কয়েকটা দিন অন্যরকম-১

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: বুধ, ০৬/০২/২০০৮ - ৩:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৩০ জানুয়ারি দুপুরের দিকে মাইক্রোবাস কনফার্ম করেছিলাম। ৩১ এর দুপুরে বাসায় যাবে এমন কথা ছিল ড্রাইভারের সাথে। সেই কথা সে বেমালুম চেপে গেল পরদিন দুপুরে। ১ টায় গাড়ি থাকবে বাসার সামনে। আর আমি ফোন করলাম সোয়া ১ টায়। সে তখনও স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে। বাড়ি নাকি চিনতে পারছেনা। কি আর করা, দৌড়ালাম। সামনে পেয়ে অন্যকথা বলে। তার ঢাকায় যেতে সমস্যা!!! মাথা ভন ভন করে উঠে। কদাচিৎ গালমন্দের দরকার পড়ে। নয়ত এখন ঝদ্রস্ত জীবনই বলা যায়। ভদ্রতায় ছেদ পড়ল। কষে থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে হলেও সে পর্যন্ত আর যাওয়া হলনা। তাজুল মিয়া নামের জনৈক ড্রাইভার উদয় হলেন ঘটনাস্থলে। তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে আমি আমার সিডি ৮০ তে টান দিলাম।

দুপুর একটায় বেরুব কথা ছিল, সেই যাত্রা শুরু হল আড়াইটায়। দেড়ঘন্টার এই দেরিটার জন্য মাথায় রক্তচাপ বেড়েছে দ্বিগুন। গাড়িতে বসেই আবার ফোন দিলাম মান্যবর ড্রাইভারকে। আরেকপ্রস্ত অমৃত বর্ষন করলাম তার কানে।

তিন বছর হল বাবাইর। এই প্রথম সে আমার সাথে কোথাও যাচ্ছে! মনে হতেই কেমন কেমন লাগা শুরু হল। গাড়িতে ধুমাধুম চক্কর দিচ্ছে সে। একবার মায়ের কাছে বসেতো আরেকবার দাদুর কোলে। আরেকবার ডাক্তার দাদার কাছে (আমার মামা)। আমাকেও বঞ্চিত করছেনা। আহারে, ছেলেটা কি হমৎকার কান্ডকারখানা করে, আর আমি তা থেকে নিয়মিত বঞ্চিত হই...

এতবছর ধরে ঢাকা যাই, তবু শহরটা আমার কাছে চরম অচেনা, বিরক্তিকর। টেক্সিওয়ালা আর রিকশাওয়ালা না থাকলে সেখানে চলা আমার জন্য দুস্কর। এই আমাকে যদি মাঝপথে এসে শুনতে হয় টঙ্গি হয়ে শহরে ঢুকতে হবে, তখন কেমন লাগে? কাজটা করলেন আমার ভাই। মোবাইলে তিনি ইনস্ট্রাকশন দিলেন, মেলার কারনে বিজয় স্মরনিতে মহা জ্যাম। মিরপুর যেতে যেতে রাত ১২টা বেজে যাবে। টঙ্গি হয়ে যেন গাড়ি যায়। আমি বল্লাম রাস্তা আমি চিনিনা। সে বলে তোর চেনার দরকার নাই ড্রাইভার চিনবে। ওরে ফোন দে। সে ড্রাইভারের সাথে কথা বলে। আম্মা, তুলি, মামা সবাই বলে রাস্তাটা নাকি তারা চেনে। আগেও গিয়েছে। সমস্যা নাই। কি আর করা, চলুক গাড়ি...

নানা রাস্তা পেরিয়ে মিরপুরের রুপনগরে যখন পৌছলাম রাত তখন এগার। সাথে থাকা তিন পিচ্চি ঘুমের কোলে। নিজের শরিরটাও বেশ দুর্বল।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আরেকটু বেশী বেশী আশা করছি।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ শিমুল। তবে ঠিক ‌'জুইত' পাচ্ছিনা মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমিও। জুইত পাইলাম না। আরোও বেশী করে দেন।
সম্ভবত আপনার বই বেরিয়েছে। সেটার জন্য শুভেচ্ছা।

আমার স্মৃতিবিপর্যয়-৪ আপনার পড়ার অপেক্ষায় আছে।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনার স্মৃতিবিপর্যয় পড়েছি। কেন লেখায় জুইত পাইতাছিনা সেইটা বলছি সেইখানে।

বই একটা বাইরাইছে। শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বইয়ের টুকটাক সমাচার জানান, জানতে ভালো লাগবে হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

রানা মেহের এর ছবি

কেন? জুইত পাচ্ছিস না কেন?
বই বের করে গাছে উঠে গেছিস?
তাড়াতাড়ি লেখ গাধার বাচ্চা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নজমুল আলবাব এর ছবি

গাছে উঠতে পারলেতো ভালই ছিল। কিন্তু গাধারাতো গাছে চড়তে জানেনা ডিয়ার শাখামৃগ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম: বাবা আলবাব-এর বাবাই নামের পুত্র হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নজমুল আলবাব এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।