বোন আমার, অকিঞ্চিৎকর মানুষ আমি, জানি না আমার প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য কি না। কারণ, আমার প্রজন্মের প্রকৃত চেহারা-চরিত্র আসলে কীরকম? বিচিত্র মুখ ও মুখোশ আমরা বিভিন্ন সময়ে ধারণ করেছি। কখনো আমরা অকুতোভয় সংগ্রামী, সন্তের মতো সর্বস্বত্যাগী, জীবনের মায়া না করা যোদ্ধা। অথচ এই আমরাই যখন আত্মকলহে লিপ্ত হয়ে কামড়াকামড়ি করতে শুরু করেছি এবং নাছোড়বান্দা কুকুরের মতো পরস্পরকে দংশেছি, তখন আমাদের আরেক চেহারা।
১৯৭১-এ পৃথিবী দেখেছ আমরা কী ক্ষমতা ধারণ করি। পরাশক্তির রক্তচক্ষু এবং বিশাল সংগঠিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হওয়ার ইতিহাস আমাদের। স্বপ্ন ছিলো একটি স্বাধীন দেশের, তা পেয়েছিলাম। আমাদের জানা ছিলো, স্বাধীনতার পরে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে থাকার, দরকার অফুরান মমতা ও ভালোবাসার। অথচ ঠিক তখনই আমরা বিচ্ছিন্ন হয়েছি পরস্পর থেকে, যুদ্ধের দুঃসময়ে যাকে ভাই বলে আপন জ্ঞান করেছিলাম, মুক্ত স্বদেশে তার বুকে বন্দুক তাক করেছি। নিজেদের মধ্যে কলহ-বিবাদ করে শক্তি ক্ষয় করে ফেলেছি।
একখণ্ড মাংস নিয়ে দুই কুকুর যখন বিবাদে লিপ্ত হয়, চতুর শেয়াল ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে মাংসের দখল নিয়ে ফেলে। আমাদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এইভাবে আমাদের স্বপ্নগুলি চুরি হয়ে গেছে।
আজ যখন তোমাকে তোমার প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে যাই, নিজেকে তুমি হতাশাবাদী বলে নিজেকে পরিচিত করো। কষ্টে আমার বুক ভেঙে যায়। আমার প্রজন্মের দিকে তোমার অভিযোগের আঙুল তোলার কথা। তোলোনি, সেটা তোমার মহানুভবতা, আমার সান্ত্বনা নয়। আমরা নিজেদের স্বপ্নগুলি খুইয়ে তোমাদের জন্যেও যে এক ভয়াবহ শূন্যতা ও হতাশার ব্যবস্থাপত্র তুলে দিচ্ছি, তা-ও আমরা বুঝতে অক্ষম ছিলাম। তোমাকে কোনো আশার কথা শোনাবো, সে মুখ আমার নেই, সাধ্যও নয়।
তুমি তোমার লেখায় হতাশার কথা বলেছো। তবু বলি, আশাবাদ না থাকলে হতাশা আসা সম্ভব নয়। সেই আশাটাকে বাঁচিয়ে রাখো। আমাদের এই দেশে এখনো সূর্য ওঠে, পূর্ণিমার রাত আসে, মা এখনো তোমার অপেক্ষায় থাকে। আমাদের দিয়ে যা হয়নি, তা তোমাদের দিয়ে হোক। নিজেদের তোমরা প্রস্তুত করে নাও। জয় হোক তোমাদের।
আর আমাদের ব্যর্থতাকে ক্ষমা করে দিও, যদি পারো।
মন্তব্য
আরেকটি মাস্টার পিস। খুব ছোট লেখায় অনেক বলেছেন ।
" আমাদের এই দেশে এখনো সূর্য ওঠে, পূর্ণিমার রাত আসে, মা এখনো তোমার অপেক্ষায় থাকে। আমাদের দিয়ে যা হয়নি, তা তোমাদের দিয়ে হোক। নিজেদের তোমরা প্রস্তুত করে নাও। জয় হোক তোমাদের।"
রাবাব, রাগিব,মুহম্মদ, পিয়াল,নাজমুল আলবাব,হাসান মুরশেদ,তিথি প্রমুখ সব সচলসহ তরুন প্রজন্ম এই দেশকে নিয়ে যাবে সেখানে যেখানে যাবার স্বপ্ন দেখেছিল একদিন জুবায়ের, হেলাল ,খ্সরুরা ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নিঃসন্দেহে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
ভরসা রাখছি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
স্যালুট!
প্রজন্মান্তরে এই আশাবাদ ছড়িয়ে যাক... নতুন দেশ গড়বার স্বপ্নদ্রষ্টারা মুক্তিযুদ্ধ-প্রজন্ম রাবাব-প্রজন্মের বিনীত অভিবাদন গ্রহণ করুন।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আরে হতাশ হওয়ার কি আছে !! কোনও জাতি বা দেশ রাতারাতি বড় হয় নি। দীর্ঘ সময় লেগেছে, অনেক ত্যাগ টাইপের জিনিসপত্রও স্বীকার করতে হয়েছে। এটাতো একটা চ্যালেন্জ।
বিশ্বাস হয় না আমার কথা ? এইযে দেখেন সন্ধ্যা
থেকে বেশ কয়েকবার "ক্যালোরি"মেপে খাওয়া হয়েছে। লাক্সারি ব্র্যান্ডের গাড়ি চড়ে অফিসে যাওয়া আসা করা হয়।দেশে থাকতে মেধা নামক একটা সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে রাষ্ট্রের পয়সায় এমন জায়গায় পড়েছি যেখানকার মানুষজনের একমাত্র লক্ষ্য থাকে কিভাবে দেশের বাইরে এসে একটা ভাল কম্পানীতে নিয়মিত বেতন পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের মানুষের কত পার্সেন্টের মধ্যে আমার অবস্থান ? ১ % ? ০.৫ % ?
আমাকে তো সফলই বলা যায় মনে হয় ?
আমাকে তো সকালে বাজারের হোটেল থেকে কুড়িয়ে পাওয়া রুটি বউ-বাচ্চার সংগে ভাগাভাগি করতে হয় নি। আমাকে তো রিক্সাভাড়া ২ টা টাকা বেশি চাওয়ার জন্য ছেলের সমান বয়সী কারও থেকে চড় খেতে হয় নি। বাপ দাদার ভিটা জমি বিক্রি করে ঢাকায় আসার প্রথম দিনই মিছিলের গোলমালে পড়ে স্বর্বসান্ত খুইয়ে আমাকে তো জেলে যেতে হয় নি। জুতা ঠিকভাবে পরিষ্কার না করার জন্য তো আমাকে খালাম্মার মার খেতে হয়নি, বড় ভাই কালকে জুতা পড়ে পরীক্ষা দিতে যাবেন, ময়লা জুতায় কি পরীক্ষা ভাল হয় !!
আয়নায় দেখা অই যে একজন নাদুনুদুস শুয়োর টাইপের সফল মানুষ আপনাকে ভরসা না হারাতে বলেছে। আর কোনও চিন্তা নেই। দেশে বছরে ১ ডলার না পাঠালে কি হবে, স্টেকের পিছনে ৩৮ ডলার ব্যয় করার ক্ষ্যামতা রাখে সে। যে সে ব্যাপার না।
টেক এ চিল পিল ম্যান। এভরিথিং উইল বি জাস্ট ফাইন।
এইভাবে ভরা হাটে সবার লুংগি ধরে টান দেয়ার জন্য একটা (বিপ্লব) দিব কিনা বুঝতেছি না
ইয়াপ। জাস্ট এনজয় দ্য লাইফ এন্ড কিপ ব্লগিং। এভরিথিং উইল বি জাস্ট ফাইন।
চিল পিল না হলে বেঁচে থাকাই কঠিন হতো। ঠিক না?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অতি বড় মন্তব্য হওয়াতে , তাকে লেখার ঘরে চালান করে দিলাম।
-------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনাকে স্যালুট...
আপনাদের স্যালুট।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
স্যালুট নেওয়ার মতো বড়ো মানুষ আমি নই। তবে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের জন্যে অভিবাদনটা উপযুক্ত হয় বটে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
একখান কথার কথা কইছেন
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সব প্রজন্মেরই জীবনের এক পর্যায়ে এসে এমন হতাশা বোধ হয় দেখা দেয়। যতদূর মনে পড়ে আমার/আমাদেরও এসেছিল এক সময়। সে নিয়ে কিছুদিন উন্মাতালও ছিলাম। এদিক-ওদিক উদভ্রান্ত ঘুরাঘুরি, মিছিল-শ্লোগানের পর প্রজন্মের কইমাছ আবার যথারীতি ফিরে গেছি নিজের ঝাকেঁ।
সুতরাং এদেরকে হতাশ হতে দিন মুহাম্মদ জুবায়ের। হতাশার জিকির তুলে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে দিক।
শুধু খেয়াল রাখতে হবে সংঘ শক্তির অভাবে হতাশাটা যেন শক্তিতে রূপান্তরের পথ না পেয়ে বুকে স্থায়ী না হয়ে যায়। বাক্সের বাইরে, চাকার বাইরে, স্রোতের বাইরে, ইঁদুর দৌড়ের বাইরে যদি তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ ক্রোধ ও হতাশা নিয়ে মাতম না করে – সমাজ/দেশ/দুনিয়া আগাবে কি করে?
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভালো বলেছেন। ঐ হতাশা জিনিসটার স্বাদও একটু পাওয়া দরকার সবারই। তবে সঙ্গে আপনার সতর্কবার্তাটা দরকারি। মুশকিল হলো, সেটা দেখার দায়িত্বও নিজেকেই নিতে হয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বাঙ্গালী হতাশ নয় বরং বলা যায় উদ্যমহীন। সেই সাথে আছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমরা আজ বাংলাদেশকে নিয়ে সপ্ন না দেখলেও নিজেকে নিয়ে ঠিকি সপ্ন দেখি। না দেখলে সময় থেমে যেত।
একটি জাতি হিসাবে আমরা তখনি সফল হব, যখন কিনা আমাদের ব্যক্তিগত সপ্ন গুলোর মধ্যে অল্প একটু দেশ চিন্তা (দুঃশ্চিন্তা নয়) ঢুকিয়ে দিতে পারবো।
যে কোন জাতির উন্নতির প্রথম ধাপ হল, দেশপ্রেম। সেটা আমাদের প্রোয়োজনের চেয়ে বেশীই আছে। আমাদের যা নেই তা হল , এই দেশ প্রেমকে পুঁজি করে উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা। অন্য কথায় যোগ্য নেতৃত্ব।
নতুন প্রযন্মের হতাশার অন্যতম কারণ হল নেতার অভাব। তাদের সপ্নগুলোকে গঠনমূলক দিকে পরিচালিত করার মত যোগ্য নেতার বরো অভাব আজ়।
***আমার অবস্থা অনেকটা অমিত আহমেদের মত। দেশ নিয়ে চিন্তা যেখানে ধৃষ্টতা মাত্র।
আমার ধারণা, সবকিছুকেই নেতিবাচকভাবে দেখা আমাদের প্রধান প্রবণতা। আর স্বপ্ন দেখতে আমরা জানি বটে, তাকে সত্যিতে পরিণত করার জন্যে উদ্যোগী হতে আমারা সময নিয়ে ফেলি। তবে মানতে হবে, একবার মনস্থির করলে কিন্তু আমরা সেটা অর্জন করে ছাড়ি, কোনোকিছুই তখন আর বাধা নয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
প্রজন্মের হতাশা আমাদের অনেক কমে এসেছে বৈকি। সব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রবীণরা যে এই তরুন প্রজন্মকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সময়ের সাথে যেখানে মেনে নেয়া আর ভুল ধরিয়ে দেয়ার সহনশীলতা কাজ করছে সেইটাইতো অনেক এগিয়ে যাওয়া, আমি স্বপ্ন দেখি। নতুন ভোরের দিকেই তো আমাদের গন্তব্য। ভয় নেই, জীবনটাইতো আমাদের রিলে রেসের মত, ....কেউ হয়তো এগিয়ে দেবে, কেউ একজন হয়তো বিজয়ের ফিতায় বুক ঠেকিয়ে উল্লাস করবে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
পূর্ববর্তী প্রজন্ম অধিকাংশ সময়েই পরের প্রজন্মকে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের চোখে দেখে। হয়তো কিছু অবজ্ঞা আর আস্থাহীনতাও প্রকাশ পায়। বড়োরা বয়স ও প্রজ্ঞার অভিমান নিয়ে ভাবেন, এই ছোকরারা কী বোঝে? ভুলটা সেখানেই হয়। বড়োরা কখনোই ভাবে না যে একদিন তাদেরও কেউ অর্বাচীন ভেবেছিলো, কিন্তু কালক্রমে সবই সেই অর্বাচীনদের হাতেই সমর্পণ করে যেতে হয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
"আর আমাদের ব্যর্থতাকে ক্ষমা করে দিও, যদি পারো।" -- আপনি হয়ত ভদ্রতা করে বলেছেন, তবে আমার কিছু কথা আছে
ব্লগে যারা লেখে, তাদেরকে আমার কাছে ভীষন সচেতন মনে হয়। অনেকে বলতে পারেন, হ্যাঁ, নিজের লেখার ক্ষমতা যাচাই করতে আমরা ব্লগে লিখছি, নিজেকে লেখক ভাবতে ব্লগে লিখছি ,,, কিন্তু আমার মনে হয় সবাই একটা ক্ষুধা অনুভব করে ,,, অনেক কিছু মানতে পারেনা ,,,, অনেক কিছু বদলে দিতে চায় ,,,সেই ক্ষুধা থেকেই লিখে থাকে ,,,,
কিন্তু ইন জেনারেল এই প্রজন্ম কিন্তু এখানকার ব্লগ লেখকদের মতো না ,,,,
ঢাকায় গেলে আমার দেখা হয়, কথা হয় এই প্রজন্মের অনেকের সাথে ,,,, উন্নাসিকতায় ভরা ,,,, সচেতনতা বলতে কিছু নেই ,,, দুবছর আগে দেশে গিয়ে কথা হয়েছে কয়েকজন ইউনিভার্সিটি শিক্ষক/শিক্ষিকার সাথে ,,,, আমার পাঁচ বছরের জুনিয়র তো হবেই ,,,, এরা ভাব নিলো এই বলে যে দেশের শিক্ষামন্ত্রী কে/অর্থমন্ত্রী কে এসব খবর তারা রাখেনা ,,, নষ্ট রাজনীতিকে তারা পুছেনা ,,,দেশ গোল্লায় যাক , তাতে তার কি ,,,,দেখলাম কে কোন কোন মন্ত্রীর নাম জানেনা সেটা জাহির করে সবাই বলতে চাচ্ছে সে কতবড় উন্নাসিক
আমার কথা হলো, রাজনৈতিক সমর্থন আর সচেতনতাটা ভিন্ন জিনিস ,,,বলছিনা, সচেতন হতে হলে অর্থমন্ত্রীর নাম জানতে হবে এমন উদ্ভট দাবী আমি করবনা ,,,, কিন্তু সেটা জানিনা বলে নিজেকে জাহির করাটা দৈন্যতা ,,,
আমি মনে আমাদের এই নষ্ট প্রজন্মের কাছে ৭১ প্রজন্মের ক্ষমা চাওয়ার তো কিছু নেই ,,,, আরেকটা ৭১ এর পরিস্থিতি তৈরী হলে এই প্রজন্ম কিছুই করতে পারতনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এই উন্নাসিকদের সঙ্গে আমাদের সবারই কমবেশি পরিচয় আছে। তবে একটা কথা বিশ্বাস করতে চাই যে (সম্ভবত সত্যিও) এরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় এবং কখনো ছিলো না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ত নয় .... তবে আশেপাশে এত বেশী দেখি এরকম শিক্ষিত উন্নাসিক, যে মাঝে মাঝে গা জ্বলে যায় ..
স্যরি, আগের মন্তব্যটা হয়ত সেই খেদের কারণেই কড়া হয়ে গেছে
তবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী প্রজন্মের ধারেকাছে যেতে হলেও আমাদের অনেক করতে হবে ,,,, ঐ প্রজন্মই তো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জনটা করে দেখিয়েছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আরেকটা ৭১ যেহেতু আর আসবে না, এই প্রজন্ম সেরকম পরিস্থিতিতে কী করতে পারবে বা পারবে না সে আলোচনা অর্থহীন। উন্নাসিক বা সংশয়ী মানুষ সব দেশে সব যুগেই থাকে। যতোক্ষণ না তারা সংখ্যগুরু হয়, খুব বেশি ভাবার দরকার নেই তাদের নিয়ে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
'জীনের বাদশা' এর সাথে একমত হতে পারছি না।
এ প্রযন্ম হয়ত ৭১ পায়নি, কিন্তু তারা সিডর বা অনান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেখিয়েছে।
তবে এ প্রযন্ম হয়তো ঢালাও ভাবে রাজনীতি সচেতন নয়। কিন্তু এর পুরো দোষটা কি Gen Y এর একার? বর্তমান অসুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তো এই প্রযন্মের তৈরী নয়। এরা তো নিজের ইচ্ছাতে ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনা করেনি। ঘরে, আর স্কুলে তাদেরকে সুশিক্ষিত করে তোলার দায় তো পুর্ব প্রজন্মের।
গভীর জলে কুমির আছে
আছে বন্ধু আছে
কুমিরেরও মরণ আছে
আছে বন্ধু আছে
বুকে তোমার বল আছে
হাজার হাতির সাহস আছে
ভয়-শঙ্কা ছাড়ো বন্ধু হে!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বেশ তো! কার লেখা?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মাথার উপর আপনাদের মত মহীরুহের ছায়া থাকলে স্বপ্ন দেখতে তো আমাদের প্রজন্মের কষ্ট হবার কথা না।
শুধু বলি,এভাবেই পাশে পাশে থাকুন।ভুল করলে সেগুলো শুধরে দিন।নিশ্চয়ই হবে,একটা কিছু হবে...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নতুন মন্তব্য করুন