আমার স্ত্রীর কথা যদি বিশ্বাস করেন তাহলে ব্যাপারটা এরকম দাঁড়ায় : যে কোনো কাজের কথা বললেই আমার অনিবার্য প্রশ্ন, এক্ষুণি করতে হবে?
তার ধারণা, আমার চেয়ে অলস মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি কখনো জন্মায়নি। আমি অবশ্য দ্বিমত পোষণ করি। একমত হলে একসঙ্গে এতোকাল আছি কী করে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
ঠিক দ্বিমতও নই, কিঞ্চিৎ সংশোধনীসহ একমত আর কি! আমার ধারণা, আমি লেখালেখি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে অলস নই। লেখালেখির বাসনা নিয়ে কমপিউটারে বসি প্রতিদিন। কর্মধারার বিবরণ এরকম : প্রথমে একটু ইমেলগুলো দেখা যাক, আচ্ছা দুয়েকটা ইমেলের উত্তরও তো দেওয়া দরকার। তা-ও হলো। এখন আজকের ঢাকার কাগজগুলো একটু দেখি, দেশে কী হচ্ছে না জানলে চলে? গেলো আরো ঘণ্টাখানেক। এখন তাহলে লিখি? নাঃ, তার আগে ব্লগে যাই, কে কী লিখলো, আমার শেষ লেখায় কী মন্তব্য পড়লো দেখবো না? সেসব মন্তব্যে পাল্টা কিছু বলাও দরকার, নিদেনপক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন। অন্যদের নতুন লেখাও পড়া কর্তব্য, সঙ্গে মন্তব্য। আঃ, এই তো বেশ। কে বলে আমি লেখালেখি করি না? ব্লগে মন্তব্য লেখা কী লেখা নয়?
এই করে করে কয়েকদিন আগে শুরু করা লেখাটি খুলি। তখন মনে পড়ে, আরে কাল ভোরে উঠতে হবে না? ঘুমাতে যাওয়া দরকার। নাহলে অফিসে বসে ঝিমাতে হবে। সুতরাং লেখার চেয়ে নিদ্রা (আলস্য)উত্তম।
এইরকম যখন আমার লেখালেখির অভ্যাস, তখন আচমকা আরিফ জেবতিকের "ছেলেবেলা" প্রকল্পে সম্ভাব্য লেখকদের তালিকায় নিজের নাম দেখে আতংকিত হই (কিছু আনন্দিতও যে হইনি, তা অস্বীকার করি কী করে?)। তা এই তালিকাভুক্তির খবর জানলাম সমন জারি হওয়ার তিনদিন পরে। নির্ধারিত দশ দিনের আর সাতদিন বাকি। "সন্ত্রাসী সম্পাদকের কাছে নিবেদন" শিরোনামে ইমেল করে অতিরিক্ত কিছু সময় মঞ্জুর করানো গেলো।
মুশকিল বাধলো লিখতে গিয়ে। আমি কী জানতাম আমার ছেলেবেলার গল্প এতো দীর্ঘ? এতো ঘটনা, এতো চরিত্র, এতো বিচিত্র সব গল্প। কোনোটা বাদ দিতে ইচ্ছে করে না, কারণ ভালোমন্দ সবগুলিই আমার কাছে সমান প্রিয়। খেলনার দোকানে দিশেহারা বালকের মতো অবস্থা আমার।
তিন পাতা পর্যন্তু লিখে বুঝলাম মহাসমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছি আমি। এই উপলব্ধি হলে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। সাঁতার দেওয়া বৃথা জেনে গা ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে।
সেপ্টেম্বরের পঁচিশ আসতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। হবে কী? নাকি হবে না? সেটাই এখন আমার কাছে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।
মন্তব্য
হতেই হবে।
______ ____________________
suspended animation...
হওয়াতে তো চাই, হচ্ছে কোথায়?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
হতে হবে, হতে হবে। এখন তো সচলায়তনে এসেও মেসেজ পেতে থাকবেন। সন্ত্রাসী সম্পাদকের খোঁচার পরে খোঁচা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যুদ্ধেই না যাওয়ার অপশন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বলে গেছেন না? ভয় দেখালে সচলায়তনে আসা বন্ধ!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
পালানোর ধান্ধা করে কি লাভ? সময় নষ্ট না করে লেখেন কিছু একটা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নষ্ট করার মতো সময়ও তো নেই!
শুধুই ঠাট্টা, পালাবো কেন? বড়োজোর লেখাটা যথাসময়ে শেষ করতে ব্যর্থ হবো, এই তো। তাতে আমার জেল হবে না, ফাঁসিও না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সম্পাদক মহাশয় মনে হয় না আপনার সাথে একমত হবেন।
কি মাঝি? ডরাইলা?
তাহলে আর কী করা?
আমি হাসি হাসি পরবো ফাঁসি
দেখবে বলগবাসী...
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জেল কিংবা ফাসিই সমাজের একমাত্র শাস্তি নহে,বরং উহারা মাঝে মাঝেই অতি অল্প ফাসি বলিয়া মনে করা যাইতে পারে।
হুমম।
জুবায়ের ভাইয়ের ছেলেবেলা সেইরকম হওয়ার কথা।
মহাসমুদ্র।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নেমেছি লাইফজ্যাকেট ছাড়া। এখন উদ্ধার পাই কীসে?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ঠিক!@ সৌরভ
ব্রুটাস, তুমিও!!!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ফাঁকিবাজীর কৈফিয়তটা ভালো হয়েছে। ...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কৈফিয়ত নহে, জনাব। ইহাই সত্য!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই খবর কি? ফোনে আমাদের খবর দিব
লিখে ফেলুন।
আরশাদ, তুমিও!!!!!!!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আরিফ জেবতিক সবচে অলস। নিজে না লেখার ফিকির একটা জোগাড় কৈরা ফেলসে।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
শেষ পর্যন্ত এটা কী হলো ?
সর্বনাশ! এই সম্পাদক দেখি কবর খুঁড়ে লাশ তুলে বলবেন, লেখা কই?
আসলে ট্রেন ফেল করার পর পাণ্ডুলিপি মাথার নিচে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলাম। আর ট্রেন আসবে কি না জানি না তো!
ঠাট্টা থাক। গত কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম লেখাটা শেষ করে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো, আপনি যা করার করবেন। এই লেখাটা আপনার জন্যেই লেখা হচ্ছিলো। অবশ্য নতুন করে এখনো খুলে বসা আর হয়নি।
আপনাকে আগে বলেছিলাম, 'ফেলে আসা ছেলেবেলা' বeতে যেসব লেখা গেছে, সে তুলনায় আমার লেখাটা অতিশয় দীর্ঘ। জানি না এর কোনো গতি করা সম্ভব কি না। আটকে যাওয়ার সেটাও একটা কারণ বটে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- নিঃসন্দেহে আপনার লেখাটা এমন হবে যেখানে বাকী সব লেখারই প্রতিফলন থাকবে। এরকম একটা লেখা হলেই তো হয়, অন্য গুলোর কী দরকার?
অতএব, লিখে ফেলুন গুরুজী।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরুজী-টুরুজী এইসব কি বলছেন? গণপিটুনীর ব্যবস্থা বলে সন্দেহ হয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন