ছোটবেলা থেকেই খালি জিনিসপত্র পালতে ইচ্ছা করত। জিনিসপত্র মানে কুকুর, বিড়াল, পাখি, ঘরের ভিতর ছোটখাট পশুপাখি যা আঁটে। আম্মার কাছে অনেকবার কুকুর, মুরগি পালার বায়না করলে প্রত্যেকবার গু পরিষ্কার করার ভয় দেখায়ে উৎসাহ নষ্ট করে দিত। শেষমেষ বুয়েটে থাকতে এক রুমমেটের পাল্লায় পড়ে কাঁটাবন মার্কেটে ঘুরাঘুরি শুরু, তারপর একটা পিচ্চি জার দিয়ে শুরু করে একসময় বিশাল দুইটা অ্যাকুয়ারিয়াম ট্যাঙ্ক। একগাদা মাছ পেলেপুষে বড় করে তারপর যখন দেশ ছাড়ার টাইম হল, মন খারাপ করে সবগুলা আবার কাঁটাবনে বেচে দিয়ে আসলাম।
আম্রিকা এসেও অ্যাকুয়ারিয়ামের ধান্ধা পিছ ছাড়ে নাই। গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের নিজের পেট চালাতেই টানাটানি, তার উপর কাটাবনের ২০ টাকায় জোড়া প্লাটি মাছের বদলে ৫ ডলারে একটা মাছ কিনে পোষানো সম্ভব না। গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মত বাসার সামনেই একটা অ্যাকুয়ারিয়ামের দোকান, সেখানে Finding Nemo এর ট্যাঙ্ক সাজানো।
আম্রিকা এসে আরেকটা যে ঝামেলায় পড়লাম তা হল, দেশী খাবার পাইনা। নেতানো কাঁচামরিচ কিনতে হয় ইন্ডিয়ান দোকান থেকে, বিশাল দাম দিয়ে, দুইদিন পরে পঁচা শুরু করে। পুঁইশাক এত প্রিয়, লোকাল চাইনিজ মার্কেটে মাঝেমাঝে পাওয়া যায় মাঝেমাঝে, তাও টাটকা না। আশেপাশের বাঙ্গালিরা বুদ্ধি দিল, “খাইবা, তো গাছ লাগায়া খাও”।
ভাল বুদ্ধি! আরেকজনের থেকে দুইটা মরিচের চারা ধার নিয়ে টবে লাগাইলাম। এই দেশে গাছ পালা সহজ। টব পাওয়া যায়, সার মিশানো মাটি পাওয়া যায়, টবে ভরে বিচি পুঁতে দিলে বা চারা লাগাইলে আর রেগুলার পানি দিলে হ্যাপা শেষ। মরিচ গাছে সুন্দর সুন্দর ফুল হয়, তারপর ঝাল মরিচ। আহা! ফ্রেশ ঝাল কাঁচামরিচ।
অ্যাকুয়ারিয়াম বাদ দিয়ে এখন মাথায় খালি গাছই ঘুরে। সুন্দর একটা বারান্দা আছে। বউয়ের গাছপালা নিয়ে ভাল জ্ঞান আছে। বারান্দাটা দেখতে দেখতে ভরায়ে ফেললাম গাছ দিয়ে। টব যোগাড় করার আরো সহজ বুদ্ধি পেলাম। ৫/৬ ডলার টব না কিনে এখন ১ ডলারের দোকান (ডলার ট্রি, ডলার জেনারেল) থেকে ১ ডলারের বালতি কিনে তলায় ছিদ্র করে দিলেই হয়।
মরিচ গাছ। দোকান থেকে যে মরিচগুলা খেয়ে বেশ ঝাল মনে হয়েছে, বিচি রেখে দিয়ে মার্চ মাসেই লাগালাম, প্রতিদিন একটা দুটা নতুন মরিচ হচ্ছে। তেমন যত্ন লাগে না, রেগুলার পানি দিলেই হয়, মাঝেমাঝে খেয়াল রাখা লাগে
Aphid হয় নাকি, হলে ওষুধ দিয়ে দেই। মূল তেমন ছড়ায় না, ১০ ইঞ্চি ডায়া, ৮ ইঞ্চি ডিপ টবে দুইটা লাগানো যায়।
মরিচের ফুল খুব সুন্দর, ছোট্ট সাদা ৫টা পাপড়ি, মাঝখানে ৫টা কাল বা কালচে নীল পুংকেশর।
পুদিনা গাছ। গতবছর আরেকজনের বাগান থেকে মরিচের চারা আনার সময় সাথে করে একটা ছোট্ট ডাল চলে এসেছিল মূলে পেঁচায়ে। ফেলে দিতে গিয়েও টিউলিপের কথা শুনে একটা টবে লাগায়ে ফেললাম। বাড়তে বাড়তে এখন টব ভরে গেছে। যথেষ্ট শক্ত প্রাণ এইটার, মাটি শুকিয়ে একদম শক্ত না হলেই হল। পুদিনার গন্ধে পোকাও ধরে নাই এই পর্যন্ত। মোটামুটি ছড়ানো একটা গামলায় লাগালেই হয়।
Kroger এ ২ ডলারে একবার ধনিয়ার চারা পেয়ে কিনে আনলাম। ডালে ধনিয়া দিলে ভালই লাগে। রেগুলার পানি আর একটু খেয়াল রাখা লাগে যেন কড়া রোদে না পড়ে। পোকা ধরে না সহজে।
পুঁইশাক। গুড়া চিংড়ি টাটকা পুঁইশাকের ঝোলে বহুদিন খাইতে পারিনাই এই দেশে এসে। কয়েকদিন আগে একজনের থেকে ছোট্ট চারা নিয়ে লাগালাম। বৃষ্টির দিন পেয়ে ভালই বড় হয়েছে এই দুই সপ্তায়। আজকালের মধ্যে তুলব। পুদিনার মত এটারও টবের depth লাগে না, শুধু ছড়ানো হলেই হয়।
স্টারগেজার লিলি। টিউলিপের বায়্নায় ওয়ালমার্ট থেকে কেনা। বিশাল বিশাল ফুল, রোদ পড়লে ঝলমল করে একদম। বাল্ব টাইপের গাছ। ফুল দিয়েই মরে যায়। মাটির নিচে বাল্ব থাকে, সেখান থেকেই পরের বছর শীত শেষে আবার গাছ হয়। বাল্ব থেকেই আস্তে আস্তে গাছ ছড়ায়।
জিনিয়া। সচল মুস্তাফিজ কয়েকদিন আগে একটা
পোস্ট দিয়েছিলেন এইটার উপরে। পালা বেশ সহজ। ৬ইঞ্চি ডিপ, ৬ইঞ্চি ডায়ার একটা টবে ২/৩টা গাছ লাগানো যায়। গাছ ভরে ফুল আসলে খুব সুন্দর লাগে, প্রজাপতি, মৌমাছি ঘুরঘুর করতে থাকে আশেপাশে।
গোল্ডেন বল ক্যাকটাস। এইটার বাংলা নাম আছে নাকি জানিনা। গুতুমগাতুম চেহারার একটা সবুজ বল, গায়ে ঘন করে হলুদ রঙের কাঁটা, রোদ পড়লে সোনালী আভা ছড়ায়। জায়গা পেলে ৪/৫ ইঞ্চি পর্যন্ত ডায়া হয়, লম্বায় ২ফিট পর্যন্তও বাড়ে, পানি এক সপ্তাহে একবার দিলেই হয়। সুখী একটা ক্যাকটাস প্রায়ই মাথায় দুইতিনটা উজ্জ্বল হলুদ রঙের ফুল ফুটিয়ে হাসতে থাকে।
টমেটো গাছ দেশে থাকতে যা দেখতাম, তার তুলনায় এইখানে বিশাল বড় হয়। এক বিকালে এক দোকান থেকে মৃতপ্রায় ৮টা পিচ্চি চারা ফেলে দেওয়ার সময় কুড়িয়ে নিয়ে আসলাম। বড় দুইটা টবে ফ্রেশ পটিং মিক্স (সার মিশানো মাটি) ভরে ৪টা করে লাগালাম। এখন বড় হয়ে কোমরসমান হয়েছে। পানি দেওয়ার সময় পাতাগুলা ভিজে খুব সুন্দর একটা গন্ধ ছাড়ে। বেশ দেরী করে লাগিয়েছি বলে এখনও কলি আসে নাই।
সিম গাছ। দেড় সপ্তাহ আগে বিচি লাগালাম। তরতর করে বড় হচ্ছে। (পিনহুইলটা টিউলিপের শখে কেনা
)
মানি ট্রি। বাংলা নাম জানিনা। ড্রয়িংরুম সাজানোর গাছ, আপাতত বারান্দায় বড় হচ্ছে।
গাছের ভূতে ভালই পেয়েছে আমাদের। পরের বছর কি কি লাগাব, টিউলিপ আর আমি মিলে এখনই ঠিক করছি। ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে বিচি নিয়ে আসব। লেবুগাছ লাগাব ভাবছি বড় একটা টব কিনে। আপাতত আমাদের এই বাচ্চাকাচ্চা গুলোর বড় হওয়া দেখি।
মন্তব্য
ওয়ার্ড থেকে পেস্ট করতে চাইলে: http://www.sachalayatan.com/faq/show/716#q_11004
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক ধন্যবাদ!
আমার কেবল ছবি ঢুকাতে সমস্যা হচ্ছে। ফ্লিকারে share this > grab the html এ কোড কপি - পেস্ট করে প্রিভিউ দিলে কেবল কোডই দেখতে পাচ্ছি। এটা কি নরমাল? প্রিভিউতে ছবি দেখা না গেলেও পোস্টে ঠিকই আসবে? আর অনলাইন এডিটরে একটা বাটন আছে, "flickrCommand", এটা কোনভাবে ব্যবহার করা যায়? বা insert/edit imageএ কোন লিংক দিব?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কোড পেস্ট করলে কোডই আসবে। হোয়াট ইউ সি ইজ হোয়াট ইউ গেট।
ফ্লিকারের সমস্যা সমাধানে এটার ব্যবস্থা/টেস্ট করেছিলাম। কিন্তু আমার ইউজার নেইম ইনসার্ট করা বলে আমার ছবিগুলো দেখায়।
তোমার ছবি গুলো আমি রি-ইনসার্ট করেছি। আর ওয়ার্ড থেকে ঠিকমতো ইনসার্ট করা ছিল না। সেটাও ঠিক করলাম।
দেখি সহজে কোনো ফ্লিকার ইনসার্ট করার ব্যবস্থা করা যায় কিন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কোড পেস্টের ব্যাপারটা এখানে দেখলাম। ভুল বুঝলাম? html কোডটা নিয়ে পোস্টে পেস্ট করতে হবে না?
ওয়ার্ডে ছবি বসিয়ে এডিটরে paste from word দিলে ছবির জায়গায় কেবল একটা linefeed আসে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ওটা প্লেইন টেকস্ট এডিটরের জন্য। আগে যেটা ইউজ করতা সেটার জন্য। রিচ টেকস্টের হিসাব কিতাব ভিন্ন। নট ইওর ফল্ট। ঠিক করতে হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আহা, দেখে চমৎকার লাগল! আমিও বারান্দায় টবে গাছ লাগিয়েছি, এইবারই বেশী করে। আমিও ডলার স্টোর ওয়ালমার্ট থেকে প্লাস্টিক বালতি কিনে ফুটো করে নেই, আমার বউও এগুলোকে "বাচ্চাকাচ্চা" বলে, আর ছবি তুললে, আপনারই মত, পার্কিং লট আর লালল ইটের বাড়ি উঁকিঝুঁকি মারে
আমরা এবার টমেটো লাগিয়েছি, বড় পাত্রে (স্যামস ক্লাবের বড় তেলের পাত্র---রিসাইকেল ), চমৎকার ফলন দিয়ে যাচ্ছে! জিনিয়া, গাঁদা, ব্যাচেলর বাটন, কসমস, সূর্যমুখী (সাতফিট লম্বা হয়েছে, ফুলের সাইজ মানুষের মাথার সমান) এগুলোও হয়েছে। খালি ক্যাপসিকাম টা ঠিক মত হয়নি, খুব সম্ভব রোদের অভাবে।
আপনারা আম্রিকার কোনদিকে থাকেন? আমরা ইস্ট কোস্টের মাঝামাঝি।
আপনার ব্যালকনী-গার্ডেনের জন্য গুডলাক!
ইস্ট কোস্টের মাঝামাঝি কই? আমরা টেনেসি। কাছেই তো আছেন মনে হচ্ছে।
সূর্যমুখী সাত ফিট?! বহু আগে আব্বা একবার করেছিল সূর্যমুখীর ক্ষেত, এইরকম লম্বা লম্বা গাছ, আমি তখন ছোট, ভিতরে যেতে ভয় পেতাম, মনে হত হারিয়ে যাব। আপনার গাছের কথা শুনে মনে পড়ল।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
জিনিয়া টা জটিল লাগলো।
থেঙ্কু!
[নামটা, ভাই?]
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাচ্চাকাচ্চা তো মাশাল্লা অনেকগুলো
হুমম। দিনে দিনে বাড়সে একটা দুইটা করে
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আরেকটা জিনিসের ফুল দারুণ সুন্দর হয়। একটা গল্প লিখেছিলাম এ নিয়ে।
সুন্দর গল্প! পিচ্চিতোষ সিরিজ পড়া শুরু করব দেখি পরীক্ষা শেষ করে।
পেঁয়াজের ফুল দেখিনাই তো আগে। ছোটবেলায় বাসায় পেঁয়াজ লাগানো হইসিল। তখন এরকম ফুল দেখসি বলে মনে পড়ে না। খুবই সুন্দর ফুলটা।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমাদের যে বাচ্চাকাচ্চাগুলা তোমাদের বাসায় পালক দিয়ে আসছি, ওগুলা নিজের মনে করে যত্ন কইরো। চাইলে পোস্টেও দিতে পার। ফুল ফোটানোর ক্রেডিট তো তোমাদেরই। নেপিয়ার ঘাসের ছবি দিলা না? ঐটা কি এতিম? বানের জলে ভেসে আসছে?
অটঃ পল্লব-টিউলিপ এইরকম জটিল নামের কম্বিনেশানে বাচ্চাকাচ্চা তো এইরকম ই হওয়ার কথা।
-শিশিরকণা-
আপনাদের বাচ্চাকাচ্চার ছবি তুলে রাখা আছে। সূর্যমুখী তিনটা বাগান আলো করে আছে। সামনের বছর আমিও লাগাচ্ছি।
নেপিয়ার, ক্লোভার, আরো কতগুলো ঘাস আর আগাছা আছে, পল্লব রেসিস্ট, এই পোস্টে ছবি দেয় নাই। ফেসবুকে আপলোড করেছে।
অফটপিকঃ শুভ কনফারেন্স মুবারক।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
পোস্টের কলেবর বাড়তেসিল "প্ল্যানড" বাচ্চাকাচ্চাগুলার ছবি দিয়াই। "আনপ্ল্যানড"গুলারও ছবি দিলে ব্রাউজারে দুই পাতা লাগত
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনার সূর্যমুখীর ছবি দিয়া ক্রেডিট হাতাইতে ইচ্ছা করল না। ফুলগুলা সুন্দর হইসে অবশ্য। আমার বারিন্দার শানশওকত বাড়াইসে অনেক
"নেপিয়ার" ঘাস কি করব বুঝতেসি না, বইসা বইসা আপনাদের মরিচ গাছের খাবার খাইতেসে, তুলতে গেলে পুরা মাটিশুদ্ধা উইঠা আসে, তাই আর তুলিনাই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কি মাঝি, ডরাইলা?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাগান তো ভালোই হইছে। ঐ দিকে কৃষি পুরষ্কার জাতীয় কিছু নাই?
...........................
Every Picture Tells a Story
নাহ, তবে কৃষির কিছু একটা আছে, খোঁজ পাইসি, ঐখানে ফ্রী অনেক কিছুর বিচি আর সার দেয়। ফেব্রুয়ারি আসলেই যামু।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেল! সুন্দর!
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com
সকালে উইঠাই পানি দেওয়ার জন্যে বারান্দায় গিয়া মনটা ভাল হয়ে যায়
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ঢাকায় থাকি, এপার্টমেন্টে। একচিলতে দুইটা বারান্দা, তাতে নিজেই দাঁড়ানোর জায়গা পাই না... আর গাছ
দারুণ লাগলো আপনের বাগান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছোট্ট একটা টবে ক্যাকটাস বা অর্কিড লাগাইতে পারেন। রাইফেলস স্কয়ারের পাশেই পুষ্পিত সীমান্ত বা এইরকম কিছু একটা নামে একটা দোকান আছে (আমি গত জুলাইয়ে দেশ ছাড়া পর্যন্ত ছিল), ঐখানে সুন্দর সুন্দর অর্কিড বা লাকি ব্যাম্বু দেখসিলাম। বোতলে বা গ্লাসে মানিপ্ল্যান্টও লাগাইতে পারেন। পানি দেওয়া ছাড়া তেমন জায়গা বা যত্ন নেয় না কোনটাই। ঘরে একটু সবুজ থাকলে ভালই লাগে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
অভিনন্দন পল্লব-টিউলিপ!! এমন বাচ্চা-কাচ্চার ছবি দেখলেও প্রাণটা জুড়ায়।
পিঁয়াজ, রসুন, লেটুস, গাঁজর, মুলা, বীট, ডাঁটা, শতমূলী, কুমড়া (চাল-মিষ্টি-ভূঁই), বরবটি, লাউ, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, উচ্চে, করল্লা, কাঁকরোল, বেগুন, পার্সেলী, স্কোয়াস, শসা, তরমুজ, ক্যান্টালুপ চেষ্টা করতে পারেন। এক মরিচই পাবেন দশ-বারো রঙা, বেগুনও পাবেন দশ বারো রঙা। বাকিরাও রঙের বাহারে পিছিয়ে নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খাইসে! এইটা তো বিশাল লিস্টি! আমরা গরীব মানুষ, একটা ছোট্ট ১০ ফিট বাই ৪ ফুট বারিন্দা আছে খালি। তবে ইচ্ছা আছে চাকরিতে ঢুকে বাড়ি নিয়ে ব্যাকইয়ার্ডে ক্ষেতখামার করার
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
খুব ভাল লাগসে!! সুন্দর বাগান! বাগান এর জন্য শুভকামনা রইলো! ভাল থাকবেন।
থেঙ্কু! আপনিও ভালো থাকবেন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ইয়া আল্লাহ কত বাচ্চাকাচ্চা! দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেল।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাহ্! বাচ্চাগুলান সুন্দর হৈসে
থেঙ্কু!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কী সুন্দর বাচ্চাকাচ্চা সব!
আমার না গাছের প্রচুর শখ। কিন্তু গাছের যত্ন করার শখ নেই
তাও গাঁদা ফুলের গাছ ছিল। আর দু য়েকটা নাম জানিনা কিন্তু দেখতে সুন্দর প্লান্ট ছিল।
এবার সামারের রোদে একদম পুড়ে ঝামা হয়ে গেছে।
শত পানিতেও বাঁচানো যায়নি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সহজ গাছ পালতে পারেন। ক্যাকটাস বা অর্কিড, এই গুলার অত যত্ন লাগে না। রাইফেল স্কয়ারের পাশে পুষ্পিত সীমান্ত নামে একটা দোকান কি এখনও আছে? ঐখানে ভাল অর্কিড আর লাকি ব্যাম্বু পাওয়া যায় দেখসিলাম।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
অর্কিড তো আছেই। ক্যাকটাস আমার খুব পছন্দের না। ঢাকার দোকান টোকান চিনিনা একদমই । আমি সিলেটের মানুষ।বাসায় ইনডোর প্লান্ট আছে। কিন্তু আউটডোর গুলো বাঁচেনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- মরিচগুলা তো বেশ টসটসা দেখি!
এভাবে যাঁরা বাচ্চাকাচ্চা পালেন, তাঁরা ঈর্ষনীয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মরিচ টসটসা এবং ঝাল! কালকে শখ কইরা দুইটা নিলাম, ভাতে মাখায়ে খাব। আমার মত ঝাল খাওইন্যা পাবলিকরে কান্দায়া ছাড়সে!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
পোস্ট পড়ে আর ছবিগুলো দেখে মন ভাল হয়ে গেল!
আপনাদের ও বাচ্চাকাচ্চাদের জন্যে শুভকামনা।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
অনেক ধইন্যা!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাচ্চাকাচ্চা থাকা ভালো।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হ
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আম্রিকা যাইয়া আমিও বাচ্চা দিমু
বড়ই ভাল পাইলাম
__________
ত্রিমাত্রিক কবি
এইখানে গাছের কেয়ার করা সোজা, আলাদা করে সার চিনা লাগে না, মাপা লাগে না, plant feed মিশানো মাটি পাওয়া যায়, যাতে বলে দেওয়া থাকে, কতদিন পরে নতুন মাটি মিশানো লাগবে। একদমই সোজা। সাদার্ন স্টেটগুলায় জায়গায় প্রচুর। ২০০০ সালের পরে গত বছর আমেরিকা আসার আগ পর্যন্ত আমি খোলা বারান্দা পাইনাই, যেখানে রোদ আর বাতাস ঢুকে। ঢাকার চিপা জেলখানা বারান্দাটায় দমবন্ধ লাগতো।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
পল্লব ভাই,
আপনার বাগান দেইখা ভাই কান্দন আইতাছে। শালার ঢাকায় গাছ লাগানোর কোন জায়গা নাই। আমি থাকি নিউ কলোনী,আগারগাঁও তে। কোন এক বর্ষায় আমি আর আমার এক বন্ধু মিল্লা গোটা কলোনীতে গাছ লাগাইছিলাম। বেশির ভাগই বৃক্ষ জাতীয়। কদম, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, বকুল, নিম। সবশেষে দুইটা কদম, একটা বকুল আর একটা রাধাচূড়া টিক্কা গেছে। নিম গাছ গুলা বড় হইলো আর লোকজন দাঁতন বানায়া মাইরা ফালাইলো। রাধাচূড়া সব শেষ। একটা কেমনে জানি বাইচা গেছে। কদম খুব তাড়াতাড়ি বড় হইছে তাই বোধ হয় টিকছে। আর বকুল মনে হয় কেউ চিনে নাই। তাই আছে। গাছের চারপাশে বেড়া দিলাম, পানি দেয়ার লোক রাখলাম। তারপর চইলা গেলাম ময়মনসিং, ওই মেডিকেলেই পড়তাম কিনা। মাস দুয়েক পর সব ভ্যানিস। আইজকা দেখি টিক্কা থাকা একটা কদম গাছের ডালপালা এমন ছাটা দিছে যে ওইটা টিকবো কিনা কে জানে।। গাছের অপরাধ কি ভাই জানেন? ওইটার নিচে পোলাপান বিকালে বইসা আড্ডা দেয়, খেলা দেখে। তাজ্জব হয়া গেলাম। আরেকটু হইলেই মারামারি হইতো। হয়নাই। ভাই অ্যাডেনিয়াম লাগাইতে পারেন। মজার গাছ। সত্যজিত রায়, প্রফেসর শঙ্কুর এক গল্পের ইলাষ্ট্রেশনে ভিন গ্রহের প্রানী বইলা কিছু গাছের ছবি আঁকছিলেন। গাছগুলা অ্যাডেনিয়ামের মতো।
ভালো থাকবেন। মাঝে মাঝে আপনার বাচ্চা কাচ্চাদের খবর দিয়েন।
-------------------------------------------------------------------------মানিক
ওয়াও! ভয়াবহ সুন্দর ফুলটা! এইটা না?! গুগল মামায় কয়, এইটা ইনডোর প্ল্যান্ট। অতি অবশ্যই যোগাড় করতে হবে। কিন্তু এই পর্যন্ত কোথাও দেখসি বলে মনে পড়তেসে না। ওয়ালমার্টে এক বুড়া আছে যে কিছু জানে। তারে জিগাইতে হবে। অনেক অনেক ধইন্যা! আপনারে সামনে পাইলে আস্ত গাছের টবই দিয়া দিব, যান!
আপনার গাছগুলার কথা পড়ে মনে খারাপ হইল। মানুষ গাছের কদর যে কবে বুঝবে!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
দারুণ কিউট বাচ্চাকাচ্চা সব!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাচ্চা কাচ্চাদের ছবি খুব ভাল লাগলো, বিশেষতঃ কাঁচা মরিচের । আমি আবার বিশিষ্ট মরিচখোর ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আমিও, এইজন্যেই সবার আগে মরিচ গাছ লাগাইসি। দোকানের মরিচগুলায় কেন জানি ঝাল পাইনা।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনারা তো ভালোই ফার্মভিল খেলছেন দেখি
আমিও বড় হয়ে এরকম বাচ্চা পালব।
আচ্ছা, পুদিনার টবের নীল বলটা কীসের?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে! আজকে পুঁইশাক আর মরিচ তুলতে তুলতে ঠিক এইটাই মনে হইল। এই ফার্মভিলটা অনেক মজার, অবশ্যই
এইখানের আবহাওয়া খুবই শুকনা, রোদও খুব কড়া। পানি না দিলে একদিনেই গাছ নেতায়ে যায়। নীল বলটা আসলে এই জিনিস। বলে পানি ভরে নলটা মাটিতে ঢুকায়ে দিলে গাছের খাই অনু্যায়ী পানি বের হয়ে মাটি ভেজা থাকে। ধর, ৩/৪ দিনের জন্য কোথাও গেলাম, অটো পানি দেওয়া হবে এইটা দিয়ে সেই কয়দিন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
দারুণ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
একটু আগে বারান্দায় গিয়ে দেখি, টমেটো গাছগুলায় ফুল ফুটতেসে। ছোট ছোট সাদা কলি। টমেটো আর পুদিনার গন্ধে বারান্দা ম ম করতেসে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আপনার সাথে এইদিকে আমার অনেক মিল, আমারো খালি জিনিসপত্র পালতে ইচ্ছা... সেদিন দুটো পিচ্চু বিড়াল কাকের হাত থেকে বাঁচিয়ে বাসায় নিয়ে আসছিলাম... এরকম কিউট ''ভাইবোন'' আমারো আছে... (বিয়ে হয়নি তো তাই ভাইবোন বললাম !!)
বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ভাল থাকেন...
''চৈত্রী''
থেঙ্কু।
বিড়াল অত পছন্দ ছিল না অবশ্য। তবে একবার আমার এক বন্ধুর জন্য একটা বিড়ালের বাচ্চা বুয়েট থেকে আজিমপুর পর্যন্ত বহন করসিলাম আমি আর আমার আরেক বন্ধু মিলে। হাত খামচায়ে ধরে বসে ছিল পুরা রাস্তা। মায়াই লাগে। আরেকবার বুয়েটে বৃষ্টির পানি জমলে আমার রুমমেটরা একটা বিড়ালের বাচ্চা উদ্ধার করে। রুমে ছিল বেশ কয়েকদিন। কেন জানি তার নাম দেওয়া হইসিল কেভিন কস্টনার
কুকুর পালতে খুব মন চায়। কিন্তু এই দেশে মেলা হাঙ্গামা। দুইজনের কেউই বাসায় থাকি না, কুকুরের দিকে খেয়াল রাখবে কে? তার উপর সাইফ তাহসিন ভাইয়ের একটা লেখা পইড়া সেই চিন্তা বাদই দিসি।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
নতুন মন্তব্য করুন