়ই আর কেউ সেবিকা, বিমানবালা শুনলে নাক সিটকান না। প্রথাসিদ্ধ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নারীদের মত শিক্ষক আর চিকিৎসক পেশার বাইরে এসে মেয়েরা এখন সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিমানচালক, কৃষিবিদ, উন্নয়ন কর্মী, পেশাদার ক্রীড়াবিদ, ইটের ভাটার শ্রমিক, রাজনীতিবিদ, নির্মাণ কর্মী, প্রকৌশলী, স্থপতি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গবেষক...কোথায় নেই মেয়েরা! আমার মত একজন অতি সাধারণ মেয়ে খুব আশাবাদী হই। নাহ্, মেয়েরা এখন অনেক স্বনির্ভর, শিক্ষিত ও দেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠেছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষের সঙ্গে দেশ ও সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে।
এখন নিশ্চয়ই নির্জন রাস্তায় একা একটি মেয়েকে দেখলেই কেউ অশ্লীল শীষ দিয়ে উঠে না। কাঁদার মত নোংরা মন্তব্য ছুড়ে মারে না। কিন্তু আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে হাসনাত আবদুল হাই নামের একজন বয়স্ক মানুষ তার রাজনৈতিক ক্ষোভ চরিতার্থ করলেন একটি মেয়ের চরিত্র হননের মত নোংরামি দিয়ে। যেহেতু গল্পটি লেখা ও প্রকাশিত হয়েছে চলমান শাহবাগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, পাঠক হিসেবে এই নিম্নমানের রাজনৈতিক গল্পটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই আমার বিশ্বাস। কি অদ্ভুত! শাহবাগ আন্দোলনে নারীর নেতৃত্ব ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে কদর্য গল্পটি এলো একজন বিজ্ঞ (?!?) সাহিত্যিকের কলম থেকে!
কিন্তু এখানেই শেষ না। প্রতিটি অন্ধকারের বিপ্রতীপেই থাকে আলোকের উন্মেষ। তাই অবিবেচক, আবেগ সর্বস্ব, অর্বাচীন ব্লগারদের কাছ থেকেই এলো তাৎক্ষণিক, তীব্র প্রতিবাদ। একই সাথে গর্জে উঠলো আরও কণ্ঠ । প্রতিবাদের তোড়ের কাছে মাথা নত করতে হল লেখক হাসনাত আবদুল হাই ও প্রথম আলোকে।
লেখক হাসনাত আবদুল হাইকে বাংলাদেশের একজন নারী হিসেবে যে কথাগুলো বলতে চাই। আপনি কোথায় ক’টা “বখে যাওয়া” মেয়ে দেখেছেন জানি না। আমার ক্ষুদ্র জীবনে আমি অসংখ্য নারীকে দেখেছি, যাঁরা ঘরে বাইরে আলো ছড়াচ্ছেন। তাঁরা তাদের সন্তানদের কাছে দেবীর মতো পূজনীয় ও অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। আমার এক বন্ধু একাত্তরে বাবাকে হারিয়েছেন । তার মাকে শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। সেই “লেখা পড়া না জানা” মা কী করে আট সন্তানের সকলকে উচ্চ শিক্ষিত করেছেন আমি জানি না। আমার সেই বন্ধুটি তার মাকে স্মরণ করেই গ্রামের স্কুলের উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছেন। দরিদ্র, বিধবা মায়ের সন্তানদের শিক্ষা-বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। আমার আরেক বন্ধুর মা নিজে স্কুলের চৌকাঠ পার হননি কখনো, কিন্তু সন্তানদের শেষতক লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এখন উপার্জনক্ষম সন্তানদের কাছ টাকা থেকে নিয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষের উপকার করেন। আরেক বন্ধুর বাবা হঠাৎ এক সময় এক পীরের পাল্লায় পরে সংসার ছেড়ে চলে যান। দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ থাকার পরে ফিরে আসেন। কিন্তু মেয়েদের শিক্ষার ব্যপারে নির্বিকার হয়ে যান। কিন্তু, তার স্ত্রী, যে নিজে তেমন কিছু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না, তিনিই জেদ ধরে মেয়েদের লেখা-পড়া চালু রাখেন। এই হচ্ছেন বাংলাদেশের মেয়েরা, মায়েরা। একগুঁয়ে, আর গোঁয়ার। তাঁরা আছেন বলেই এখনো বাংলাদেশটা “বাংলাদেশ” আছে। আর আছে সেই সব মায়েদের গোঁয়ার গোবিন্দ ছেলের দল, যারা সহজিয়া গান বাঁধে, কবিতার পয়ার মিলায়...আর সময় মত নুরুলদীনের মত হুঙ্কার দিয়ে উঠে, “জাগো বাহে কুনঠে সবায়...” ।
কাজেই আর কখনো এই ধরনের নীল গল্পের চিন্তা মাথায় এলেই ঝেড়ে ফেলবেন। কখনোই যেন জাতীয় গণ মাধ্যমে ছাপাতে দেবেন না, হাসনাত আবদুল হাই।
প্রথম আলোর সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদককে বলছি। কি ছাপছেন, কেন ছাপছেন, খেয়াল করুন। ধানমন্ডি লেক থেকে কোন একজন আমলা গামলা ভরা কর্দমা তুলে আনলে, সেটা ছাপিয়ে দেয়ার আগে সতর্ক হোন। নূরুলদীনেরা কিন্তু জেগে আছে!
।। ১৫ এপ্রিল ২০১৩ ।।
মন্তব্য
আপনি বৃথাই ওদের প্রতি জ্ঞান ছড়াচ্ছেন। ওরা সব জানে, বুঝে। আমরা যতটা সতর্ক ওরা তার থেকেও বেশি। ওরা জেনে শুনেই এইসব করেছে। আবারো করবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ওরা জানে কোথায় আঘাত দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দ্রুততম সময়ে পঙ্গু করে দেওয়া যাবে। সেকারণেই নারীরাই প্রথম নিশানা।
@ জাহিদ: ঠিকই বলেছেন । এতো বড় একটা জাতীয় পত্রিকা, তারা না জেনে শুনে এই রকম একটা প্রতিক্রিয়াশীল গল্প ছাপাবে না। দূঃখজনক, খুবই দূঃখজনক।
@ইশতিয়াক: যুগে যুগেই নারীরা নিশানা ছিল। হয়তো আরো অনেকদিন থাকতে হবে। কিন্তু তাতে তো প্রগতির চাকা থেমে থাকবে না। মানুষ আগাবেই।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নূরুলদিনেরা জেগে আছে বলেই তো দুষ্টচক্রকে মাথা নত করানো গেছে। বাঙলার মায়েরা আছেন বলেই তো দামাল ছেলেরা এতো শক্তি পায়!
ধন্যবাদ, মইনুল ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নূরুলদীনদের জন্যই আজ কেঁচো গর্তে ঢুকার আগে "দুখিত" বলে।
ধন্যবাদ, মেঘলা আকাশ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ছাপানো পত্রিকা ব্লগের মতো নয় যে লেখা পোস্ট করে দিলেই সেটা ফ্রন্ট পেজে চলে আসবে। ছাপানো পত্রিকায় বিভাগীয় সম্পাদক, সম্পাদনা সহকারী, প্রুফ রিডার, কম্পোজার এমন চার-পাঁচ হাত ঘুরে লেখা প্রকাশিত হয়। আর হেভিওয়েট লেখকের লেখা হলে সেটা আরো বেশি জনে পড়ার পর প্রকাশিত হবার কথা। সুতরাং আলোচ্য গল্পটি প্রথম আলো জেনে-বুঝেই ছাপিয়েছে। তাদের বলা, "অসাবধানতাবশত লেখাটি মুদ্রণের জন্য" কথাটি ভিত্তিহীন। তারা জানে পরে ক্ষমা চাইলেও পাঁচ লক্ষাধিক (তাদের ভাষায়) ছাপানো কপি এর মধ্যে বাজারে চলে গেছে, অগণিত স্ক্রীনশট কম্পিউটারের মেমোরিতে জমা হয়ে গেছে। তার মানে হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
প্রথম আলোর ভাষায়, "‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ শীর্ষক ছোটগল্পে ব্যক্ত মতামত এই পত্রিকার নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়"। তা প্রথম আলোর নীতি ও আদর্শ কী? সেটা কি কোথাও লিপিবদ্ধ আছে? খুব জানতে ইচ্ছে করে।
হাসনাত আবদুল হাই পাগলও নয়, অবোধও নয়। প্রায় হাজার তিনেক শব্দের গল্পটা সে মুহূর্তেই লিখে ফেলেনি। সেও যা লিখেছে তা জেনে-বুঝেই লিখেছে। তার ভাষায়, "কারও কিংবা কোনো গোষ্ঠীর মনে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয়নি"। তাহলে কোন উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয়েছে সেটা কেন সে ব্যাখ্যা করেনি? নাকি সেই বিতর্কের মুখোমুখি হবার মুরোদ তার নেই?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- শতভাগ সহমত পান্ডব দা
facebook
সহমত।
উপরে সবাই বলেছে, আবারও বলি, কোন উদ্দেশ্য ছাড়া এই লেখা ছাপা হয়নি। চিত্রনাট্যের ভেতর এই ক্ষমা প্রার্থনাও হয়তো ছিলো। এত বড় একটা গোষ্ঠী কোনরকম চিন্তা ছাড়া বিশেষ দিনের একটা সংখ্যায় দুই দুইটা লিখা ছাপাবে, তাও এই বাংলাদেশে এইরকম একটা সময়ে, সময়ে সব পরিষ্কার হবে।
ব্লগারদের শত্রু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠী, নিজের সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ার চিন্তায় এরা আরও প্রতিক্রিয়াশীল। সবকিছুর একটা লিমিট থাকে। কিছু কিছু সময় আসে যখন যত বেশি আঘাত ততবেশি প্রতিরোধ একটা সংকল্পের নাম হয়ে যায়! এইবার সেটাই হবে।
ষষ্ঠ পান্ডব, আপনার প্রতিটি কথার সাথে একমত ।
লেখক হিসেবে যেমন হাসনাত আবদুল হাইয়ের দায়বদ্ধতা ছিল নারীর প্রতি তথা সমাজের প্রতি, তেমনি প্রথম আলোরও ছিল দায়বদ্ধতা এই গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়ার। সত্যিই প্রথম আলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত তাদের নীতিমালা জনসমক্ষে প্রকাশ করা জন্য। এই ধরনের নোংরা একটি লেখা প্রকাশের পরে দু’লাইনের একটি ক্ষমা প্রার্থনা আসলেই যথেষ্ট না। কারণ, ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই যায়।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপু এরা আপনার কান দেবে বলে মনে হয় না। আালু পত্রিকাটা ইদানিং যেন পা্কি দালালে পরিণত হয়েছে। আর হাই-এর মতো আমলা, যারা নাকি আমাদের নি:শ্ব ব্লগারদের, তরুণ লেখকদের মানুষ বলে মনে করত না সে যে একটা বার্তা পেয়ে গেল এটাই আমাদের গর্বিত করেছে। বুড়ো খাট্টাসটার যুক্তির ভাণ্ডার শূন্য তা ওর ক্ষমা চাওয়ার ধরনেই ঝোঝা গেছে। নিজের গল্পের পক্ষে একটা যুক্তিপর্যন্ত দাঁড় করাতে পারল না, তারমানে লোকটা পুরোপুরি কট। লেখাটা যে উদ্দেশ্যপ্রোণদিত তার অকাট্য প্রমাণ এই যুক্তিহীনতা। প্রথম আলোর পরিকল্পনাও পরিকল্পিত নাহলে একই মানের দুটো গল্প একই দিনে ছাপায় কী করে। অন্য গল্পটা অদিতি ফাল্গুনির। অদিতির জন্য কষ্টিই হচ্ছে। এতোদিন ভাবতাম, মনের জোর থাকলে পঙ্গুত্ব মানুষকে কাবু করতে পারে না, নারীকেও না। জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে ছিলেন অদিতি ফাল্গুনি। কিন্তু তিনি নিজেই প্রমাণ করে দিলেন, কলমের জোর শারিরিক প্রতিবন্ধীতা কাটিয়ে উঠলেও তাঁর মনটা আজও পঙ্গু রয়ে গেছে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ধন্যবাদ, রণি ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
"জাগো বাহে কুনঠে সবায়..."
-মানস প্রদীপ
ধন্যবাদ, মানস প্রদীপ ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নিজেকে আলোচনার প্রথম কাতারে আনতে হাসানাত সাহেব স্বজ্ঞানে এমনটি করেছেন বলে মনে হয় । তিনি নিজেকে জাহির করতে চেয়েছেন অগ্নি পন্ডিত হিসেবে, তিনি তুখোর কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ব্যাপারটা নিজের পা কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের মত গুলিয়ে ফেলেছেন। এতে আমরা হাসানাত আবদুল হাই এর তুখোর পান্ডিত্যের নিখুত পরিচয় পেয়েছি, আর প্রথম আলোর বিজ্ঞাপনি প্রতিভা।
---মম রাজ্যের রাজা
তিনি তুখোর কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ব্যাপারটা নিজের পা কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের মত গুলিয়ে ফেলেছেন। -- চিন্তাভাবনা করে ঘোলা পানিতে নামা কাউকে গুলিয়ে ফেলতে দেখবেন না।
সবসময় এমন ভাবলে, নিজেকে এতটা প্রবোধ দিতে গেলে একটা পরিকল্পিত অন্যায়’কে খুব বেশি ছাড় দেয়া হয়ে যায়। সেটা আরও খারাপ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমার মনে হয় না খেয়াল করা ছাড়াই এই গল্প ছাপা হয়ে গেছে।
লেখা ভালো লাগল। যাদের কাছে পৌছানো দরকার। তাদের কাছে পৌছালেই হয়
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমি নিজে লেখায় অনেক মুখ খারাপ করি। রসিকতা করতে করতে কখনো অশ্লীলতার সীমা পেরিয়ে যাই কিনা খেয়াল রাখার চেষ্টা করি। নোংরামি বা অশ্লীলতার কোন সংজ্ঞা জানা নেই, তবে হাই আর ফাল্গুনীর লেখাদুটো উদাহরণ হিসেবে মনে থাকবে অনেক অনেক দিন।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক ব্লগারদের কুৎসিত ভাষা ব্যবহারকে কেন ডিফেন্ড করতে হবে।
মাহমুদ, এখানে শুধুই একজন বর্ষীয়ান লেখক যেভাবে শাহবাগ আন্দোলনে অংশ নেয়া মেয়েদের চরিত্র হনন করেছেন, তার নিন্দা জানাচ্ছি । একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে এটাকে আমি দায়িত্ব মনে করেছি ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমার আফসোস লাগে এই লোকগুলার জন্য।
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অসাধারণ !
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এরকম কুৎসিত, নোংরা গল্প আমি জীবনে কখনো পড়িনি। গালিগালাজ/অশ্লীল শব্দ ব্যবহার না করেও তথাকথিত সুশীল ভাষায় লেখা একটা গল্প কি পরিমাণ নোংরা হতে পারে এই গল্পটা তার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হয়ে থাকবে।
অশ্লীলতা শুধু তথাকথিত “গালি গালাজে” থাকে না তো, থাকে মনস্তত্ত্বে। সুশীল,বিদগ্ধ ভাষায়ও একজনকে বিবসনা করা যায়।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন