দুপুরে একটা মিটিং আছে, তার আগে লাঞ্চ সেরে নেওয়ার কথা ভাবছি। এই সময় মেয়ের ফোন। উত্তেজিত কণ্ঠ তার।
বাবা, ইউটি অস্টিন আমাকে অ্যাকসেপ্ট করেছে।
তার আবেগ-উত্তেজনার অংশীদার আমিও। বলি, তাহলে তো একটা উৎসব করে উদযাপন করতে হয়।
আবেগে মেয়ের গলা বুজে আসছে। কোনোমতে বলে, আমি এতো খুশি! আমি কাঁদছি।
কোনোকিছুতে সম্পূর্ণ একাগ্রতা অথবা যুক্তিরহিত গোঁয়ার্তুমির সফল পরিণতি ঘটলে এরকম আবেগ চলে আসার কথা। মেয়ের ইচ্ছে, সে সাংবাদিকতা পড়বে। University of Texas at Austin-এর এ বিষয়ে সুনাম আছে। সেখানে সে আবেদন করে বসে থাকলো। কোনো কারণে এখানে তার ভর্তির ব্যবস্থা না হলে একটা বিকল্প থাকা যে দরকার, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলো। সে কানেও তোলে না। এক কথা তার, অস্টিনেই যাবো আমি। এই বোকা মেয়েকে নিয়ে করি কী! বিকল্প কিছু সে ভাবলোই না। ইউটি অস্টিনে আবেদন করার পর সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত সারাক্ষণ সে অনলাইনে তার আবেদনের ফলাফল এলো কি না দেখে। শেষ পর্যন্ত খবর পাওয়া গেলো গতকাল, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে সে গৃহীত হয়েছে।
মেয়ের বাবা-মা হিসেবে আমরাও যে যথেষ্ট বোকা, তা এখানকার পরিচিত বাঙালিদের অনেকেই বিশ্বাস করেন। নিজে থেকে বলার দরকার হয় না, সামাজিক সাক্ষাতে প্রশ্ন শুনতে হয়, মেয়ে কী পড়বে? সাংবাদিকতা কেন, কমপিউটার বিজ্ঞান বা ব্যবসা প্রশাসন, নিদেনপক্ষে হিসাব বিজ্ঞান কেন নয় – এরকম পরোক্ষ হতাশা প্রকাশ করেন অনেকে। কেউ কেউ এমনও ইঙ্গিত দেন, বাবা-মা হিসেবে আমাদের উচিত এ বিষয়ে তাকে নির্দেশনা দেওয়া।
ক্যালিফোর্নিয়াবাসী এক কবিবন্ধু মেয়ের সাংবাদিকতা পড়ার আগ্রহ জেনে ঠাট্টা করে বলে, নাপতালিটা তুমিই করলে? তোমার লেখালেখির আগ্রহটা ওর মধ্যে দেখতে চাও, তুমিই ওকে উৎসাহ দিয়েছো।
কী করে বোঝাবো, সে নিজে তার জীবন যাপন করবে, আমরা নই। তার প্রবণতা ও আগ্রহের অনুগামী হবে সে, যে সুযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের বাবা-মা আমাদের দিতে চাননি, আমরা পাইনি। এই বিজ্ঞ শুভার্থীদের জানানোর দরকার মনে করি না যে, কথা ফোটার বয়স থেকে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের মতামত সবসময় মান্য না করলেও জিজ্ঞেস করার ব্যবস্থাটা চালু রেখেছি। এমনকি প্রতি বেলার খাবার কী চায়, তা-ও তাদের মর্জি অনুযায়ী হয় সাধারণত, তাদের কখনো বলা হয়নি, টেবিলে যা আছে তাই চুপচাপ খেতে হবে। আমাদের আত্মীয়-বন্ধুসহ অনেকে এটাকে বাড়াবাড়ি রকমের আদিখ্যেতা বলে মনে করেছেন, এখনো করেন।
এর বিপরীতে আমার অভিজ্ঞতা এরকম যে, সব বিষয়ে তাদের মত জানতে চাওয়া এবং তাদের মনোভাবকে মূল্য দেওয়ার একটা অসাধারণ ও অমূল্য প্রতিক্রিয়া ঘটে। তারা আত্মবিশ্বাসী হতে শেখে এবং তার প্রতিফলন ঘটে তাদের ব্যক্তিত্বে। তারা বুঝতে শেখে, তাদের আস্থায় নেওয়া হচ্ছে এবং সেই আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতি অনুগত হওয়াটাই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। বয়স যা-ই হোক, ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি সব মানুষকেই শুদ্ধ হতে সাহায্য করে।
এ দেশে টিন-এজারদের নিয়ে সব বাবা-মাকেই কিছু সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। অনভিজ্ঞতা ও অজ্ঞানতাজনিত এবং বয়সোচিত ছোটোখাটো দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এই আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত মেয়ে আমাদের কিছুমাত্র হতাশ করেনি দেখে মনে হয়, ছেলেমেয়েদের বিষয়ে বোধহয় আমরা ভুল কিছু করিনি। মেয়ে বৃহত্তর পৃথিবীর জন্যে প্রস্তুত বলে বিশ্বাস করতে ভরসা পাই।
কবিবন্ধুকে বলা হয়নি, এই মেয়ে পনেরো বছর বয়সে One Hundred Years of Solitude, Chronicle of a Death Foretold, No One Writes to the Colonel পড়ে মার্কেজকে প্রিয় লেখকের তালিকায় তুলে ফেলেছে। কাফকার লেখা ও জীবন তার কাছে বিস্ময়ের আধার। ঝুম্পার The Namesake-এ সে নিজের সংকটের সাযুজ্য পেয়ে যায়। নিজের মতো লেখালেখিও করে, যদিও কাউকে দেখাতে অনিচ্ছুক সে। তার কিছু কিছু নজরে এলে মনে মনে স্বীকার করে নিয়েছি, ঐ বয়সে ওরকম উপলব্ধির বা লেখার ক্ষমতা আমার হয়নি। গত বছর তার একটি লেখার নমুনা সচলে তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারিনি।
আসলে সে নিজেই নিজেকে তৈরি করেছে। বাবা-মা হিসেবে আমরা সেখানে শুধু সঙ্গত করে গেছি।
মেয়ে তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবে, এই প্রাথমিক আনন্দের আতিশয্য কেটে গেলে এক ধরনের বিষাদের মেঘ মাথার ভেতরে ঘন হয়ে উঠতে থাকে। মনে হয়, মেয়েটা চলে যাবে!
বেশি দূরে সে যাচ্ছে না, মাত্র দুশো মাইলের দূরত্বে। যাওয়া-আসা নিয়মিতই হবে। তবু এ-ও তো সত্যি, এই যে তার বাইরের পৃথিবীতে যাত্রা শুরু হলো, সে আর আমাদের কাছে ফিরবে না। একদা আমরাও আমাদের বাবা-মায়ের পরিচিত ছায়া থেকে বহির্গত হয়ে গিয়েছিলাম। আর ফেরা হয়নি। হয় না। আমাদের মেয়েরও সেই যাত্রা শুরু হবে এখন থেকে ঠিক দু’মাস পর।
মনে মনে রড স্টুয়ার্টের একটি গানের দুটি পঙক্তি আওড়াই (খুব ছোটোবেলায় এই গানটি মেয়ের খুব প্রিয় ছিলো):
When you finally fly away
I’d be hoping that I’ve served you well
For all the wisdom of a lifetime
No one can ever tell…
মন্তব্য
এই কান্না স্থায়ী হোক। এই রকম ছিছকাঁদুনে মেয়ে গুলো বাবা পাগল হয়। বাবা মেয়ে দুজনকেই অভিনন্দন।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আনন্দের কান্নাগুলিই বোধহয় সবচেয়ে বিশুদ্ধ। এবং তৃপ্তিকর।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অভিনন্দন এমন মেয়ে ও তার বাবা মায়ের জন্য।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
দেখা যাক, এই গল্পের বাস্তব নাট্যরূপটা ঠিক কীরকম হয়! দু'মাস পরে মঞ্চায়ন।
স্বীকার করতেই হবে, মূল পোস্টের চেয়ে তোমার গল্পটা অনেক বেশি ভালো হয়েছে। প্রশ্ন হলো, মন্তব্যের মাস্তানি ছেড়ে লেখালেখিতে মন দিলে কী হয়?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেয়ে, সেই সাথে তার মা ও বাবাকেও অভিনন্দন
বাবা ও মেয়ের জন্য গান
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
অসংখ্য ধন্যবাদ। গানটা আগে শুনিনি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ডোরাকে অভিনন্দন !
ও ভাই স্নিগ্ধা, এই নামটা তুমি কোথায় পেলে? আমার কোনো লেখায় কি উল্লেখ ছিলো? মনে পড়ছে না। এতোসব জঞ্জাল লিখি যে, মনেও থাকে না!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
।।
আপনার আগের কিছু লেখা পড়ে ভেবেছিলাম আপনি হয়তো মাহবুব মোর্শেদ ভাই বা আরিফ ভাইয়ের সমবয়সীই হবেন। আর আপনার মেয়ে কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে...তাই প্রথমে এই ব্লগে ঢুকে একটু হালকা পাতলা টাসকি খেয়েছি...
আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা ও অভিনন্দন রইল...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
হায় হায়! ঝাঁকে মিশে বেশ ছিলাম, এখন জেনে গেলেন তো!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অভিনন্দন জানাই আইরিস জুবায়েরকে। শুভকামনা রইলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের জন্যে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বাবার ভার্চুয়াল বন্ধুদের শুভকামনায় মেয়ে কৃতজ্ঞতায় গলে যাচ্ছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
শুভেচ্ছা।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
আপনাদের শুভকামনাগুলি তার সঙ্গী হয়ে থাক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেয়েগুলো এতো তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায় কেনো? আমার মেয়েটা, সেদিনের এই এতোটুকুন ছোট্ট নদী, কতো দ্রুত বড় হয়ে গেলো! কানাডার একটি ইউনিভার্সিটিতে mass communication এ একটি বছর পারও করে ফেললো!আপনার আইরিশ আমার নদীর থেকে বছর তিনেক ছোটই হবে। মেয়েটা চলে যাবে টাইপের রচনা লিখে এভাবে হূদয়ে বৃষ্টি নামাবেন না তো ভাই মুহম্মদ জুবায়ের।
এমনিতেই পেরেশানিতে আছি আর তার ওপর অরূপের কান্ড দেখেন--দু’মাস পরের বিষন্ন সেই সকালের ছবিটা জলরঙে ঠিকঠাক এঁকে বসে আছে! কোনো মানে হয়!!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনি এখনো ভাগ্যবান যে নদী এখনো ঘর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। দিনশেষে তার দেখা আপনারা ঠিক ঠিক পান। অরূপ-রচিত স্ক্রীপ্টের অভিনয় সম্পন্ন হলে আমার সে সুযোগও আর থাকবে না। বিষাদের গল্প না লিখে আমার উপায় কী?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার মেয়েকে অভিনন্দন।
আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মেয়ের উপর জোর করে কোন বিষয় (পড়ার জন্য) চাপিয়ে না দেয়ার জন্য।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
শুধু পড়াশোনা নয়, কোনোকিছুই তার ওপরে কখনো চাপিয়ে দিইনি। এখন পর্যন্ত ঠিক বলেই মনে হয়, তবে সময়ই বলবে চূড়ান্ত বিচারে সেটা ঠিক না ভুল ছিলো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এই লাইনগুলির জন্য স্যালুট ... কেন যে সব বাবা-মা এইটা বোঝে না
আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তে ছেলেমেয়েদের জীবনে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে - এরকম গণ্ডা গণ্ড উদাহরণ আমাদের সবারই জানা আছে। তারপরও মানুষ নিজের ছেলেমেয়ের বেলায় সব ভুলে গিয়ে একই ভুল করে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বাবা মা কে গর্বিত করার মত আনন্দ আর অন্য কিছুতে নেই।
আপনার মেয়ের জন্য শুভ কামনা।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভকামনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, রেনেট।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বাহ! খুব সুইট, মেয়ে, মা ও বাবাকে অভিনন্দন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আপনাকে ধন্যবাদ, মুমু।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অভিনন্দন
রঙিন অভিনন্দনের জবাবে সাদা-কালো অভিনন্দন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
লেখা এবং মন্তব্য মিলিয়ে পুরো লেখাটাই অসাধারণ !
আগে আমার ধারণা ছিলো শুধু মাত্র আমাদের মত গরীব দেশেই বাবা মা কে ছেড়ে এরকম পড়াশোনা করতে হয়। কিন্তু একটু বড় হওয়ার পর দেখলাম, ঘাস আসলে বেড়ার কোনদিকেই বেশি সবুজ না !
যাই হোক, জুবায়ের ভাই , আপনাকে এবং আপনার মেয়েকে অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন ! আশা করছি তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন চমৎকার কাটবে।
আর মন্তব্যের মধ্যে অরূপ ভাই এর লেখা তো আছেই, রেনেট ভাই এর মন্তব্যটাও দারুন লেগেছে। সত্যিকার অর্থেই বাবা মা কে গর্বিত করার মত আনন্দ আর কিছুতেই নেই, কিছুতেই না !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রাণীজগতে অন্য সব প্রাণীরা তাদের শাবকদের একটা বয়সে নিজেদের মতো করে চরতে-ফিরতে পাঠায়। শুধু মনুষ্য-প্রজাতির বেলায় এই প্রক্রিয়াটি কিছু অনিচ্ছাপ্রসূত। কিন্তু অনিবার্যকে এড়ানো তো আর যায় না!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মায়ের কাছে থাকব বলে, বাবার সাথে ন্যাওটামি করব বলে সবসময় মফস্বলেই পড়ে থাকলাম।
বন্ধুরা ঢাকা গেল, আমি সিলেটে। (মাঝখানে কয়েকমাস অবশ্য রাজধানীতে থেকেছিলাম। পোষায় নি।)
বন্ধুরা দল বেঁধে বিলেতে গেল। আমি পাসপোর্টই করলাম না! কেন?
বাবার গামছার ঘ্রানটা রোজ নেব বলে। আম্মার পেটে মুখ ডুবিয়ে ঠান্ডা অনুভব নেব বলে।
আমার যখন বাবা হবার সময় হল, রোজ একবার করে প্রার্থনা করি, আমার যেন ছেলে হয়। বউ চায় মেয়ে। আমার মায়ের সারা জীবনের শখ ঘরে একটা টুকটুকে মেয়ে থাকবে। নাতনি দিয়ে সে আশা পুর্ণ করার খায়েশ তার। আমি উল্টা জপি, ছেলে হোক, ছেলে হোক, ছেলে হোক... বউ ক্ষেপে যায়। গড়পড়তা মানুষ বলে খোটা দেয়। আমি বলি, খায়া দায়া আর কাম নাই, আমি পাইলা পুইষা বড় করুম, আর একদিন ফুরুৎ করে কার না কার কাছে চলে যাবে। হ্যা একটা মেয়ের জন্য প্রচন্ড আকুলি থাকার পরও শুধু এই একটা কারনে ছেলের বাবা হলাম! এই ছেলে কি আমার মত বাবার পাশে থাকার জন্য পাসপোর্ট না করিয়েই একটা জীবন পার করবে? নাকি ১০ ক্লাস পাস দিয়ে রাজধানী আর তারও দু কিংবা ৪/৫ বছর পর আরও দুর কোথাও উড়াল দেবে?
জুবায়ের কন্যার জন্য শুভ কামনা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাবা-মা'র কাছে কাছে থাকার জন্য আমাকে নিয়ে মজা করতেন আমার এক চাচী। মুখে তুলে মা খাইয়ে দিয়েছেন কলেজে ওঠার পরেও। উনি বলতেন বিয়ের পরে কে খাওয়াবে? আমি এসবে কান দিতাম না। প্রতিটি ছোট কাজেও মার অনুমতি নিতাম... মা, গোসলে যাবো? মা, টিভি দেখবো? খালারা হাসতেন।
একদিন বাজি লাগলাম কিছু বন্ধুদের সাথে। তিন মাসে আমেরিকা-কানাডার স্কুলে অ্যাডমিশন আর ভিসা পাওয়া সম্ভব। ওরা হাসলো। আমার জিদ চাপলো।
বাবাকে বললাম। উনি বললেন প্রশ্নই আসে না। আমি বোঝালাম, অ্যাডমিশন আর ভিসাই নেবো শুধু... দেশ ছেড়ে যাবো না কোথাও। বাবা বললেন তাই যদি হবে, তাহলে কর।
তিন মাসেই টোফেল-অ্যাডমিশন হয়ে গেলো। ৯/১১ ও হয়ে গেলো। বাবা ভয়ে আমাকে আমেরিকার অ্যামবেসিতেই যেতে দিলেন না। কানাডার ভিসা হয়ে গেলো।
তখনো ঠিকঠাক আমি কোথাও যাবো না। কিন্তু খবর ছড়িয়ে গেলো। আত্মীয়রা ভিড় করলেন। তাঁদের কথা, ভিসা পেয়েছে যখন তখন যাওয়াটাই উত্তম। মাত্র ক'বছরের ধাক্কা। গ্র্যাজুয়েশন শেষেই চলে আসবে।
এরপর...??
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
হা হা , নজমুল ভাই আর অমিত ভাই, আমি এখনো এই আশাতেই বলি যে, বাবা মা কে ছেড়ে কোথাও যাবো না। কি দরকার বি এস সি র পর আরো পড়াশোনা করার। এরই মধ্যে সুর একটু একটু পাল্টেছে, ভাবি, যাই না হয় বিদেশে ২-৩ বছর থেকে একটা গালভারী ডিগ্রী এনে ঘরের ছেলে আবার ঘরে এসে পড়বো।
জানি এও একদিন মুছে যাবে ধীরে ধীরে, সব ইচ্ছেগুলিই আস্তে আস্তে ধূলির আস্তরণে চাপা পড়ে যাবে। খানিকটা যেন পূর্বনির্ধারিত নিয়তির দিকেই হেঁটে চলেছি, আর মনে প্রানে চাইছি যেন সে দিকে না যাওয়া লাগে।
কি বিচিত্র এ পৃথিবী !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
@ নজমুল আলবাব, মেয়ে পরের ঘরে চলে যাবে, আর ছেলে বাপের পাশে থাকবে - এটা বোধহয় আজকের পৃথিবীর বাস্তবতায় খুব উপযুক্ত চিন্তা নয়। আমাদের পরিবারের উদাহরণ থেকেই জানি, আমরা তিন ভাইয়ের কেউই বাবা-মায়ের পাশে তেমন করে থাকিনি, যেমন থেকেছে আমাদের বোনটি।
বয়সকালে ছেলেমেয়েরা উড়াল দেবে, দিতে হয়ই - এই বাস্তবতা মনে না রেখে উপায় কী!
@ অমিত আহমেদ, এর পরের কাহিনী আমরা জানি ।
@ সবজান্তা, যথাকালে পরিণতি দেখা যাবে ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নজমুল ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে মনটা এমন ভার হয়ে গেলো...আহারে সেই তো আদরের বাবাটাকে ছেড়ে আসতে হলো। মেয়ে বলেই নয় হয়ত...এমনই হয়ত হয়। নজমুল ভাই, আপনার মত হতে পারলে আর কিছু না হলেও কাছে থাকার শান্তিটা পেতাম।
জুবায়ের ভাই, আপনার মেয়ের জন্য শুভকামণা। তার মনের ইচ্ছা পূর্ণ হোক। আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আজীবন ঠিক এমন সম্মান পেয়েছি নিজের ইচ্ছাপূরণে। আপনার, মেয়ে এবং মেয়ের মা- সবার জন্য শুভকামণা।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বয়সকে বিবেচনায় না নিয়ে প্রত্যেককে ব্যক্তি হিসেবে দেখা এবং সম্মান করা উচিত, মনেপ্রাণে আমার এই বিশ্বাস।
ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্যে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেয়েকে দুটি অভিনন্দন। প্রথম কারন, সে তার স্বপ্নকে সে সফল করতে পেরেছে স্বীয় মেধা ও যোগ্যতা বলে। দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহের কারনে।
মেয়ের বাবা-মা কেও শ্রদ্ধা কারন তারা তাদের সন্তানকে সত্যিকার অর্থেই যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।
দ্বিতীয় অভিনন্দনে ধারণা করছি, আপনি সাংবাদিকতা পেশায় আছেন। তাই কি?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
প্রথমেই আপনার মেয়েকে অভিনন্দন জানাতে চাই সাথে আপনিও এর ভাগিদার।দু'জনের জন্যই রইল আন্তরিক শুভকামনা।
অভিনন্দনের ভাগ পেয়েছি এতেই খুশি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ডোরাকে থুক্কূ আইরিশ কে অভিনন্দন
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সুখবর, সুখবর! আপনার মেয়ে যে অস্টিনের ছক্কা মারবে, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। অভিনন্দন!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
তোমার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অনেক অনেক অভিনন্দন!
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অনেক খুশির খবর, মন ভাল হবার মতই, কিন্তু আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। নিজের কথা ভাবি, ক্লাস সেভেনে বাড়ির বাইরে যাওয়া হলো প্রথম। ছোট ছিলাম, তখনো বুঝিইনি যে সত্যিকার অর্থে আমার আর কখনো, আর কখনোই বাড়ি ফেরা হবে না। ইশকুল, কলেজ ভার্সিটি পার করে এখন বৈদেশ, নিজের বাড়ি ফিরতে না পেরে সবখানে বাড়ির ছায়া খুঁজে বেড়াই, তেমন লাভ হয় বলে মনে হয় না।
*
আইরিস জুবায়েরের জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা। ....এন্ড মাইলস টু গো বিফোর ইউ স্লিপ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমার সবচেয়ে ছোটো ভাইও ক্যাডেট কলেজে পড়তে যায়, যথারীতি অল্প বয়সেই। সেই থেকে সে ঘরছাড়া, আর ফিরলো না। আমার সারা জীবনের আক্ষেপ, তার বেড়ে ওঠার কালে আমার কাছ থেকে, পরিবারের আর সবার কাছ থেকে যে আদর-ভালোবাসা-প্রশ্রয় পাওয়ার কথা ছিলো - তা সে কোনোকালে পেলো না। ছুটিতে-পরবে তো তার সব পুষিয়ে দেওয়া যায় না! উড়াল একসময় সবাইকেই দিতে হয়, একটু দেরিতে হলে কী ক্ষতি!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেয়েটা চোখের সামনে বড় হচ্ছে... এখন দৌড়ে দৌড়ে চলে আসে... আমার সাথে দুষ্টুমি করে... ধীরে ধীরে সেও একদিন ভার্সিটিতে যাবে!!!
যতই দিন যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে পৃথিবীতে এখন বুঝি আমার একটাই কাজ... একটাই দায়িত্ব... যে প্রাণীটাকে পয়দা করেছি সেটাকে মানুষ হিসেবেই পৃথিবীর বাজারে রেখে যাওয়া। সামনের সেই অসম্ভব পৃথিবীতেও যেন ঠিকঠাক থাকতে পারে তার জন্য গড়ে তোলা। এতদিন নিজের জীবনটাকে কঠিন লাগতো... এখন কন্যার আগামী জীবনটাকে তারচেয়ে দূরূহ লাগে বেশি... মাঝে মাঝে দিশে হারাই... ওর মায়ের সাথে তর্ক হয়...
এখনি এই... বড় হইলে যে কি হবে????
জুবায়ের ভাই... এইরকম লেখা আরো লেখেন... অন্তত শিখি কিছু...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভবিষ্যতের দিনের জন্যে, বৃহত্তর পৃথিবীর জন্যে ছেলেমেয়েদের উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করা ছাড়া বাবা-মা আর কী করতে পারে?
যা কিছু লেখালেখি করি, নিজের কথাই তো ঘুরেফিরে লিখি। যদি তা কারো কিছুমাত্র কাজে লাগে, তার চেয়ে বড়ো পরিতৃপ্তি আর কিছু নেই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ও দেখেন কি স্বার্থপরের মতো খালি নিজের কথা বলছি... আপনার মেয়েকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুভ কামনা।
আইরিশ জুবায়েরকে অভিনন্দন। অস্টিনের সাংবাদিকতা শিক্ষা তাকে নিশ্চই বিখ্যাত সাংবাদিক-লেখক করে তুলবে। তার কুশলী লেখার যে নমুনা আমরা দেখেছি সচলে। সেই লেখার স্ট্রাকচার বা কাঠামো অত্যন্ত সুবিন্যস্ত, আমাদের দেশের নামী-দামী অনেক লেখকই এরকম বিন্যাসে কাঁচা। আইরিসের লেখা পড়ে ভেবেছিলাম লেখালেখি নিয়ে নিশ্চই তার পড়ালেখা আছে। আগ্রহ যে আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সাংবাদিকতা নিশ্চই তার পছন্দের পেশা। কিন্তু ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এ যদি সে পড়া লেখা করে, অথবা মাস্টার্স করে, তবে আমরা আরেকজন 'ঝুম্পা লাহিড়ি' পেয়ে যাবো - এ নিশ্চিত।
আইরিশকে অনেক অভিনন্দন। ওর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও পাঠ ওর স্বপ্নের মত নির্মল সুন্দর হোক।
চমৎকার পোস্টের জন্য মুহাম্মদ জুবায়েরকে শুভেচ্ছা। অরূপের অনুগল্প আর নজমুলের মন্তব্যটাও মারাত্মক। হঠাৎ করে সচলায়তনে উঁকি দিয়ে মনে হচ্ছে আরো কয়েক সপ্তাহ এরকম মনছোঁয়া লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি না - এটাই এক বিরাট যন্ত্রণা।
নদী দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে শুনে আরেক ধাক্কা খেলাম। দিন এভাবেই যায়..।
আশা করি পড়ালেখা শেষে আইরিস আরো দূরে চলে যাবে না...
চ------------ম-----------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অনেককাল পর আপনার দেখা পাওয়া গেলো!
মেয়েকে এখনো পর্যন্ত সৃজণশীল লেখায় আগ্রহী দেখা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত থাকে কি না দেখা যাক। পড়াশোনা, পেশা এইসব সে-ই ঠিক করুক।
ধন্যবাদ আপনার পাঠ ও মন্তব্যের জন্যে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ভালো থাকুক সবাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেয়ে দুটো দুষ্টুমি করতে করতে বড় হয়ে যাচ্ছে। ওরা এখন আমার খবর দেখাতে বাগড়া দেয়। আমি এমনিতে ভবিষ্যত নিয়ে খুব ভাবতে পারি না। জুবায়ের ভাইয়ের লেখা সেই ভাবনাটা ভাবিয়ে দিলো।
বাবা মেয়ে দুইজনকেই অভিনন্দন।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এই যে তারা আপনার প্রতিদিনের কাজে বাগড়া দিচ্ছে, আপনাকে হয়তো কখনো কখনো বিরক্তও করছে, একটা সময় আসবে যখন এইসবই মিস করতে থাকবেন। তখন চাইলেও আর এসব পাওয়া যাবে না!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অভিনন্দন ও সমবেদনা।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দুটোই নিচ্ছি সমানভাগে ভাগ করে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার বাচ্চাদেরকে বড়ো করে তোলার ধরণটা ভীষন ভালো লাগলো, জুবায়ের ভাই। আমাদের সব বাবা মাদের চাপিয়ে দেবার স্বভাবটা কবে যে যাবে !
লেখাটা পড়ে এই বাবাটার জন্য মন খারাপ লাগছে। গর্বের-ও তো ব্যাপার, তাই না? এইসব আনন্দ মেশানো কষ্টগুলো যেন কেমন।
আমার বাবার কাছে যখন যাই, মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু পরিষ্কার বোঝা যায়, চাইছেন আরো কিছুক্ষণ থাকি।
আপনার মেয়েটাকে শুভকামনা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই অনুভবের জবাব নেই!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার মেয়ের লেখার হাত আপনার চেয়েও ভাল। যা করেছে ভালই করেছে। সাংবাদিকতায়ই পড়া ভাল। অভিনন্দন রইলো।
জানি তো! মনে না করাইলে কী ক্ষতি হইতো?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
তা ঠিক, মনে না করালে কোন ক্ষতিই হত না। তবে আমি চোখ বুঁজে এখান থেকেই দেখতে পারছি আমি গর্বে মিটিমিটি হাসছেন। সেটাই কম কী?
শুভ হোক নতুন পথ চলা। অভিনন্দন......
-নিরিবিলি
নতুন পথ আনন্দের সঙ্গে বিষাদও আনছে। দুটোই মানতে হবে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- আপাতত দুশো মাইলের ব্যবধানটা কাটিয়ে উঠুন আমাদের মতো হতভাগাদের দেখে। আপনি ও আইরিস, একই সীমা রেখায় থাকছেন- সান্ত্বনা হিসেবে যথেষ্ট না হলেও মন্দ কী!
বাবাকে নিয়ে আইরিসের লেখাটাই জানান দিয়েছিলো সে আসছে। ইউটি অস্টিনের হাত ধরে আইরিস জুবায়ের পৌঁছে যাবে সারা পৃথিবীর শত-কোটি মানুষের কাছে, আপনার প্রতিনিধি হয়ে, আমাদের প্রতিনিধি হয়ে। এমন দিনে আপনিতো অবশ্যই, ভার্চুয়ালী সম্পর্কায়িত আমরাও গর্বিত হতে চাই।
অন্য অনেক অভিভাবকের পথে না এগিয়ে আমাদের এই গর্বের সুযোগটি করে দিয়েছেন বলে আপনাকে অনেক কৃতজ্ঞতা আর আইরিস জুবায়ের-এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিনন্দন সহ শুভকামনা তো আছেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুশো মাইলের ব্যবধান মানছি। কিন্তু এই দূরত্বটা এক অর্থে চিরস্থায়ী হয়ে যাওয়ার সূত্রপাত, বেদনার জায়গাটা সেখানেই। তবু তা-ও মানতে হবে। সে বৃহত্তর পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাবে, আমরা তখন দূরের দর্শকমাত্র।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
শ্রদ্ধাস্পদেষু
কন্যাগর্বে গর্বিত, বিচ্ছেদ বেদনায় গ্রস্ত - আমার নিজের মা'ও ঠিক এমনি, চিরন্তনের টান বোধ করি, কন্যা হিসেবে ধারণা করতে পারি আপনার আত্মজার অনুভূতির তীব্রতা কোথায়। কোনোদিন মা হলে হয়তো মা/বাবার টিও পারবো .. .. .. .. অভিনন্দন তাঁকে এবং আপনার পিতৃত্বকেও ।
একদম সঠিক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
প্রাণছোঁয়া লেখা।
অভিনন্দন মেয়েকে ও মেয়ের গর্বিত বাবাকে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন