আহা, কষ্টে বুক ভেঙে যাওয়ার উপক্রম!
কী ভীষণ দারিদ্র্য এই লোকটির। আর্থিক বিচারে হয়তো দারিদ্র্যসীমারও নিচে তার বাস। সারা বছরে আয় ৩২ হাজার ২০০ টাকা। এই টাকায় লোকটি কায়ক্লেশে ঢাকা শহরে একটি দামি অ্যাপার্টমেন্টে বাস করতে পারে, দামি গাড়িতেও চড়তে পারে (বোধহয় তার গাড়ি পানিতে চলে, তেল লাগে না!)।
লোকটির নাম মতিউর রহমান নিজামী।
আজকের সমকালে ছাপা হয়েছে এই রিপোর্ট ।
==========================
রিপোর্টের একটি পিডিএফ কপি যুক্ত করে রাখা হলো।
মন্তব্য
আহা! কি মহান!!
উহাদের তো জাগতিক টাকা-পয়সা লাগেনা, আসমানী টাকায় বিশেষ রহমতে দিন চলে যায়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
তাই তো!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আহা কী যে চমৎকার, আহা কী যে চমৎকার।
কী দারুণ সততা!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমার ধারণা তার হিসাবে দুদক কোন গলদ বের করতে পারবে না। জামাত পার্টি হিসাবে তার অনেক ব্যয়ভার বহন করে- যেটাকে তার নিজের আয় হিসাবে দেখানো কঠিন হবে।
এসব লোক অনেক ধুর্ত।
নীরু
দুদক গলদ বের করবে কি না বা করতে পারবে কি না, সেটা অন্য কথা। আমি এই বকধার্মিকের সততার(!) বিষয়টা বিশেষ করে লক্ষ্য করছি। এই লোক তার ভাড়া বাড়ি থেকে মাসে ৬০০ টাকা পায়। অনুমান করি, তার বাড়িটি কোনো বস্তিতে নয়। বস্তিতেও আজকাল ৬০০ টাকায় ঘর (বাড়ি তো পরের কথা) ভাড়া পাওয়া যায় না।
তার আয়ের হিসাব কেউ পাগল, নির্বোধ বা মতলববাজ না হলে বিশ্বাস করবে? ধর্মের নামে যারা নানা জিকির তোলে, এই তো তাদের সততার নমুনা!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সকালেই রিপোর্টটা পড়েছি "সমকাল" এ
আমার কাছে যে জিনিষটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেটা হচ্ছে প্রমাণ করা ।
এক্ষেত্রে দুদক কী করে তা দেখার বিষয় !
যে দেশে বিচারকরা দলীয় আনুগত্যে গদগদ এবং অনায়াসে ক্রয়যোগ্য সেখানে বিচারের ওপর ভরসা করা কঠিন। দুদক কী করবে তার নির্দেশও অন্য কোথাও থেকেই আসবে। খুব বেশি আশা সেখানেও নেই।
আমার মনে হয়, সীমিত হলেও সংবাদপত্রই বোধহয় আমাদের কিছু সত্যের সন্ধান এখনো দিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টটির পাঠককে বলে দিতে হবে না, এই লোকটি নিজের আয়-ব্যয় নিয়ে কতো বড়ো মিথ্যাচার করেছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
চলেন, জামাত করি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
পারবেন না। আপনার ঈমান কমজোর বলেই জানি!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার লেখা ও সমকালের রিপোর্ট, দু'টোই পড়লাম। অতিরিক্ত ধূর্ততা একসময় বোকামোর পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়। এবার তাই করেছে ব্যাটা!
আশা করি তার ধর্মীয় আবরণের পেছনে হাজারো মিথ্যে প্রমাণিত হবে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আদালতে প্রমাণিত হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করে কী লাভ হবে জানি না। সংবাদপত্রের কল্যাণে আমরা জানতে যে পারছি, সে-ও অনেক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ইশ!!!
কষ্টে আমার বুক ভেসে যায়!!!!!!!!!!!!!!!!! মইত্যা চুরার লাইগ্যা!!!!!!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
আহা, এমন একজন সৎ মানুষরে আপনে চুরা কইলেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমি কী কইলাম? তেনার নামই তো মইত্যা চুরা। আমার কি দুষ!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
বছেরের ১২ মাসে ৩২,৮০০টাকা মানে হল মাসে ২,৭৩৩.৩৩ টাকা প্রায় ।
আমার বাসায় কাজ করে যেই 'বুয়া' তাকে আমরা মাসে ২,৫০০টাকা দেই পারিশ্রমিক । খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বুয়ার স্বামী বিভিন্ন জায়গায় কাজ কর্ম করে পান আরো ৩,০০০টাকা প্রায় । সব মিলে তাদের সুখের সংসারে মোট আয় ৫,৫০০টাকা যা গাড়িচড়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম বাংলাদেশের একজন বিরাট রাজনীতিবিদের থেকেও বেশি । আমাদের দেশ আক্ষরিক অর্থেই সোনার বাংলা হয়ে গেছে । গন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে । খেটে খাওয়া মানুষেরা অনে -এ-এ-এ-ক আয় করা শুরু করে দিয়েছে । আহা কি আনন্দ ।
- এনকিদু
রাজাকারদের কত খেইল! ভন্ডামী আর কারে কয়! হালার হালা চোরের বাচ্চা চোর।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমি বুঝতে পারছি না আপনারা সবাই এত নিষ্ঠুর কিভাবে হচ্ছেন??!! এনকিদু'র মন্তব্য পড়ে আমার তো মনটাই খারাপ হয়ে গেল! দেশের খেটে খাওয়া লোকজনও কিনা এখন নিজামীর চাইতে বেশী রোজগার করে !!
যাই, এসব সচলায়তন ফচলায়তন বাদ দিয়ে নিজামীর জন্য চাঁদা উঠাতে বেরিয়ে পড়ি - আহা রে বেচারার দুঃখে আমার মনটাই ভেঙ্গে গেল
স্নিগ্ধা আপু,
মন খারাপ করেন কেন, ভাল দিকটাও তো আমার মন্তব্যে ছিল । দেশ সোনার বাংলা হয়ে গেছে - এই লাইনটা কি আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে ?
যাই হোক, চাঁদা যদি তুলতেই চান তাহলে এই যে আমি দুইটা পঞ্চাশ পয়সায় মোট একটাকা দিলাম । আজকাল আবার ভিক্ষুকেরা পঞ্চাশ পয়সা নিতে চায় না । অনেকদিন ধরে পড়ে ছিল মানিব্যাগে ।
তবে এই পয়সায় আমার দেশের জাতীয় প্রতীক আছে । জিনিসটা নিজামীর হাতে না পড়লেই মনে হয় ভাল হত । যাউক গা , দিলাম আর কি দয়া করে ।
-এনকিদু
দু' দু' খানা পঞ্চাশ পয়সা ?!? আহা দাদা, আপনি আমার দুশ্চিন্তা ঘুচালেন! যাই এবার হিজাব কিনতে যাই, বলা তো যায় না কখন দেশে গিয়ে চাকরী বাকরি করতে হয়, আর তদ্দিনে হয়তো সবখানেই হিজাব পড়া বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে!!!
একি!!!!
আপনি না নিজামীর জন্য চাঁদা তুলছিলেন ? এখন আবার সেই টাকা দিয়ে নিজের জন্য হিজাব । আপনিও সম্পদ আত্নস্যাৎ করা শুরু করলেন দেখি ।
নাহ ! এই সমস্ত 'নিজামী' জাতীয় নাম গুলাই কুফা । ভাল মানুষকেও খারাপ বানিয়ে ফেলে
- এনকিদু
দেখছেন কতো কম পয়সায় ঢাকা শহরে বাড়ি গাড়ি করে থাকা যায় ।
আপনারা খালি বলেন আমরা গার্মেন্টস কর্মীদেরকে কম বেতন দেই ।
আহারে... ।
সব উপরওয়ালার দান। মাওলার কেরামতি কে বুঝে?
নতুন মন্তব্য করুন