বাল্য বিবাহের বিরোধীতা ...আল্লাহ পাকের বিরোধীতা !!

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: শনি, ১০/০৫/২০০৮ - ১:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৈশাখী তালাক শিরোনামে লিখা পোস্টে 'একটি খবরের কাগজের কথা লিখে কাটতি বাড়াচ্ছি' এমন অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ,পাশাপাশি সেই পত্রকাটি দেখতেও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অভিযোগ আর জনগনের চাহিদার বিষটা মাথায় রেখে আবারও আজকে আমাকে সেই পত্রিকাটি সম্পর্কেই লিখতে হচ্ছে। ধর্মনিয়ে আলোচনায় যেতে চাই না, রাজনীতি বুঝিনা, আর অনুসন্ধানী সংবাদ ইদানিং বাদ দিয়ে হাতে শেকল পড়েছি।
তবুও ঢেঁকি স্বর্গে গেলে ধান বানে সেই জন্যই এই সংবাদটি সচলের ব্লগারদের সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারছিন।
আল ইহসান

"হুযূরে পাক সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বাল্য বিবাহ করেছেন। সুতরাং বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে বলার অর্থই হচ্ছে সরাসরি আল্লাহ পাক ও তার হাবীব হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধীতা করা যা কাট্টা হারাম ও কুফরির অন্তভূক্ত। যা কোন মুসলমানই মানতে পারেনা। অতএব এর প্রতিকারে পৃথিবীর দু'শ কোটি মুসলমানের এগিয়ে আসা উচিত"

হযরত ঈমাম সাঈদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান কতৃক প্রচারিত এই লিফলেট খানাকে আমি পত্রিকা বলবোনা এই জন্য যে, তারা সংবাদ পরিবেশনের নামে ধর্মের ভূল ব্যখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

সম্প্রতি গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে ব্যপক আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার। এই সমস্ত আব জাব প্রচার পত্রকে পত্রিকা বলে প্রচার করা হয় কিভাবে সেটিও আমার কাছে পরিস্কার না! তাহলেকি প্রচার পত্র আর সংবাদ পত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই ! নিজের বাড়িতে বসে যাকিছু একটা লিখে বা নিজস্ব ছাপাখানায় নিজের মনগড়া কথা লিখে দিলাম...এবং সেটিকে সংবাদ পত্র বলে চালিয়ে দিলাম .....এর কি কোন মা-বাপ নাই....??

বৈশাখী মেলায় গেলে তালাক হয়ে যাবে এই মর্মে প্রচার পত্র ছাপলে যদি দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে বাল্য বিবাহকে সমর্থন না করলে হুযূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধীতা করা হবে বলে যারা প্রচার পত্র বিলি করে বা সংবাদ পত্র বলে চালাতে চায় তাদের কেন নিষিদ্ধ করা হবে না এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে...??


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়েল থার্ড আই হোয়াট সুড আই সে? ওকে, ওইসব জিল্লুরদের নিয়ে আপনারা কেন যে মাথা ঘামান। আচ্ছা বলি, এসব লোক দুনিয়ার কোন উপকারে আসে নাই দ্বীনেরও কোন উপকারে আসবে না। মানুষকে বিভক্ত করাই তাদের কাজ। মানুষকে যত বিভক্ত করতে পারবেন ততই নিজের স্বার্থ হাসিল করতে সহজ হবে তা আপনি জানেন। তাই তারা সংবাদপত্রের নামে নানা মত প্রকাশ করে মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। তাকে যদি আপনি চেনেন তাহলে বলে দিন পৃথীবির যেকোন প্রাণী কিংবা মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনকিছুই ইসলাম সমর্থন করে না। কোনদিন করেনি। বাল্যবিবাহ সুস্পষ্টভাবেই সকল মানবজাতির জন্য বেদনাদায়কভাবে ক্ষতিকর। আসলে বর্তমান দুনিয়ায় এতবেশি লোক আর এতবেশি মতবাদ যে রাসুল (সঃ) এর মূল আদর্শ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। আর দুশো কোটি মুসলমান কোথা থেকে আসবে তার মতো ইবলিশের পাণ্ডারা তো দুশো কোটি মুসলমানকে অলরেডি চার হাজার ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। একটা উদাহরণ, বাঙলাদেশে একদল লোক সউদিআরবের সাথে ঈদ করে, ইত্যাদি। আমাদের দেশের যারা আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জামাতের রাজনীতি করে তারাই এসব ইবলিশের পাণ্ডাদের জিইয়ে রাখে। এসব রাজনীতিবিদেরা পূর্ববাংলার ওমুক এমুক দল নামক নানা চরমপন্থীদের যেমন লালনপালন করে তেমনি হুজি, আল বাইয়্যেনাত, আল্লার দল, জেএমবি ইত্যাদিদেরও লালনপালন করে। তা না হলে ঘোলা জলে মাছ ধরা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে বলে তারা মনে করে না। একটা তথ্য দেই - প্রগতিশীল বড় দল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামিলীগের শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি খাসজমি দখল করে মাদ্রাসা, এতিমখানা নির্মিত হয়েছে বাঙলাদেশে। অন্যরাতো আছেই। আপনি সাংবাদিক খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। অতএব আমার কথা পরিস্কার এসব জিল্লুরদের নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে ভাবুন দেশের পাঁচ কোটি (০-১৪ বছর বয়সী শিশুদের যারা মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ৩৩শতাংশ) মানুষকে কীভাবে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়। তাহলে এসব হযরতরা আপনাআপনিই খসে পড়বে। এখানেই আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরও আজও আমাদের দেশের একশোভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করতে পারছে না। আফসোস্। সত্যিই আমার মনে এরচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় আর কিছুই নেই। আমার দেশের এত রাজনীতির জন্য, গণতন্ত্রের(!) জন্য, এত ধর্মের(!) জন্য জীবন দেয়া, কত কী! অথচ দেশের সকল শিশু যেন স্কুলে যেতে পারে তা আমাদের দেশের স্বনামখ্যাত শেখ হাসিনা, খালেদারা করতে পারেন নাই। মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। ভাই শিক্ষার আলোই পারে এসব অন্ধকার দূর করতে। এবার একটা হাদিস বলি (জিল্লুরকে ধারেকাছে পেলে মনে করিয়ে দিয়েন)- "সকল মুসলমানের জন্য জ্ঞান অন্বেষণ ফরজ (অবশ্যকর্তব্য)"। অর্থাৎ জ্ঞানের অন্বেষণ না করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে সকলে জিজ্ঞাসিত হবেন। জিল্লুর তো এই একটা ফরজই করতে পারছেনা। বিবাহ নিয়ে মাথা গামাচ্ছে কেন? ও তো নিজের পিঠ দুনিয়া আখেরাত কোথাও বাঁচাতে পারবেনা। শুধু এই একটা প্রশ্নেই। বিয়ের প্রশ্ন তো আরও পরে আসবে। এসব বিভ্রান্তকারীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উন্নত সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাঁচাতে হবে। যারা সজাগ মানুষ তাদেরও ধর্ম বিষয়ে পড়াশুনা করতে হবে। তা না হলে এসব জোচ্চোরদের জবাব দেয়া যাবে না।

জিজ্ঞাসু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍পৃথীবির যেকোন প্রাণী কিংবা মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনকিছুই ইসলাম সমর্থন করে না।

তা-ই নাকি! আপনি এটা বলছেন বিশ্বাস থেকে? না কোরান পড়ে? কোরান পড়ে থাকলে তো ভিন্ন-ধর্মাবলম্বীদের (বিশেষ করে, ইহুদিদের) এবং অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা এবং এমনকি তাদের হত্যা করার আহ্বান জানানো বাক্যগুলো তো আপনার চোখ এড়িয়ে যাবার কথা নয়! নাকি ভিন্নধর্মাবলম্বীরা আর অবিশ্বাসীরা ইসলামের চোখে মানুষ পদবাচ্য নয়?

আবার স্বামী যখন স্ত্রী প্রহারের লাইসেন্স পায় কোরানে, তার মানে ধরে নিতে হবে, স্ত্রীজাতিও মানুষ নামের আওতায় পড়ে না।

কোরবানি নামে জান্তব যে-ঐতিহ্য লালন করে ইসলাম, তা কি কোনও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়? নাকি গরু-ছাগল-ভেড়া-দুম্বা ইসলামী দৃষ্টিতে প্রাণী নয়?

জানি, উত্তর আসবে এরকম: কোরানের কতো জায়গায় শান্তির কথা উল্লেখ করা আছে। স্বীকার করি, আছে। কিন্তু ভালো কিছু লেখা থাকলেই খারাপ কথাগুলো নিউট্রালাইজ হয়ে যায় না।

বাল্যবিবাহ সুস্পষ্টভাবেই সকল মানবজাতির জন্য বেদনাদায়কভাবে ক্ষতিকর।

একদম সত্যি কথা। তবে জানতে ইচ্ছে করে, ইসলামের নবী নিজেই কেন বাল্যবিবাহের নজির সৃষ্টি করেছিলেন?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুধীর এর ছবি

আমার জন্ম হয়েছিল পূর্ব বাংলাতে, নাম ছিল সুধীর মন্ডল, সুতরাং হিন্দু হওয়ার সব অসুবিধা সামাল দিতে না পেরে পশ্চিম বঙ্গে মাইগ্রেট করলো পুরো পরিবার। ওমা, দেখি এখানে আমার পরিচয় নমঃশুদ্র; সুতরাং পুরো পরিবার এফিডেভিট করে পদবী বদলে মিত্র হয়ে কিছুটা রক্ষা পেল। হায় ভগবান, আমরা তাহলে ভগবানের পা থকে সৃষ্টি, আর বামুনরা (পেন্নাম হই, কিছু দোষ হয়ে গেলে সাত জনম নরকবাস জানি) মাথা থেকে ! ইহুদীরাও ভাবে তারা "The Chosen People".
আশা করি এটুকু স্বীকার করবেন যে ইসলামে কোন জাতিভেদ নেই।

সব ধর্মেই নির্যাসটুকু ভালো, ডিটেইলে গেলে ঝামেলা দেখা যায়। আমার মুস্লিম বন্ধুরা বলে কোরানে আছে ঃ তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার।

আশা পারস্পরিক গালাগালি বন্ধ রেখে আমরা একটা সেকিউলার ধর্ম এই শতাব্দীতেই প্রতিষ্ঠা করতে পারব- যার মূল কথা হবে ঃ সবার উপরে মানুষ সত্য।উপকার করো, তা না পারলে, অন্তত অপকার করো না। সুযোগসন্ধানী বি্ভেদ সৃষ্টিকারী পুরোহিত শ্রেণীকে মার্জিনালাইজ করা দরকার, সবদেশে।

আমার জানা মতে মুহাম্মদের এক ডজন বিয়ের মধ্যে মাত্র একটি বাল্যবিবাহ, বন্ধুর কন্যার সাথে। রবীন্দ্রনাথও কিন্তু মেয়ের বাল্য বিবাহ দিয়েছিলেন।

থার্ড আই এর ছবি

সব ধর্মেই নির্যাসটুকু ভালো, ডিটেইলে গেলে ঝামেলা দেখা যায়।

আপনার সাথে এখানে আমি একমত। তবে ডিটেইলে গিয়ে যারা এইটা নিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসে , মানুষকে ভুল ব্যাখ্যা দেয় সেইখানেই সমস্যা।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অফ টপিক: দাদাবাবু নতুন কিছু লিখা ছাড়ুন না সচলে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍@ সুধীর

ইসলামে কোন জাতিভেদ নেই।

তা-ই কি? বর্তমানে ইরাকে আর পাকিস্তানে ইসলামের দুই শাখা শিয়া আর সুন্নি পরস্পরকে হত্যা করে চলেছে কেন? কারণ দুই গোত্রই মনে করে, তাদের ইসলামই আসল ইসলাম। অন্যেরা নমঃশুদ্র গোছের। বাংলাদেশে আহমেদিয়া-প্রসঙ্গটিও আপনার অজানা নয় নিশ্চয়ই।

ধর্মেই নির্যাসটুকু ভালো, ডিটেইলে গেলে ঝামেলা দেখা যায়।

ভালো যে-নির্যাসটুকুর কথা বলছেন, তা বর্তমানের প্রধান ধর্মগুলোর জন্মের আগে থেকেই প্রচলিত। তাতে ধর্মের কোনও অবদান নেই। ধর্মে অবিশ্বাসী ব্যক্তিরাও ওই নির্যাস-নীতিগুলো মেনে চলেন।

যেহেতু "ডিটেইলে গেলে ঝামেলা দেখা যায়", তার মানে ধর্মে গলদের পরিমাণ ব্যাপক। নিরেট সত্য কখনও প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। হয় অপরিণত, দুর্বল (প্রায়শই ফালতু) কোনও মতবাদকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালালে।

মুহাম্মদের এক ডজন বিয়ের মধ্যে মাত্র একটি বাল্যবিবাহ

মাত্র একটি হোক বা দশটি হোক, বাল্যবিবাহ বাল্যবিবাহই। জিব্রাইলের মাধ্যমে অনুমতি পেয়ে তিনি বিয়ে করেছিলেন ছয় বছর বয়সী (মতভেদে সাত বছর বয়সী) আয়েশাকে। তবে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছিলেন আয়েশার বয়স নয় বছর পূর্ণ হলে। নবীর মৃত্যুর সময় আয়েশার বয়স ছিলো ঊনিশ।

রবীন্দ্রনাথও কিন্তু মেয়ের বাল্য বিবাহ দিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ মেয়ের বাল্য বিবাহ দিলেই বাল্যবিবাহ সমর্থনযোগ্য হয়ে পড়ে না বা ইসলামের নবীর বাল্যবিবাহ জায়েজ হয়ে যায় না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

থার্ড আই এর ছবি

আমাদের দেশের যারা আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জামাতের রাজনীতি করে তারাই এসব ইবলিশের পাণ্ডাদের জিইয়ে রাখে। এসব রাজনীতিবিদেরা পূর্ববাংলার ওমুক এমুক দল নামক নানা চরমপন্থীদের যেমন লালনপালন করে তেমনি হুজি, আল বাইয়্যেনাত, আল্লার দল, জেএমবি ইত্যাদিদেরও লালনপালন করে।

আমার পোস্টটি না কোন রাজনৈতিক না ধর্মীয়। তবুও বলছি গণমাধ্যম হিসাবে যখন একটি বিষয় আলোচনায় আসবে তখন গণমাধ্যম কর্মী হিসাবে মাথা না ঘামিয়ে আর কি থাকতে পারি বলুন ! তবে আপনার অনুসন্ধানী তথ্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আলোচিত হয়েছে বটে ঠিক সেকারনেই আমার যুক্তি হলো গণমাধ্যমগুলোকে একটা নিয়মনীতির আওতায় আনা, কেউ চাইলেই যেন টাকা দিয়ে পত্রিকার নাম করে নিজের ইচ্ছেমত মনগড়া আব-জাব লিখে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে।

আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন ঐসকল পত্রিকায় যারা কাজ করে সেখানে কোন পেশাদার সাংবাদিক নেই যিনি কোন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন।

প্রগতিশীল বড় দল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামিলীগের শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি খাসজমি দখল করে মাদ্রাসা, এতিমখানা নির্মিত হয়েছে বাঙলাদেশে।

আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু মনে হয় অপ্রাসঙ্গীক ! তারপরও যেহেতু আলোচনা করেছেন, তাই অন্যরাজনৈতিক দলের শাসনামলে কি পরিমান খাস জমি দখল হয়েছিলো তার যদি কোন তথ্য প্রমান উপস্থাপন করতেন অথবা এই সংবাদটি তথ্য সুত্র উল্লেখ করতেন তাহলে পাঠকদের তুলনা মূলক ধারনা পেতে সহজ হতো।

আমার দেশের এত রাজনীতির জন্য, গণতন্ত্রের(!) জন্য, এত ধর্মের(!) জন্য জীবন দেয়া, কত কী! অথচ দেশের সকল শিশু যেন স্কুলে যেতে পারে তা আমাদের দেশের স্বনামখ্যাত শেখ হাসিনা, খালেদারা করতে পারেন নাই। মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। ভাই শিক্ষার আলোই পারে এসব অন্ধকার দূর করতে

আপনার এই অংশের সাথে আমি একমত। শিক্ষা গ্রহনে কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের কোন অনিহা নেই, অর্থনৈতিক দৈণ্যতা অনেকাংশে বাঁধা হয়ে দ্বাড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে মক্তবে বা এতিমখানায় বিনামূল্যে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা মিলে বলে দরিদ্র পিতা মাতা ছেলেকে এতিম খানায় পাঠায় ( ইদানিং এতিমখানায় শুধু পিতা মাতা হীন শিক্ষার্থীরাই পড়ছে তা নয়, পিতা মাতা আছে অথচ দরিদ্র এমন ছেলে-মেয়েও পড়ছে) ।
তাই এটাও একটা ব্যবসা। যে হারে এতিমখানা আর মাদ্রাসায় আমরা দান করি সে হারে স্কুল নির্মানে আমাদের সাহায্যের হাত প্রসারিত হয় না। যে হারে মাদ্রাসায় কোরআন ক্ষতমের প্রতিযোগিতা চলে সে হারে ইংরেজী শব্দকোষ শেখার তাগিদ অনুভব করিনা।

এজন্য লাল সালু উপন্যাসের আক্কাস ও থেমে গিয়েছিলো স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে, তার অপরাধ দাড়ি নেই বলে!

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দ্রোহী এর ছবি

হুজুরে পাক হযরত ঈমাম সাঈদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের জন্য পরকালে রয়েছে জাঝা।

রাসেল ডটু ভাই কইছিল না? ধার্মিক শিশ্ন অতি সংবেদনশীল!

কেউ বালিকা চাইবো, কেউ কিশোরী চাইবো, কেউ বুড়ি চাইবো। কেউ এতিমখানার পিচ্চি পোলাপানগো চাইবো.............ব্যাপার না।


কি মাঝি? ডরাইলা?

থার্ড আই এর ছবি

হুজুরে পাকের জন্য পরকালে না হয় জাঝা'র ব্যবস্থা হবে , ইহকালের জন্য কি ভাবছেন...??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একজন বিশ্বাসী মুসলমান হিসেবে ঐ পত্রিকার বক্তব্য তো ঠিকই আছে । যুক্তিতে আসি
নবীজির মিষ্টি খাওয়া,মেসওয়াক করার মতো দৈনন্দিন বিষয়আসয় ও যদি সুন্নত বলে স্বীকৃতি লাভ করে,এইসব সুন্নত পালনে উম্মতের অশেষ নেকী লাভের সম্ভাবনা অহরহ প্রচার হতে পারে তাহলে নবীজির বাল্যবিবাহ ও সুন্নত বটে!
প্রকৃত ইমানদারের কাছ তো ধর্মের চেয়ে রাষ্ট্র কিংবা দুনিয়াদারীর লাভ লোকসান বড় নয় । যেহেতু নবীজি বাল্যবিবাহ করেছেন সেহেতু তাকে অনুসরন করে বাল্যবিবাহ করার মাধ্যমে পরকালে অশেষ ছোয়াব হাসিলে রাষ্ট্র বাধা দেয়ার কে?
আর বাধা দিলেই উম্মতে রাসুল তা মানবে কেন?

এখন বাল্যবিবাহকে আপনি আইন করে বন্ধ করছেন মানে আপনি রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষনা করছেন বাল্যবিবাহ অন্যায় । তাহলে নবীজি অন্যায় করেছিলেন? নাউজুবিল্লাহ!

সুশীল ধার্মিক যুক্তি দেবেন তখনের সামাজিক অবস্থার কারনে ঐটা গ্রহনযোগ্য ছিল, এখন আর নয় ।

তাহলে যে ইসলাম সার্বজনীন,সকল যুগের জন্য উপযোগী ধর্ম -এই দাবী হোঁচট খায় । তাহলে যে স্বীকার করে নিতে হয় সেই যুগে নবীজি যা যা করেছিলেন তার সবকিছু এইযুগে ন্যায্য নয় । সেই যুগের একজন প্রেরিত পুরুষের চেয়ে এইযুগের একজন সাধারন মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনা অগ্রসর?

প্রশন হলো-ধর্মাচারকে(সকল ধর্ম,শুধু ইসলাম নয়) তীরবিদ্ধ না করে বাল্যবিবাহ,বহুবিবাহ,দাসপ্রথা,নারী স্বাধীনতার মতো মানবিক ইস্যু গুলো নিয়ে কার্যকর আলোচনা আসলেই সম্ভব কিনা?

----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পুরুজিত এর ছবি

হাসান মোরশেদ এর সাথে একমত। গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্য সংবাদটা ঠিক উপযুক্ত মনে হল না - কারণ লিফলেটটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। আর এধরনের নীতিমালা কখনোই গণতান্ত্রিক হতে পারে না। মতির প্রথম আলো প্রকাশের অধিকার থাকলে হযরত ঈমাম সাঈদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানেরও এই লিফলেট প্রকাশের অধিকার আছে। আর চরম রাষ্ট্রবিরোধী প্রকাশনার বিরুদ্ধে বর্তমান আইনই যথেষ্ট। সম্ভবত এ ধরনের প্রকাশনার বিরুদ্ধে জনগণকে শিক্ষিত করে তোলাই সবচেয়ে ভাল কৌশল, আইনী পথের চেয়ে।

থার্ড আই এর ছবি

মতির প্রথম আলো প্রকাশের অধিকার থাকলে হযরত ঈমাম সাঈদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানেরও এই লিফলেট প্রকাশের অধিকার আছে।

আমি শুরুতেই পরিস্কার করেছি লিফলেট আর সংবাদপত্র এক কথা নয়। লিফলেটকে সংবাদপত্র হিসাবে যেন প্রচার করা না হয় সেজন্যই জনগনকে শিক্ষিত করে তোলার পাশাপাশি একটা নীতিমালার প্রয়োজনীতা আছে বলেই আমি মনে করি।

ছোট্র একটা উদাহরণ দেই। উল্লিখিত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি যেহেতু অন্য সকল গনমাধ্যমের কোথাও প্রকাশ পেলনা অথচ ঈমাম সাঈদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের পত্রিকার প্রধাণ শিরোনাম !! এটিকে কি আপনি সংবাদ বলবেন ??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

সেজন্যই জনগনকে শিক্ষিত করে তোলার পাশাপাশি একটা নীতিমালার প্রয়োজনীতা আছে বলেই আমি মনে করি।

ক্যামনে শিক্ষিত কইরা তুলতে চান?

এজাজ

থার্ড আই এর ছবি

শিক্ষানীতি হবে একটা। মাদ্রাসাতে আলাদা করে পড়বার দরকার আছে বলে মনে করিনা।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পুরুজিত এর ছবি

তাহলে সংবাদের ক্রাইটেরিয়া কি হবে? কমপক্ষে ৫টি প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংবাদ, নাইলে না? আমার আপত্তি হল,
কে সিদ্ধান্ত দেবে কোনটা সংবাদ আর কোনটা সংবাদ নয়? উদাহরণ, আমি যদি আপনার উদ্ধৃত সংবাদের মত কিছু পড়তে চাই, কেন আমাকে বাঁধা দেয়া হবে? আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, একটা লিফলেটের উপস্থিতি সম্ভবতঃ পাঠকের উপস্থিতি নির্দেশ করে। আপনি (বা রাষ্ট্র) কোন অধিকারে সিদ্ধান্ত দেবে পাঠক কি পড়বে না পড়বে সেই ব্যাপারে? যখন কোন সংবাদ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তখন রাষ্ট্র তা নিষিদ্ধ করতে পারে বর্তমান আইনেই। এছাড়া রাষ্ট্রের আর কোন রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ দেখি না। আর জনগণ যদি প্রত্যাখ্যান করে তাহলে এরকম লিফলেটের টিকে থাকার কোন কারণ দেখি না, নীতিমালা ছাড়াই লোপ পাবে।

থার্ড আই এর ছবি

কোন সংবাদ যে কোন একটি গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সেটি সংবাদ, পাঁচটি পত্রিকায় প্রকাশিত হতেই হবে এমন কোন কথা নাই। আবার কোন গনমাধ্যমে সংবাদ ছাপা না হলেই ঘটনাটি মিথ্যে হয়ে যায়না।

একটি উদাহরণ দেই। ১৪ এপ্রিল ঢাকা বিমান বন্দরে একজন প্রবাসী বাংলদেশীকে (ব্যরিষ্টার রিজোয়ান) যৌথ বাহিনীর লোক পিটিয়ে আধমরা করে ফেলেছিলো, এই সংবাদটি ১৭ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন পত্রিকায় আসেনি। লন্ডনে বসে আমরা সেই খবর জানতে পাই , কিন্তু বাংলাদেশে বসে কেউ সেই সংবাদ জানতে পায়নি কিংবা ভিকটিম বা সরকারের তরফ থেকে কোন প্রেস নোট আসেনি বলে পত্রিকায় সংবাদটি ছাপা হয়নি। ঘটনার তিন দিন পর শুধু মাত্র আমার দেশ এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। ঠিক তার পরদিন সরকার মুখ খুলে ....এবং প্রেসনোটস ইস্যু করে।

তাহলে এক্ষেত্রে কোন পত্রিকায় খরবটি আসেনি বলে কিন্তু সেদিনের সংবাদটি মিথ্যে হয়ে যায়নি।

আর সাধারণ মানুষের কথা বলছেন....?? গ্রহন বর্জনের অধীকার সবারই রয়েছে, কিন্তু ভুল তথ্য দেয়া কিংবা সাধারণ মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করাও কিন্তু রাষ্ট্রের কাজ, এবং গনমাধ্যমের নীতিমালার মধ্যে পড়ে।

তথ্যনীতি মালা বলুন আর পাঠক কিংবা দর্শকের অধীকার ই বলুন সব কিছূরই মাত্রা প্রয়োজন। পলিটেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটের ছাত্র বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলো, আপনি যদি বলেন আমি মৃত্যু সংবাদ জেনেই সন্তুষ্ট না আমি লাশের ছবিও দেখবো। সেক্ষেত্রে লাশের ছবি গলিত কিংবা বিকৃত হলেও আপনি দেখতে চাইবেন...এমন ইচ্ছে যদি আপনার হয়েই থাকে তাহলে, নীতিমালা প্রয়োগ করে আপনার ইচ্ছেকে দমন করাই উচিত।

অন্যদিকে মহানবী যদি বাল্য বিবাহ করেই থাকেন তাহলে ধর্মের দোহাই দিয়ে নবী রাসুলকে টেনে এনে সাধারন মানুষের ইমেশনকে পুঁজি করে আপনি পত্রিকায় সংবাদ বলে চালিয়ে দেবেন যেখানে বাল্য বিবাহকে রাষ্ট্র ও সমাজ নিষিদ্ধ করেছে !

আলোচনার বিষয়টিকে আমি বলবো , এখানে নিদিষ্ট একটি গোষ্ঠী তাদের গাটের পয়সা খরচ করে তাদের নিজস্ব মতামত প্রচার করতে চায় বলেই প্রতিয়মান হয়েছে আর সেকারনেই এটিকে সংবাদ পত্র না বলে দলীয় বা ব্যক্তিগত প্রচার পত্র বলাই অধীকতর যৌক্তিক।

শেষ উদাহরণ টি দিয়ে আমার আলোচনার ইতি টানবো। আপনার যুক্তির প্রতি যদি আপনি আদর্শবান হয়েই থাকেন তাহলে আপনার সচলায়তেই লেখা উচিত নয়। কেননা সচলায়তন কতৃপক্ষ সবাইকে লেখার জন্য অনুমোদন দেয়না। নির্দিষ্ট একটা মান সম্মত পর্যায়ে না গেলে কেউ এখানে লিখতে পারেন না। এখন যদি আপনি বলেন সচলায়তন সাধারণ লেখকদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে , কলমের উপর জুলুম করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি...

ঠিক এভাবেই এধরনের সংবাদপত্র বা প্রচার পত্র বাজারে আসার পূর্বে যদি তার আর্দশ ও সংবাদ প্রচারের নিরপেক্ষতা ও সর্বশেষে পাঠক প্রিয়তা যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হয় তাহলে তো দোষের কিছু নাই।
------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সাপ্তাহিক (নাকি মাসিক!) দেওয়ানবাগী'র কথা মনে পইড়া গেলো।
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

দ্রোহী এর ছবি

দেওয়ানবাগী হুজুরের ডিমপড়া খাইছিলেন নাকি?


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- না, তয় পত্রিকাখানা পড়ছি রেগুলার।
নানা পদের বিনোদন(!) থাকতো প্রায়ই। চোখ টিপি

পড়া ডিমের স্পেশালিটি কী আছিলো?
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

দ্রোহী এর ছবি

খাইলে নাকি বাচ্চা হইতো। আমি ভয়ে ডিম খাওয়াই বন্ধ করে দিছিলাম। এখনও খাই না। যদি আমার নিজের বাচ্চা হয়ে যায় তাইলে ভীষণ বিপদ।

(বিষন্নবালক না বাল্যবিবাহ করছে! কামাদা কিছু লিখলো না ক্যান এই ব্যাপারে?)


কি মাঝি? ডরাইলা?

থার্ড আই এর ছবি

আমি একবার একবার পড়ছিলাম বেহেস্তি হুর পরীদের কথা ।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

থার্ড আই এর ছবি

মাসিক ই হবে মনে হয়
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দ্রোহী এর ছবি

মাসিক হয় ক্যামনে? হাসি


কি মাঝি? ডরাইলা?

থার্ড আই এর ছবি

চিন্তিত
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ক্যামনে আবার?
অতো চিন্তার কী আছে? তিরিশ দিন পর পর হইলেই মাসিক, আর পনেরো দিন পরপর হইলে পাক্ষিক। হাসি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

থার্ড আই এর ছবি

এক্কেরে গুনে গুনে তিরিশ দিন ধূ গো ভাই..?
২৮ দিন বা ৩১ দিন হলে মাসিক হবে না??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
থার্ড আই এর ছবি

ভাগ্যিস লিপ ইয়ার বলে একটা টার্ম ছিলো...!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমি ১৭ থেকে তিরিশ পর্যন্ত সকল নারীকে বালিকা বলে ডাকি। হো হো হো
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

থার্ড আই এর ছবি

আমিতো সকল অবিবাহিত নারীদের বালিকা ডাকি। তিরিশের বেশী হইলেও ডাকি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

সবই বিশ্বাস। কখনও কখনও যুক্তি আর ভক্তির ব্যবধান আকাশ পাতাল। কেউ ভক্তিভরে একরকম যুক্তি দেন আবার কেউ ভক্তির যৌক্তিকতা খুঁজেন। সুন্দর সমাজ গঠনে তর্ক অপরিহার্য। বিশ্বাস করি শিক্ষা ছাড়া গতি নাই।

জিজ্ঞাসু

থার্ড আই এর ছবি

যুক্তিতেই মুক্তি
শিক্ষাই উন্নতি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হায় !!

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

থার্ড আই এর ছবি

আপনারে যে কেন বাল্য বিবাহ দিলো না...? হায় !!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি অবাক হয়া ভাবি একদল মানুষ যারা সবকিছু করে হয় লোভ থেকা যে বেহেস্তে যাইতে পারবে, আর নয়তো ভয় থেকে যে দোজখে গেলে আগুনে পুড়তে হবে। আর কিছু নাই তাদের জীবনে? তাদেরে দেখলে আমার বড় করুণা হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

থার্ড আই এর ছবি

ঐ একদল মানুষ বড়ই ফাঁকি বাজ ছিলো মনে হয়।
'কোথায় স্বর্গ কোথা নরক কে বলে তা বহুদূর'কবিতাটা একদম পড়ে নাই।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঢাকার দেয়ালে দেয়ালে নানান রকম স্লোগানের নিচে লেখা থাকতো - 'দৈনিক আল ইহসান' পড়ুন। আহা! কোনদিন চোক্ষেও দেখি নাই। আজ আপনার পোস্টের সুবাদে দেখলাম। আপনাকে উত্তম জাঝা।

মন্তব্যে, মোরশেদ ভাইয়ের সাথে ১মত।

থার্ড আই এর ছবি

আপনার অনেকদিনের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করতে পাইরা বান্দা তৃপ্তি পাইছে
মোরর্শেদ ভাইয়ের কথার যু্ক্তি আছে বটে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

কাম সারছে!

সৈয়দ আখতারুজ্জামান

নন্দিনী এর ছবি

এই ধরনের লিফলেট আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল সাতরং এ পোষ্ট করার জন্য !!!আমার শুধু অবাক লাগে সরকার এদের কেন দেখেনা ? ্যেখা্নে পান থেকে চুন খসলে ছাত্র-শিক্ষক দের রেহাই মেলেনা সেখানে 'ধর্মে'র ছাগলরা এত আস্কারা পায় কি করে...

নন্দিনী

থার্ড আই এর ছবি

ঐ যে আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী হতে গিয়ে অতি উদার হয়ে যাই। ধর্মের বাইরে গিয়ে কথা বলবো...আমাকে যদি মুরতাদ ঘোষনা করা হয় !!

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পুরুজিত এর ছবি

থার্ড আই লিখেছেন:

আর সাধারণ মানুষের কথা বলছেন....?? গ্রহন বর্জনের অধীকার সবারই রয়েছে, কিন্তু ভুল তথ্য দেয়া কিংবা সাধারণ মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করাও কিন্তু রাষ্ট্রের কাজ, এবং গনমাধ্যমের নীতিমালার মধ্যে পড়ে।

আমার প্রশ্ন ছিল তথ্য ভুল কিনা বা সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে কিনা সেটা কে সিদ্ধান্ত নেবে? আপনার মূল দৃষ্টান্ত থেকেই স্পষ্ট যে অনেক বিষয়েই সর্বজন গৃহীত কোন স্ট্যান্ডার্ড নেই। সেই ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের বুদ্ধিবিবেচনার উপর আস্থা রাখাই একমাত্র গ্রহনযোগ্য পথ।
থার্ড আই লিখেছেন:

অন্যদিকে মহানবী যদি বাল্য বিবাহ করেই থাকেন তাহলে ধর্মের দোহাই দিয়ে নবী রাসুলকে টেনে এনে সাধারন মানুষের ইমেশনকে পুঁজি করে আপনি পত্রিকায় সংবাদ বলে চালিয়ে দেবেন যেখানে বাল্য বিবাহকে রাষ্ট্র ও সমাজ নিষিদ্ধ করেছে !

মানুষের আইন পরিবর্তনীয়, রাষ্ট্র নিষিদ্ধ করলেই কোন কিছু নিয়ে কথা বলা যাবে না এমন কোন কথা নেই। আজকে নীতিমালা ব্যবহার হল বাল্যবিবাহ থামাতে, কালকে যে একই নীতিমালা ভাল কোন পরিবর্তন থামাতে ব্যবহার করা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? বাল্যবিবাহ যদি খারাপ হয়, জনগণ তা এম্নিতেই বর্জন করবে, আর তা করার মত বুদ্ধি না থাকলে সেই জনগণের এর চেয়ে ভাল কিছুর দরকার নেই।

থার্ড আই লিখেছেন:

শেষ উদাহরণ টি দিয়ে আমার আলোচনার ইতি টানবো। আপনার যুক্তির প্রতি যদি আপনি আদর্শবান হয়েই থাকেন তাহলে আপনার সচলায়তেই লেখা উচিত নয়। কেননা সচলায়তন কতৃপক্ষ সবাইকে লেখার জন্য অনুমোদন দেয়না। নির্দিষ্ট একটা মান সম্মত পর্যায়ে না গেলে কেউ এখানে লিখতে পারেন না। এখন যদি আপনি বলেন সচলায়তন সাধারণ লেখকদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে , কলমের উপর জুলুম করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি...
ঠিক এভাবেই এধরনের সংবাদপত্র বা প্রচার পত্র বাজারে আসার পূর্বে যদি তার আর্দশ ও সংবাদ প্রচারের নিরপেক্ষতা ও সর্বশেষে পাঠক প্রিয়তা যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হয় তাহলে তো দোষের কিছু নাই।

উদাহরণটা অপ্রাসঙ্গিক। সচলায়তনের নীতিমালা রাষ্ট্রের নীতিমালার সাথে এক করে দেখার কোন কারণ নেই - কারণ সচলায়তন আমার লেখা প্রকাশ না করলে আমি আরও অনেক জায়গায় লেখা প্রকাশ করতে পারব এবং তার বিরুদ্ধে সচলায়তন কোন ব্যবস্থা নেবে না। বরং একটা ভাল উদাহরণ হতে পারে রাষ্ট্র সচলায়তনকে (বা সেই বিতর্কিত ইমামকে) নীতিমালার অজুহাত দিয়ে থার্ড আইয়ের (বা বাল্যবিবাহ সমর্থনকারী) লেখা প্রকাশ করতে নিষেধ করলে সেটা কি আপনি মেনে নেবেন?

থার্ড আই এর ছবি

পুরুজিত লিখেছেন :

আমার প্রশ্ন ছিল তথ্য ভুল কিনা বা সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে কিনা সেটা কে সিদ্ধান্ত নেবে?

এই বিষয়ে আমাদের দেশে যেহেতু কোন কতৃপক্ষ নেই তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাববার ও প্রয়োজন রয়েছে। যেমন ইংল্যান্ডে প্রেস কমপ্লেইন কমিশন
(পিসিসি) রয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ ভূল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার হয়েছে বলে মনে করলে পিসিসি'র কাছে আবেদন জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে পিসিসি আবেদনকারীর হয়ে বিনা খরচে সংল্লিষ্ট গনমাধ্যম কতৃপক্ষের কাছে ব্যখ্যা চাইবে।

পুরুজিত লিখেছেন :

মানুষের আইন পরিবর্তনীয়, রাষ্ট্র নিষিদ্ধ করলেই কোন কিছু নিয়ে কথা বলা যাবে না এমন কোন কথা নেই। আজকে নীতিমালা ব্যবহার হল বাল্যবিবাহ থামাতে, কালকে যে একই নীতিমালা ভাল কোন পরিবর্তন থামাতে ব্যবহার করা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? বাল্যবিবাহ যদি খারাপ হয়, জনগণ তা এম্নিতেই বর্জন করবে, আর তা করার মত বুদ্ধি না থাকলে সেই জনগণের এর চেয়ে ভাল কিছুর দরকার নেই।

আমি কোথাও বলিনি রাষ্ট্র নিষিদ্ধ করেছে বলেই কোন কিছু নিয়ে কথা বলা যাবেনা, বরং বাল্য বিবাহের মত সামাজিক ব্যধিটির মূলউৎপাটন করতে হলে আমাদের মত দরিদ্রদেশ গুলোতে আইন প্রনোয়নের প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি।
শুধু মাত্র ইম্রিগ্রেন্ট হবার জন্য, কিংবা একটি ভালো পাত্রের জন্য , অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অসহায় হত দরিদ্র অগনিত অসংখ্য পিতা মাতারা তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা সন্তানদের বিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে। যদি বলেন পরবর্তী পোস্টে এমন হাজারটা উদাহরণ আমি আপনাকে দেখাতে পারবো। এই ইংল্যান্ডে বসেই ৭০ বছরের বৃদ্ধ বিবাহ করেছে ১৫ বছরের মেয়েকে এমন নজিরও আমি পেয়েছি। তাদের মনের ভেতরের যে দৈন্যতা সেটা দূর করবেন কোন শিক্ষা দিয়ে । আর শিক্ষিত পরিবারের মধ্যেও কি বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটছেনা..?? তারও নজির অগনিত অসংখ্য।

সচলের উদাহণের প্রেক্ষিতে আপনার বক্তব্যে মনে হচ্ছে আপনি বুঝাতে চাইছেন , রাষ্ট্র কতৃক নীতিমালা করে এধরনের প্রত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করলে তারা অন্যকোথাও সেটি প্রকাশ করবে।

আবার ও পরিস্কার করছি , তথা কথিত বক্তব্য বা তথ্য প্রচারে আমার কোন বাঁধা কিংবা আপত্তি নেই। তবে সেটি সংবাদপত্র নাম নিয়ে নয় । অবশ্যই নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রচারপত্র হিসাবে বিলি করা যেতে পারে।

স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
--------------------------------

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

mainul এর ছবি

আপনার লেখাটি ও মন্তব্য গুলি পড়লাম।
এখানে একটা বিভ্রান্তি ক্রিয়েট হয়েছে যে ইসলামে বাল্য বিবাহ এলাউ করে। আসলে এটা ভুল ধারনা।

প্রথমত, আপনি যে পেপার কাটিং টি দিয়েছেন, সেটা একজন অশিক্ষিত ভন্ড পীরের। এটার কোন গুরুত্ব নেই।

দিতীয়ত , আসুন একটু আলোচনা করে দেখি ইসলাম কি বলে । পবিত্র কোরানে আছে-

And among His Signs is this, that He created for you mates from among yourselves, that ye may dwell in tranquillity with them, and He has put love and mercy between your (hearts): verily in that are Signs for those who reflect.
Surah 30 Verse 21

অর্থাত যেকোন বিয়ের ফলাফলে থাকতে হবে ভালবাসা, মায়া ও শান্তি। কেননা বিয়ে একটা বিশাল রেসপনবিলিটি। তো একজন ইম্যাচিওরড ব্যাক্তির পক্ষে তো বিয়ের পর এই তিনটি বিষয়ে সফল হওয়া সম্ভব না। তাই ইসলাম অনুযায়ী বিয়ের বয়স ম্যাচিওর হবার পরেই।

এবার আসুন যে ব্যাপারটা নিয়ে বিভ্রান্তি ক্রিয়েট করা হয় সে ব্যাপারটা নিয়ে একটু আলোচনা করি। অর্থাত হযরত আয়েশা (রাঃ) এর ৯/১০ বছর বয়সে রাসুল (সাঃ) এর বিয়ের ব্যাপার টি। এখন এই যে ম্যাচিওরিটি, এটা কিন্তু স্থান ও কাল ভেদে ডিফার করে। তখন কার যুগে অই বয়সটাই ছিল মেয়েদের বিয়ের আদর্শ বয়স। এর চেয়ে বেশী বয়স হয়ে গেলে কোন মেয়েকে আইবুড়ো ধরা হত। আর এই জন্য ই ততকালিন সমাজ বাস্তবতায় মেয়েরা অই বয়সের বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেত, ম্যাচিওর হয়ে যেত। এই ব্যাপারটা তখন বাল্য বিবাহ ধরা হত না। আরেকটা উদাহরন দেই, অত পুরানো না আরো সাম্প্রতিক, রবীন্দ্রনাথ যখন বিয়ে করেন তখন তার স্ত্রীর বয়স ছিল ১০ বছর। এই ব্যাপার গুলি আসলে চিন্তা করতে হবে তখন কার পটভুমিতে। বাংলাদেশে ছেলেরা ইকোনোমিকাল কারনে ৩০ এর আগে বিয়ের চিন্তা করতেই পারেনা। আর পশ্চিমা অনেক দেশে ১৮/২০ বছর বয়সেই বিয়ে করে বা লিভিং টুগেদার করে। আরেকটা ব্যাপার ভাবুন যৌথ ফ্যামিলির ছেলে বা মেয়েরা যত তাড়াতাড়ি ম্যাচিওর হয়, সিংগেল ফ্যামিলির সন্তানরা তত তাড়াতাড়ি হয় না। আরেকটি উদাহরন দেই, আগের যুগে কিশোর বয়সেই অনেক সেনাপতি রাজ্যের পর রাজ্য জয় করেছে। আর এখন ইউনিভার্সিটি শেষ হবার পরেও মা বাবারা বলেন আমার ছেলেটি এখনো শিশু। বাংগালী একটা মেয়ে যৌবনে প্রবেশ করার পরেও সেক্সের ব্যাপার গুলি নিয়ে অজ্ঞ থাকে অন্য দিকে পশ্চিমা সমাজে টিনএজদের মধ্যে ফ্রি কনডম বিলি করা হয়। টিন এজ প্রেগনেন্সি তাদের জন্য একটা সমস্যা। কিছু দিন আগে পেপারে দেখেছিলাম, ৮ বছরের এক বালিকা সন্তান জন্ম দিয়েছে। আর ফিজিকাল ম্যাচিওরিটির ব্যাপারটি আবহাওয়ার উপর ও নির্ভর করে শুস্ক দেশগুলিতে মেয়েরা একটু আগেই ফিজিকালি ম্যাচিওর হয়।

তো এই ব্যাপারগুলি কনসিডার করে বলা যায়, ইসলামে বাল্যবিবাহের অনুমতি দেয়না। বরং ম্যাচিওর হবার পরেই বিয়ে করা ইসলামের বিধান।

mainul

থার্ড আই এর ছবি

মানইনুল লিখেছেন:

এখানে একটা বিভ্রান্তি ক্রিয়েট হয়েছে যে ইসলামে বাল্য বিবাহ এলাউ করে। আসলে এটা ভুল ধারনা।

আপনার এই সন্দেহ হবার কোন কারন দেখিনা। অবশ্য আপনি নিজেই আবার বলেছেন, আমি যে পেপার কাটিং দিয়েছি সেটা একজন অশিক্ষত এবং ভন্ড পীরের সেটার কোন গুরুত্ব নেই।
আপনাকে ধন্যবাদ, এবং আপনার দূরদর্শীতাকে আমি তারিফ করি, কেননা আপনি ঐ পেপার কাটিং যে গুরুত্বহীণ আর পীর সাহেব যে ভন্ড সেটা অনুধাবন করতে পেরেছেন। আমার অবস্থান হলো ভন্ডকে ও অশিক্ষিত লোক গুলো যেন ইসলামের নামে অপব্যখ্যা ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেটি প্রতিহত করা। ইসলাম বাল্য বিবাহকে এলাও করেছে কি করছে না সেই বির্তকের চেয়ে বড় বেশী প্রয়োজন এই ব্যাধীটি সমাজ থেকে বিতারণ করা।

মানইনুল লিখেছেন:

হযরত আয়েশা (রাঃ) এর ৯/১০ বছর বয়সে রাসুল (সাঃ) এর বিয়ের ব্যাপার টি। এখন এই যে ম্যাচিওরিটি, এটা কিন্তু স্থান ও কাল ভেদে ডিফার করে। তখন কার যুগে অই বয়সটাই ছিল মেয়েদের বিয়ের আদর্শ বয়স। এর চেয়ে বেশী বয়স হয়ে গেলে কোন মেয়েকে আইবুড়ো ধরা হত।

আপনার আলোচনায় (কোরআনের ব্যখ্যা অনুযায়ী) ম্যচিউরিটির যে সংজ্ঞ দিয়েছেন তাতে ভালোবাসা, মায়া ও শান্তির সন্নিবেশ ঘটলেই মেয়েদের ম্যাচিউরিটি চলে আসে বলে উল্লেখ করেছেন, সেখানে ভালোবাসার ব্যখ্যায় শারিরীক ম্যাচিউরিটির কথা কিন্তু পরিস্কার নয়,
কিন্তু আপনার এই যুক্তি অনুযায়ী তখনকার সময়ে শুষ্কদেশের মেয়েদের ১০ বছরেই শারীরীক ম্যাচিউরিটি চলে আসতো !! তাহলেতো তখনকার সময়ে ৯/১০ বছরের মেয়েদের বিবাহ করাই সাধারণ ট্রাডিশন হয়ে যেত,গন হারে তো সকলেই ৯/১০ বছরের বালিকাদেরকেই বিবাহ করতো কিন্তু সেই অবস্থা কি তৎকালিন সময়ে ঘটেছে ?

মুহাম্মদের (সা:) সময়ে শুষ্কদেশের যে তাপমাত্রা ছিলো এখন তাপমাত্রার মধ্যে এমন কি ব্যপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে যার কারনে সবাই ১৮ বছরের (আইবুড়ো) মেয়েদের বিবাহ করছে ?? আপনার কাছে যদি কোন তথ্য থাকে আমাকে জানালে আমিও কিছুটা জ্ঞানার্জন করতাম।

অফ টপিক : দয়া করে আইবুড়ো জাতীয় শব্দ যত কম ব্যবহার করা যায় ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। এগুলো অশ্নীল শোনায়।
---------------------------

স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

স্নিগ্ধা এর ছবি

আইবুড়ো জাতীয় শব্দ যত কম ব্যবহার করা যায় ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। এগুলো অশ্নীল শোনায়।

তাই? এই শব্দটার উৎপত্তি কোত্থেকে? অবিবাহিত ছাড়াও এর আরো কোন মানেও আছে নাকি?

থার্ড আই এর ছবি

মাইনুল লিখেছেন:

হযরত আয়েশা (রাঃ) এর ৯/১০ বছর বয়সে রাসুল (সাঃ) এর বিয়ের ব্যাপার টি। এখন এই যে ম্যাচিওরিটি, এটা কিন্তু স্থান ও কাল ভেদে ডিফার করে। তখন কার যুগে অই বয়সটাই ছিল মেয়েদের বিয়ের আদর্শ বয়স। এর চেয়ে বেশী বয়স হয়ে গেলে কোন মেয়েকে আইবুড়ো ধরা হত।

আসলে শব্দটির উৎপত্তির কথা জানিনা। তবে আইবুড়ো অবিবাহিত অর্থে ব্যবহার হলেও মাইনুল সাহেবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে হয়েছে আইবুড়ো দশা গুছাতেই মেয়েদের ৯/১০ বছর বয়সে বিবাহ দেয়া প্রয়োজন তাই এই অর্থে আইবুড়ো শব্দটি যত কম ব্যবহার করা যায় ততই মঙ্গল।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।