'আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি'

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মুহম্মদ জুবায়ের (তারিখ: রবি, ০৫/০৮/২০০৭ - ১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত বছর অগাস্টে পোস্ট করেছিলাম। আশা করি এখনো পুরনো হয়ে যায়নি। হাসান মোরশেদের পোস্ট দেখে অনুপ্রাণিত।

১৯৭৫-এ শেখ মুজিবকে সপরিবারে খুন করার পর সেনাতন্ত্র শুরু হয়েছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশে সেই প্রথম। এখনকার বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিলো ২৩ বছর, তার শেষ ১৩টি বছর কেটেছে সামরিক শাসনের জগদ্দল কাঁধে নিয়ে। আমরা তা থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম বলে যুদ্ধ হলো। অথচ নবীন রাষ্ট্রের জন্মের সাড়ে তিন বছরের মাথায় আবার সেনাশাসনের ভূত।

হতভম্ব, বিহ্বল মানুষ। কাঁদতেও যেন ভুলে গেলো। তার খানিকটা আতংকেও। পাকিস্তানী সামরিক শাসনের অভিজ্ঞতা এবং যুদ্ধের সময়ে সেনাবাহিনীর অপরিমেয় নৃশংসতার স্মৃতি তখনো টাটকা। তারা জানে উর্দিধারীদের কাছে যুক্তির কোনো জায়গা নেই।

সরল যুক্তিতে অবশ্য মানুষ বোঝে, যেহেতু শেখ মুজিবের হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতরা এবং সেই হত্যকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারিরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত, শেখ মুজিবের নাম প্রকাশ্যে উচ্চারণ করাও অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। হত্যাকারীরা শেখ মুজিবকে বেঈমান হিসেবে বেতার-টিভিতে ঘোষণা দিয়েছিলো, যদিও কথিত সেই বেঈমানী আজও প্রমাণিত হলো না। সুতরাং চুপ করে না থেকে মানুষের তখন আর উপায় কী?

একটা কথা খুব জোরেশোরে বহুদিন ধরে প্রচারিত - শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডে অসংখ্য মানুষ নাকি খুশিতে পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করেছিলো। এরকম আদৌ ঘটেনি, তা নয়। কিন্তু তা ব্যতিক্রমের হিসেবে থাকা উচিত। এই ঘটনাগুলি ছিলো নিতান্তই কিছু কিছু শহরাঞ্চলে, গ্রামে এই ধরনের ঘটনার কথা কেউ শুনেছেন বলে জানা যায় না।

অঘাষিতভাবে 'নিষিদ্ধ' শেখ মুজিবের নাম প্রথম প্রকাশ্যে উচ্চারিত হলো একজন কবির মুখে। ১৯৭৭ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে। শহীদ মিনার হয়ে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। বইমেলার শেষদিন (তখন একুশে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শেষ হতো) বলে অতিরিক্ত কিছু ভিড়।

মঞ্চে কবিতাপাঠ চলছে। কবিরা একে একে মঞ্চে উঠে কবিতা পড়ে চলে যাচ্ছেন। পরেরজন আসছেন। কবিতার শ্রোতা খুব বেশি কোনোকালেই হয় না, কেউ কেউ মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, বেশিরভাগই ব্যস্ত অন্যকিছুতে। শীর্ণ ও দীর্ঘকায় শশ্রুমণ্ডিত নির্মলেন্দু গুণ মঞ্চে এলে কিছু মনোযোগ এমনিতেই আকর্ষণ করেন। তাঁর বেশ কিছু কবিতা পাঠকপ্রিয়তা পেয়ে গেছে তখন। কিন্তু আজ তিনি যা করবেন, তার জন্যে কেউ তৈরি ছিলেন না। মাইক্রোফোনে শেখ মুজিবের নাম উচ্চারিত হতেই সবাই সচকিত। কী হচ্ছে এটা? লোকটা পাগল নাকি? এক্ষুণি তো তাকে ধরে নিয়ে যাবে!

কাউকে কাউকে ত্রস্তপায়ে বাংলা একাডেমির সীমানা ছেড়ে চলে যেতেও দেখা যায়।

নাঃ, এই নিয়ে অবশ্য নির্মলেন্দু গুণকে বিশেষ কোনো হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়নি শেষ পর্যন্ত। তবে এই ঘটনা অন্য অনেক সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলো।

নির্মলেন্দু গুণের কবিতাটি নিচে তুলে দেওয়া হলো:

আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি
নির্মলেন্দু গুণ

সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,
রেসকোর্স পার হ’য়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ
গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

শহীদ মিনার থেকে খ’সে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে বলেছে
আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

সমবেত সকলের মতো আমিও পলাশ ফুল খুব ভালোবাসি, ‘সমকাল’
পার হয়ে যেতে যেতে সদ্যফোটা একটি পলাশ গতকাল কানে কানে
আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

শাহবাগ এ্যভিন্যুর ঘূর্ণায়িত জলের ঝর্ণাটি আর্তস্বরে আমাকে বলেছে
আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

সমবেত সকলের মতো আমারো স্বপ্নের প্রতি পক্ষপাত আছে,
ভালোবাসা আছে শেষ রাতে দেখা একটি সাহসী স্বপ্ন গতকাল
আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

এই বসন্তের বটমূলে সমবেত ব্যথিত মানুষগুলো সাক্ষী থাকুক,
না-ফোটা কৃষ্ণচূড়ার শুষ্কভগ্ন অপ্রস্তুত প্রাণের ঐ গোপন মঞ্জরীগুলো
কান পেতে শুনুক,
আসন্ন সন্ধ্যায় এই কালো কোকিলটি জেনে যাক -
আমার পায়ের তলার পুণ্য মাটি ছুঁয়ে
আমি আজ সেই গোলাপের কথা রাখলাম, আজ সেই পলাশের কথা
রাখলাম, আজ সে স্বপ্নের কথা রাখলাম।

আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি,
আমি আমার ভালোবাসার কথা বলতে এসেছিলাম।

==========================

দাবি তুলেছিলেন হিমু। আমার একটি পোস্টে মন্তব্য চালাচালির সময় এই কবিতাটির প্রসঙ্গ আসে। সেই সময় একটি তথ্য ভুল দিয়েছি। ১৯৭৬-এ এই কবিতাটি পড়া হয় বলে লিখেছিলাম, আসলে সনটি ৭৭।


মন্তব্য

অতিথি এর ছবি

সময়ের সাথে স্মৃতি ফিকে হয়ে আসে। জুবায়ের ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ, সেই সময়ের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে পোস্ট করতে। সম্ভব হলে সচিত্র।

দিগন্ত এর ছবি

কবিতাটা ভালো, লেখাটাও। তথ্য জানলাম ... ধন্যবাদ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অচেনা এর ছবি

ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই, মনে করিয়ে দেবার জন্য।

-------------------------------------------------
আমি ভালবাসি বিজ্ঞান
আমি ঘৃণা করি জামাত॥

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

কবিতাটা কখনও কবিতা হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি।
আজ এই লেখা পড়ে বুঝলাম কেন কবিতা নয়, কেন এই স্টেটমেন্টটা সেইসময় এতো জরুরি ছিল। কেন কবিতা হওয়ার চেয়ে বলার বিষয়টা বলে ফেলাটাও সময়ে সময়ে বেশি কাব্যিক।

নির্মলেন্দু গুণকে সালাম।
মুহাম্মদ জুবায়েরকে ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জলদস্যু এর ছবি

ভালো লেখা। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরাই দেশের মানুষের কাঁধে একের পর এক সেনাশাসনের ভার চাপিয়ে দিয়েছেন। দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ কখনই এদেশে জন্মেনি।দু'একজন যাও বা ছিলেন নিজেদের লোভ অথবা স্বজনপ্রীতি বা স্বজনদের কর্মকান্ডে নিজেদের গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছেন। আর বছরের পর বছর ধরে চলে আসা পরিবারতন্ত্রের বিষের কথা তো নাই বললাম।

সেনাশাসনের হাত থেকে মুক্তি আমরা চাই।আরও চাই অন্তত ২/১ জন প্রকৃত রাজনীতিবিদ। কোনদিন কি পাব আমরা সেরকম ব্যক্তিত্ব?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বড়দের মুখে শুনেছি প্রথম বছর কয়েক শেখ মুজিবের ছবি ও নিষিদ্ধ ছিলো ।
মিষ্টিবিতরন?হাহাহা... বছর দুয়েক আগে যৌথবাহিনী এক কিশোর কে তার পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে । ছেলেটার নামে নাম এক সন্ত্রাসীকে খুঁজছিলো যৌথবাহিনী । ভুল যখন ধরা পড়ে তখন আর কিছু করার নেই । যৌথবাহিনীর আয়োজনে সেই এলাকার মানূষেরা মিষ্টিবিতরন ও আনন্দ মিছিল করেন । এত বড় সন্ত্রাসীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গেলো!

দখলকারী সেনাভিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ ও হয়েছিল কিন্তু । জানিনা কেনো এই ইতিহাস ও চেপে রাখা হয় । আওয়ামী লীগ নিজেই চেপে রাখে,এতে বড় বড় নেতাদের নিবীর্যতা প্রমানিত হয়ে যায় যে
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ধন্যবাদ। পাঠ ও মন্তব্যের জন্যে। @ অতিথি, দিগন্ত, অচেনা, শোমচৌ, জলদস্যু ও হাসান মোরশেদ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সৌরভ এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম দ্বিতীয়বার।
এই সময় সম্পর্কে আমাদের সংবাদপত্র বা বইপত্র নির্মমভাবে উদাসীন, ঘটনাবলীর পরিষ্কার রূপ আমরা অনেকেই জানি না।

মুহম্মদ জুবায়ের, আশা করবো সেই সময় নিয়ে আরো লিখবেন আপনি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সৌরভ, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। একটা বিষয় উল্লেখ করা দরকার। বই ও পত্রিকা-সাময়িকীতে কিছু কিছু এসেছে, হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু তার চেয়েও বড়ো সমস্যা, ভুল প্রচারের ডামাডোলে ওগুলি আড়ালে পড়ে গেছে। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা।

সেই সময় নিয়ে একটি দীর্ঘ রচনা লেখার কথা ভাবছি।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হিমু এর ছবি

অতিথি হিসেবে মন্তব্য করেছিলাম। আবারও করছি স্বনামে, কারণ পোস্ট আমার নাম উল্লেখিত।

নির্মলেন্দু গুণের শুধু কবিতাটি কাগজ থেকে পড়লে আসলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে না, শোমচৌদার সাথে সহমত। কখনও কখনও পরিস্থিতিই কবিতা হয়ে পড়ে, কবিতাটি নিছক উপলক্ষ হিসেবে থেকে যায়।

জুবায়ের ভাইয়ের কাছো এমন আরো টুকরো পোস্ট চাই। বিশেষ করে সে সময়ে আপনার সমবয়সীদের মাঝে শেখ মুজিব সরকার সম্পর্কে কী ক্ষোভ বিচরণশীল ছিলো, তা জানা ইতিহাসের স্বার্থে জরুরি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

হিমু, একটু শুধরে দিই। অতিথি না, স্বনামেই মন্তব্যটি করেছিলেন। সেটা অবশ্য বড়ো কোনো ব্যাপার নয়। আশা করি নাম উল্লেখে আপনার বিরাগের কারণ হইনি।

টুকরো পোস্টও হয়তো থাকবে, কিন্তু বড়ো একটি লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি। হয়ে উঠবে কি না, জানি না। দেখা যাক।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হিমু এর ছবি

কোন বিরাগের অবকাশ নেই।

এ পোস্টের প্রথম মন্তব্যে যে অতিথিকে দেখতে পাচ্ছেন, ওটা আমি। ওটার কথাই বলছিলাম। ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখিত।

আপনার ছোট হোক মাঝারি হোক বড় হোক লেখার জন্যে অপেক্ষা করছি।

পাশাপাশি মনোযোগ আকর্ষণ করছি এই লিঙ্কটির দিকে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

দুঃখপ্রকাশ যথেষ্ট হয়ে গেছে, হিমু। এখন হাসি

উইকিয়ার লিংকটা আমার ফেভারিট-এ যোগ করা আছে। তবু ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ঝরাপাতা এর ছবি

এই কবিতাটি আমার অসম্ভব প্রিয়। কিন্তু এই কবিতার প্রথম প্রকাশ্যে পাঠের এই ইতিহাস জানতাম না। কবিকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা নেই। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা আপনাকেও।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

জানাতে পেরে আমিও খুশি। ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গতকাল অফলাইনে পড়েছিলাম।
চমৎকার একটি কবিতা।
গত বছর, ১৫ আগস্টে ব্লগে কবিতাটি তুলে দিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম 'আজকের কবিতা'।
এখানে সাথে প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো জেনে ভালো লাগলো খুব। এরকম আরো চাই - - -

_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

গত বছর এই সময়ে ব্লগভুবনে আমি এসে পৌঁছাইনি। তাই তোমার পোস্টও দেখা হয়নি। কবিতাসহ এই প্রসঙ্গটি পুনর্বার এবং বারংবার আসতেই পারে।

প্রাসঙ্গিক ঘটনা ও তথ্যগুলি আমাদের বয়সীদের স্মৃতিতে অটুট আছে। জানিয়ে যাই।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বর্ণনার পরপর কবিতাটা পড়ে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল। ঠিক যেন নির্মলেন্দু গুন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আবৃত্তি করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে জুবায়ের ভাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অমিত এর ছবি

সুমনের মত অবস্থা আমারও। অসাধারণ।
______ ____________________
suspended animation...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

মাহবুব মুর্শেদ ও অমিত, ভালো লাগলো আপনাদের মন্তব্য। লেখায় যদি সেদিনের আবহ কিছুমাত্র আনা সম্ভব হয়ে থাকে তা আমার সর্বোচ্চ সার্থকতা মনে করি।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।