১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারিতে মৃত্যুর আগে এটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সর্বশেষ রচনা। প্রথমে লেখা হয় ৯৬-এর ৮ ডিসেম্বর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ঢাকা সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক সম্মেলনের জন্যে লিখিত বক্তব্য হিসেবে। অসুস্থতার জন্যে ইলিয়াস উপস্থিত হতে না পারায় লেখাটি সেখানে পাঠ করে শোনানো হয়। পরে বদরুদ্দীন উমরের ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশে লেখক সম্মতি দিয়ে জানান, তিনি আরো কিছু কথা সংযোজন করতে চান। তখন তাঁর আর নিজে লেখার অবস্থা নেই, ডান হাত ভাঙা। ডিকটেশন দেবেন, গলা ও ফুসফুসের সমস্যায় কথা বলায়ও সমস্যা। তারপরেও এই রচনায় আরো কিছু সংযোজন তিনি করতে পেরেছিলেন। ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো নিচের ভাষ্যটি।
রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার আরেকজন প্রধান (এবং প্রয়াত) লেখকের এই রচনাটি প্রাসঙ্গিক মনে হলো। তাই তুলে আনা।
তথাকথিত পাকিস্তানি সংস্কৃতির অজুহাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা কখনো স্তিমিত হয়নি। বরং সরকারি প্রচারমাধ্যমগুলো রাজনীতি প্রচার ও সংস্কৃতিচর্চায় কোনোরকম ভূমিকা পালন করতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নইলে ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্ভব হল কী করে? সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় সরকারি রক্তচক্ষু বিঘ্নের সৃষ্টি তো করতে পারেইনি বরং শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের রুখে দাঁড়াবার জন্য প্ররোচিত করেছে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে পাশ্চাত্যের ব্যান্ড মিউজিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলে বোঝা যায় রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা বেড়েছে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। রবীন্দ্রনাথকে বর্জন করা কিংবা ছোট করার অপচেষ্টা এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষিত মানুষের সমর্থন পায়নি, এখনও পায় না।
এটা রবীন্দ্রনাথের প্রতি বিশেষ কোনো অনুরাগ বা ভক্তির নিদর্শন নয়। রবীন্দ্রনাথের গানের প্রধান আবেদন ব্যক্তির কাছে। এই আধুনিক ব্যক্তি যে-সমাজে গড়ে ওঠে, আমাদের দেশে সেই সমাজ এখন নির্মীয়মান। নানা কারণে এ-সমাজে ব্যক্তির বিকাশ স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক হচ্ছে না। এই সমাজগঠনের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র। কিন্তু বিদেশি সাহায্য সংস্থাসমূহের রাষ্ট্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ, তাদের পরোক্ষ উস্কানিতে ধর্মান্ধ অপশক্তির উৎপাত প্রভৃতির কারণে রাষ্ট্র যেমন শক্ত হতে পারে না, ব্যক্তির স্বাভাবিক বিকাশেও তেমনি পদে পদে বিঘ্ন ঘটে।
রবীন্দ্রচর্চায় মাঝে মাঝে যে বিঘ্নের সৃষ্টি করা হয় তার কারণ কিন্তু তথাকথিত পাকিস্তানি সংস্কৃতি নয়। বরং সাম্রাজ্যবাপুষ্ট ধর্মান্ধদের উৎপাত। এই উৎপাত কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কহীন এইসব ইতর লোকদের বিরুদ্ধে একটু সংঘবদ্ধ হলেই এরা গর্তে ঢুকে পড়ে।
সিংহভাগ শিক্ষিত মানুষের রাজনৈতিক মতামত যা-ই হোক-না কেন, একটি আধুনিক সমাজের সদস্য হওয়ার জন্য তারা উদগ্রীব। সুতরাং পঙ্গু হোক, রুগ্ণ হোক, ব্যক্তির বিকাশ এখানে কোনো-না-কোনোভাবে ঘটেই চলেছে।
এই ব্যক্তির একান্ত অনুভব সবচেয়ে বেশি সাড়া পায় রবীন্দ্রসংগীতে। তাই এই পঙ্গু বা রুগ্ণ ব্যক্তিটিকে বারবার যেতে হয় তাঁর গানের কাছেই।
রবীন্দ্রনাথ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন যে-ব্যক্তিকে তিনি শক্তসমর্থ মানুষ। আমাদের পঙ্গু ব্যক্তি রবীন্দ্রসংগীতে নিজেকে শনাক্ত করতে চায় শক্ত মানুষ হিসেবে। হয়তো এই দেখাটা ভুল কিন্তু এই ভুল দেখতে দেখতেই সে একদিন শক্ত একটি ব্যক্তিতে বিকশিত হতেও তো পারে। তখনই গড়ে ওঠে ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্ববান মানুষ দায়িত্বশীল, সে কেবল নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকতে পারে না। তাই তার চারদিকের মানুষের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে ওঠে। রাশিয়ার চিঠিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি রবীন্দ্রনাথের আকর্ষণে কোনো ভ্রান্তি ছিল না। অসাধারণ শক্তিমান মানুষ যে-কোনো জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও মঙ্গল দেখে সন্তুষ্ট হতে বাধ্য।
বাংলাদেশেও ব্যক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গান যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছে। এবং শক্তসমর্থ ব্যক্তিগঠনে এই গান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রবীন্দ্রনাথের গান মানুষকে বিপ্লবের দিকে উদ্বুদ্ধ করবে না। কিন্তু শক্তসমর্থ ব্যক্তিগঠনে রবীন্দ্রনাথের গানের ক্ষমতা অসাধারণ। শক্ত মানুষের সমবেত শক্তি মানববিরোধী অচলায়তন ভাঙার অন্যতম প্রেরণা তো বটেই।
* * * * * * * *
লেখাটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র ৩ থেকে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য
আমি ওপরের কথাটা ঠিক বুঝতে পারিনি
মুহাম্মদ জুবায়ের বা অন্য কেউ কি একটু ব্যখ্যা করবেন?
রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিকে 'শক্ত মানুষ' হিসেবে তৈরী করতে চেয়েছিলেন মানে ঠিক কি? কিভাবে সেটা তার গানে প্রকাশ পেয়েছে? এখানে শক্ত মানে কি পূর্ণ ?
স্নিগ্ধা, আপনার প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো উত্তর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্বয়ং দিতে পারতেন। আমি যতোটুকু বুঝি তা আপনাকে বলতে পারি।
আসলে আপনার প্রশ্নের উত্তর এই ছোটো লেখাটির ভেতরেই আছে। এমনকি, আপনার উদ্ধৃত অংশে, এবং প্রশ্ন আকারে আপনার মন্তব্যের শেষ বাক্যে। রবীন্দ্রনাথের গানের আবেদন ব্যক্তির কাছে যা ব্যক্তিকে ব্যক্তি হয়ে উঠতে সাহায্য করে। ব্যক্তি নিজেকে চিনতে পারে, তার মনন ঋদ্ধ হয়, সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। এই নিজেকে চেনা ও আত্মবিশ্বাস সবল ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের স্ফূরণ ঘটায়। একজন ব্যক্তির পরিচয় ও ব্যক্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠলেই সে 'শক্তসমর্থ' (আপনি যাকে 'পূর্ণ' বলেছেন) মানুষ হয়ে ওঠে। এর অভাবকেই ইলিয়াস 'পঙ্গু' ও 'রুগ্ণ' ব্যক্তিত্ব বলেছেন।
আমাদের এমন কোনো মানবিক অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষা নেই যা রবীন্দ্রনাথের গানে পাওয়া যাবে না। এই ব্যাপ্তির কারণে রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রতিদিনের জীবন থেকে কখনো আলাদা হয়ে যান না, যাবেন না।
জানি না আপনার প্রশ্নের ঠিক উত্তর দিতে পারলাম কি না, অথবা বোঝাতে পারলাম কি না। অন্যরা এই বিষয়ে কিছু বললে একটা আলোচনা হতেই পারে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
...অন্তত আমি তাই ভাবি; রবি ঠাকুরের গানের প্রধান টার্গেটই হলো ব্যক্তি মানুষ।
......মাঝে মাঝে ভোরে নাগরিক পঙ্গুত্ব নিয়ে তার কাছে যেতে ভালই লাগে; বেশ শান্তি শান্তি ভাব আসে।
......কথাতো ঠিকই।
আহা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, বড় তাড়াহুড়ো করে চলে গেলেন আপনি...! ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই লেখাটা পোষ্টানোর জন্য; আমার পড়া ছিলো না।
এই কথাগুলি আমাদের জানা ছিলো, কিন্তু ঠিক এইভাবে হয়তো বুঝিনি। ইলিয়াস বুঝিয়ে দিলেন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ মূল্যবান লেখাটি আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য।
রবীন্দ্রনাথের গানের প্রধান আবেদন ব্যক্তির কাছে। এই একটি লাইনই অনেক কিছু বলে দেয়।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তাঁর অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ-বক্তৃতায় ব্যক্তিমানুষের বিকাশ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথও তাঁর সময়ে একই ধারণা পোষণ করেছেন, প্রকাশ করেছেন। এইখানে তাঁরা মিলেমিশে যান।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
রবীন্দ্রচর্চায় মাঝে মাঝে যে বিঘ্নের সৃষ্টি করা হয় তার কারণ কিন্তু তথাকথিত পাকিস্তানি সংস্কৃতি নয়। বরং সাম্রাজ্যবাপুষ্ট ধর্মান্ধদের উৎপাত। এই উৎপাত কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কহীন এইসব ইতর লোকদের বিরুদ্ধে একটু সংঘবদ্ধ হলেই এরা গর্তে ঢুকে পড়ে।
মূল্যবান বিশ্লেষণ।
....ধন্যবাদ অমূল্য এই লেখাটি তুলে ধরার জন্য।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাইকে জাঝা
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কবে যে আবার সংঘবদ্ধ হতে পারবো!!
ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকার সময় তারে মাঝে মাঝে দেখতাম... কিন্তু কথা বলার সুযোগ হয় নাই কখনো... তার লেখাটা তুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইতিহাস সাক্ষী দেয়, সেই দিন আসতেই হবে। অন্ধকার চিরস্থায়ী হয় না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ, জুবায়ের ভাই।
রবীন্দ্রচর্চায় মাঝে মাঝে যে বিঘ্নের সৃষ্টি করা হয় তার কারণ কিন্তু তথাকথিত পাকিস্তানি সংস্কৃতি নয়। বরং সাম্রাজ্যবাপুষ্ট ধর্মান্ধদের উৎপাত। এই উৎপাত কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
উৎপাত ঠেকানো গেল কই? দীর্ঘস্থায়ী যে হয়েছে তা আর কী করলে আমরা টের পাব? মন্ত্রীমিনিস্টার হয়ে গেল। বলে, মুক্তিযুদ্ধ না সিভিলওয়ার। একাত্তরে মেরেছে, কেটেছে, রেপ করেছে, বেচে দিয়েছে। তারপরও উৎপাত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি? মানুষের মনের ভেতর দগদগে ক্ষতচিহ্ন। ধর্মের ইচ্ছামাফিক ব্যাখ্যা করে দলে দলে যুবকশ্রেণীর বিকাশ রুদ্ধ করে চলেছে আর আমরা বলছি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
আমরা কোন শ্রেণী? আখতারুজ্জামান ইলিয়াস অবশ্য বলেছিলেন যে শহুরে মধ্যবিত্তের মাঝেই সংস্কৃতি বন্দি থাকলে চলবে না। মূল স্রোত যে কৃষক, মজুর সাধারণ মানুষেরা - তাদের মধ্যে তা মিশিয়ে দিতে পারলেই সংস্কৃতি চর্চার প্রধান উদ্দেশ্য হাসিল হবে। তবেই আমরা হব সংস্কৃতিবান জাতি। তবেই আমাদের গণতন্ত্রের সাধনা, সংস্কৃতির সাধনা সার্থক হবে।
জিজ্ঞাসু
মনে রাখা দরকার যে ইলিয়াস এই লেখাটি লিখেছিলেন ৯৬-এর শেষে যখন ধর্মান্ধদের উৎপাত এমন বিকট চেহারা ধারণ করে উঠতে পারেনি। আপনি এখনকার বাস্তবতার কথা যা বলেছেন তা অস্বীকার করা হয়তো যায় না। তারপরেও বলি, এরা আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে বা সমাজনীতিতে মূলধারা হয়ে ওঠেনি, তা সম্ভব বলেও মনে করি না। এরা এখনো পরাজিতের অপরাধবোধ নিয়েই টিকে আছে। এদের যে উগ্রতা ও মারমুখী মনোভাব, তা-ও পরাজিতের আস্ফালন ও বাড়াবাড়ি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মুহাম্মদ জুবায়ের - বিস্তারিত এবং বিশ্লেষিত জবাবের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!
প্রথমতঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আমার অতি প্রিয় লিখিয়েদের একজন,
দ্বিতীয়তঃ তাঁর লেখার সমালোচনা করার মত ব্যুৎপত্তি বা ধৃষ্টতা কোনটাই আমার নেই,
তৃতীয়তঃ রবীন্দ্রনাথ 'সম্পর্কে' আমি অনেক পড়েছি (তাঁর লেখার কথা বলছি না) এমন দাবী আমি মোটেই করতে পারবো না,
কিন্তু তারপরও (সভয়ে) বলি, লেখাটাতে যে 'ব্যক্তি'র কথা বলা হয়েছে তা এতোই শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত, 'ভদ্রলোক' এর প্রতিনিধিত্ব করে যে 'চিলেকোঠার সেপাই' এর নির্মাতার কলম থেকে বেরুনো তাঁর যুক্তিগুলো ঠিক মানতে/বুঝতে পারছিলাম না। আমি ধরেই নিয়েছিলাম শক্ত = পূর্ণ, কারণ রবীন্দ্রনাথ 'শক্ত' কথাটা ঐ ধরনের নানা অর্থে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করেছেন বলে মনে পড়ে। কিন্তু এই পূর্ণতা তো বাংলাদেশের সমাজের বেশ ছোট একটা অংশের পূর্ণতা, সেটার বিস্তারের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো সামাজিক দিনবদলের আশা/ইচ্ছা প্রকাশ আমার কাছে একটু খটোমটো লাগছিলো আর কি
তবে - যাইই বলি না কেন, আমারও সব পথ এসে মিলে যায় শেষে সেই তাঁর যত গানেই
নতুন মন্তব্য করুন