আমাদের বাতিঘরগুলি - প্রথম পর্ব
২. ধোঁয়াশাময় অথচ অতি দ্রুত ধাবমান সময়
বাংলাদেশের স্বাধীনতা এই দেশের জনগোষ্ঠীর সামনে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করে দিয়েছিলো। আমাদের চোখ ভরা স্বপ্নের দ্যুতি তখন। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও আমরা বুক বেঁধেছিলাম, আমাদের নতুন জীবন হবে। শত শত বছরের পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি পাবে আমাদের জীবন, সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, মেধা ও মনন।
আগেই উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সমাজতন্ত্র বিষয়ে অন্ধকারে ছিলো। এখন বলা দরকার যে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, বিশেষত রাজনীতির মূল নিয়ামক শহুরে মধ্যবিত্ত ও যুবসমাজ সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণায় পুষ্ট হয়েছিলো। পাকিস্তান আমলে দীর্ঘ সময় কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকলেও ন্যাপের মতো বামপন্থী প্রকাশ্য রাজনৈতিক ফ্রন্টগুলি বাম আন্দোলনকে সচল ও সংগঠিত রাখে। আমেরিকা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যেই বিভিন্নভাবে পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছিলো, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সচেষ্ট ছিলো। আমরা সহায়তা পেয়েছিলাম সমাজতন্ত্রী সোভিয়েত ইউনিয়নের। এই ঘটনাও স্বাধীনতা-পরবর্তী সমাজতন্ত্রমুখিনতার একটি বড়ো কারণ ছিলো, তা অনায়াসে বলা যায়।
অন্যদিকে ৭১-এ চিন পাকিস্তানকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়, স্বাধীনতার পরও তারা বেশ কয়েক বছর আমাদের স্বীকৃতি দেয়নি। এর প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে চিনপন্থী বাম আন্দোলন কিছুটা অসুবিধাজনক অবস্থায় পতিত হয়। উপরন্তু তাত্ত্বিক কারণে তারা ছিলো বহু ভাগে বিভক্ত। এইসব গ্রুপের কোনো কোনোটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও তারা কখনো তা স্বীকারও করেনি।
স্বাধীনতার পর কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশ্যে এলে বাম চিন্তা বিস্তার পায়। চিনপন্থীদের অধিকাংশ গ্রুপ গোপন সংগঠন হিসেবে থেকে যায়, প্রকাশ্য প্রতিতিনিধিত্ব করে ভাসানীপন্থী ন্যাপ। সাম্যবাদী সমাজের আকাঙ্খার একটি ভিত তখন নির্মিত হতে শুরু করেছিলো। এর প্রতিফলন দেখা যায় স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচনে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংগঠন ছাত্রলীগ নয়, নিরংকুশ বিজয়ী হয় বাম ধারার সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলেও এরকম ঘটেছিলো।
তখনকার শাসকরা যে সমাজতন্ত্রকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলো, তা বস্তুত এই আকাঙ্খারই প্রতিফলন। শাসকদের সীমাবদ্ধতা ছিলো, প্রস্তুতি ছিলো না – এ সবই বাস্তব, কিন্তু এ কথা আজ স্বীকার করতে হবে যে জনমানুষের আকাঙ্খার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমাদের ভাগ্যে খুব বেশি ঘটেনি। বরং বরাবর বিপরীতটিই দেখা গেছে। এরশাদের আমলে যখন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হলো তখন কার ইচ্ছে প্রতিফলিত হয়েছিলো? জনমানুষের নয়, এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খাগুলিও ভুলুণ্ঠিত হয়ে গেছে ক্ষমতাসীনদের অনাগ্রহ ও কারসাজিতে।
৭২-এর সংবিধানে সমাজতন্ত্রের আদর্শ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও বাম শক্তিগুলি তাকে যথার্থভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। শেখ মুজিব বা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলবে তা কেউ বিশ্বাস করে থাকলে তার বোধবুদ্ধি নিয়ে নিশ্চয়ই সংশয় প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু আদর্শ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে যাওয়ার পর তাকে বামশক্তিগুলি একটি সুযোগ হিসেবে দেখবে এবং তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে এই আশা করা খুবই সঙ্গত। অথচ বাস্তবে ঘটলো ঠিক বিপরীত। রুশপন্থীরা নিজেদের কর্মসূচী বাদ দিয়ে সরকারের লেজুড় হতেই বেশি ইচ্ছুক। জাসদ লিপ্ত হয়ে থাকে যাবতীয় অরাজকতাসহ যেনতেন প্রকারে সরকারের পতন ঘটাতে, নিদেনপক্ষে ব্যতিব্যস্ত রাখতে। কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই যে কাউকে তারা কমরেড হিসেব বুকে তুলে নেয়, এর মধ্যে দাগী অপরাধীও বিস্তর ছিলো। এমনকি, অপকর্মের দায়ে ক্ষমতাসীন দল থেকে বহিষ্কৃতদের আশ্রয়স্থল হতেও জাসদ যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিয়েছে। সুতরাং তাদের হাতে কী ধরনের সমাজতন্ত্র গঠিত হবে, সচেতন মানুষের তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি। আর বাদবাকিরা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে, উদ্দেশ্যহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন, এমনকি ন্যূনতম জনসম্পৃক্ততাবর্জিত কর্মে শক্তি ক্ষয় করতে থাকে।
সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে মুক্তিযুদ্ধফেরত লক্ষ লক্ষ আদর্শবান যুবক তখন দেশের জন্যে, সমাজের জন্যে সদর্থক কিছু করার জন্যে উন্মুখ। তারা শুধু দিক-নির্দেশনা চায় – বলে দাও আমাদের কী করতে হবে, আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিতে প্রস্তুত। তারা তার কিছুই পায়নি। তাদের সেই আকাঙ্খা ব্যর্থ হয়ে যায় রাজনীতির অসমান ও কুটিল জমিতে, যে যেভাবে পারে তাদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। যে ছাত্র ও যুবকদের দিকে বিগত কয়েক দশক মানুষ আস্থা স্থাপন করেছিলো, রাজনীতি ও সমাজ-প্রগতিতে যাদের বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত মান্য করে আসছিলো – তারা মানুষের কাছে অপ্রিয় হতে শুরু করে। নানা বর্ণের প্রকৃত ও নকল মুক্তিযোদ্ধারা সব অপকর্মের জন্যে দায়ী, এরকম প্রচারণার পালে বাতাস দেওয়ার মানুষের অভাব হয়নি। হাজার হাজার যুবকের প্রাণ গেলো ভুল রাজনীতির লড়াইয়ে। জীবিতরা হতাশায় নিমজ্জিত হতে লাগলো, আত্মক্ষয়ের পথ তখন উন্মুক্ত ও অবারিত।
এই কথাগুলির উল্লেখ করার কারণ, সমাজতন্ত্র নির্মাণের ব্যর্থ বাসনা শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের মধ্যে এক গভীর ক্ষত রেখে যায়, যা থেকে উত্তরণ আর কখনো ঘটেনি। মনে রাখা দরকার, সেই সময়ে শিক্ষিত মধ্যবিত্তরা সমাজের নিয়ামক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলো – রাজনীতি এবং সংস্কৃতি ও মননচর্চায়। তাদের এই হতাশা ও ব্যর্থতার বোধ ক্রমশ বিস্তৃত হয় দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর মনমানসে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি ব্যাংকডাকাতি, সশস্ত্র ছিনতাই (হাইজ্যাক শব্দটি তখন ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়, এমনকি সংবাদপত্রের পাতায়ও), থানা লুট, পাটকলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডসহ বিশাল অরাজকতা মানুষের মধ্যে এক গভীর নিরাপত্তাহীনতার অবস্থা সৃষ্টি করে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লভ্যতা ও দামের ঊর্ধগতি মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতাকে ব্যঙ্গ করতে থাকে। কিছু ক্ষমতাধর প্রকাশ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনে লিপ্ত হয়, যার প্রতিক্রয়া হয় সুদূরপ্রসারী। সরকারি কর্তারা একসময় বেতনের টাকাকে উপরি মনে করতে শিখে যায়। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও ঘুষখোরদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আমাদের মেলামেশাকে নিরুৎসাহিত করা হতো।
‘মূল্যবোধের অবক্ষয়’ তখন খুব জনপ্রিয় ও বহু-ব্যবহৃত শব্দবন্ধ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটিকে অবক্ষয় বলার পক্ষপাতী নই। দেশ ও সমাজে পরিস্থিতির ভিন্নতায় ও পরিবর্তনে মানুষের চিন্তা ও মূল্যবোধ পরিবর্তিত হয়েই থাকে। যুগে যুগে হয়ে এসেছে। কথায় কথায় আমরা বলি ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতা’, কিন্তু সময়ের বিচারে সেটিই যে তখন সর্বাধুনিক চিন্তা ছিলো তা-ও মনে রাখা দরকার। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এইভাবে চলমান থাকে।
স্বাধীনতার পরের কয়েক বছরের কয়েকটি ঘটনা পাশাপাশি রেখে দেখলে তখনকার ক্রমাগত পরিবর্তনশীল অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির কালের কিছুটা ধারণা পাওয়া সম্ভব। ১৯৭৪ সালে ব্যাপক বন্যার হাত ধরে এলো দুর্ভিক্ষ ও মহামারী, পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভুট্টোর ঢাকা সফর, শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতাযুদ্ধের সফল নায়ক তাজউদ্দীনের সরকার থেকে প্রস্থান। ওই বছরই ধর্মনিরপেক্ষতার ঘোষিত আদর্শের অনুসারী সরকারের প্রধান হিসেবে লাহোরে ইসলামী সম্মেলনে শেখ মুজিবের অংশগ্রহণের ঘটনা এবং নবীর কথিত অবমাননাসূচক কবিতা লেখায় অভিযুক্ত দাউদ হায়দারকে রক্ষার চেষ্টায় সরকারি অনীহা ধর্মোন্মাদদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ এনে দেয়। ৭৫-এ অগাস্ট থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত একের পর এক সিরিজ হত্যাকাণ্ড ও নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনাবাহিনীর প্রকাশ্য উত্থান, যা আর কখনোই সেভাবে বাধাগ্রস্ত হয়নি। বরং প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতায়নের এই বৃক্ষটি আজ কী বিশাল মহীরূহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে তার সাক্ষী ও ভুক্তভোগী কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই।
রাজনৈতিক, সামাজিক জীবনের এই ব্যাপক অস্থিরতার অভিঘাত এসে পড়ছিলো মানুষের নিজস্ব জীবনের ভেতরে, তার পরিবারে। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে যা দু’বছর আগেও অকল্পনীয় ছিলো, তা ক্রমশ দৈনন্দিনতার চেহারা পেতে শুরু করে। পরিবারে একজন হতাশ ও নেশাক্রান্ত যুবক তখন কোনো দুর্লভ ঘটনা নয়। যুদ্ধশেষে অস্ত্র সমর্পণ করারও অনেক পরে কারো কোমরে গুঁজে রাখা ততোটা-অপ্রকাশ্য-নয় পিস্তল ভীতিযুক্ত সম্ভ্রম জাগায়, প্রশ্ন নয়। কেউ রাতারাতি বিত্তের মালিক হয়ে উঠতে থাকলে তা কিঞ্চিৎ ঈর্ষামিশ্রিত কৌতূহল মাত্র, বিস্ময় নয়।
এইভাবে আমরা ক্রমশ বদলে যাচ্ছিলাম।
(চলবে)
মন্তব্য
কেঁচো খুড়তে সাপ -- কথাটা এরচেয়ে পজিটিভ ভাবে বলা যায় না মনে হয়। খুবই ভাবানোর মত লেখা। অপেক্ষায় থাকলাম। পর্যালোচনাগুলো ভাল লাগলো।
সাপের অস্তিত্ব যদি থেকেই থাকে, তা-ও জানা দরকার! আর ঐ যে ভাবানোর কথা বললেন, ওইটুকু হলেই ধন্য হয়ে যাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এই দাবিটা দ্বিতীয়বার এলো। ইচ্ছে আছে পুরোদমে। মুশকিল হলো, এই লেখাটার জন্যে কিছু রেফারেন্স দরকার হবে যা আমার নাগালে নেই এখন। সংগ্রহ করার চেষ্টায় আছি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ক্রমশ:
সাথে আছি, অপেক্ষায় পরের পর্বের ।
বেঁচে থাকলে এই সিরিজটাকে আবার বাঁচিয়ে তুলবো প্রবাসে ফেরত আসার পর ।
নেটের যা গতি !
----------------------------------------
শমন,শেকল,ডানা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ততোদিন আমি বাঁচলে হয়!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
৭২-৭৫ নিয়ে বিস্তারিত আমিও জানতে চাই। এ পর্যন্ত যাদের কাছে এ বিষয়ে শুনেছি বা পড়েছি তাদের সবাইকেই মনে হয়েছে কোন না কোন দলের কাছে মাথা বন্ধক দেয়া (আপনার কথাটাই ধার নিলাম )। অতীব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি আশা মিটবে বলে।
=============
"কথা বল আমার ভাষায়, আমার রক্তে।"
অরূপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও বলেছি, ইচ্ছে আছে। কিন্তু যা লিখতে চাই তা পুরো স্মৃতিনির্ভর হয়ে লেখা সম্ভব নয়, উচিত হবে না। মালমশলাগুলো জোগাড় করতে কিছু সময়ের দরকার।
আমার বিবেচনায় ৭২-৭৫ ঐ তিনটি বছরের ভালোমন্দ যাবতীয় কর্মফল কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলেদেশের ইতিহাসকে চালিত করছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমাদের বদলে যাওয়ার কাহিনী পড়ছি ,,, হতাশায় বুঁদ
"তারা শুধু দিক-নির্দেশনা চায় – বলে দাও আমাদের কী করতে হবে, আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিতে প্রস্তুত। তারা তার কিছুই পায়নি।" এটা এতদিনেও পাল্টায়নি ...সত্যি বলতে কি, এই বাস্তবতাটার একশোভাগ এক্সপ্লয়টেশন করেছে শিবির ... যেজন্য আজকের প্রজন্মের কারো কারো দিকে তাকিয়ে আগের প্রজন্মের আপনি হয়ত হতাশ বোধ করেন .... কেন এরা এভাবে রাজাকরদের পক্ষ নেয়!! .... আমি এই একটি কারণে আওয়ামী লীগ/বি এন পি/বাম দের উপর ভীষন হতাশ ...তাদের ফিল্ড লেভেলে দর্শন প্রচারের লোকও নাই, প্রোগ্রামও নাই ... মাঠ একদম ফাঁকা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
মাঠ পর্যায়ে দূরে থাক, আমার তো মনে হয় এই দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদেরও অনেকেই জানে না তাদের দল কী চায়, কর্মসূচী কি। ফলে মাঠ পর্যায়ে উৎসাহ ও অংশগ্রহণ কম, হতাশা ও অকর্মণ্যতা কর্মীদের গিলে খাচ্ছে। জামাত-শিবির সে তুলনায় অনেক গোছানো, আপনার এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ কোথায়?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এরকম করে ভাবি নি তো কখনও!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এই তো ভাবলেন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন