সপ্তাহের সমস্ত কাজ ও কর্তব্য সমাপন হলো। শনিবার রাতে কমপিউটারের সামনে বসেছি লেখালেখি করার বাসনায়। সচলায়তনে শুরু করা ‘আমাদের বাতিঘরগুলি ও আসন্ন দিন’ সিরিজটা এগোচ্ছে না, আরেকটা পর্ব আজ লিখতে হবে। ইমেল, ঢাকার দৈনিক দেখা শেষ, মধ্যরাতের কিছু পরে লেখা খুলে বসেছি। হঠাৎ মেয়ে আসে আমার ঘরে। সন্ধ্যায় সে গিয়েছিলো তার প্যালেস্টাইনি বান্ধবীর বাসায়। সেখানে আল জাজিরা চ্যানেলে সে দেখে এসেছে ইজরায়েলি সৈন্যরা কীভাবে নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে নিরস্ত্র প্যালেস্টাইনিদের খুন করছে। ক্ষুব্ধ অসহায় গলায় আমাকে সে জিজ্ঞেস করে, এইসব আমেরিকার টিভি চ্যানেলগুলিতে দেখায় না কেন?
তার ইচ্ছে ওই ভিডিও ফুটেজগুলি একত্রিত করে সে সিএনএনসহ অন্যসব সংবাদ-চ্যানেলগুলিতে পাঠিয়ে দেবে প্রচার করার অনুরোধসহ।
হায়, আঠারো বছর বয়সে এইসব চিন্তা করা সম্ভব। পৃথিবীতে যাবতীয় শুভবোধ এখনো জাগ্রত এবং তার অনুরোধে পুঁজিস্বার্থের প্রতিভূরা যা করছে তা আর করবে না এবং শুধরে নেবে তাদের পাপগুলি!
তার সমান বয়সে আমরা অবশ্য অনেককিছু জেনে গিয়েছিলাম। ততোদিনে আমাদের প্রজন্ম প্রত্যক্ষ যুদ্ধ দেখে ফেলেছে, যুদ্ধের নখরাঘাতে মানুষের জীবন ও আশা-আকাঙ্খা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যেতে দেখেছে, চোখের সামনে সারি সারি নিরপরাধ মানুষের রক্তাক্ত শরীর অবলোকন করেছে, সপ্তম নৌবহর ও নিক্সন-কিসিঞ্জার জেনে ফেলেছে। মেয়েকে এখন আমি কী বলি?
বোঝার বয়স মেয়ের হয়েছে। পুঁজি ও ক্ষমতার স্বার্থের সম্পর্ক ইত্যাদি ব্যাখ্যা করে জানাই, এইসব পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা ব্যক্তিমানুষের আসলে নেই।
মেয়ে বলে, তাই বলে যা চলছে তার প্রতিবাদ হবে না? যা চলছে চলুক আমার কিছু এসে যায় না জাতীয় মানসিকতার মানুষ আমি হতে চাই না। কিছু একটা করতে চাই। টিভিতে দেখা ছবিগুলি আমার চোখে এখনো ভাসছে।
আমাদের কথা চলতে থাকে। কীভাবে কখন প্রসঙ্গ পাল্টায়, মেয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়। মনে মনে ভাবি, এখন মার্চ, এখনই তো উপযুক্ত সময়। কথা বলতে বলতে সচলায়তনে উঁকি দিয়ে দেখি, শহীদ মিনারের ব্যানার পাল্টে দিয়েছে অরূপ, এখন সেখানে স্বাধীনতার মাসের ব্যানার উঠেছে – তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা।
মেয়েকে বলি, সে অনেক লম্বা গল্প। আজ অনেক রাত হয়ে গেছে, এখন তুই ঘুমাতে যা। পরে একসময় হবে।
সে এখনই শুনতে চায়। আমি আপত্তি করার কে! এই বিষয় নিয়ে জীবনভর বকবক করতেও ইচ্ছুক আমি। কথা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দেখি গুটি গুটি পায়ে দশ বছরের ছেলেটিও তার ঘর থেকে উঠে এসে বসছে। আমাদের কথায় তার ঘুম ভেঙে গেছে, এই গল্প সে-ও শুনতে চায়।
আমি বলে যাই আমাদের কালের কাহিনী। ৪৭-এর দেশভাগ, বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশের বিভক্তি, ভাষা আন্দোলন, ৬৫-র যুদ্ধ, শেখ মুজিব ও ৬ দফা, ৬৯-এর গণ-আন্দোলন, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১। তারা ক্রমাগত প্রশ্ন করে, আমি সাধ্যমতো বলে যাই তাদের বোঝার সামর্থ্য অনুযায়ী।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের কথাও একসময় উঠে আসে। মেয়ে আচমকা জিজ্ঞস করে, তোমরা শেখ মুজিবকে খুন করলে কেন? কী করে পারলে?
এই প্রশ্ন অনন্তকালের। উত্তর কি আমার জানা আছে?
কথা শেষ হলে ঘড়িতে দেখি রাত সাড়ে তিনটা। ছেলেমেয়েকে বিছানায় পাঠিয়ে দিয়ে মনে হয়, লেখালেখি আজ আর হলো না। টের পাই, সে জন্যে আমার একটুও অনুশোচনা বা দুঃখবোধ হচ্ছে না। তার বদলে এক ধরনের পরিতৃপ্তি। আমার গল্পের কিছু ছেলেমেয়ের হাতে তুলে দেওয়া গেলো।
মন্তব্য
খুব ভালো লাগলো এই পোস্টটা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
জেনে খুশি হলাম।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ঠিক গল্পটা বলার মানুষও কমে আসছে । এটাই চিন্তার বিষয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তাইতো এইসব গল্প বারবার বলতে হবে। আমরা চলে গেলে অন্য কাউকে কাজটা করতে হবে, নির্দিষ্ট করে বললে আপনাদের। আপনারা তৈরি তো, হাসিব?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আছি ছিলাম থাকবো
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জুবায়ের ভাই,
অসাধারন একটি লেখা দেবার জন্য ধন্যবাদ।
মানুষ হিসেবে আপনি ঈর্ষনীয় ভাগ্য নিয়ে এসেছেন। আগে মনে হয় কোথাও লিখেছি, আমার মন-টন খারাপ হলে, প্রায়ই আপনার মেয়ের লেখাটা পড়তে বসি। আজ আবার এলো তার কথা। সংগে অবশ্য এবার তার ভাইটিও এসেছে। নিঝুম রাত। বাবা কে ঘিরে বসে শুনছে দু'টি তন্ময় মানবক। এই গোটা ব্যাপারটার মাঝে একটা অদ্ভুত 'ছবি ছবি' ভাব রয়েছে। আসলে বলা উচিত চিত্রকল্পরুপময়।
কিন্তু মন্তব্যটা সেই কারনে লিখতে বসিনি। বেশ কিছু আশার আলো দেখতে পেয়ে আজ মনটা খুব উৎফুল্ল হয়ে উঠল।
------- এখন পর্যন্ত পৃথিবী বদলের স্বপ্ন চোখে নিয়ে আছে অষ্টাদশীরা, এ ভাবতেই মনটা ভরে যায়। বিশেষত এই খানে, প্রবাসে, যেখানে আরো সব কিছুর হাতছানি প্রবল, সে সবের চৌকাঠ মাড়িয়ে কিছু আঠারোয় পড়া ক্ষুদ্র মানবক চোয়াল শক্ত করে ভাবছে---এ অন্যায়, ঘোর অন্যায়। এর চেয়ে বড় আশার দৃশ্য কি হতে পারে? শুধু তাই নয়, কি ভাবে এর প্রতিকার করা যায়, সেই নিয়ে তার ছোট্ট মাথাটা ভারাক্রান্ত। এরকম সন্তানের পিতা হওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার।
-------- ছেলে মেয়ে গুলোর ভাগ্যটাও দেখতে হবে। ছেলে মেয়েরা অনুসন্ধিৎসা থেকে প্রশ্ন করতেই পারে। কিন্তু জবাবটা কি পাচ্ছে, সেইটা আরো গুরুত্বপুর্ন। সঠিক জবাব পাওয়া শুধু দুরুহ নয়, প্রায় অসম্ভব যেখানে, সেই খানে তারা পেয়েছে আপনার মত মানুষ।
সত্যিই, ঈর্ষনীয়!
(আশা করছি, ভাল কাজে ঈর্ষাটা খুব একটা দোষনীয় নয়!)
আপনার সহৃদয় মন্তব্য পড়ে প্রাণ ভরে যায়।
আপনার অকৃত্রিম ঈর্ষাকে উপভোগ করতে চাই। আর চাই আমার পরবর্তী প্রজন্মের মানুষগুলিও যেন তার ভাগীদার হতে পারে।
মানুষের মধ্যে শুভবোধ জাগ্রত থাক, তার প্রতিবাদস্পৃহা থাক অদম্য। মনুষ্যজন্মে এর চেয়ে বড়ো করণীয় আর কী আছে?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
একদম ঠিক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
পূর্ব ও উত্তর প্রজন্মের যোগাযোগটা সচল থাকুক।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি আমার মতো করে যাই। ধন্যবাদ শো, ম. চৌ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আহ, কি চমৎকার দৃশ্য দেখালেন।
এইভাবে ঘিরে থাকুক ডালপালাগুলো বটবৃক্ষকে, জানুক ইতিহাস। সেই ইতিহাস সঞ্চালিত হোক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আসলে পরের প্রজন্মকে আমরা উদাসীন বা অপ্রস্তুত ভেবে অনেক সময় হাল ছেড়ে দিই। আমিও এর খুব বাইরে নই বোধহয়। এই ঘটনাটি আমাকে দেখিয়ে দিলো, আমরা কতো ভ্রান্ত!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
হ্যা, সেটাই করতে হবে।
====
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এর চেয়ে বেশি কিছু করার সময় ও সামর্থ্য তো আর আমাদের নেই, জালাল ভাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মুহম্মদ জুবায়ের এর ভাই এর লেখা পরে আমার ভিতর এতটা আবেগ
কাজ করে যে প্রতিক্রিয়া দেয়া কঠিন হয়ে পরে।
এমন অনেক প্রশ্ন আমাকে প্রতিনিয়ত দংশন করে ।
আমার একটি লেখা শেয়ার করছি , । লিন্ক:
বিজিত দেশে পরাজিত মুক্তিযুদ্ধ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ইতিহাস আলোচিত হোক জন্ম থেকে প্রজন্মে ।
ইতিহাস স্মরিত হোক শ্রদ্ধায় , ভালোবাসায় ।
হতেই হবে। আপনাদের দেখে খুব ভরসা পাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সত্যিই কি জানে কেউ?
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত দেওয়ার মতো মানুষের অভাব নেই। আমি যে জানি না এইটুকু আমার জানা আছে। এই প্রশ্ন সত্যিই অনন্তকালের হয়ে থেকে যাবে বলে মনে হয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ইতিহাস এভাবেই এগিয়ে যায়। পিতার কাছ থেকে সন্তানে অতঃপর আবার সন্তান...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছবিতে আপনার পিচ্চিটাকেও দেখতে পাই। সুতরাং আপনারও গল্প বলার সময় আসছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার মেয়ে আসলেই কিছু করে দেখাবে, ছেলেও। ওরা জয়ী হোক সকল যাত্রায়।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্যে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অবশ্যই এই লেখাটা আপনি পরিতৃপ্তি নিয়েই লিখবেন। ঘরে ঘরে কথাগুলো প্রতিধ্বনীত হচ্ছে এটা সবাই জানবে। একরকমের স্বস্তি পাওয়া যাবে।
সেদিন পতৃকায় পড়লাম, ইসরাইল নাকি "হলোকাষ্ট" এর হুমকি দিয়েছে প্যালেস্টাইনীদের বিরুদ্ধে। আমরা যারা জার্মানীতে আছি তারা অনেকেই জানি শব্দটা কতোটা কুত্সীত এবং পরিত্যক্ত!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হলোকস্ট তো নতুন কিছু নয়। এই জিনিস বিভিন্ন নামে ও পরিচয়ে ছোটো বা বড়ো আকারে পৃথিবীতে চালু ছিলো, এখনো আছে। ভবিষ্যতে আর না থাক, তাই আমরা চাই। তবে এই আশাবাদে খুব জোর পাওয়া কঠিন। কারণ মানুষের ভেতরেই কুৎসিত ও পরিত্যাজ্যকে আঁকড়ে থাকার প্রবণতা থেকে যায়। এরা সংখ্যালঘু এখনো এবং বারবার পরাস্ত - এটুকুই হয়তো ভরসা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
চমৎকার লাগলো।
অবশ্যই আমরা তৈরি।
-----------------------------------
মুহাম্মদ
অসাধারণ।
স্যলুট!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
অশেষ ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সেই সাথে ৭১ এর বিরোধিতাকারীদের কাহিনী ও।
====
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
দেশ থেকে অনেক দূরে থেকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশকে ছড়িয়ে দিতে পারাটা কঠিন। আপনাকে অকুন্ঠ শ্রদ্ধা জানাই।
আর আপনার ছেলে ও মেয়ের জন্য ভালবাসা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
স্বপ্নগুলি সংশোধনহীন হোক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সচলায়তনে আমার পড়া সেরা লেখা...
সচলায়তনের বাইরেও এমন লেখা কম পড়েছি।
আপনাকে অসম্ভব শ্রদ্ধার সাথে ভালোলাগার কথা জানাচ্ছি।
একাত্তর নিয়ে অনেক বই পড়েছি। আমার কেন জানি আফসোস হয় সে দিনগুলোতে পৃথিবীতে ছিলাম না বলে।
আমার সামনা-সামনি দেখতে ইচ্ছে করে সেই অদ্ভুত সাহসী মুখগুলোকে-
যারা আমাদের জন্য এই বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে।
আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি- আমাদের প্রজন্মকে।
দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো-
তারা তাদের সেই ভালোবাসা আবিষ্কার করতে পারছে না।
কিংবা করার চেষ্টা করছে না।
আমি নিজেও হয়ত সেই দলে।
আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা সেই ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে পারি।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
৭১-এ পৃথিবীতে ছিলেন না বলে দুঃখিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শুনে হোক, পড়ে হোক সেই দিনগুলিকে মনে রাখবেন। সেই সময়ের চাওয়া-পাওয়াগুলি বোঝার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আজকেই এক বন্ধুর সাথে আলাপ হচ্ছিলো... তাকে বলছিলাম আমরা হচ্ছি এমন একটা ভাগ্যবান প্রজন্ম যারা চোখের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেখতে পাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে গল্প শুনতে পারছি।
আর আমরা হচ্ছি সেই দূর্ভাগা প্রজন্ম যারা এতকিছু চোখের সামনে থেকেও কিছু করতে পারছি না। আসলে আমাদের দায়িত্বটা আমরা একটুও পালন করতে পারছি না। এখনও তো রাজাকারগুলারেই মারতে পারলাম না।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা... ছেলেমেয়েগুলোকে আরো বেশি করে গল্প শোনান।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রাজাকারগুলি কিন্তু চিরকাল বাঁচবে না, তাদের মারার আর দরকার নেই। দরকার রাজাকার মনোবৃত্তিটিকে মারার।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। আমি নিজেও এই কাজটি করে থাকি। রক্তের ঋণ তা না হলে কিভাবে শোধ হবে?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
এই অভ্যাসটা চালু থাক, আরো চর্চা হোক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মহান মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথার পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ প্রমুখের ভুমিকাও জানাতে হবে।
স্যালুট।
কি মাঝি? ডরাইলা?
রাজাকারদের নিয়ে বলার শুরুটা সেই রাতেই করেছি। কারণ রাজাকার বাদ দিয়ে গল্পটা সম্পূর্ণ বলা যায় না। আরো বিশদ বলতে হবে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেয়ে আচমকা জিজ্ঞস করে, তোমরা শেখ মুজিবকে খুন করলে কেন? কী করে পারলে?
এই প্রশ্ন অনন্তকালের। উত্তর কি আমার জানা আছে?
আপনার মেয়েকে বলবেন, ওরা যেন আপনাদের মত না হয়। আর কোন মুজিব মারা না যায়। আমার বাবা তাই বলেন
কিন্তু আরেকজন মুজিব আমরা পাবো কোথায়?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সবিকছুই একদিন শেষ হয়। এদেশ নিয়ে তরুণ প্রজন্ম ভাবতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইএর প্রমাণ। মুজিবকে হয়ত পাবনা। কিন্তু দেশকে যারা ভালবাসে তাদের যেন না হারাই
ভয় নেই। তারা হারিয়ে যাবে না। হারবেও না। সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদি জিজ্ঞেস করেন, আমার এই আশাবাদের কারণ কি? উত্তর: আপনারা। আর দেশপ্রেম বিলুপ্ত হওয়ার জিনিস নয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বেশ কয়েকবার এসে পড়ে গেলাম। মন্তব্যের জায়গাটা ফাঁকা রাখা ছাড়া কোন উপায় পাচ্ছিলাম না।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সহমত।
@ কনফুসিয়াস ও ইশতিয়াক রউফ, 'নীরবতা হিরণ্ময়' - এই তত্ত্বে বিশ্বাস আপনাদের? মন্দ নয়। সরব হয়ে নীরবতা পালন!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
উত্তর পুরুষকে গল্পের যা যা দেবেন সেটা এখানেও রেখে যান ...আমরাও কিছু পাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি তো তাই করি!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ভয় নেই,
আমরা আছি সজাগ,
সজাগ থাকবে আমাদের সন্তানেরা।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন