আজকের প্রথম আলো-তে প্রথম পাতায় দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। একটিতে আমাদের বিগত সরকারের অর্থমন্ত্রীর নাম কেনার খায়েশের কথা আছে। সিলেট-মৌলভীবাজার এলাকায় প্রায় শ'খানেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনায় নির্লজ্জের মতো নিজের নাম বসিয়েছেন সরকারি টাকায়। মনে হচ্ছে আর কয়েক বছর সময় পেলে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলকে নিজের নামে নামকরণ করে ফেলতেন।
পুরো সংবাদটি পড়তে চাইলে এখানে - নামের কাঙাল সাইফুর
ঠিক তার বিপরীতে আছে মফস্বল এলাকার কিছু দরিদ্র শিক্ষকের কথা যাঁরা নিজে উপোসী থেকেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় পড়িয়েছেন, বই-খাতা কিনে দিয়েছেন। পড়তে পড়তে আমার চোখ ভিজে যায়। এই মানুষগুলি কিছুই চান না, শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের বিকশিত করতে পারে এই তাঁদের একমাত্র চাওয়া। আজকের দিনের এই রূপকথা
অদম্য মেধাবীদের বরেণ্য শিক্ষকেরা
সংযোজন:
প্রথম আলো-র নতুন সংখ্য ইন্টারনেটে এসে যাওয়ায় ওপরের লিংক দুটি আর কাজ করবে না। আর্কাইভ থেকে লিংক দেওয়া যেতো, কিন্তু তাদের আর্কাইভ-ও অচল হয়ে আছে। এই দুটি লেখার একটি - শিক্ষকদের নিয়ে লেখাটি - পিডিএফ করে রেখেছিলাম। সেটি এখানে জুড়ে দেওয়া হলো আগ্রহীদের জন্যে। আর নামকাঙাল সাইফুর রহমানের কাহিনী না পড়লেও তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি নেই।
মন্তব্য
লেখাটা আজ পড়েছি সকালে...কি বলব হাসি পেল...কিছুই বলার নাই। শুধু দেখছি।
দৃশা
টেক্সাসে যেভাবে গরু ব্র্যান্ডিং করে, বাংলাদেশের নামের কাঙালদের সেই ভাবে কপালে নাম ব্র্যান্ডিং করা দর্কার!
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
এতো পুরোনো রোগ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের। নীতিবোধ নাই কোনো। ক্ষমতায় গেলে নিজেদের না-জানি-কি মনে করে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই দুই রিপোর্টের দ্বিতীয়টি যা কয়েকজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের কাহিনী জানাচ্ছে, আমি আসলে সেদিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলাম। এই কারণে যে হয়তো এইসব অসাধারণ মানুষের কারণে আমরা এখনো স্বপ্ন দেখতে পারি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এই মানুষগুলো ক্রমশঃ বিরল হয়ে যাচ্ছে । প্রতিকুল পরিবেশে কতো আর টিকে থাকা যায় ?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তবু এঁরা বিরল হলেও আছেন বলে আমরা এখনো স্বপ্ন দেখতে পারি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন