৫.৩
এক কাপ কফি তৈরি করে নিয়ে পড়ার টেবিলে বসি। এতো রাতে কফি খাওয়া ঠিক হচ্ছে না জানি, ঘুমাতে কষ্ট হবে। তবু নিই, আজ এক্ষুণি বিছানায় যাবো না। আমার খাতাটি নিয়ে লিখতে বসি:
আমার দিনরাত্রি একাত্তর আর আমার দেশটির অনুষঙ্গে জড়ানো। আমার নিশ্বাসে, প্রতিদিনের অস্তিত্বে জেগে থাকে তারা। আমি বিশ্বাস করি বাঙালি জনগোষ্ঠীর শত শত বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের, অর্জনের সময় ছিলো ওই বছরটি। এই জাতির এমন সংঘবদ্ধতা ও সম্মিলিত শৌর্য কেউ কোনোদিন দেখেনি, মানুষের জন্যে মানুষের ভালোবাসা ও মমতার অন্ত ছিলো না তখন - কার কি ধর্মবিশ্বাস তা জানার দরকার কারো হয়নি, তোমাকে চিনি না, তাতে কী, তোমার একবেলার খাদ্য প্রয়োজন, একটি রাত্রির আশ্রয় দরকার, বেশ তো এই আমার ঘর, উঠে এসো, ডালভাত যা আছে সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাবো, পর্যাপ্ত জায়গা নেই তো কী হলো, পালা করে ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দেবো। মানুষগুলি যেন একেকটি নির্লোভ, অনাসক্ত সন্তের প্রতিমূর্তি। সে এক আশ্চর্য সময় ছিলো আমাদের! যারা দেখেনি, মানুষে-মানুষে এই ভ্রাতৃত্বের বোধ তাদের কল্পনায়ও সংকুলান হবে না। ভাবি, তেমন দিন কি আর কোনোদিন হবে!
জীবনের এই আশ্চর্য সময়টি আমার কমপিউটারে, ইমেল অ্যাকাউন্টের ইউজার আইডিতে, পাসওয়ার্ডে কোনো-না-কোনোভাবে যুদ্ধদিনের অনুষঙ্গ - ২৬ মার্চ অথবা ১৬ ডিসেম্বর আর আমার দেশ। এর নাম কি দেশপ্রেম? নাকি এক অনিবার্য নেশা বা মোহগ্রস্ততা? যে নামই দেওয়া হোক, এই তো আমি। এই উপলব্ধিতে আমি উপনীত হয়েছি, জীবনে যতোটুকু যা হয়েছি এবং যা-কিছু আমার হয়ে ওঠা হয়নি এবং আর কখনো হবে না - সবকিছুর মূলে থেকে গেলো সেই একটি যুদ্ধ। যুদ্ধ করতে হয়েছিলো বলে সতেরো বছরের রোমাঞ্চকর স্বপ্নিল অনুভবে সিঞ্চিত হওয়ার আগে শত্রুমিত্র চিনতে হলো, বাল্যকালের সঙ্গী সাইফুল, বাদশা, আলতাফ আলীকে শহীদের পরিচয়ে পরিচিত হতে হলো, গুলির ছররায় দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো দুলালের, স্বাধীন দেশের সূর্যালোক তার কোনোদিন দেখা হলো না। যুদ্ধ হয়েছিলো বলে স্বাধীনতা এলো। আর স্বাধীনতার সঙ্গে ন্যায্য-অন্যায্য অনেককিছু আমাদের হাতের মুঠোয় এসে পড়লো, অনভ্যস্ত হাতে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে সেগুলো আমরা হারিয়েও ফেললাম অচিরে।
এই শহরে বাংলাদেশ কমিউনিটির তিনটি সংগঠন, তারা কেন বিজয় দিবসে কোনো অনুষ্ঠান করে না? উত্তরটি অপ্রিয়, কিন্তু আমার অজানা নয়। আমাদের দেশপ্রেম বা দেশের জন্যে আনুগত্য বড়ো বেশি দলানুগত্যভিত্তিক - এখানেও আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিভাজন। অনেকে শুনি এই দিনগুলিকে ভুলে থাকতে চায়, ভুলিয়ে দিতে পারলে বেঁচে যায়। এখনো এসব খোলাখুলি বলা হয় না, হয়তো অচিরে হবে।
আশ্চর্য সহনশীল দেশ আমার। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও এমন সব মানুষ এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে যারা বাংলাদেশ নামটিও মুখে আনে না। এতো সাধনার ধন এই স্বাধীন দেশটিকে এখনো তারা বলে পূর্ব বাংলা। সারা পৃথিবী আমার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় স্বীকার করে নিয়েছে, এরা আজও মানেনি। একাত্তরে আমাদের যুদ্ধটি কি মুক্তিযুদ্ধ না জনযুদ্ধ না গৃহযুদ্ধ নাকি শুধুই দুই কুকুরের কামড়াকামড়ি তা এখনো স্থির করা হয়নি তাদের। তর্ক ও তত্ত্বের যুদ্ধ তাদের এখনো অমীমাংসিত, বিপ্লবের নামে নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি, খুনোখুনি চলে আজও। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে আমার দেশের অভ্যুদয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বড়ো শক্তি যে জামাতে ইসলামী, তারা বাংলাদেশকে কোনোদিন স্বীকার করেনি, এ দেশটি তাদের কাছে এখনো পাকিস্তানের ছায়া-রাষ্ট্র। কৌশলগত কারণে বা আর যে কোনো কারণেই হোক, তারাও তাদের দলের নামের আগে বাংলাদেশ বসিয়ে দিয়েছে, অথচ আমাদের বিপ্লবীরা পারেনি। আমার দেশ এদের সবাইকে ধারণ ও সহ্য করে। ধর্মের বিপণনকারীরা বৈধভাবে রাজনীতি করার অধিকার পায়, তারা মাদ্রাসার নামে ধর্মসন্ত্রাসী ও ধর্মব্যবসায়ীদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়। এমন মানুষের হত্যাকাণ্ডের বিচারও দাবি করা হয় বাংলাদেশের আইনের আওতায়, যে মানুষটি বাংলাদেশকে কোনোদিন বাংলাদেশ বলে মানেনি!
১৯৭২ সালে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ফিরে গেছে, আমাদের তখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো নিজেদের সংগঠিত থাকার, শত শত বছরের দীর্ঘ পরাধীনতার শেষে এই ভূখণ্ডের মানুষের সম্মিলিত শক্তির আরেকটি উৎসার। অথচ মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম একটি বিশাল ও উন্মত্ত বিভাজন - মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দলটি বিভক্ত হয় রাতারাতি। পরবর্তী মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বিরোধীপক্ষের কথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আন্দোলন পর্বতপ্রমাণ এক বিভ্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। কিন্তু উপলব্ধিটি ঘটার আগেই হাজার হাজার তীক্ষ্ণধী ও মেধাবী যুবক এই বিভ্রান্তির শিকার হয়ে প্রাণ দেয়, জীবিতদেরও অনেকের আর কোনোদিন স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হয়নি। সেই বিপ্লবের স্বপ্নটি ব্যর্থতা ও ভুলের কালিমায় লিপ্ত হয়ে গেলে আমার বাল্যকালের বন্ধু টিপু বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যায়। মিঠু এখন শুনেছি চায়ের দোকানে দিনমান বসে যে কোনো ইচ্ছুক শ্রোতাকে আসন্ন বিপ্লবের গল্প শোনায় আজও, শ্রোতা কেউ না থাকলেও সে অবিরাম একই কথা একা একা বলে যায়। হয়তো তা-ও একপ্রকার ভালোই, সুস্থ মস্তিষ্কে থাকলে আজ তাদের হয়তো বিশ্বায়ন ও একক বিশ্বের জয়গান করতে হতো।
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নেতৃস্থানীয়দের একজন বিপ্লবের পথ পরিত্যাজ্য বিবেচনা করে অবিলম্বে মাথায় টুপি ধারণ করে বাকি জীবন ধর্মীয় রাজনীতি করেন। আরেকজন, যিনি একাত্তরে মার্চ মাসের দুই তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাটি উত্তোলন করেছিলেন, কালক্রমে বিশ্ববেহায়া নামে খ্যাত এক সামরিক শাসকের আয়োজিত জাতীয় সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে খ্যাতি পান। স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা সেই হাতটি উত্তোলিত করেন সামরিক একনায়কের সমর্থনে। আরেকজন, যিনি একাত্তরের মার্চে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন, একাত্তরের রাজাকারের সহকর্মী হিসেবে আজ ক্ষমতাসীন মন্ত্রী এবং মেয়ের বিয়েতে কোটি টাকা ব্যয় করে কাগজের সংবাদ হন।
বিপ্লবের কাহিনী বলা তাদের বন্ধ হয়েছে সেই কবে, সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের পতনের অনেক বছর আগেই, স্বপ্নেও আর সমাজতন্ত্র বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। একবার এই বিভ্রান্ত ও ভুল বিপ্লবের স্বপ্ন দেখানোর নেপথ্য নায়ক, যিনি বাংলাদেশের রাজনীতির কাপালিক দাদা নামে ব্যাপক পরিচিত এবং যিনি সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাকে এখন বসবাসের যথাযোগ্য স্থান বিবেচনা করেন, তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিলো। বগুড়ার টিপু এবং মিঠুকে তিনি স্মরণ করতে পারেন এবং তাদের উন্মাদ হয়ে যাওয়ার সংবাদ তাঁর হা হা হাসির উদ্রেক ঘটায়! যেন ‘গঙ্গার রুচিকর হাওয়ায় নতুনদার ক্ষুধার উদ্রেক হইল।’
আজ কতো সুদূর মনে হয়, অথচ সেই মধ্য-ডিসেম্বরে আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে আসা পাকিস্তানী শত্রুদের আমরা পরাজিত, নতমুখ করেছিলাম। নিরস্ত্র মানুষ মারার হাতিয়ারগুলো তারা নামিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিলো। আপনা থেকে তা হয়নি, আমরা লড়াই করেছি, আমাদের বীরত্বগাথা কিছু কম নয়। কারো কারো ভুল হয়ে যায় আজকাল, কেউ কেউ ইচ্ছে করে ভোলে। কবি শঙ্খ ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘...লোকে ভুলে যেতে চায়, সহজেই ভোলে...।’ গৌরব ভুলে থাকা মানুষগুলোকে, যুদ্ধে আমাদের প্রতিপক্ষের সহযোগীদের বহু বছর ধরে আমাদের ক্ষমতাধররা তোষণ-পোষণ করে আসছে। আমাদের রাষ্ট্রের ক্ষমতাবানদের কারো কারো জীবনবৃত্তান্তে যুদ্ধের বছরটি অনুক্ত থাকে। তারা কেউ কেউ আজ যুদ্ধের বছরকে গণ্ডগোলের বছর বলে সুখলাভ করে। কীসের গণ্ডগোল? শরীরে রক্ত টগবগ করে ফোটে - এতো নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে শেয়াল-কুকুরের মতো মেরে ফেলা হলো, আমরা বীরের মতো লড়াই করে জয়ী হলাম - তার নাম গণ্ডগোল! এমন অপমান করার সাহসও ওদের হয়। আমরা আজ কী শক্তিহীন, চুপ করে থাকি!
মানবিক অনুভূতি অবশ্য মানুষেরই থাকে। অনেকদিন আগে একবার যুদ্ধে পরাজিত সৈনিকের অনুভূতি ভাবতে চেষ্টা করেছিলাম। পরাজয়ের মুহূর্তে তাদের ঠিক কী মনে হয়? কেমন অনুভূতি হয় তখন? প্রাণে বেঁচে যাওয়া কি কোনো সান্ত্বনা? আচ্ছা, একাত্তরে ষোলোই ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তানীরা দেশে ফিরে স্ত্রী-পুত্রকন্যাকে মুখ দেখিয়েছিলো কী করে? তাদের পরাজয়ের কী কৈফিয়ত ছিলো? পৃথিবীর সেরা সেনাবাহিনী বলে নিজেদের গণ্য করতো তারা, কী এমন হয়েছিলো যে মাথা নিচু করে তাদের ফিরতে হলো? গাজী বা শহীদ হওয়া নয়, আত্মসমর্পণের গ্লানি অনেক বড়ো।
কিছুতেই অনুমান করতে পারি না, আমার কল্পনাশক্তি সেই অনুভূতির বেড় পায় না। পাওয়ার কথা নয়, যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার অভিজ্ঞতাই যে আমাদের নেই! আমরা সেদিন পরাজয় জানিনি। অথচ আজ এতো বছর পরে ভাবি, আমরা কি সত্যি জিতেছিলাম? না, হেরে বসে আছি? এই প্রশ্ন আমার ভেতরে তুমুল শোরগোল তোলে। যে উত্তরটি প্রকাশ্য, তাকে মানতে পারি না। পারলে আমার এবং আমার মতো আরো অনেক মানুষের জীবনই যে ভুল হয়ে যায়, ব্যর্থ প্রতীয়মান হয়। আর লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ? তার কি হবে? ইতিহাস বলছে, বিজয়ীরাই ইতিহাস রচনা করে। আমাদের সংগ্রামের, বীরত্বের ইতিহাস এখন কারা লিখছে, অথবা মুছে দিচ্ছে? অলিখিত ও উহ্য রাখছে?
Though I never thought that we could lose
There’s no regret
If I had to do the same again
I would my friend, Fernando…
মন্তব্য
পড়ছি আর আক্রান্ত হচ্ছি।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
পড়ছেন জেনে খুশি। আক্রান্ত? ওরে বাবা!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
উপন্যাসের অংশ হিসেবে হোক, কলাম হিসেবে হোক - এমন দূর্দান্ত লেখার জন্য এ ক্ষুদ্র পাঠকের সবিশেষ কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ।
পাঠক কখনো ক্ষুদ্র হয়, শিমুল? আর কৃতজ্ঞতা তো জানাবে রচনাকার।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ব্লগে এসে এমন লেখা পড়তে পাওয়া অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার! যিনি লিখে পড়ার সুযোগ দিচ্ছেন তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানালে ভুল কিছু হবে কী? আর 'ক্ষুদ্র পাঠক', সেটা মুগ্ধতার বহি:প্রকাশ - - -।, জুবায়ের ভাই!
আমি প্রায় নিশ্চিত, জুবায়ের ভাইয়ের সরাসরি ফ্রন্টের অভিজ্ঞতা আছে ।
যদি তাই হয়ে থাকে- উপন্যাস টুপন্যাস বাদ, যুদ্ধ দিনের গল্প বলেন । এর চেয়ে মহত্তম সাহিত্য আর কিছু নেই ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদ, অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, উপলব্ধি ইত্যাদির ভেতরে লেখক নিশ্চয়ই উপস্থিত। কিন্তু উত্তম পুরুষে লেখা হলেও এটি আত্মজীবনী নয়।
আমার যতোদূর পড়া আছে, ফ্রন্টের গল্প সবচেয়ে ভালো এবং সৎভাবে শুনিয়েছেন মাহবুব আলম, দুই খণ্ডে লেখা তাঁর "গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে" বইয়ে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ঠিক, বাঙালি যোদ্ধার যুদ্ধের সবচেয়ে সেরা বর্ণনা।
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
আরেকটি বইয়ের কথা মনে পড়লো - "স্বাধীনতা ১৯৭১"। লিখেছিলেন কাদের সিদ্দিকী, তখনো তিনি পচনশীল দ্রব্যে পরিণত হননি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
দূটোই পড়া হয়েছে । দু রকম । আরেকটা হলো-- জনযুদ্ধের গনযোদ্ধা ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জুবায়ের ভাই, আস্তে আস্তে গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছি।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন