আমি বদরুদ্দীন উমরের কলামের ভক্ত নই, কিন্তু আজকের সমকালে প্রকাশিত একটি লেখা ভালো লাগলো। সৈনিক কালচার আমাদের কীভাবে গ্রাস করছে, সে বিষয়ে ভাবনা উদ্রেক করে। আমরা যে যখন-তখন ভাষাসৈনিক, কলমসৈনিক এসব বলছি তা আসরে কোন মানসিকতার ফসল?
যতোদূর মনে পড়ে, এই বিষয়টি তিনি আগেও একবার কোথাও উল্লেখ করেছিলেন।
যাদের চোখে পড়েনি, দেখতে পারেন।
মন্তব্য
বদরুদ্দীন উমরের সমকালে প্রকাশিত লেখাটি আমারও ভালো লেগেছে ।
হাঁ, এই বিষয়টি তিনি আগেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন,তার নির্বাচিত প্রবন্দ গ্রন্থে ২/১ টি আছে।
যদিও লেখাটি আমার চোখে এড়াইনি , তবুও জুবায়ের ভাইকে ধন্যবাদ সচলে লিন্ক দেবার জন্য ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বদরুদ্দীন উমরের লেখাটির লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
উমরের লেখা আমার ভালো লাগে।
***********দিনমজুর**************
লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
বদরুদ্দীন উমর বলেছেন:
১৯৭২ সাল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি রাত বারোটার ঠিক পরই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে দিনটির কর্মসূচি শুরুর ব্যবস্থা হয়। স্বতঃম্ফূর্ত প্রভাতফেরির পরিবর্তে এই কর্মসূচি দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কারণে প্রভাতফেরি ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারিয়ে এখন উচ্ছেদ হয়ে গেছে। ...এক কথায় বলা চলে, আগে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের মধ্যে যে প্রেরণার দেখা পাওয়া যেত, এখন তার কোনো অস্তিত্ব আর নেই। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন এখন পরিণত হয়েছে এক পোশাকি ব্যাপারে।
উমরের বক্তব্যের সঙ্গে দারুনভাবে একমত। ।
এছাড়া তার 'ভাষা সৈনিক' বিষয়ক বক্তব্যও চিন্তা করার মতো। এর নেপথ্যে গণমাধ্যমের ভূমিকা নেই, তা অস্বীকার করি কি ভাবে?
পোস্টের জন্য জুবায়ের ভাইকে ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বদরুদ্দীন উমরের একটা মজার ব্যাপার চোখে পড়ার মতো। তিনি পৃথিবীর সমস্ত সমস্যাকে চিহ্নিত করা শুরু করেন ১৯৭২ সাল থেকে। আমার এক গুরুজন রসিকতা করে বলতেন, বদরুদ্দীন উমর সাল গোণেন AM আর BM দিয়ে। AM হচ্ছে Anno Mujibi আর BM হচ্ছে Before Mujib।
তবে এক্ষেত্রে তাঁর পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবনযোগ্য।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনার এই গুরুজনের পর্যবেক্ষণে একটুও বাড়াবাড়ি আছে বলে আমার মনে হয় না। বদরুদ্দীন উমরের পিতা আবুল হাশিম আওয়ামী লীগের যে প্রগতিশীল অংশের নেতৃত্ব দিতেন, শেখ মুজিব সেদিকেই ছিলেন। তবে তা বদরুদ্দীন উমরের প্রিয়পাত্র হওয়ার মাপকাঠি নিশ্চয়ই হতে পারে না। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে তিনি আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিব সম্পর্কে অন্ধভাবে বিরূপ। তিনি শেখ মুজিবের মধ্যে ইতিবাচক কোনোকিছু কোনোকালে আবিষ্কার করতে পারেননি।
গবেষণামূলক লেখায় বদরুদ্দীন উমর অনেক উজ্জ্বল, তাঁর কলাম সে তুলনায় খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। প্রায় প্রতিটি কলামে থাকে সাম্রাজ্যবাদকে কিছু গালাগালি, দুই ছটাক আওয়ামী-বিদ্বেষ এবং জগৎ-সংসারের সমস্তকিছু সম্পর্কে তীব্র বরাগ ও বিতৃষ্ণা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পর্বতপ্রমাণ ব্যর্থতা তাঁর এই বিরাগের কারণ কি না, কে জানে!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মুহম্মদ জুবায়ের লিখেছেন: "কোনো অজ্ঞাত কারণে তিনি আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিব সম্পর্কে অন্ধভাবে বিরূপ। তিনি শেখ মুজিবের মধ্যে ইতিবাচক কোনোকিছু কোনোকালে আবিষ্কার করতে পারেননি। "
৭২-৭৫ সালে আহম্দ শরিফ , বদরুদ্দীন উমর , আহমদ ছ্ফা, ফরহাদ মজহার, এনায়েতুল্লাহ খান প্রমুখ শেখ মুজিব এর সমালোচনায় ছিলেন অগ্রগামী। তাদের মধ্যে( প্রয়াত )এনায়েতুল্লাহ খান আর বদরুদ্দীন উমর পরেও তা' ধরে রেখেছেন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বিষয়টা গণমাধ্যমই দ্রুত পাল্টে দিতে পারে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মন্তব্যের ঘরে লিখতে লিখতে একসময় দেখি বিশাল হয়ে গেছে, তাই আলাদা পোষ্ট দিয়ে ফেললাম।
লিংক শেয়ার করার জন্যে জুবায়ের ভাইকে ধন্যবাদ।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আলাদা পোস্ট দেওয়ার ফলে আলোচনাটা জমলো ভালো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
লেখাটির একটি পিডিএফ কপি সংযুক্ত করা হলো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ জুবায়ের ভাইকে।
উমরের উপর আলাদা ভাবে লেখার আহবান করছি সচলদের।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নতুন মন্তব্য করুন