৩.৩ নীলা
বিকেলের দিকে নিশি-ঋষি না ফেরা পর্যন্ত সময়টা বেশিরভাগ সময়ই খুব ভারী ঠেকে। নিজেকে একা আর পরিত্যক্ত লাগে। বিয়ের সময় থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হয়েছে। হিন্দু সাহা পরিবারের মেয়ে মুসলমানকে বিয়ে করবে, তা মানতে তারা অসম্মত। জামালের আগে একবার বিয়ে হয়েছিলো, তা-ও এক অপরাধ। নীলাঞ্জনা সাহা থেকে নীলাঞ্জনা সুলতানা। বাবা-মাকে ছাড়তে হলো। অথবা তারাই আমাকে ছেড়েছে। এক ছোটো বোন কিছুটা লুকিয়ে যোগাযোগ রাখতো, সে-ও বিয়ে করে পরদেশী হয়েছে অনেক বছর হয়ে গেলো। কালেভদ্রে ফোন আসে তার। সবকিছু আমার ঠিকঠাক চলছে, এরকম ধারণাই তাকে দিতে হয়। আর কী বলা যায়?
ছেলেমেয়েরা আমার বাবা-মাকে চিনলো না, আমার দিকের আর কোনো আত্মীয়-স্বজনকেও নয়। জামালের বাবা-মাকে তারা কিছু পেয়েছে, তা-ও নামমাত্র বলা যায়। বলতে গেলে আত্মীয়-পরিজন বিহনেই তারা বড়ো হয়ে উঠলো। নিশি তবু তার বাবার বন্ধুবান্ধবদের আঙ্কল হিসেবে পেয়েছিলো। ঋষি বড়ো হয়ে উঠতে উঠতে তারাও কোথায় নেই হয়ে গেলো। এখন কেউ তেমন যোগাযোগ রাখে না।
বন্ধুদের সঙ্গে জামাল ব্যবসা করছিলো তার প্রথম বিয়ের পর থেকেই। কী নিয়ে কী হলো ভালো করে জানি না, ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এলো সে। সেই ব্যবসা এখনো আছে, আর সবাই আছে, জামাল শুধু নেই। তারা এখন তার বন্ধুও নয়। জামাল তার টাকাপয়সাগুলো একত্রে ফিরিয়ে আনতে পারলো না, পারলে নিজে নতুন কিছু একটা করার চেষ্টা করতে পারতো। দফায় দফায় অল্প অল্প করে পেয়ে সেই টাকায় কয়েক বছর ধরে সংসার চালাতে হলো। তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া বাড়িটাও বিক্রি করে ভাড়া বাসায় উঠতে হলো। নিরুপায় হয়ে এই বয়সে তাকে চাকরিতে ঢুকতে হয়েছে। ভাবি, নামতে নামতে কোথায় কোথায় চলে এলাম। আজকাল কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে লজ্জা করে। দুঃস্থ দীন-হীন এই জীবনের কথা লুকিয়ে রাখতে হয়।
আমার নিজের পুরনো বন্ধুবান্ধব যারা ছিলো, তারাও কে কোথায় খবর রাখি না। ইচ্ছে করে না। এক নাজনীনই অনেকটা জোর করে নিজে থেকে যোগাযোগ রাখে। একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে সেক্রেটারির কাজ করে সে। মাঝেমধ্যে হঠাৎ হঠাৎ তার ফোন আসে। আমার সব কথা শুধু তার কাছ থেকেই লুকানো যায়নি। তবু নিয়মিত যোগাযোগ হয় না, চাইলেও হয়তো সে পেরে ওঠে না। সংসারে স্বামী-পুত্র তো আছেই, আর অফিসে আছে তার বস। বসের সঙ্গে একটা প্রণয় ও প্রশ্রয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তার, ব্যস্ততা কি কম! ফুলটাইম চাকরি, সংসার এবং একই সঙ্গে দু'জন পুরুষকে তুষ্ট রেখে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া। পারেও সে। সবকিছু মিলিয়ে তবু খুব সুখীই লাগে তাকে, কোনো অপরাধবোধ নেই।
জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন তোর বর? ছেলে?
তার কথা পরিষ্কার। বলে, কাউকে তো ঠকাচ্ছি না। বাইরের যে আমি তাকে বাসার দরজার বাইরে রেখে আসি, ভেতরে কখনো নিই না। ঘরে সবার জন্যে আমার যা করণীয়, সব করছি। উৎসাহ নিয়ে ভালোবেসেই করছি, কোনো ফাঁকি নেই। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে রান্না করি, সবাইকে খাওয়াই। ছেলেকে সময় দিই, তখন আমি শুধু তার মা। তারপর বরের পাশে বসে তার কাঁধে মাথা এলিয়ে বসে টিভি দেখি, আদুরে বেড়ালের মতো আদর খাই। রাতে বিছানায় তার পাওনা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিই। সে খুশি, আমিও। খুব আনন্দে আছি।
অফিসে বদনাম হয় না?
কেউ জানলে তো!
কী রকম?
তুই কি ভাবিস আমরা অফিসে বসে সারাক্ষণ প্রেম করি? অফিসে সে বস, আমি অধস্তন কর্মচারী। দরকার হলে আর সবার মতো ধমক বকা-ঝকা খাই মুখ নিচু করে। সেসব আবার সে পুষিয়ে দেয় অফিসের বাইরে। বউকে না জানিয়ে ধানমণ্ডিতে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছে, সময় ঠিক করে নিয়ে দু'জনে আলাদা সেখানে যাই। কিছু সময় পরে নিরীহ মুখ করে বেরিয়ে আসি। সাবধানে থাকি খুব। ধরা পড়তে পারি কিন্তু পড়ছি না, এরও একটা আলাদা মজা আছে। থ্রিলিং।
বসের বউয়ের জন্যে তোর খারাপ লাগে না? আরেকজনের পুরুষের ওপর ভাগ বসাচ্ছিস।
তার বউয়ের সঙ্গে আমার কীসের সম্পর্ক? তাকে নিয়ে ভাবতে যাবো কেন? খোঁজ নিলে হয়তো দেখা যাবে সে-ও বরকে লুকিয়ে কোথাও প্রেম করে বেড়াচ্ছে।
নাজনীনের কাছে শোনা, ঢাকা শহরে আজকাল স্বামী-সংসার রেখে পাশাপাশি একটু খুচরো প্রেম করা নাকি ঘরের বউদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। ফ্যাশনেবলও বটে। আমাকে বলে, তুইও একটা প্রেম-ট্রেম করে দেখ না। তোর মন খারাপ আর লাগবে না দেখবি। তখন মনে হবে কারো কাছে তোরও কিছু দাম আছে, তুই ফ্যালনা কিছু না। অনেক ফুর্তিতে থাকবি।
শুনে আমি হাসি। চুপ করে থাকি। আমাকে দিয়ে হবে না, আমার চেয়ে বেশি আর কে জানে!
মনে পড়ে, টিভির এক প্রযোজক আমার প্রেমে পড়েছিলো। অনেক অনেককাল আগে। অন্য কোনো জন্মের কথা বলে মনে হয়। জামালের সঙ্গে পরিচয়ের আগে। লোকটা তখনই তিন ছেলের বাবা, বড়ো ছেলে আমার মতোই কলেজে পড়ে। কাতর মুখে বলেছিলো, তুমি চাইলে সব ছেড়েছুড়ে তোমাকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চাই।
হাসি পাওয়া ছাড়া আর কোনো প্রতিক্রিয়া তখন আমার হয়নি। হওয়ার কথা নয়। গানের গলা আমার ভালো, অনেকেই বলতো। আমি দেখতে খুব সুন্দর নই, গড়পড়তা। গায়ের রং ফর্সা হলে কী হতো বলা যায় না, এ দেশে সুন্দরীর প্রথম যোগ্যতা ফর্সা হওয়া। আমার রং কালোর ধারেকাছে, লোকে রেখেঢেকে শ্যামলা বলার ভদ্রতা দেখায়। বাবার বয়সী লোকটা আমার মধ্যে কী দেখেছিলো বুঝি না। জিজ্ঞাসা করা হয়নি। কখনো কখনো মনে হয়, জানতে পারলে মন্দ হতো না।
তখন হ্যাঁ বললে কীররকম হতো আমার জীবন? এখনকার চেয়ে কতোটা আলাদা? জানার উপায় নেই, কখনো জানা হবে না। জিজ্ঞাসা করারও উপায় নেই আর, খবরের কাগজে সেদিন তার মৃত্যুসংবাদ ছাপা হয়েছে দেখলাম। মনে হলো, তাহলে এই পর্যন্তই তার আয়ু ছিলো। আমি তখন তার নতুন বউ হলে আজ আমি বিধবা হতাম। নাকি আমাকে বিয়ে করতে পারলে তার আয়ু বাড়তো? এইরকম উদ্ভট সব কথা মনে আসে।
এসব ভাবলে আমার চলে না। নিজেকে ব্যস্ত রাখার অজুহাতে রান্নাবান্না বা ঘরের আর সব কাজের বাইরে নতুন কিছু কাজ আবিষ্কার করি। পুরনো অ্যালবাম থেকে ছবিগুলো খুলে নতুন করে সাজাতে বসে যাই। সেগুলিও একেকটা দীর্ঘশ্বাসের ঝাঁপি। দরকার কিছু নেই, কী কাজে লাগবে তা-ও জানি না, তবু কখনো কখনো পুরনো শাড়ি-টাড়ি জোড়া দিয়ে কাঁথা সেলাই করি। কয়েকদিনেই ক্লান্তি লাগে। তখন তুলে রাখি, করার মতো নতুন কিছু একটা খুঁজি। এরকম খুঁজতে খুঁজতেই ধর্মকর্মের চেষ্টা করা। হিন্দু পরিবারে বড়ো হয়েছি, সুরা-কালাম শিখতে হলো। রোজা রাখতে কষ্ট হতো প্রথম প্রথম। শিখে নিয়েছি। নামাজ শিখেছি।
মনেপ্রাণে খুব ধার্মিক নই। এইসব আসলে এক ধরনের বর্ম, যা আমাকে অনেককিছু থেকে রক্ষা করে, আড়াল করে রাখে। বাইরে যাওয়া প্রায় হয়ই না, ইচ্ছে করে যাই না। গেলে মুখে পর্দা লাগাই। চেনা কাউকে দেখলে লুকিয়ে যেতে পারি। কেউ চট করে নীলাঞ্জনা সুলতানাকে চিনে না ফেলে।
আমার জীবন এখন এই সংসারটুকু নিয়ে। আমার একাগ্রতা ভঙ্গুর হয়, মন কিছুমাত্র বিচলিত বা বিক্ষিপ্ত হয় – এমন সবকিছু এড়িয়ে চলি। মনের শূন্যতা ঢাকি প্রাণপণে। মানুষের হৃদয় ভালোবাসার জন্যে কাঙাল চিরকাল। জামালের কাছে পাবো ভেবে আশাহত হয়েছি, অন্য কোথাও কারো কাছে তা পাওয়া হয়তো অসম্ভব নয়। নাজনীন না বললেও জানি। তবু প্রলোভনটা এড়াতে চাই। গান গাইতো যে নীলাঞ্জনা সুলতানা তাকে আমি আর চিনি না। অষ্টপ্রহরের সম্পাদক আমার জীবনে কেউ নয়। মুসাও না। হৃদয় বিচলিত হলে, প্রলুব্ধ হওয়ার উপক্রম হলে মনে মনে ক্রমাগত বলতে থাকি, নিশি-ঋষির মা আমি, আর কিছু নই, কেউ নই। হতেও চাই না।
জামাল আমার ছেলেমেয়েদের বাবা, কিন্তু আমার জীবনে সে এখন ঠিক কতোটুকু আছে আমি নিশ্চিত নই। এই পুরুষের জন্যে আমি কী না করেছি, কী না করতে পারতাম। বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন, চেনা সমাজ, এমনকী ধর্ম – সমস্ত ছাড়লাম একজন পুরুষের ভালোবাসার জন্যে। তার অতীত দেখতে যাইনি, জেনে উপেক্ষা করেছি। শুধু তার মনোযোগ ও ভালোবাসা ছিলো আমার চাওয়া। এখন আশা হয়তো আর নেই, তবু আশা ছাড়া হয় না। মানুষের জীবনে ওইটুকু ছাড়া আর কী অবশিষ্ট থাকে?
(ক্রমশ)
মন্তব্য
আমার মধ্যে একটা বুনো ইচ্ছা কাজ করে... জীবনটা থেকে আখের রসের মত শুধু মিষ্টতা টুকু বের করে আনি, কষ্টটুকু নাহয় আখের ছোবড়ার মত ফেলে দিলাম! একটা প্রোগ্রাম লিখতে ইচ্ছা করে... যা দিয়ে আমরা ইচ্ছামত জীবনের গল্প লিখব। ... ওই প্রোগ্রামটা কোনদিন যদি বানাতে পারি... তাহলে সেটা নীলঞ্জনাদের জন্য উৎসর্গ করে দেব।
--------------------------------
নীল রোদ্দুর
জয় হোক আপনার।
কিছু আগের একটা লেখার লিংক নিচে দিচ্ছি, যদি ফিরে এসে দেখেন এই আশা করে। আপনার ভালো লাগতে পারে।
সুখী রাজপুত্ররা আর নেই?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- ঢাকা শহরের সংসারী রমনীদের ঢালাও যে চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লেখায় সেটা কতোটা সত্য জানি না, তবে এইটুকু জানি- ঢাকার উঁচুতলার অধিবাসীদের মধ্যে এমনতর ফ্যাশনটা হালনাগাদই আছে। স্বামীকে রেখে প্রেমিককে সঙ্গে করে শপিংএ যায় মধ্যবয়সী নারী। ঐদিকে স্বামীটিও তার অফিসের কলিগ কিংবা অধঃস্তনকে সঙ্গে করে যায় গোপন অভিসারে। কাছ থেকে দেখেছি জিনিষগুলো, প্রথমে বিশ্বাস করতে কষ্ট হতো, পরে দেখলাম সয়ে গেছে।
নীলাঞ্জনা সুলতানা হয়তো উঁচু তলার বাসিন্দা হলে আরেকজন নাজনীনকেই পেতাম আমরা গল্পে। অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থানটা বোধকরি নীলাঞ্জনা সুলতানাকে কেবলই নিশি-ঋষির মা করে রেখেছে তাঁকে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর্থিক-সামাজিক অবস্থানটাই হয়তো একমাত্র বিষয় নয়। মানসিক গঠনটাও মনে রাখতে হবে, সব মানুষ এদিকেও সমান হয় না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বিষণ্ণ------------
------------- এবং থম্ ধরানো।
বহুদিন পর এলাম এখানে।
অন্য পর্বগুলো এ থেকে মুক্ত হবে আশা করি,নাকি উপন্যাসের সুরটাই এমন রাখতে চেয়েছেন? পাঠক হিসেবে আমার সমালোচনা হলো : এরকম নো ওয়ে আউট মধ্যবিত্ত নারীর গল্প আমার আর ভালো লাগেনা,পাঠক হিসেবে বহুবার দেখা বলেই হয়তো। পোড় খাওয়া বাস্তবকে আর কতবারই বা দেখতে ভালো লাগে -----আশার কিছু লিখুন না !!
অলমিতি ।
কিন্তু বাস্তব যে এরকমই। অথবা এর চেয়েও কুৎসিত তার চেহারা। যে গল্প বলতে চেয়েছি সেখানে এই চরিত্রটি ঠিক এরকমই দাবি করে বলে আমার ধারণা। আশার কথা বলা যাবে যদি সময় বদলায়। অথবা এইসব কাহিনী যদি কোনো সুখী সমাপ্তির দিকে যেতে পারে।
ধন্যবাদ আপনার পাঠ ও অকপট মন্তব্যের জন্যে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এ পর্বে কোনো কথা বলবো না ।
কেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মাঝে মাঝে এমনও হয়, - পাঠক বইয়ের কোনো এক পৃষ্ঠা পড়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে, কী ভাবে সেটা পাঠক নিজেও জানে না। বইয়ের কিছু হয়তো পাঠকের চিন্তা থামিয়ে দিয়েছে। তাই নিঃশ্চুপ কিছু সময় নেয়া। এ-ই।
কিছু সময় তো গেলো। এখন শুনি পাঠক নিশ্চুপ হয়ে বাইরে তাকিয়ে কী ভাবলো!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বিরতি পড়েছিলো পড়ায়। এক সংগে সাত-আট পড়লাম, এগুচ্ছি পরেরগুলোর জন্য।
নীলাঞ্জনার চরিত্রটি আমার ভালো লাগছে খুব।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
পড়ছেন, এতেই খুশি। এর ওপরে যদি কিছু ভালো লাগছে বলেন তাহলে তো আরো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
পড়ছি, ভালো লাগছে -- আপনার লেখা পড়লে না বললেও ডিফল্টে একথাগুলো চলে আসে ধরে নেবেন।
এখণ আপনার আগের পর্বের মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলছি,
আপনি হালকা চালের দাবী করলেও, আমি কিন্তু দেখতে পাচ্ছি লেখক বারবার চরিত্রগুলোর মনের গভীর থেকে গভীরে ঢুকে স্বগোতক্তি বের করে নিয়ে আসছেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ডিফল্ট করে নিলে ভালো লেখার চেষ্টা আর থাকবে না। লক্ষ মানুষের ডিফল্টে পড়ে হুমায়ূন আহমেদের দশা দেখেছি আমরা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ক্রমশঃ নীলার মনের গভীরে ঢুকছি...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জামাল নীলার পরিচয় কিভাবে জানার আগ্রহ হচ্ছে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন