ওবামাকে এখন কি আর দেবদূতের মতো শোনাচ্ছে? গত দিন দুয়েক ধরে শুনছি, মার্কিন ধর্মীয় মোল্লাদের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন তিনি। আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ওবামা। রিপাবলিকানদের ধর্মভিত্তিক ভোটে ভাগ বসানোর জন্যে নাকি এটা তাঁর কৌশল। সেজন্যে এভানজেলিস্টদের সঙ্গে ওবামা সাক্ষাৎ করছেন, চার্চে চার্চে হাজিরা দিচ্ছেন। কয়্যারের সঙ্গে মাথা দোলাচ্ছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি আট বছর আগে – জুনিয়র বুশ নির্বাচিত হওয়ার পর। বুশ দ্বিতীয় দফা নির্বাচিত হলে এই ঔদাসীন্য রীতিমতো বৈরাগ্যে পরিণত হয়। ফলে, এবারের নির্বাচন বিষয়ে বিশেষ কান পাতিনি। টুকরো-টাকরা যা ছিটকে কানে আসে, তা মরমে পশে না। তবে ডেমোক্র্যাটদের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা দুই প্রার্থী কিছু আগ্রহ তৈরি করার কারণ ঘটিয়েছিলেন। হিলারি ক্লিনটন বা বারাক ওবামা – এই দু’জনের যে কোনো একজন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেই আমেরিকায় একটা ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে যাবে। আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ বা নারী কখনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন পাননি, এতোটাই পুরুষশাসিত ও বর্ণবিদ্বেষী এদের ইতিহাস।
ওবামার ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন নিশ্চিত হলে সমর্থকরা উল্লসিত হয়। ওবামা সত্যি সত্যি নতুন কিছু করবেন বলে তারা বিশ্বাস করতে শুরু করে। এই প্রার্থী তাঁর অসাধারণ বাগ্মিতার গুণে আমেরিকাকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হন যে তিনি পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
তাঁর সাম্প্রতিক মোল্লা-ভজানো কথাবার্তা শুনে অনেকে এখন বিস্মিত ও অপ্রস্তুত। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই হতাশ। মার্কিন দেশে মোল্লাদের ঠিকানা রিপাবলিকান শিবির, ডেমোক্র্যাটরা কখনো তাদের আস্থা পায় না, তারা নিজেরাও মোল্লাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে গা করেনি। ডেমোক্র্যাটরা তাদের উদারপন্থা নিয়ে সন্তুষ্ট ও গর্বিত ছিলো, যদিও এ দেশে লিবারেল হওয়া এক ধরনের যন্ত্রণাবিশেষ। ওবামা উদারপন্থীদের সেই অহংকারের জায়গাটুকুও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। বারাক হুসেন ওবামা যে মুসলমান নন, বরং একজন নিবেদিত খ্রীষ্ট ধর্মানুসারী – তা প্রমাণ করার জন্যে মনে হয় রিপাবলিকানদের চেয়ে বড়ো রিপাবলিকান হতেও তিনি সম্মত।
শুধু নির্বাচনী কৌশল হলেও পরিণামে এটা উদারপন্থীদের জন্যে ক্ষতির কারণ ঘটাবে বলে অনায়াসে অনুমান করা চলে। পৃথিবী জুড়ে আর কতো মার খাবে উদারপন্থীরা? দম বন্ধ হয়ে আসছে যে!
মন্তব্য
হুম, বুঝে নেই।
তোমার মতামতটা জানা দরকার। সচলে সবচেয়ে বড়ো ওবামা-ভক্তদের একজন তুমি, এইরকমই জানি। এই মোল্লা-তোষণে তোমার বিশ্বাস কতোটা চোট খেলো বা আদৌ খেলো কি না, জানতে চাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
গত কিছুদিন যাবৎ সেভাবে ফলো করা হচ্ছে না। ভাষণগুলো ঠিক মত শুনে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।
ধর্ম মানেন, এমন যে-কেউ ইদানিং রিপাবলিকানদেরই ভোট দেন শুধু। কনভার্টেডরা একটু বেশিই ধার্মিক হন বলেই হয়তো ওবামা আর ১০ জন ডেমোক্র্যাটের চেয়ে ধার্মিক বেশি। প্যালেস্টাইন, ইত্যাদি ইস্যু থেকে একটু সরে না আসলে মূলধারার আমেরিকানদের ভোট পাওয়া যাবে না। তবে তারপরও কিছু পকেটের অল্প কিছু ইহুদি ভোট নির্বাচন ঘুরিয়ে দিতে পারে। শ'পাঁচেক ভোটের এদিক-ওদিক হলেই ফ্লোরিডা বা নিউ জার্সি খুইয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। ধর্ম নিয়ে যেকোন রকম বাড়াবাড়িই আমি ঘৃণার চোখে দেখি। এবারেও তাই কিছুটা বিরক্ত অবশ্যই। তবে আমি অপেক্ষায় আছি বুঝতে, এটি রিপাবলিকানদের একদম ঘাঁটি ধরে নাড়া দেবার জন্য করা হচ্ছে কিনা।
এর মধ্যে দু'দিন পরপর ওবামাকে মুসলিম বলে ইমেইল চালাচালি এবং এর প্রতিউত্তরের ধরণ নিয়েও কিছুটা বিরক্ত। একটু বুঝে নেই কোনদিকে যাচ্ছে। ওবামা'র শক্তি তাঁর নিজের ধরণের রাজনীতি। এই ব্যাপারটা আগেও অন্যের অনুকরণ করতে গিয়ে বুঝেছেন তিনি। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ছিল হিলারির সাথে চুলাচুলি করতে গিয়ে নিজের ভোট কমানো। আশা করি সেবারের মত এবারেও তিনি দ্রুত নিজের ভুল বুঝবেন।
পাড়ায় নতুন পাগলের আমদানি হলে সবাই কিঞ্চিৎ সন্দেহ পোষণ করে যে, সে আসলেই পাগল নাকি ভাণ করছে। রাজনীতিতে এই হঠাৎ নতুন শিবিরের দিকে ঘনিষ্ঠ/একাত্ম হতে চাইলেও একই ধরনের ব্যাপার ঘটে বলে আমার ধারণা। রিপাবলিকানরা ওবামাকেও সেই নিক্তিতেই বিচার করবে, সন্দেহ করবে। দুঃখের বিষয় এই যে তিনি তাদের সম্পূর্ণ আস্থাভাজন কখনোই হয়ে উঠতে পারবেন না। উল্টো যা হবে, নিজেদের সমর্থকদের অনেককে তিনি হারাবেন। তাঁর সততার বাণী, বিশ্বাসযোগ্যতা মার খাবে।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অনেকটা পচা মাছের মতো। একবার স্পর্শ করলে গা থেকে গন্ধ সহজে যায় না। আমাদের দেশে এর সবচেয়ে বড়ো ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ। তাদের আজীবনের রাজনীতি বাদ দিয়ে তারা নিজেদের ধার্মিকদের চেয়ে বড়ো ধার্মিক প্রমাণ করতে গিয়ে তার ফল আজও ভোগ করছে। আরো অনেকদিন করবে বলে আমার মনে হয়।
এর বিপরীত উদাহরণ বিল ক্লিনটনের। লিবারেল তকমা গায়ে নিয়েই হৈ হৈ করে জিতেছিলেন দুই টার্ম। ভারতের সর্বশেষ নির্বাচনেও কংগ্রেসের মূলধারার রাজনীতির পক্ষে সোনিয়া গান্ধীর অবস্থান বিজেপিকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছিলো।
ওবামা এখুনি নিজের রাজনীতিতে না ফিরলে তাঁর পরিণতি শুভ হবে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই, যদিও ক্ষতি এরই মধ্যে যথেষ্ট হয়েছে বলে আশংকা করি। ধর্মকেন্দ্রিক ভোট যদি তাঁকে নির্বাচনে জিতিয়েও আনে, এদের তিনি সহসা ঝেড়ে ফেলতে পারবেন বলে মনে হয় না। এদের দায় তখন শুধতে হবে রক্ত-মাংস-মজ্জা দিয়ে। বিপদটা এখানেও।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
একটা বাজে মন্তব্য করিঃ-
বারাক ওবামা যদি সত্যিই ক্ষমতায় আসতে পারেন তাহলে তার পোঙামারা হবে জর্জ বুশের চাইতে অনেক বেশি জোরালো এবং অনেক বেশি ব্যথা লাগবে তাকে কেননা কালো এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তার প্রতি সহানুভুতিশীল।
কি মাঝি? ডরাইলা?
মন্তব্যের এই জায়গাটা ঠিক বুঝলাম না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে একটা পুতুলকে বসিয়ে দিলে সেই পুতুলও জিন্দা হয়ে মানবজাতির পোঙামারতে শুরু করবে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহী ভাইয়ের সাথে একমত। এই নিয়ে এক আমেরিকান প্রোফেসরের সাথে অনেকক্ষণ তর্ক-আলাপ চললো। আমি বলছিলাম, প্রার্থি দিয়ে কিচ্ছু হয় না। একজন বিশেষ কিছু করতে পারে না। শেষ-মেষ সিস্টেমের রোলারকোস্টার চড়তেই হয়।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
না রে ভাই, রাজনৈতিক ভাষ্য লেখা আমার কর্ম নয়। সে যোগ্যতা সত্যিই নেই। তোমার ছাগলটাকে ধার করেই বলি, ছাগল দিয়ে হালচাষ হয় না।
সারা পৃথিবী জুড়ে মোল্লাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি রকমের প্রসার ও দাপট দেখে ক্লান্ত লাগে, ক্ষুব্ধ হই, অসহায়-অক্ষম লাগে। চেনা পৃথিবী অথবা যে পৃথিবীর স্বপ্ন আমরা একদা দেখেছিলাম তার রং বদলে যেতে দেখে হতাশ হই। আমার হতাশা আর অক্ষমতার কথাটাই শুধু বলতে পারি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- সেদিন একটা আলোচনায় শুনলাম দ্রোহী ভাইয়ের কথাগুলিরই প্রতিধ্বনি। ব্যক্তি হিসেবে যে যতোই হুমড়িটুমড়ি করুক, "প্রেসিডেন্ট" নামক সিস্টেমটা তাকে আমেরিকার ইন্টারন্যাল স্ট্র্যাটেজির ওপর শ্রদ্ধাশীল করে তোলে যার পরিনামে পৃথিবী খায় ঐ জিনিষ, যার কথা দ্রোহী ভাই বললেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওবামা ভাইকে তো প্রথম প্রথম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনে হচ্ছিল। এখন তো সুর পালটে গেছে! ইসরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষায় উনি বদ্ধপরিকর - এমন একটা ইমেজ প্রতিষ্ঠার এখন আপ্রাণ চেষ্টা তাঁর!
জুবায়ের ভাই এইটা নিয়ে কিছু লিখেন।
~ ফেরারী ফেরদৌস
ওবামাকে যদি আমি বুঝে থাকি, তিনি একটা খেলা খেলছেন। নির্বাচিত হতে হলে এরকম আরো অনেক কথাই তাঁকে বলতে হবে। কিন্তু একবার নির্বাচিত হলে সম্ভবত অনেক চতুরতার সাথে ভোল পাল্টাবেন। হার্ভার্ডের সেরা ছাত্রদের একজন এই কৃষ্ণকায়, অনেক গালিগালাজ হজম করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। যখন ক্ষমতা পাবেন, তখন দেখা যাবে তাঁর স্বরূপ। আমি তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না।
ওবামা হঠাৎ করে ধর্মপ্রাণ হয়েছেন বা রিপাবলিকান মোল্লা ভজাচ্ছেন - ব্যাপারটা এতখানি সরল না। ওবামা গত ৪০ বছরের গতানুগতিক ধারার ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ নন। তার ধর্ম, তার গীর্জা, তার নীতিবোধ - ওবামার নিজস্ব জবানী অনুযায়ী এগুলো তার জীবনে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে অনেক বছর ধরে। ধর্ম নিয়ে তিনি অনেকদিন আগে থেকেই অসংকোচে, খোলাখুলি ভাবে কথা বলছেন। ২০০৬ সালে এই নিয়ে একটি বিশাল লম্বা বক্তৃতা দিয়েছিলেন যেটা তখন রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলো, কারন তখন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটদের কেউ কখনো ধর্মের ব্যাপারে স্বাচ্ছন্দের সাথে কোন আলাপ করতে শুনেনি। উলটা বরং কেরি বা ক্লিন্টন জাতীয় নেতারা যখন ধর্ম নিয়ে কিছু বলে, তখন তারা কোন বিশ্বাসযোগ্যতাই পায় না। ওবামার বেলায় সেটা ঘটেনা - স্পীচটা শুনলে বোঝা যায় কেন।
ওবামার অনেক বক্তব্যের একটা ছিলো যে ধর্মকে রিপাবলিকানরা যেভাবে হাইজ্যাক করে অপব্যবহার করেছে সেই ষাটের দশক থেকে, সেখান থেকে আলোচনা ঘুরিয়ে আনার সময় হয়েছে। (অনেকটা মডারেট মুসলিমরা যেটা চান ইসলাম ও টেরোরিজম বিষয়ে।) Liberal = godless আর conservative = religious - এইসব সরলীকরণের বিপক্ষে তিনি। সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকটা রিপাবলিকান ধর্মযাজকরা কিভাবে বেমালুম ভুলে গেছেন, সেটাও তুলে ধরেছেন। তবে আমার কথার থেকে ওবামার অরিজিনাল কথায় পড়াই শ্রেয়। আরেকটা কথা হলো যে ওবামাকে নিয়ে অনেকে অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা করে আছেন যেটা মার্কিন দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবর্জিত। এমন আশা-আকাংখা বিফল হবার সম্ভাবনা প্রবল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আমার একটা সংশয় তবু থেকেই যাচ্ছে। সাধারণ ভোটাররা কিন্তু এতোকিছু তলিয়ে দেখে না। এতো খবরও তারা রাখে না। বিশেষত এই বক্তৃতাটি যখন দেওয়া হয়েছে তখন ওবামাকে ক'জন চিনতো? সুতরাং তাঁর তত্ত্ব বা বিশ্বাস সাধারণ ভোটারের কাছে অজানা বা অস্পষ্ট থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। এবং ঠিক সে কারণেই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতাটা টোল খাবে তাঁর নিজের সমর্থক ও অনুসারীদের কাছে, এবং অবশ্যই অপেক্ষাকৃত অচেনা পাড়া ধর্মীয় গোঁড়াদের শিবিরে।
ওবামার তত্ত্বটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। খুবই যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু শুধু তত্ত্ব যদি ভোটে অনূদিত হতো, তাহলে বাংলদেশে কমিউনিস্ট পার্টিও ক্ষমতায় যেতে পারতো। আর আমেরিকান সাধারণ ভোটারদের রাজনীতি-সচেতনতা বাংলাদেশের ভোটারদের তুলনায় উচ্চতর কিছুতেই নয়। তার বড়ো প্রমাণ জুনিয়র বুশের দুই টার্ম নির্বাচিত হওয়া।
আমার অবশ্য মূল উদ্বেগের জায়গা অন্যত্র। একটি উদারপন্থী দলের প্রতিনিধি হিসেবে যে মেসেজটি ওবামা দিতে যাচ্ছেন তা আখেরে রক্ষণশীলদের শক্তি ও প্রভাবই বাড়াবে বলে আমার আশংকা হয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মধ্যপ্রাচ্যের তেলের রিজার্ভ যতদিন বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে, ইজরায়েলের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি একটুও নড়বে না। ইজরায়েল আর ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ যাদের তেল নেই, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দামের ওপর প্রভাব ফেলার জন্যে এই ইস্যুর কোন তুলনা হয় না। ব্যারেল ১৪০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, এতে লাভ কার? ইরান, সৌদি আরব আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র/যুক্তরাজ্যের তেল দানবদের। আজকে ইরান ইজরায়েল নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে একটু মহড়া করলে তেলের ব্যারেল ২০০ ডলারে গিয়ে ঠনাৎ করে আওয়াজ করবে। ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা স্টেট। যারা আশার ললিপপ চুষছেন যে কোন এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসে ফিলিস্তিনিদের উদ্ধার করবেন, তারা সেই ললিপপ আরো কয়েক হাজার নিয়ে বসতে পারেন, জীবদ্দশায় এমনটা ঘটবে না। যেখানে সৌদি আরব টুঁ শব্দ করে না ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইদের জন্যে কিছু করতে, সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কী ঠ্যাকাটা পড়েছে? শব্দ করলে বাদশার পাছার কাপড় তুলে পিটাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৭৩ এর তেল সংকটের পর ফয়সালের উত্তরাধিকারীরা এ জিনিস হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। কাজেই ফিলিস্তিনিরা মরে পচলেও সৌদি আরব বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এসে যায় না। ফিলিস্তিন ইস্যু তামাদি হয়ে যাচ্ছে দেখেই নতুন করে লেবানন আর ইরানে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু হয়েছে, যদিও লেবাননের সাথে ইজরায়েলের ইস্যুটা মূলত লিতানি নদীর পানির দখল নিয়ে।
তেলের ওপর থেকে চাইলেও নির্ভরশীলতা ফট করে কমানো যায় না, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই তেলভিত্তিক অবকাঠামো, তাই বিকল্পের দিকে না ঝুঁকতে পারলে আহমাদিনেজাদ কখন হাগলো, এহুদ ওলমার্ট কখন মুতলো, এসবের হিসাব নিয়ে চলতে হবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মার খাবে ?
মার খাবে কেন?
আপনার প্রশ্ন যদি ঠিক ঠিক বুঝে থাকি, আমার উত্তরটা এরকম : সারা পৃথিবীতে উদার চিন্তার মানুষরা এমনিতেই সংখ্যালঘু। এবং এই লঘুত্ব আরো লঘু হয়ে আসে বিবিধ পরিস্থিতির কারণে। কখনো কখনো তাদের টুঁটি চেপে ধরা হয়, যেটা সচরাচর করে থাকে ধর্মান্ধরা অথবা রাষ্ট্রশক্তি। এই শক্তিগুলির দাপট তো ক্রমশই বাড়ছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন