একটি জিনিস ক্রমে উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে আশংকা হয় - আমাদের বাংলা বর্ণমালার চন্দ্রবিন্দু। দেশের দৈনিক ও সাপ্তাহিক কাগজগুলির ইন্টারনেট সংস্করণে এবং মুদ্রিত পত্রিকা যা কালেভদ্রে হাতে আসে তাতে এই সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে যে বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দুর আকাল দারুণ আকাল পড়ে গেছে। হয়তো অবিলম্বে তা দুর্ভিক্ষের চেহারা ধারণ করে বসবে।
আশ্চর্য হয়ে ভাবি, হচ্ছেটা কি? যতোদূর জানি, চন্দ্রবিন্দু এখনো বাংলাভাষার বর্ণমালার সর্বশেষ অক্ষর এবং ব্যাকরণ ও বানানরীতি থেকে তা বাতিল হয়েও যায়নি। আমাদের জানা আছে, কোটি কোটি মানুষ যে ভাষা প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহার করেন, সেই ভাষায় সর্বজনগ্রাহ্য কোনো বানানপদ্ধতি নেই। সেসব দেখাশোনার কাজ করে কে? এই দায়িত্বে কেউ আছে বলে মনে হয় না, তা মান্য করার প্রশ্ন সুতরাং অবান্তর। ফলে, একই অর্থে একটি শব্দ একাধিক বানানে লেখার চল আছে। গেলো, গেল, গ্যালো - এই তিন প্রকারেই শব্দটি লেখা চলে। এর মধ্যে কোনটি অশুদ্ধ, কে বলবে? আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য শব্দগুলি থেকে এরকম উদাহরণ অসংখ্য দেওয়া সম্ভব।
অন্য সব ভাষার কথা জানা নেই, কিন্তু পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা ইংরেজিতে কিন্তু এই ধরনের ব্যাপক অরাজকতা নেই। সত্য বটে যে মার্কিন ও বৃটিশ ইংরেজির বানান ও উচ্চারণ কিছু আলাদা। যেমন কালার বা লেবার শব্দ দুটি থেকে মার্কিনীরা বৃটিশ বানান পদ্ধতির ইউ অক্ষরটি বাদ দিয়ে ব্যবহার করে। এই ধরনের পার্থক্য জাতিগত বা রাষ্ট্রীয় কারণে ঘটে থাকতে পারে। বৃটিশ ও মার্কিনীরা সর্বদাই নিজেদের গৃহীত ও স্বীকৃত বানানরীতিটিই অনুসরণ করে থাকে। একই শব্দ একাধিক উপায়ে লেখার চল নেই। এই ধরনের পার্থক্য পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলা বানানে থাকলে তা মানা চলে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গে চালু 'খেলাধুলো' শব্দটিকে আমাদের মুখের ভাষার কাছাকাছি 'খেলাধুলা' বলে লিখি আমরা। তা-ই কিন্তু হওয়া উচিত।
কিন্তু চন্দ্রবিন্দু নিয়ে এই খেয়ালখুশির সর্বশেষ নিদর্শন কিছু আশংকা জাগায়। প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্র ও সাময়িকী পড়লে মনে হবে অক্ষরের মজুত যথেষ্ট নেই, আগে হাতে কম্পোজের যুগে সীসার টাইপে মাঝেমধ্যে যেমন টান পড়তো কোনো কোনো হরফের। অথচ আজকাল কমপিউটার এসে পড়েছে, আগের মতো টাইপ/হরফ আর কিনতে হয় না। যে কোনো হরফেরই টান পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কমপিউটার কখনোই বলবে না যে অমুক অক্ষরটি আর স্টকে নেই। তবু 'তিনি জানান, তার নিজের কথা ভাবার সময় নেই' ধরনের বাক্য পাইকারিভাবে লেখা হচ্ছে। ব্যাকরণ বলছে, এই বাক্যটিতে শব্দটি 'তার' না হয়ে হওয়ার কথা 'তাঁর'। এটি রীতিমতো অনুচিত ও অশুদ্ধ, এই বাক্যে 'তিনি জানায়' বললে তা যেমন অশুদ্ধ হতো। এখানে 'তাঁর' শব্দটিতে চন্দ্রবিন্দুটি ব্যবহার না করার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। দু'একটি ক্ষেত্রে হলে তা প্রুফ রীডিং-এর ত্রুটি বা অমনোযোগ বলে ধরে নেওয়া চলে। কিন্তু ঘটনাটি হরহামেশার এবং প্রায় প্রতিটি কাগজে। সুতরাং একে চন্দ্রবিন্দুর আকাল বলা যেতেই পারে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত সাপ্তাহিক এবং অধুনা দৈনিক একটি কাগজ তো মনে হয় আরেক মার্গে চলে গেছে চন্দ্রবিন্দুকে পুরোপুরি পরিহার করে ('অহো, কী দুঃসহ স্পর্ধা!')। এই বর্জনের পক্ষে যুক্তি কী, তা আমার জানা নেই। কিন্তু এর কতকগুলি সম্ভাব্য বিপদ আমি দেখতে পাই। যে কোনো দুঃখেই আমার পক্ষে আর 'কাঁদা' সম্ভব হবে না, কেননা তা 'কাদা' হয়ে যাবে। চন্দ্রবিন্দু ছাড়া 'কাদতে' হবে ভাবতেই কান্না পেয়ে যাচ্ছে। ক্রন্দন অর্থে 'কাঁদা' আর প্যাচপেচে 'কাদা'-র পার্থক্য তাহলে কীভাবে করা যাবে? ভাত 'রাঁধা' হবে না আর, কারণ সেখানে 'রাধা' এসে উপস্থিত হয়ে যাচ্ছে। 'ছিরিছাঁদ' বলতে তা বাড়ির 'ছাদ'-এ উঠে যাচ্ছে। আমি আর কিছুতেই 'বাঁধা' পড়তে পারবো না, কারণ তা হয়ে যাবে 'বাধা'। চন্দ্রবিন্দু বিহনে 'চাঁদ' হয়ে থাকছে 'চাদ'। 'বাঁদর' হবে 'বাদর' ('এ ভরা বাদরে তুমি কোথা...')। চন্দ্রবিন্দু বাদ দিয়ে 'বাঁশ' কীভাবে লেখা যাবে, বা 'বাঁশি'? 'বাশি'-তে সুর উঠবে কি? 'গাঁয়ে' আর ফেরা হবে না, হবে 'গায়ে' ফেরা । 'গোঁয়ারগোবিন্দ'-র অবস্থা কী হবে ভাবা যায়? গোলাপের 'কাঁটা' পড়বে 'কাটা'। আর ভূতের গল্পের কী হবে? চন্দ্রবিন্দু বাদ দিয়ে ভূতেরা কথা বলতে পারে না বলে জেনে এসেছি এতোদিন।
ব্যবহার না থাকার ফলে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে একটি অক্ষর বিলীন হয়ে গেছে আমাদের চোখের সামনে। ছোটোবেলায় আমরা বর্ণমালা শেখার কালে একটি অক্ষর চিনেছিলাম, যার নাম ছিলো 'লি'। লেজ উঁচিয়ে বসে থাকা কাঠবেড়ালির মতো দেখতে অক্ষরটি একেবারে নেই হয়ে গেলো। কোনো কাজেই লাগতো না বলে। কিন্তু চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার এবং উপযোগিতা এখনো কিছুমাত্র কম নয়। তাকে আমরা উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছি কেন? আর এই করতে গিয়ে আজকের শিক্ষার্থীদেরই বা আমরা কী শেখাচ্ছি? এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের দেশের অধিকাংশ লেখাপড়া জানা মানুষও খুব শুদ্ধ বাংলা লিখতে পারেন না। আমার এক বন্ধু রসিকতা করে একটি নিদারুণ সত্য কথা বলেন, 'আমরা ইংরেজিতে 'উইক' এবং বাংলায় 'দুর্বল'। এই অরাজকতা সেই দুর্বলতা বা উইকনেসের উপশম ঘটাবে না।
পঞ্চাশের দশকে একটি জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে ছবি বিশ্বাসের আবেগমথিত কণ্ঠে বলা 'ফিরিয়ে দাও আমার বারোটি বছর' সংলাপটি খুব বিখ্যাত হয়েছিলো। বয়স্করা ঠাট্টাচ্ছলে এখনো তা মাঝেমধ্যে উদ্ধৃত করে থাকেন। ওই সংলাপের অনুকরণে আমার এখন বলতে ইচ্ছে করে, ফিরিয়ে দাও আমার হারানো চন্দ্রবিন্দুগুলি!
×××××××××××××××××
নতুন লেখা কিছু হচ্ছে না, তাই পুরনো একটা।
মন্তব্য
আমার ছেলেবেলা'র লেখাটি পাইনি আজতক।
পাওনাদারের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোর মতো অবস্থা আমার! লেখা না দিলে বদদোয়া দেওয়া হবে বলেছিলেন। তালিকায় তুলে দিতেই আমার খবর হয়ে গেলো তো!
গত দুই সপ্তাহে এক্কেবারে সময় হয়নি। দুঃখিত।
এ বিষয়ে আপনাকে ইমেল করবো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
jebtik@gmail.com
ঠিকানাটি আগেই ছিলো, সচলায়তনের আমন্ত্রণ যখন পাঠিয়েছিলেন। এইমাত্র ইমেল পাঠিয়ে দিয়েছি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মাত্র ইত্তেফাক দেখে আসলাম। চন্দ্রবিন্দু বহাল তবিয়তেই আছে ... চিন্তা মাৎ লিয়ে .. ..
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
যায়যায়দিনে কী দেখছেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মান্নান ভুঁইয়াতে শুধু চন্দ্রবিন্দু দেখলাম।
তবে, যায় যায় দিন এমনিতেই রেফারেন্সযোগ্য কোন বাংলা লেখে না -- ওটার অত্যাধুনিক বিকৃত বাংলা দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
তার মানে যাযাদিতে চন্দ্রবিন্দুভাগ্য শুধু ভুঁইয়াদের!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ঘরে টয়লেট পেপার অনেক আছে এই মুহূর্তে। টান পড়লে যাযাদি এনে দেখবো নাহয়। তখন বলা যাবে।
সাবধান, ওখানে বাংলা অক্ষরে অনেক আজাইরা ইংরেজি শব্দ থাকে, কামড় দিতে পারে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
যায়যায়দিন একটা তামাশা মাত্র।
বানান নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে, এ বিষয়ে একমত।
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
সত্যিই তামাশা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
চন্দ্রবিন্দু ফেরত চাই
জম্পেশ লেখা ,,, পড়ে মজা পেলাম ,,
আসলেই, চাঁদে নিয়ে যাবার নাম করে কেউ চাদে নিয়ে গেলে আনন্দিত হবার কিছুই নেই
যায়যায়দিনে উপহার একটা পাঠা(চন্দ্রবিন্দু ছাড়া) পাঠানো যেতে পারে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দারুণ! চন্দ্রবিন্দু ছাড়া পাঠা? তাহলে কাউকে বলে দিই 'জলদি পাঠা'।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এঁবাঁর থেঁকেঁ চঁন্দ্রবিঁন্দু ছাঁড়া কোঁন কঁথাই বঁলব নাঁ। হেঁ: হেঁ: হেঁ:।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লে বাবা, এখন দেখি আবার ভূতের উৎপাত।
এই যে ভাই টেকি, এবার কিন্তু সচলায়তনের খণ্ড-ত নিয়ে লিখবো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মুঁর্শেদ ভাঁই আঁমার আঁইডিয়া চুঁরি কঁরছে। খেঁলুম নাঁ।
জুবায়ের ভাই ভাল জিনিস পয়েন্ট আউট করলেন...ভবিষ্যতে চেষ্টা করব এইদিকে নজর দিতে...আগে নিজে ঠিক হয়ে নেই এরপর পত্রিকাওয়ালাদের ধরব।
দৃশা
মাহবুব মুর্শেদ ভূত হলে আপনিও হবেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
যাযাদির কথা বাদ্দেন । পুরা রদ্দি অবস্থা । নিজেরা বানান আবিস্কার করে ওরা ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইসব আবিষ্কার তো 'নেই কাজ তো খই ভাজ' শ্রেণীর হলে ক্ষতি ছিলো না। কিন্তু তাদের একটা এজেন্ডা আছে বলে খুব সন্দেহ হয়। কাগজটা খুব বিশ্বাস বা পাঠযোগ্যতা পায়নি, এই যা ভরসার কথা আপাতত।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
পত্রিকাটি কবে নিজস্ব বর্ণমালা প্রণয়ন করে কে জানে। আমার মনে হয় পত্রিকাটি ছাগু মিডিয়াম আকৃষ্ট করার তালে আছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
যাযাদি-প্রণিত বর্ণমালা যেন দেখতে না হয় কোনোদিন। বাংলা কাগজে একেকটা বিভাগের ইংরেজি নাম দেখেই টাসকি খেয়ে আছি। বর্ণমালা দেখলে হয়তো প্রাণে মারা পড়বো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নরেন বিশ্বাস স্যারকে প্রায়ই বলতাম, আমরা কিন্তু স্যার এই যশোহর কুষ্টিয়ার মত নাকি সুরে কথা কম বলি। নরেশ বিশ্বাস বলতেন চন্দ্রবিন্দু যমুনার জলে ডুবে মরেছে।
এখন যমুনা সেতু হয়েছে, সে হিসেবে সাঁতার না জানলেও এপারে পৌঁছানোর কথা।
মূর্ধন্য ণ-এর উচ্চারণও আমরা কেউ করিনা। এ বর্ণটি বাংলায় অকারণ ঝুলে আছে। অবশ্য এটাও ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে। ৯ আসলে স্বরবর্ণ কীভাবে হয় তা বুঝা মুশকিল। যাক যেতে দিন ওটা।
চন্দ্রবিন্দু হয়তো অতো সহজে যাবে না। এর স্বঁর্গীয় হতে ঢের বাকি। তবে পূর্ববঙ্গে এর আয়ু খূব বেশিও হয়তো হবে না।
তবে যেভাবে বানান শিখে বড় হলাম, তা হঠাৎ বদলে গেলে নিজেকে বেয়াকুব মনে হয়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মাঝে মাঝেই এরকম বেকুব হচ্ছি বলেই লেখাটা লিখেছিলাম। তবে চন্দ্রবিন্দুর আয়ু পূর্ববঙ্গে বেশি হবে না বলে যে আশংকা প্রকাশ করলেন সেখানে একমত হতে পারছি না। আপনার আশংকাটা খালাসা করলে বোঝা যেতো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
পঁড়লাঁম চন্দ্রবিন্দু সহকারে।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এতোক্ষণে আমিও ভূত হয়ে গেছি। ধঁন্যঁবাঁদ, সৌঁরঁভ!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ও..এখানে যায়যায়দিনের কথা বলা হচ্ছিল নাকি এতোক্ষন?
আমি আরো ভেবেছিলাম বাংলাভাষার কথা বলা হচ্ছে।
ঠিক। কথা হচ্ছিলো বাংলা ভাষার শত্রুমিত্র নিয়ে, যাযাদি সেখানে একটি পক্ষ বটে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অনেকদিন পর বাংলা বানানরীতির ওপর একটি চমৎকার লেখা পড়লাম। এই লেখায় বাংলা ভাষার ওপর আপনার অগাধ শ্রদ্ধাও প্রকাশ পেয়েছে। ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন